কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ফলে বাড়ছে চাষের পরিধি। উৎপাদন খরচ কম আর বীজের চাহিদা বেশি থাকায় অনেকেই এখন সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী। চলতি বছর ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের চোখে-মুখে দেখা যাচ্ছে হাসির ঝিলিক।
দূর থেকে দেখলে মনে হয় হলুদ গালিচা পেতে রেখেছে কেউ। সূর্যমুখী ফুলের এমন মনোমুগ্ধকর রূপের দেখা মিলবে কিশোরগঞ্জের শতভাগ হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে। হাওরের মাঝে সূর্যমুখী হলুদ সুন্দরীদের রূপ আর সৌন্দর্য দেখতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসছে অনেকেই। শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে সরকারের কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় চাষ করা হয়েছে সূর্যমুখী ফুল।
এ বিষয়ে মিঠামইনের উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আনিছুর রহমান জানান, চলতি বছর মিঠামইন উপজেলায় ১০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। এর বীজ থেকে ভোজ্য তেল ও গাছ থেকে জ্বালানির চাহিদা মিটবে। আমরা সরেজমিনে কৃষকদের পাশে থেকে এই ফুল চাষের আবাদে উৎসাহ ও পরামর্শ দিচ্ছি।
সূর্যমুখী ফুল আবাদে মিঠামইন উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের কৃষক আলাল উদ্দিন বলেন, ‘হাওরে ছয় মাস পানি থাকে। আর বছরের বাকি ছয় মাস বোরো ধান আবাদ করি আমরা। গত বছর থেকে কৃষি অফিস সূর্যমুখী ফুল চাষের পরামর্শ দিচ্ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে চলতি বছর এই ফুলের চাষ করলাম। বোরো ধান আবাদের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম, লাভ বেশি আর ফলনও ভালো।’
এ বিষয়ে এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, ‘হাওরে সূর্যমুখীর ফলন হবে, আমরা ভাবতেও পারিনি। ফলন দেখে খুব ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে আমরা সূর্যমুখী ফুলের চাষ করব।’
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগে শুধু বর্ষাকালে হাওরে নৌকায় চড়ে পানির সৌন্দর্য দেখতে আসতাম। এখন চোখ জুড়ানো পাকা সড়ক নির্মাণ হয়েছে। তাই শুকনো মৌসুমেও আমরা হাওরের সবুজের সমারোহ দেখতে আসি। এ বছর সবুজের মাঝে হলুদের গালিচা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে।’
মিঠামইন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাফিউল ইসলাম জানান, জমির নিবিড়তা বৃদ্ধির জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফসল আবাদে হাওরের কৃষকদের অভ্যস্ত করা হচ্ছে। অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম। এতে সার ও ওষুধ কম লাগে। খুব বেশি পরিচর্যাও করতে হয় না। তা ছাড়া অন্যান্য তেলবীজের তুলনায় সূর্যমুখী ফুলে বেশি তেল পাওয়া যায়। প্রতি তিনবিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ হয় ১২ হাজার টাকা। সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তৈরি তেল বাজারের অন্যান্য তেলের চেয়ে উন্নতমানের। কোলেস্টেরলমুক্ত হওয়ায় এটির পুষ্টিগুণও বেশি। এ ফুল থেকে উৎপাদিত তেলের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন। অন্য রবিশস্যের তুলনায় সময় ও ব্যয়সাশ্রয়ী এই ফুল আবাদে জেলার কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। এ ছাড়া কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছর জেলায় সূর্যমুখী ফুল চাষের ফলন ভালো হবে।
কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ফলে বাড়ছে চাষের পরিধি। উৎপাদন খরচ কম আর বীজের চাহিদা বেশি থাকায় অনেকেই এখন সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী। চলতি বছর ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের চোখে-মুখে দেখা যাচ্ছে হাসির ঝিলিক।
দূর থেকে দেখলে মনে হয় হলুদ গালিচা পেতে রেখেছে কেউ। সূর্যমুখী ফুলের এমন মনোমুগ্ধকর রূপের দেখা মিলবে কিশোরগঞ্জের শতভাগ হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে। হাওরের মাঝে সূর্যমুখী হলুদ সুন্দরীদের রূপ আর সৌন্দর্য দেখতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসছে অনেকেই। শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে সরকারের কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় চাষ করা হয়েছে সূর্যমুখী ফুল।
এ বিষয়ে মিঠামইনের উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আনিছুর রহমান জানান, চলতি বছর মিঠামইন উপজেলায় ১০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। এর বীজ থেকে ভোজ্য তেল ও গাছ থেকে জ্বালানির চাহিদা মিটবে। আমরা সরেজমিনে কৃষকদের পাশে থেকে এই ফুল চাষের আবাদে উৎসাহ ও পরামর্শ দিচ্ছি।
সূর্যমুখী ফুল আবাদে মিঠামইন উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের কৃষক আলাল উদ্দিন বলেন, ‘হাওরে ছয় মাস পানি থাকে। আর বছরের বাকি ছয় মাস বোরো ধান আবাদ করি আমরা। গত বছর থেকে কৃষি অফিস সূর্যমুখী ফুল চাষের পরামর্শ দিচ্ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে চলতি বছর এই ফুলের চাষ করলাম। বোরো ধান আবাদের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম, লাভ বেশি আর ফলনও ভালো।’
এ বিষয়ে এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, ‘হাওরে সূর্যমুখীর ফলন হবে, আমরা ভাবতেও পারিনি। ফলন দেখে খুব ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে আমরা সূর্যমুখী ফুলের চাষ করব।’
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগে শুধু বর্ষাকালে হাওরে নৌকায় চড়ে পানির সৌন্দর্য দেখতে আসতাম। এখন চোখ জুড়ানো পাকা সড়ক নির্মাণ হয়েছে। তাই শুকনো মৌসুমেও আমরা হাওরের সবুজের সমারোহ দেখতে আসি। এ বছর সবুজের মাঝে হলুদের গালিচা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে।’
মিঠামইন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাফিউল ইসলাম জানান, জমির নিবিড়তা বৃদ্ধির জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফসল আবাদে হাওরের কৃষকদের অভ্যস্ত করা হচ্ছে। অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম। এতে সার ও ওষুধ কম লাগে। খুব বেশি পরিচর্যাও করতে হয় না। তা ছাড়া অন্যান্য তেলবীজের তুলনায় সূর্যমুখী ফুলে বেশি তেল পাওয়া যায়। প্রতি তিনবিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ হয় ১২ হাজার টাকা। সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তৈরি তেল বাজারের অন্যান্য তেলের চেয়ে উন্নতমানের। কোলেস্টেরলমুক্ত হওয়ায় এটির পুষ্টিগুণও বেশি। এ ফুল থেকে উৎপাদিত তেলের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন। অন্য রবিশস্যের তুলনায় সময় ও ব্যয়সাশ্রয়ী এই ফুল আবাদে জেলার কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। এ ছাড়া কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছর জেলায় সূর্যমুখী ফুল চাষের ফলন ভালো হবে।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৫ ঘণ্টা আগে