নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শিল্প কর্মের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অতীতের স্মৃতি, বর্তমানের অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যতের প্রেরণার উপাদানগুলো উঠেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বানানো চিত্রকর্মের মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স এর সেন্টার ফর পিচ স্টাডিজের উদ্যোগে শত সাংস্কৃতিক উপকরণ ও চিত্রকর্মের সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিবিশন হলে প্রদর্শনীটি চলবে।
রোববার বিকেলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিবিশন হলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রদর্শনীটি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত এনি জেরার্ড ভ্যান লিউইন, জাতিসংঘভুক্ত দেশসমূহের বাংলাদেশে বসবাসকারীদের সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো, বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও আইওএমের বাংলাদেশ শাখার সিনিয়র উপদেষ্টা মো. শহীদুল হক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম ও আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন গিয়র্গি গিগাওরি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই একজন রোহিঙ্গা কবি সাকিলার 'ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি' নামে একটি কবিতা পড়া হয়। কবিতাটিতে রোহিঙ্গাদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন ও বর্তমান প্রত্যাশা ফুটে ওঠে। বক্তারা জানান, রোহিঙ্গা শিল্পীরা স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করেন। ক্যাম্পের ছোট্ট ঘরের সামনে বসে তারা আবারও মাতৃভূমি আর সুন্দর জীবনে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্ন তারা বোনেন পটচিত্রে। এ ছাড়াও তাদের মাদুর, নৌকা, পাখা, মাছ শিকারের যন্ত্রপাতি প্রদর্শিত হয়। ট্যাপেস্টির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে রোহিঙ্গাদের ঐতিহ্য ও বর্তমান-ভবিষ্যতের গল্প।
স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন গিয়র্গি গিগাওরি বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি প্রদর্শনের ফলে তাদের জাতিগোষ্ঠী আরও প্রেরণা পাবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এধারা অব্যাহত রাখতে উৎসাহ জোগাবে।’ মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘তারা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা তারা কখনো ভুলবে না। এসব চিত্রকর্ম তাদের বর্তমান সময়কে মনে করিয়ে দেবে।’
নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত এনি জেরার্ড ভ্যান লিউইন বলেন, ‘আর্ট টাইম মেশিনের মতো কাজ করে। এটা আমাদের অতীতে নিয়ে যেতে পারে আবার ভবিষ্যতেও নিয়ে যেতে পারে ৷ সংস্কৃতি সমাজের প্রতিবিম্ব। সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে থাকার সুযোগ সবারই থাকা উচিত, বিশেষ করে যারা তাদের ঘর হারিয়েছে।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে সমাজের সবক্ষেত্রেই ভূমিকা রাখতে হবে। দেশীয় পর্যায়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যেসব সমস্যা, সংকট, ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে সেসব নিয়ে গবেষণা করতে হবে।’ আলোচনা শেষে চিত্রকর্ম ও শিল্পকর্মগুলো ঘুরে দেখেন অতিথিরা।
এমব্রয়ডারি চিত্রকর সবিকা তার চিত্রকর্মের পাশে লিখেছেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে লবণ আর মরিচ দিয়ে কাচা কাঁঠাল খেতাম। বীজগুলো রান্না করে খেতাম। কাঁঠাল গাছে দোলনা বেঁধে আমরা দুই বোন খেলতাম। আমি আমাদের বাগানের কাঁঠাল খুব মিস করি।’
আরেকজন শিল্পী ইয়াসমিন আরাকানের ঐতিহ্যবাহী কাঠের ঘরের কথা বলতে গিয়ে লিখেন, ‘আরাকানে আমাদের দুইটা বেডরুম একটা রান্নাঘর সহ সুন্দর একটা দোতলা কাঠের বাড়ি ছিল। এমব্রয়ডারি দিয়ে আমি সেই বাড়িটি প্রতিদিন আঁকার চেষ্টা করি।’ বিয়ে ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উৎসবের কথা মনে করিয়ে লালা তার চিত্রকর্মের পাশে লিখেছেন, ‘আমার বিয়েতে আমার বোন হাতে মেহেদি দিয়ে দিয়েছিল। আমার এখনো সেটা মনে পড়ে। মেহেদি হাতকে সুন্দর করে তোলে ৷ মেহেদি ছাড়া হাত খালি লাগে।’
ক্যাম্পের স্মৃতি, পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন সময়ের ছবি থেকে পাওয়া উপাদানগুলো দিয়ে বর্তমান জীবনের ছবিগুলো এঁকেছেন শিল্পীরা। প্রদর্শনীটিতে রোহিঙ্গাদের ‘আরাকানের জীবন’, ‘ক্যাম্পের জীবন’ ও ‘ভবিষ্যৎ জীবন’ সম্পর্কিত নানান ধরনের শিল্পকর্ম তুলে ধরা হয়।
