নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নেট দুনিয়ায় এবার বাঙালির কাচ্চির ঘ্রাণ। কাচ্চির মাংস নিয়ে গত দুই দিন সরগরম ফেসবুক। ঘটনার শুরু সুলতান ডাইনের কাচ্চি নিয়ে এক ব্যক্তির অভিযোগ তোলার পর। অভিযোগ ছিল কাচ্চির মাংস নিয়ে। ইতিমধ্যে সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখায় অভিযানও পরিচালনা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবু আলোচনা কমছে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব অভিরূপ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে বিষয়ে (মাংস) অভিযোগ উঠেছে, তার কোনো আলামত সুলতান’স ডাইনে পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বিষয় নিয়ে (অন্য প্রাণীর মাংস) আলোচনা হচ্ছে, তার কোনো আলামত নেই।
তবে এই কর্মকর্তা সুলতান’স ডাইনের অন্যান্য বিষয় নিয়ে বলেন, মাংস নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কিছু বিষয় ছিল।
মার্চের ২০ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে সুলতান’স ডাইনকে। এর মধ্যে যদি তারা বিষয়গুলো ঠিক না করে, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুলতান’স ডাইনে অভিযানে মাংস নিয়ে কোনো ঝামেলা না হলেও তাদের বানানো ফিরনি অননুমোদিত ছিল। বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছিল না। থালাবাসন পরিষ্কার করার জায়গা পরিষ্কার ছিল না। এ ছাড়া মসলা রাখার পাত্র ফুড গ্রেডের মধ্যে পড়ে না।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সন্ধ্যায়। কনক রহমান খান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের অর্ডার করা কাচ্চির ছবি পোস্ট করে মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কনক ফেসবুকে জানান, সাত প্যাকেট কাচ্চি অর্ডার করার পর মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হয়েছে। সুলতান ডাইনে যোগাযোগ করলে নতুন কাচ্চির প্যাকেট নিয়ে আসেন এজিএম আশরাফ। তখন দুই অর্ডারের মাংস নিয়ে তুলনা করতে বলা হয় তাঁদের।
কনকের অভিযোগ, তাঁর অর্ডার করা কাচ্চির মাংসের হাড় খাসির (ছাগল) মাংসের মতো নয়। অর্ডার করা মাংসের হাড় অনেক চিকন। সুলতান’স ডাইন থেকে তাঁকে টাকা অফার করা হয় বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে।
এই পোস্ট খুব অল্প সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দুটি পক্ষ তৈরি হয় দেশের নেটিজেনদের মধ্যে। কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়া মাংস নিয়ে এমন পোস্টে দুই ধরনের বিতর্ক শুরু হয়।
একপক্ষ ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের পক্ষ নিয়ে এমন অভিযোগ প্রচারের নিন্দা করেন। আরেক পক্ষ সুলতান’স ডাইনের মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখার মার্কেটিং কমিউনিকেশন কর্মকর্তা ববি রানী দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাচ্চির মাংস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে গতকাল (বুধবার) কাজল নামে এক নারী আমাদের এখানে বিকেলে ফোন করে মাংস নিয়ে অভিযোগ করেন।’ ববি বলেন, এখান থেকে বিরিয়ানি পার্সেল করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ করার পর শুরুতে সুলতান’স ডাইন থেকে এক প্যাকেট নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের ওখানে গেলে ঝামেলা শুরু হয়। তাদের (কাজল) অভিযোগ এটা নাকি বিড়ালের মাংস।
ফোন করে অভিযোগকারী (কাজল) একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন একজন পুরুষ (কনক)। অভিযোগকারীরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানায় সুলতান’স ডাইন।
সুলতান’স ডাইন থেকে পাওয়া অভিযোগকারীর (কাজল) নম্বরে কল দিলেও তা কেটে দেওয়া হয়। পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং শাখা থেকে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃহস্পতিবার সুলতান’স ডাইনে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় সুলতান’স ডাইন থেকে কাচ্চি নিয়ে অভিযোগকারীর (কাজল) একটি নম্বর নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়। তবে সেই নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ থেকে অভিযোগকারীর সঙ্গে এখনো কোনো যোগাযোগ হয়নি। এটা নিয়ে তদন্ত চলছে।
গত বছর ২ ডিসেম্বর ডালিয়া আফরোজ নামে এক নারী সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে তেলাপোকাসহ পরিবেশন করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেটি ছিল প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখার ঘটনা।
নেট দুনিয়ায় এবার বাঙালির কাচ্চির ঘ্রাণ। কাচ্চির মাংস নিয়ে গত দুই দিন সরগরম ফেসবুক। ঘটনার শুরু সুলতান ডাইনের কাচ্চি নিয়ে এক ব্যক্তির অভিযোগ তোলার পর। অভিযোগ ছিল কাচ্চির মাংস নিয়ে। ইতিমধ্যে সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখায় অভিযানও পরিচালনা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবু আলোচনা কমছে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব অভিরূপ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে বিষয়ে (মাংস) অভিযোগ উঠেছে, তার কোনো আলামত সুলতান’স ডাইনে পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বিষয় নিয়ে (অন্য প্রাণীর মাংস) আলোচনা হচ্ছে, তার কোনো আলামত নেই।
তবে এই কর্মকর্তা সুলতান’স ডাইনের অন্যান্য বিষয় নিয়ে বলেন, মাংস নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কিছু বিষয় ছিল।
মার্চের ২০ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে সুলতান’স ডাইনকে। এর মধ্যে যদি তারা বিষয়গুলো ঠিক না করে, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুলতান’স ডাইনে অভিযানে মাংস নিয়ে কোনো ঝামেলা না হলেও তাদের বানানো ফিরনি অননুমোদিত ছিল। বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছিল না। থালাবাসন পরিষ্কার করার জায়গা পরিষ্কার ছিল না। এ ছাড়া মসলা রাখার পাত্র ফুড গ্রেডের মধ্যে পড়ে না।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সন্ধ্যায়। কনক রহমান খান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের অর্ডার করা কাচ্চির ছবি পোস্ট করে মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কনক ফেসবুকে জানান, সাত প্যাকেট কাচ্চি অর্ডার করার পর মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হয়েছে। সুলতান ডাইনে যোগাযোগ করলে নতুন কাচ্চির প্যাকেট নিয়ে আসেন এজিএম আশরাফ। তখন দুই অর্ডারের মাংস নিয়ে তুলনা করতে বলা হয় তাঁদের।
কনকের অভিযোগ, তাঁর অর্ডার করা কাচ্চির মাংসের হাড় খাসির (ছাগল) মাংসের মতো নয়। অর্ডার করা মাংসের হাড় অনেক চিকন। সুলতান’স ডাইন থেকে তাঁকে টাকা অফার করা হয় বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে।
এই পোস্ট খুব অল্প সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দুটি পক্ষ তৈরি হয় দেশের নেটিজেনদের মধ্যে। কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়া মাংস নিয়ে এমন পোস্টে দুই ধরনের বিতর্ক শুরু হয়।
একপক্ষ ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের পক্ষ নিয়ে এমন অভিযোগ প্রচারের নিন্দা করেন। আরেক পক্ষ সুলতান’স ডাইনের মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখার মার্কেটিং কমিউনিকেশন কর্মকর্তা ববি রানী দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাচ্চির মাংস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে গতকাল (বুধবার) কাজল নামে এক নারী আমাদের এখানে বিকেলে ফোন করে মাংস নিয়ে অভিযোগ করেন।’ ববি বলেন, এখান থেকে বিরিয়ানি পার্সেল করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ করার পর শুরুতে সুলতান’স ডাইন থেকে এক প্যাকেট নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের ওখানে গেলে ঝামেলা শুরু হয়। তাদের (কাজল) অভিযোগ এটা নাকি বিড়ালের মাংস।
ফোন করে অভিযোগকারী (কাজল) একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন একজন পুরুষ (কনক)। অভিযোগকারীরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানায় সুলতান’স ডাইন।
সুলতান’স ডাইন থেকে পাওয়া অভিযোগকারীর (কাজল) নম্বরে কল দিলেও তা কেটে দেওয়া হয়। পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং শাখা থেকে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃহস্পতিবার সুলতান’স ডাইনে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় সুলতান’স ডাইন থেকে কাচ্চি নিয়ে অভিযোগকারীর (কাজল) একটি নম্বর নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়। তবে সেই নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ থেকে অভিযোগকারীর সঙ্গে এখনো কোনো যোগাযোগ হয়নি। এটা নিয়ে তদন্ত চলছে।
গত বছর ২ ডিসেম্বর ডালিয়া আফরোজ নামে এক নারী সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে তেলাপোকাসহ পরিবেশন করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেটি ছিল প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখার ঘটনা।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৮ ঘণ্টা আগে