সহকর্মীকে গুলি করে হত্যার হুমকি, শিক্ষা প্রশাসনে তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২১: ২৫

শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক মোহাম্মদ ওয়ায়েছ আলকারনী মুন্সীকে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হুমকির ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করেছে ডিআইএ কর্তৃপক্ষ।

ডিআইএ সূত্র বলছে, অভিযুক্ত মনিরুল আলম মাসুম একই দপ্তরে সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক পদে কর্মরত। গত ২৪ অক্টোবর হত্যার হুমকির ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করে ডিআইএ পরিচালক।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয় ডিআইএ-এর সদ্য সাবেক উপপরিচালক অধ্যাপক ড. রেহেনা খাতুনকে। আর কমিটি সদস্য করা হয়েছে সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও শিক্ষা পরিদর্শক মো. মকবুলার রহমানকে।

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে গতকাল মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন ডিআইএ-এর যুগ্ম পরিচালক মো. আবুয়াল কায়সার। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে এর বাইরেও অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। সবকিছুরই তদন্ত হবে। কোনো ব্যক্তির জন্য প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে না।

সূত্র আরও বলছে, গুলি করে মারার হুমকি দেওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন মোহাম্মদ ওয়ায়েছ আলকারনী মুন্সী। যার নম্বর ১৯০৮।

সাধারণ ডায়েরি দায়ের এবং গুলি করে মারার হুমকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ ওয়ায়েছ আলকারনী মুন্সী। আর অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে মনিরুল আলম মাসুমকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে অফিসে গিয়েও তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিআইএ-এর একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি কমিটির আহ্বায়ক রেহেনা খাতুন রংপুর কারমাইকেল কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে বদলি করা হয়েছে। এরপর থেকে থমকে আছে কমিটির যাবতীয় কার্যক্রম।

জানা যায়, সাধারণ ডায়েরিতে মোহাম্মদ ওয়ায়েছ আলকারনী মুন্সী লিখেছেন-গত ২২ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক মনিরুল আলম মাসুম বলতে থাকেন–‘কারনী তুমি কামরুন ও সাদিয়াকে বদলি করে দাও। জবাবে বলি, আমি বদলি করার কে? পরক্ষণে তিনি বলেন, আমাকে এবং অপর সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক সাদিয়া সুলতানাকে বদলি না করে তিনি শান্তি পাচ্ছেন না। তারপর বলেন, কারনী তোমারে গুলি কইরা দিমু! তুমি জানো না আমি তোমার প্রতি কত ক্ষ্যাপা! তোমারে আমি ছাড়মু না। তোমাদের একটারেও ছাড়মু না। প্রত্যেকটারে গুলি করমু। পিঁপড়ার মতো মারমু। সব কয়টারে গুলি কইরা মারুম।’

সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই দোষীকে বিধি অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গুজব

ববির ট্রেজারার সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যোগদানে বাধা

বিগত সরকারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ দিতেই যাবে শতকোটি টাকা

দুই দিনে ৭ ব্যাংককে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেননি রয়টার্সের প্রতিবেদক: সিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত