হাসান মাতুব্বর, ফরিদপুর
ফরিদপুরে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) প্রকল্পের আওতায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ না করেই ৮০ শতাংশ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ঠিকাদারেরও। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফরিদপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এমন দুর্নীতি হয়েছে। অবশ্য কাজ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, ভুলবশত বেশি কাজ দেখানো হয়েছে, যা সংশোধনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আর বিলও পরিশোধ করা হয়েছে ৩৯ শতাংশ।
ফরিদপুর সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) অধিদপ্তরের ফরিদপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২১ ও ২০২৩ সালে পরপর চারটি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ নেন মেসার্স লিপু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মোশারফ হোসেন মুশা। এসব কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা। এর মধ্যে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ফুরসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণের কাজ। এ ছাড়া সদরের গেরদা ইউনিয়নের বকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৩ লাখ টাকা, কানাইপুর ইউনিয়নের সাইবেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৭ লাখ টাকা এবং অম্বিকাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভাষাণচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
কানাইপুর ইউনিয়নের ফুরসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ২ মে। ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি। এরই মধ্যে ঠিকাদার ভবন নির্মাণের ৮০ শতাংশ কাজের ভুয়া অগ্রগতি দেখিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফরিদপুর কার্যালয় থেকে ৪৫ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। অথচ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ২০-৩০ শতাংশ।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাসান আহমেদ বলেন, ‘নির্মাণকাজ শুরুর তিন-চার মাস পরই কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। আমি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি, তারপরও কাজ হয়নি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানালে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি গ্রেড বিম করে চলে যায়। আর কাজ করেনি।’
এলজিইডির নথিপত্রের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর কাজের অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ৮০ শতাংশ, যা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা সরেজমিন গিয়ে রেকর্ড করেছেন। কাজ দেখানোর পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজাহারুল ইসলাম। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে কাজের অগ্রগতি ভুলবশত উল্লেখ করা হয়েছে মর্মে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন।
বিষয়টি নিয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দেবাশীষ বাগচী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অগ্রগতির রিপোর্টটি ভুলবশত কম্পিউটার টাইপিংয়ে ৮০ শতাংশ উল্লেখ করা হয়েছে। ৪০ শতাংশ লিখতে গিয়ে হয়তো এমন হয়ে গেছে। ঠিকাদারকে ৩৯ শতাংশ কাজের বিল দেওয়া হয়েছে। বিল পাওয়ার পর ঠিকাদার আর কাজটি করেননি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের এক পাশে নির্মাণাধীন ভবনটি। অবশ্য ভবন বলতে সেখানে শুধু খুঁটি ছাড়া আর কিছু নেই। কোথাও কোথাও রড বের হয়ে আছে। এই অবস্থায় পুরোনো একটি দুই কক্ষের ভবনের একটি কক্ষে চলছে পাঠদান। অপর একটি কক্ষের এক পাশে শিক্ষকদের বসার স্থান, অপর পাশের অল্পকিছু জায়গায় কয়েকটি বেঞ্চ বসিয়ে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। ভবনের বারান্দায়ও বসছে ক্লাস। কখনো আবার ভবনের সামনে গাছতলায় বেঞ্চ বসিয়ে ক্লাস নেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাসান আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়ের এমন অবস্থায় শিক্ষার্থী কমে গেছে। ভবন নির্মাণকাজ শুরুর সময় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল, এখন প্রায় এক শ শিক্ষার্থী কমেছে।
ফুরসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ থাকার মধ্যেই একই প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালে গেরদা ইউনিয়নের বকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কানাইপুর ইউনিয়নের সাইবেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং অম্বিকাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভাষাণচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ পায় মেসার্স লিপু এন্টারপ্রাইজ। এসব কাজও শেষ হয়নি। সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ব ভাষাণচর ও সাইবেরিয়ায় প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করলেও এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। অপরটির নির্মাণকাজ সম্পর্কে খোঁজখবরই নেয়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বছর আগে ভবন নির্মাণকাজ পাস হলেও আজও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খোঁজখবর নেয়নি। দুই কক্ষের একটি ভবনে গাদাগাদি করে সাড়ে তিন শ শিক্ষার্থীর ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।’
গত অক্টোবরে সাইবেরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি খুঁড়ে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর আর খোঁজ নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারকে বারবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কাজ আর হয়নি। এভাবেই প্রায় এক বছর পার হয়ে গেছে।’
একইভাবে মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে পূর্ব ভাষাণচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মাঠে গাছ থাকার কারণে কাজ বন্ধ। গাছগুলো কেটে ফেলার পর ঠিকাদার কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন।
এভাবে দিনের পর দিন কাজ পড়ে থাকার জন্য এলজিইডির সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দেবাশীষ বাগচী ঠিকাদার ও ঠিকাদারের সিকিউরিটি দেওয়া সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দোষারোপ করছেন। তিনি বলেন, ‘ঠিকাদার আমাদের কোনো কথাই শুনছেন না। আমরা কাজটি বাতিলও করতে পারছি না। কারণ, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জড়তা সৃষ্টি করে রেখেছে। বারবার নোটিশ করলেও সাড়া নেই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঠিকাদার মোশারফ হোসেন মুশা মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়গুলো নিয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে ফুরসা বিদ্যালয়ের বিষয়টি নিয়ে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। এরপর আর অগ্রগতির বিষয়ে জানায়নি। যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফরিদপুরে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) প্রকল্পের আওতায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ না করেই ৮০ শতাংশ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ঠিকাদারেরও। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফরিদপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এমন দুর্নীতি হয়েছে। অবশ্য কাজ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, ভুলবশত বেশি কাজ দেখানো হয়েছে, যা সংশোধনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আর বিলও পরিশোধ করা হয়েছে ৩৯ শতাংশ।
ফরিদপুর সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) অধিদপ্তরের ফরিদপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২১ ও ২০২৩ সালে পরপর চারটি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ নেন মেসার্স লিপু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মোশারফ হোসেন মুশা। এসব কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা। এর মধ্যে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ফুরসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণের কাজ। এ ছাড়া সদরের গেরদা ইউনিয়নের বকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৩ লাখ টাকা, কানাইপুর ইউনিয়নের সাইবেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৭ লাখ টাকা এবং অম্বিকাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভাষাণচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
কানাইপুর ইউনিয়নের ফুরসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ২ মে। ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি। এরই মধ্যে ঠিকাদার ভবন নির্মাণের ৮০ শতাংশ কাজের ভুয়া অগ্রগতি দেখিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফরিদপুর কার্যালয় থেকে ৪৫ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। অথচ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ২০-৩০ শতাংশ।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাসান আহমেদ বলেন, ‘নির্মাণকাজ শুরুর তিন-চার মাস পরই কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। আমি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি, তারপরও কাজ হয়নি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানালে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি গ্রেড বিম করে চলে যায়। আর কাজ করেনি।’
এলজিইডির নথিপত্রের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর কাজের অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ৮০ শতাংশ, যা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা সরেজমিন গিয়ে রেকর্ড করেছেন। কাজ দেখানোর পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজাহারুল ইসলাম। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে কাজের অগ্রগতি ভুলবশত উল্লেখ করা হয়েছে মর্মে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন।
বিষয়টি নিয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দেবাশীষ বাগচী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অগ্রগতির রিপোর্টটি ভুলবশত কম্পিউটার টাইপিংয়ে ৮০ শতাংশ উল্লেখ করা হয়েছে। ৪০ শতাংশ লিখতে গিয়ে হয়তো এমন হয়ে গেছে। ঠিকাদারকে ৩৯ শতাংশ কাজের বিল দেওয়া হয়েছে। বিল পাওয়ার পর ঠিকাদার আর কাজটি করেননি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের এক পাশে নির্মাণাধীন ভবনটি। অবশ্য ভবন বলতে সেখানে শুধু খুঁটি ছাড়া আর কিছু নেই। কোথাও কোথাও রড বের হয়ে আছে। এই অবস্থায় পুরোনো একটি দুই কক্ষের ভবনের একটি কক্ষে চলছে পাঠদান। অপর একটি কক্ষের এক পাশে শিক্ষকদের বসার স্থান, অপর পাশের অল্পকিছু জায়গায় কয়েকটি বেঞ্চ বসিয়ে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। ভবনের বারান্দায়ও বসছে ক্লাস। কখনো আবার ভবনের সামনে গাছতলায় বেঞ্চ বসিয়ে ক্লাস নেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাসান আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়ের এমন অবস্থায় শিক্ষার্থী কমে গেছে। ভবন নির্মাণকাজ শুরুর সময় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল, এখন প্রায় এক শ শিক্ষার্থী কমেছে।
ফুরসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ থাকার মধ্যেই একই প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালে গেরদা ইউনিয়নের বকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কানাইপুর ইউনিয়নের সাইবেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং অম্বিকাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভাষাণচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ পায় মেসার্স লিপু এন্টারপ্রাইজ। এসব কাজও শেষ হয়নি। সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ব ভাষাণচর ও সাইবেরিয়ায় প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করলেও এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। অপরটির নির্মাণকাজ সম্পর্কে খোঁজখবরই নেয়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বছর আগে ভবন নির্মাণকাজ পাস হলেও আজও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খোঁজখবর নেয়নি। দুই কক্ষের একটি ভবনে গাদাগাদি করে সাড়ে তিন শ শিক্ষার্থীর ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।’
গত অক্টোবরে সাইবেরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি খুঁড়ে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর আর খোঁজ নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারকে বারবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কাজ আর হয়নি। এভাবেই প্রায় এক বছর পার হয়ে গেছে।’
একইভাবে মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে পূর্ব ভাষাণচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মাঠে গাছ থাকার কারণে কাজ বন্ধ। গাছগুলো কেটে ফেলার পর ঠিকাদার কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন।
এভাবে দিনের পর দিন কাজ পড়ে থাকার জন্য এলজিইডির সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দেবাশীষ বাগচী ঠিকাদার ও ঠিকাদারের সিকিউরিটি দেওয়া সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দোষারোপ করছেন। তিনি বলেন, ‘ঠিকাদার আমাদের কোনো কথাই শুনছেন না। আমরা কাজটি বাতিলও করতে পারছি না। কারণ, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জড়তা সৃষ্টি করে রেখেছে। বারবার নোটিশ করলেও সাড়া নেই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঠিকাদার মোশারফ হোসেন মুশা মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়গুলো নিয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে ফুরসা বিদ্যালয়ের বিষয়টি নিয়ে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। এরপর আর অগ্রগতির বিষয়ে জানায়নি। যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে