হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে চাষের পাঙাশের চেয়ে নদীর পাঙাশের চাহিদা ব্যাপক। স্বাদের তারতম্যের কারণে নদীর পাঙাশের চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি। সম্প্রতি উপজেলায় বড় আকারের পাঙাশ মাছ হরহামেশাই পাওয়া যায় আড়ত ও হাট-বাজারে। এসব পাঙাশ নদীর বলে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগ, পুকুরে চাষ করা পাঙাশ পদ্মার বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। পাঙাশগুলো জেলার শিবালয়, দৌলতপুর, রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া, ফরিদপুর জেলার পুকুরে চাষ করা। ক্রেতাদের মিথ্যা বলে ঠকাচ্ছেন জেলে ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
গতকাল সোমবার উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর অস্থায়ী আড়ত (ইলিশের বাজার) এবং সকালে আন্ধারমানিক আড়তে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের মাছের সঙ্গে ৮-১৫ কেজি ওজনের বড় বড় আকারের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে নিলামে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দাম বেশি হওয়া আর ক্রেতা কম থাকায় বড় আকারের পাঙাশ কেটে ভাগ করে প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আজিম মিয়া বলেন, পদ্মা নদীর পাঙাশে শরীরের রং হয় হালকা লালচে ও সাদা, চোখ সাদা, লেজে হালকা শ্যাওলাভাব হয়। এমনকি জালের ফাঁদে আটকা পড়লে পাঙাশের পেছনের অংশে বিভিন্ন ক্ষতও হতে পারে। কোনটা পদ্মা নদীর আর কোনটা চাষ করা, সেটা জেলেরাই ভালো জানেন। সারা বছর হঠাৎ দু-চারটা পাঙাশ আড়তে, হাট-বাজারে পাওয়া যেত, আর এখন হঠাৎ করে শত শত পাঙাশ এল কোথা থেকে?
বাহাদুরপুর গ্রামের আজিজ মিয়া বলেন, ‘১১ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের একটি পাঙাশ কেনা হয়েছে ১৩ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে। কেনার পর সন্দেহ হয়, এটা পদ্মা নদীর পাঙাশ কিনা! পদ্মা নদী থেকে পাঙাশ কারেন্ট জালে ধরা পড়ে। আর কারেন্ট জালে আটকা পড়ার পর পাঙাশটি ছোটাছুটি করবে, ছোটাছুটি করার পর পাঙাশের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বা জখম থাকার কথা। কিন্তু পাঙাশগুলো ক্ষতহীন আর চকচকে দেখে আমার সন্দেহ হয়।’
গোপিনাথপুর গ্রামের রজ্জব আলী জানান, পদ্মা নদীর পাঙাশে শরীরের রং হওয়ার কথা হালকা লালচে আর সাদা সাদা। লেজে হালকা শেওলাভাব দেখা যাওয়ার কথা। চোখ সাদা হওয়ার কথা। এ ছাড়া পদ্মার পাঙাশ হলে কাটার পর হলদে রং হবে। এগুলো কিছুই দেখি না বাজারে বিক্রি হওয়া পাঙাশগুলোতে।
গত রোববার বিকেলে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর অস্থায়ী মাছের আড়তে (ইলিশের হাট) বেশ কয়েকজন ক্রেতার তোপের মুখে পড়েন কয়েকজন পাঙাশ মাছ ব্যবসায়ী। মাছ ব্যবসায়ীরা স্বীকার করতে বাধ্য হন, জেলেরা শিবালয়ের দিক থেকে পাঙাশগুলো আনেন এবং শিবালয় পদ্মা নদী থেকে ধরেছেন বলে তাঁরা দাবি করেন।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ এখনো পাইনি। পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মানিকগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, ‘যদি কোনো জেলে বা ব্যবসায়ী প্রতারণা করে থাকেন, তবে ভোক্তাদের সঙ্গে এটা বড় ধরনের অন্যায়। প্রমাণসহ ধরতে পারলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আপনারা খোঁজ নেন, আমিও খোঁজ নিচ্ছি—আসলেই কোথা থেকে এই পাঙাশগুলো আসে।’
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে চাষের পাঙাশের চেয়ে নদীর পাঙাশের চাহিদা ব্যাপক। স্বাদের তারতম্যের কারণে নদীর পাঙাশের চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি। সম্প্রতি উপজেলায় বড় আকারের পাঙাশ মাছ হরহামেশাই পাওয়া যায় আড়ত ও হাট-বাজারে। এসব পাঙাশ নদীর বলে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগ, পুকুরে চাষ করা পাঙাশ পদ্মার বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। পাঙাশগুলো জেলার শিবালয়, দৌলতপুর, রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া, ফরিদপুর জেলার পুকুরে চাষ করা। ক্রেতাদের মিথ্যা বলে ঠকাচ্ছেন জেলে ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
গতকাল সোমবার উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর অস্থায়ী আড়ত (ইলিশের বাজার) এবং সকালে আন্ধারমানিক আড়তে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের মাছের সঙ্গে ৮-১৫ কেজি ওজনের বড় বড় আকারের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে নিলামে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দাম বেশি হওয়া আর ক্রেতা কম থাকায় বড় আকারের পাঙাশ কেটে ভাগ করে প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আজিম মিয়া বলেন, পদ্মা নদীর পাঙাশে শরীরের রং হয় হালকা লালচে ও সাদা, চোখ সাদা, লেজে হালকা শ্যাওলাভাব হয়। এমনকি জালের ফাঁদে আটকা পড়লে পাঙাশের পেছনের অংশে বিভিন্ন ক্ষতও হতে পারে। কোনটা পদ্মা নদীর আর কোনটা চাষ করা, সেটা জেলেরাই ভালো জানেন। সারা বছর হঠাৎ দু-চারটা পাঙাশ আড়তে, হাট-বাজারে পাওয়া যেত, আর এখন হঠাৎ করে শত শত পাঙাশ এল কোথা থেকে?
বাহাদুরপুর গ্রামের আজিজ মিয়া বলেন, ‘১১ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের একটি পাঙাশ কেনা হয়েছে ১৩ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে। কেনার পর সন্দেহ হয়, এটা পদ্মা নদীর পাঙাশ কিনা! পদ্মা নদী থেকে পাঙাশ কারেন্ট জালে ধরা পড়ে। আর কারেন্ট জালে আটকা পড়ার পর পাঙাশটি ছোটাছুটি করবে, ছোটাছুটি করার পর পাঙাশের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বা জখম থাকার কথা। কিন্তু পাঙাশগুলো ক্ষতহীন আর চকচকে দেখে আমার সন্দেহ হয়।’
গোপিনাথপুর গ্রামের রজ্জব আলী জানান, পদ্মা নদীর পাঙাশে শরীরের রং হওয়ার কথা হালকা লালচে আর সাদা সাদা। লেজে হালকা শেওলাভাব দেখা যাওয়ার কথা। চোখ সাদা হওয়ার কথা। এ ছাড়া পদ্মার পাঙাশ হলে কাটার পর হলদে রং হবে। এগুলো কিছুই দেখি না বাজারে বিক্রি হওয়া পাঙাশগুলোতে।
গত রোববার বিকেলে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর অস্থায়ী মাছের আড়তে (ইলিশের হাট) বেশ কয়েকজন ক্রেতার তোপের মুখে পড়েন কয়েকজন পাঙাশ মাছ ব্যবসায়ী। মাছ ব্যবসায়ীরা স্বীকার করতে বাধ্য হন, জেলেরা শিবালয়ের দিক থেকে পাঙাশগুলো আনেন এবং শিবালয় পদ্মা নদী থেকে ধরেছেন বলে তাঁরা দাবি করেন।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ এখনো পাইনি। পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মানিকগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, ‘যদি কোনো জেলে বা ব্যবসায়ী প্রতারণা করে থাকেন, তবে ভোক্তাদের সঙ্গে এটা বড় ধরনের অন্যায়। প্রমাণসহ ধরতে পারলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আপনারা খোঁজ নেন, আমিও খোঁজ নিচ্ছি—আসলেই কোথা থেকে এই পাঙাশগুলো আসে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
৯ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১৩ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
১৬ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কলেজছাত্র ইমন হত্যা মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাককে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
২২ মিনিট আগে