শিল্প কর্মের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অতীতের স্মৃতি, বর্তমানের অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যতের প্রেরণার উপাদানগুলো উঠেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বানানো চিত্রকর্মের মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স এর সেন্টার ফর পিচ স্টাডিজের উদ্যোগে শত সাংস্কৃতিক উপকরণ ও চিত্রকর্মের সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিবিশন হলে প্রদর্শনীটি চলবে।
রোববার বিকেলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিবিশন হলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রদর্শনীটি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত এনি জেরার্ড ভ্যান লিউইন, জাতিসংঘভুক্ত দেশসমূহের বাংলাদেশে বসবাসকারীদের সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো, বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও আইওএমের বাংলাদেশ শাখার সিনিয়র উপদেষ্টা মো. শহীদুল হক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম ও আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন গিয়র্গি গিগাওরি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই একজন রোহিঙ্গা কবি সাকিলার 'ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি' নামে একটি কবিতা পড়া হয়। কবিতাটিতে রোহিঙ্গাদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন ও বর্তমান প্রত্যাশা ফুটে ওঠে। বক্তারা জানান, রোহিঙ্গা শিল্পীরা স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করেন। ক্যাম্পের ছোট্ট ঘরের সামনে বসে তারা আবারও মাতৃভূমি আর সুন্দর জীবনে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্ন তারা বোনেন পটচিত্রে। এ ছাড়াও তাদের মাদুর, নৌকা, পাখা, মাছ শিকারের যন্ত্রপাতি প্রদর্শিত হয়। ট্যাপেস্টির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে রোহিঙ্গাদের ঐতিহ্য ও বর্তমান-ভবিষ্যতের গল্প।
স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন গিয়র্গি গিগাওরি বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি প্রদর্শনের ফলে তাদের জাতিগোষ্ঠী আরও প্রেরণা পাবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এধারা অব্যাহত রাখতে উৎসাহ জোগাবে।’ মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘তারা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা তারা কখনো ভুলবে না। এসব চিত্রকর্ম তাদের বর্তমান সময়কে মনে করিয়ে দেবে।’
নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত এনি জেরার্ড ভ্যান লিউইন বলেন, ‘আর্ট টাইম মেশিনের মতো কাজ করে। এটা আমাদের অতীতে নিয়ে যেতে পারে আবার ভবিষ্যতেও নিয়ে যেতে পারে ৷ সংস্কৃতি সমাজের প্রতিবিম্ব। সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে থাকার সুযোগ সবারই থাকা উচিত, বিশেষ করে যারা তাদের ঘর হারিয়েছে।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে সমাজের সবক্ষেত্রেই ভূমিকা রাখতে হবে। দেশীয় পর্যায়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যেসব সমস্যা, সংকট, ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে সেসব নিয়ে গবেষণা করতে হবে।’ আলোচনা শেষে চিত্রকর্ম ও শিল্পকর্মগুলো ঘুরে দেখেন অতিথিরা।
এমব্রয়ডারি চিত্রকর সবিকা তার চিত্রকর্মের পাশে লিখেছেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে লবণ আর মরিচ দিয়ে কাচা কাঁঠাল খেতাম। বীজগুলো রান্না করে খেতাম। কাঁঠাল গাছে দোলনা বেঁধে আমরা দুই বোন খেলতাম। আমি আমাদের বাগানের কাঁঠাল খুব মিস করি।’
আরেকজন শিল্পী ইয়াসমিন আরাকানের ঐতিহ্যবাহী কাঠের ঘরের কথা বলতে গিয়ে লিখেন, ‘আরাকানে আমাদের দুইটা বেডরুম একটা রান্নাঘর সহ সুন্দর একটা দোতলা কাঠের বাড়ি ছিল। এমব্রয়ডারি দিয়ে আমি সেই বাড়িটি প্রতিদিন আঁকার চেষ্টা করি।’ বিয়ে ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উৎসবের কথা মনে করিয়ে লালা তার চিত্রকর্মের পাশে লিখেছেন, ‘আমার বিয়েতে আমার বোন হাতে মেহেদি দিয়ে দিয়েছিল। আমার এখনো সেটা মনে পড়ে। মেহেদি হাতকে সুন্দর করে তোলে ৷ মেহেদি ছাড়া হাত খালি লাগে।’
ক্যাম্পের স্মৃতি, পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন সময়ের ছবি থেকে পাওয়া উপাদানগুলো দিয়ে বর্তমান জীবনের ছবিগুলো এঁকেছেন শিল্পীরা। প্রদর্শনীটিতে রোহিঙ্গাদের ‘আরাকানের জীবন’, ‘ক্যাম্পের জীবন’ ও ‘ভবিষ্যৎ জীবন’ সম্পর্কিত নানান ধরনের শিল্পকর্ম তুলে ধরা হয়।
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
২২ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২৬ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
২৮ মিনিট আগে