নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি সাভার (ঢাকা)
ঢাকার সাভারে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর কি না, তা নিশ্চিত হতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীর এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে আজ বুধবার লাশটি উত্তোলন করা হয়।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা লাশ উত্তোলন করেন। এ সময় মেয়ে সামিরা তানজিনসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা এক রিটের শুনানি শেষে গত ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর মরদেহ কবরস্থান থেকে তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ তাঁর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
হারিস চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলনের সময় ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মেদ মুঈদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নুরসহ প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। ওই দিনই সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদ কামালপুর এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসার কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
আরও জানানো হয়, তিন বছর আগে হারিছ চৌধুরীকে যখন বিরুলিয়া ওই কবরস্থানে দাফন করা হয় তখন অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান হিসেবে তাঁর পরিচয় দেওয়া হয়েছিল।
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান নাম গ্রহণ করে আমার বাবা আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি খুব দুস্থ জীবন যাপন করতেন, তাই বারবার অসুস্থ হয়ে পড়তেন। পরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। যেই হাসপাতালে আব্বুকে নেওয়া হয়েছিল, সেখানে যারা আব্বুকে অ্যাটেন্ড করেছিল তাদের সঙ্গে কথা বললে আপনারা আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন। লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন আমি তাঁকে পিপিই (পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) পরে দেখতে যেতাম। পরে যেদিন তিনি মারা গেলেন, সেদিন আমি থেকে তাঁকে দাফন করি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় দেওয়া হয়। এ কারণে আত্মগোপনে থাকতে তিনি বাধ্য হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর সম্মান প্রাপ্য, সেটা তাঁকে দিতে হবে। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হবে। তিনি চরম অবিচারের স্বীকার হয়েছে।’
হারিছ চৌধুরীর জানাজা পড়ানো মাদ্রাসাটির প্রিন্সিপাল মাওলানা আশিকুর রহমান কাশেমি বলেন, ‘২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাদ আসর আমি ওই নামাজের জানাজায় ইমামতি করি। এতে অনেকেই অংশ নেয়। দাফনের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখন করোনা ছিল। জানাজায় আসতে মানুষ সাহস পেত না। তার শ্যালক যোগাযোগ করে মরদেহ নিয়ে আসে। আমরা অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান হিসেবে তার মরদেহ দাফন করি। এখন পর্যন্ত আমরা তাকে প্রফেসর মাহমুদুর রহমান হিসেবেই জানি।’
মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুঈদ বলেন, ‘যে মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে, আমরা জানতে পেরেছি এটি হারিছ চৌধুরীর মরদেহ। তিনি যখন মারা যান, ওই সময় বিশ্বে করোনা চলছিল। তাঁর পরিবার তাঁকে নিরাপদ ও ভালো জায়গায় কবরস্থ করতে এখানে নিয়ে আসে। তাঁর মেয়ের রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।’
সাভার উপজেলা কমিশনার (ভূমি) এস এম রাসেল ইসলাম নুর বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জেলা প্রশাসক আমাকে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করেছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আদালত পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া তাঁর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে।’
হারিছ চৌধুরী বিএনপির সবশেষ শাসনামলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন।
ঢাকার সাভারে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর কি না, তা নিশ্চিত হতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীর এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে আজ বুধবার লাশটি উত্তোলন করা হয়।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা লাশ উত্তোলন করেন। এ সময় মেয়ে সামিরা তানজিনসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা এক রিটের শুনানি শেষে গত ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর মরদেহ কবরস্থান থেকে তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ তাঁর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
হারিস চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলনের সময় ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মেদ মুঈদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নুরসহ প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। ওই দিনই সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদ কামালপুর এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসার কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
আরও জানানো হয়, তিন বছর আগে হারিছ চৌধুরীকে যখন বিরুলিয়া ওই কবরস্থানে দাফন করা হয় তখন অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান হিসেবে তাঁর পরিচয় দেওয়া হয়েছিল।
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান নাম গ্রহণ করে আমার বাবা আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি খুব দুস্থ জীবন যাপন করতেন, তাই বারবার অসুস্থ হয়ে পড়তেন। পরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। যেই হাসপাতালে আব্বুকে নেওয়া হয়েছিল, সেখানে যারা আব্বুকে অ্যাটেন্ড করেছিল তাদের সঙ্গে কথা বললে আপনারা আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন। লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন আমি তাঁকে পিপিই (পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) পরে দেখতে যেতাম। পরে যেদিন তিনি মারা গেলেন, সেদিন আমি থেকে তাঁকে দাফন করি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় দেওয়া হয়। এ কারণে আত্মগোপনে থাকতে তিনি বাধ্য হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর সম্মান প্রাপ্য, সেটা তাঁকে দিতে হবে। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হবে। তিনি চরম অবিচারের স্বীকার হয়েছে।’
হারিছ চৌধুরীর জানাজা পড়ানো মাদ্রাসাটির প্রিন্সিপাল মাওলানা আশিকুর রহমান কাশেমি বলেন, ‘২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাদ আসর আমি ওই নামাজের জানাজায় ইমামতি করি। এতে অনেকেই অংশ নেয়। দাফনের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখন করোনা ছিল। জানাজায় আসতে মানুষ সাহস পেত না। তার শ্যালক যোগাযোগ করে মরদেহ নিয়ে আসে। আমরা অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান হিসেবে তার মরদেহ দাফন করি। এখন পর্যন্ত আমরা তাকে প্রফেসর মাহমুদুর রহমান হিসেবেই জানি।’
মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুঈদ বলেন, ‘যে মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে, আমরা জানতে পেরেছি এটি হারিছ চৌধুরীর মরদেহ। তিনি যখন মারা যান, ওই সময় বিশ্বে করোনা চলছিল। তাঁর পরিবার তাঁকে নিরাপদ ও ভালো জায়গায় কবরস্থ করতে এখানে নিয়ে আসে। তাঁর মেয়ের রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।’
সাভার উপজেলা কমিশনার (ভূমি) এস এম রাসেল ইসলাম নুর বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জেলা প্রশাসক আমাকে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করেছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আদালত পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া তাঁর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে।’
হারিছ চৌধুরী বিএনপির সবশেষ শাসনামলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন।
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
৪০ মিনিট আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে