সাজ্জাদ মাহমুদ খান, ঢাকা
কানাডায় চাকরির কথা বলে সাভারের নুর হোসেনের দুই মেয়েকে পাচার করা হয়েছিল ভারতে। অনেক চেষ্টা-তদবিরের পর এক মেয়েকে তিনি ফেরত পান। আরেক মেয়ের আট মাস ধরে খোঁজ নেই। পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন তিনি, কিন্তু তাতে কিছুই হয়নি। পাচারকারীরা জামিনে এসে উল্টো তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা করেছেন। সেই মামলায় নুর হোসেন এখন কারাগারে।
এ পর্যন্ত শুনে মনে হতে পারে ঘটনার এখানেই শেষ। কিন্তু বাস্তব চিত্র একেবারেই অন্য রকম। নুর হোসেন জেলে যাওয়ার পর অসহায় হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী মোহরজান বিবি। পাচারকারী এবার তাঁকে ভয় দেখাতে শুরু করেন। বলেন, মামলা তুলে না নিলে ভয়াবহ পরিণতি হবে। সেই হুমকিতে চোখের ঘুম ছুটে গেছে মোহরজানের।
সাভারের জামসিং এলাকার বাসিন্দা নুর হোসেন। নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু পর্যন্ত নেই। তাঁদের পাঁচটি মেয়ে। এর মধ্যে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকেন বড় মেয়ের বাড়িতে। এই বাড়িতে থাকার সময় পাশের গ্রামের মোতালেব একদিন এসে বলেন, ‘কত দিন আর বসে বসে খাবা, মেয়েদের বিদেশে পাঠাও। আড়াই লাখ দিলে কানাডা পাঠানো যাবে।’ ধারদেনা করে আড়াই লাখ টাকা মোতালেবের হাতে তুলে দেন নুর হোসেন দম্পতি। এরপর ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর দুই মেয়েকে নিয়ে যান মোতালেব। নুর হোসেন দম্পতি ভাবলেন মেয়ে বিদেশে গেল, এবার সুখের মুখ দেখবেন। কিন্তু সাত দিন যেতে না যেতেই যে খবর পেলেন, তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না তাঁরা। এক মেয়ে ফোন করে জানান, কানাডার কথা বলে তাঁদের আসলে ভারতে পাচার করা হয়েছে।
ফিরে এসে সেই মেয়ে যে অভিজ্ঞতার কথা বললেন, তা ভয়ংকর। মেয়েটি জানান, রাতে একটি বাসে করে দুই বোনকে সাভার থেকে নিয়ে যান মোতালেব। ফজরের আজানের সময় বাস যেখানে থামে, সেখানে আরেকজনের হাতে তাঁদের তুলে দেন। সেই লোক তাঁদের সীমান্তের কাছে একটি বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, তাঁর মতো আরও ১১ জন মেয়ে আছে।
প্রথম রাতে তাঁদের নিয়ে সীমান্ত পার হতে গিয়ে ব্যর্থ হন পাচারকারীরা। দ্বিতীয় রাতে সীমান্ত পার করে নিয়ে গোপাল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রাখেন। এরপর প্রথমে বাসে, পরে প্রাইভেট কারে সারা দিন ঘুরিয়ে একটি হোটেলে তোলেন। হোটেলে ওঠার পর তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ভারতীয় পরিচয়পত্র। নতুন কার্ডে নিজের পরিচয়ও বদলে যায়। নতুন নাম হয় পূজা সরকার, পিতা সুকুমার সরকার। সেই হোটেলে আরও লোকজন আসে। জোর করে মদ খাইয়ে দুই বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এতে এক বোন খুব অসুস্থ হয়ে কান্নকাটি শুরু করে। অবস্থা খারাপ দেখে তাঁকে দেশে পাঠিয়ে দেয় পাচারকারীরা। আর অন্য বোনকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় আরেক স্থানে। পাচার হওয়া নুর হোসেনের মেয়ে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আসেন গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর।
মেয়ে ফিরে আসার পরে নিরুপায় নুর হোসেন সাভার থানায় মোতালেবের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় মোতালেবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু দেড় মাসের মাথায় তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। জামিনে আসার পরই সবকিছু উল্টে যায়। এবার মোতালেব তাঁর মেয়েকে পাচার করা হয়েছে দাবি করে সাভার থানায় নুর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুর রহমান নুর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর ৫ আগস্ট নুর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
অভিযোগ আছে, রিমান্ডে নেওয়ার পর পুলিশ নুর হোসেনের পরিবারের কাছে ঘুষ দাবি করে। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলা সাভার থানার এসআই ওবায়দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি নুর হোসেন তাঁর মেয়েকে পাচারের অভিযোগে সাভার থানায় মামলা করেছিলেন–এমন ঘটনা তিনি জানেন না। নুর হোসেনকে রিমান্ডে মারধর না করার জন্য টাকা দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়।
মোতালেবের ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, মোতালেব ও তাঁর স্ত্রী নিলু বেগম এলাকার অনেক মেয়েকে বিদেশে পাচার করার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা অল্প বয়সী মেয়েদের টার্গেট করেন। সাভারের মেয়ে রোজিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশে পাঠানোর জন্য মোতালেবের স্ত্রী তাঁকে অনেকবার প্রলোভন দেখিয়েছেন। কিন্তু তিনি তাঁর কথায় রাজি হননি। তাঁর প্রতিবেশী আরেকটি মেয়ে যেতে চেয়েছিলেন। মুখে দাগ দেখে তাঁকে নেয়নি।
মোতালেবের বাড়ি গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছুই বলতে চাননি। সিআইডির মানব পাচার বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম কামারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নূর হোসেনের এক মেয়ে এখন পশ্চিমবঙ্গের একটা সেফ হোমে আছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। কিন্তু তাঁকে কবে ফিরিয়ে আনা যাবে, তা বলতে পারেননি তিনি।
কানাডায় চাকরির কথা বলে সাভারের নুর হোসেনের দুই মেয়েকে পাচার করা হয়েছিল ভারতে। অনেক চেষ্টা-তদবিরের পর এক মেয়েকে তিনি ফেরত পান। আরেক মেয়ের আট মাস ধরে খোঁজ নেই। পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন তিনি, কিন্তু তাতে কিছুই হয়নি। পাচারকারীরা জামিনে এসে উল্টো তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা করেছেন। সেই মামলায় নুর হোসেন এখন কারাগারে।
এ পর্যন্ত শুনে মনে হতে পারে ঘটনার এখানেই শেষ। কিন্তু বাস্তব চিত্র একেবারেই অন্য রকম। নুর হোসেন জেলে যাওয়ার পর অসহায় হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী মোহরজান বিবি। পাচারকারী এবার তাঁকে ভয় দেখাতে শুরু করেন। বলেন, মামলা তুলে না নিলে ভয়াবহ পরিণতি হবে। সেই হুমকিতে চোখের ঘুম ছুটে গেছে মোহরজানের।
সাভারের জামসিং এলাকার বাসিন্দা নুর হোসেন। নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু পর্যন্ত নেই। তাঁদের পাঁচটি মেয়ে। এর মধ্যে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকেন বড় মেয়ের বাড়িতে। এই বাড়িতে থাকার সময় পাশের গ্রামের মোতালেব একদিন এসে বলেন, ‘কত দিন আর বসে বসে খাবা, মেয়েদের বিদেশে পাঠাও। আড়াই লাখ দিলে কানাডা পাঠানো যাবে।’ ধারদেনা করে আড়াই লাখ টাকা মোতালেবের হাতে তুলে দেন নুর হোসেন দম্পতি। এরপর ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর দুই মেয়েকে নিয়ে যান মোতালেব। নুর হোসেন দম্পতি ভাবলেন মেয়ে বিদেশে গেল, এবার সুখের মুখ দেখবেন। কিন্তু সাত দিন যেতে না যেতেই যে খবর পেলেন, তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না তাঁরা। এক মেয়ে ফোন করে জানান, কানাডার কথা বলে তাঁদের আসলে ভারতে পাচার করা হয়েছে।
ফিরে এসে সেই মেয়ে যে অভিজ্ঞতার কথা বললেন, তা ভয়ংকর। মেয়েটি জানান, রাতে একটি বাসে করে দুই বোনকে সাভার থেকে নিয়ে যান মোতালেব। ফজরের আজানের সময় বাস যেখানে থামে, সেখানে আরেকজনের হাতে তাঁদের তুলে দেন। সেই লোক তাঁদের সীমান্তের কাছে একটি বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, তাঁর মতো আরও ১১ জন মেয়ে আছে।
প্রথম রাতে তাঁদের নিয়ে সীমান্ত পার হতে গিয়ে ব্যর্থ হন পাচারকারীরা। দ্বিতীয় রাতে সীমান্ত পার করে নিয়ে গোপাল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রাখেন। এরপর প্রথমে বাসে, পরে প্রাইভেট কারে সারা দিন ঘুরিয়ে একটি হোটেলে তোলেন। হোটেলে ওঠার পর তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ভারতীয় পরিচয়পত্র। নতুন কার্ডে নিজের পরিচয়ও বদলে যায়। নতুন নাম হয় পূজা সরকার, পিতা সুকুমার সরকার। সেই হোটেলে আরও লোকজন আসে। জোর করে মদ খাইয়ে দুই বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এতে এক বোন খুব অসুস্থ হয়ে কান্নকাটি শুরু করে। অবস্থা খারাপ দেখে তাঁকে দেশে পাঠিয়ে দেয় পাচারকারীরা। আর অন্য বোনকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় আরেক স্থানে। পাচার হওয়া নুর হোসেনের মেয়ে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আসেন গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর।
মেয়ে ফিরে আসার পরে নিরুপায় নুর হোসেন সাভার থানায় মোতালেবের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় মোতালেবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু দেড় মাসের মাথায় তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। জামিনে আসার পরই সবকিছু উল্টে যায়। এবার মোতালেব তাঁর মেয়েকে পাচার করা হয়েছে দাবি করে সাভার থানায় নুর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুর রহমান নুর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর ৫ আগস্ট নুর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
অভিযোগ আছে, রিমান্ডে নেওয়ার পর পুলিশ নুর হোসেনের পরিবারের কাছে ঘুষ দাবি করে। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলা সাভার থানার এসআই ওবায়দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি নুর হোসেন তাঁর মেয়েকে পাচারের অভিযোগে সাভার থানায় মামলা করেছিলেন–এমন ঘটনা তিনি জানেন না। নুর হোসেনকে রিমান্ডে মারধর না করার জন্য টাকা দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়।
মোতালেবের ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, মোতালেব ও তাঁর স্ত্রী নিলু বেগম এলাকার অনেক মেয়েকে বিদেশে পাচার করার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা অল্প বয়সী মেয়েদের টার্গেট করেন। সাভারের মেয়ে রোজিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশে পাঠানোর জন্য মোতালেবের স্ত্রী তাঁকে অনেকবার প্রলোভন দেখিয়েছেন। কিন্তু তিনি তাঁর কথায় রাজি হননি। তাঁর প্রতিবেশী আরেকটি মেয়ে যেতে চেয়েছিলেন। মুখে দাগ দেখে তাঁকে নেয়নি।
মোতালেবের বাড়ি গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছুই বলতে চাননি। সিআইডির মানব পাচার বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম কামারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নূর হোসেনের এক মেয়ে এখন পশ্চিমবঙ্গের একটা সেফ হোমে আছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। কিন্তু তাঁকে কবে ফিরিয়ে আনা যাবে, তা বলতে পারেননি তিনি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যৌথবাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ককটেল, দেশীয় অস্ত্রসহ যুবদল, ছাত্রদল ও যুবলীগের তিন নেতাকে আটক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে আজ শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত উপজেলার পিয়ারপুর ও জগন্নাথপুর গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়।
৩ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে। উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করেছিল র্যাব। তবে পুলিশ বলছে, ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা এ হত্যা ঘটিয়েছেন।
২২ মিনিট আগেনিহত ফয়সাল খান শুভ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর এলাকার মো. সেলিম খানের ছেলে। তিনি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করে নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ রোডে বোন জামাইয়ের বাসায় থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন।
৩২ মিনিট আগেরাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ছুরিকাঘাতে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এ কে এম আব্দুর রশিদকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে