নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোনো ধরনের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নয়, চোখে গুল ছিটিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় টার্গেট করা ব্যক্তির সঙ্গে থাকা অর্থকড়ি। পাঁচ থেকে সাতজনের সংঘবদ্ধ চক্রটি আগে থেকেই কাউকে টার্গেট করে ধাক্কা দেয়, এরপর সৃষ্টি করে ঝগড়ার পরিস্থিতি, একপর্যায়ে তাঁকে ঘিরে ধরে ঘটায় ডাকাতি।
ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তাঁদের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ জোনের সদস্যরা। পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকার এই চক্রটি সক্রিয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
গ্রেপ্তারকৃত সদস্যরা হলেন মূল পরিকল্পনাকারী খোকন দাস ওরফে বাইল্যা খোকন, মূল অপারেশনাল সংগঠক রেজাউল করিম এবং নির্ধারিত ব্যক্তির গতিবিধি পর্যবেক্ষণকারী দলের কামাল হোসেন।
গ্রেপ্তারের প্রায় এক মাস আগে মা বুলিয়ান অ্যান্ড সিলভার জুয়েলার্সের কর্মচারী মহিউদ্দিনের কাছ থেকে এই চক্রটি তাঁতিবাজার এলাকা থেকে ৭০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় একই কাদায়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে নেমে ডাকাত দলের এই তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিবি লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে ইসলামপুরের নবনারায়ণ লেনের প্রবেশমুখে পৌঁছামাত্র একজন টাকা বহনকারী মহিউদ্দিনকে ধাক্কা দিয়ে, উল্টো তাঁর বিরুদ্ধেই ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ করে। এ সময় টাকা বহনকারী মহিউদ্দিন “সরি” বলে ক্ষমা চেয়ে চলে যেতে চায়। তাৎক্ষণিক আশপাশে ওত পেতে থাকা আরও সাত থেকে আটজনজন মহিউদ্দিনকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তুলে কিল–ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তাঁর চোখে আঙুল দিয়ে গুল লাগিয়ে দেয় এবং টাকাভর্তি ব্যাগটি টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অভিযোগ ও মামলার প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা দল তদন্তে নেমে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছে থেকে উদ্ধার করে ডাকাতির ৯ লাখ টাকা। চতুর এই ডাকাত দল গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় ছাড়া কোনো ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না।’
তিনি বলেন, ‘এই ডাকাতির ঘটনায় মূল মাস্টারমাইন্ড বাইল্যা খোকন। খোকন পুরান ঢাকায় বসবাস করে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় থেকে কোন ব্যবসায়ী কীভাবে টাকা লেনদেন করেন, এই সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেয়। অপারেশনাল কমান্ডার রেজাউল করিম একসময় পুরান ঢাকাতেই ব্যবসা করত। খুলনা, বরিশাল, চাঁদপুর, মিরপুর ও ময়মনসিংহ থেকে সমমনা ডাকাতদের ঢাকায় এনে এই ডাকাতি করে তারা। ডাকাতির কাজে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য তারা কম দামের বাটন মোবাইল ফোনে নিবন্ধনহীন সিম লাগিয়ে যোগাযোগ রাখে। ঘটনার পরে মোবাইল এবং সিম ভেঙে নদীতে ফেলে দেয়। এরপর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পালিয়ে থাকে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মশিউর রহমান বলেন, ‘এই চক্রটিতে বেশ কিছু সদস্য জড়িত। তারা সাধারণ শুক্রবার বা শনিবার ডাকাতি করে। এই সময়ে মানুষ কম থাকে। ডাকাত দলটি লোকজন ভাড়া করে নিয়ে আসে। তারা রেকিসহ কয়েকটি ধাপে কাজ করে। প্রত্যেক গ্রুপে অন্তত পাঁচজন করে সদস্য থাকে। ডাকাতির পরে সবাই টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। ফলে একজনকে গ্রেপ্তার করলেও সব টাকা পাওয়া যায়নি। ডাকাত দলের সবাই বহুগামী ও জুয়াড়ি। ফলে তারা এই টাকা খরচ করে ফেলেছে। গ্রেপ্তার ডাকাতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি এবং ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা আছে।’
কোনো ধরনের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নয়, চোখে গুল ছিটিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় টার্গেট করা ব্যক্তির সঙ্গে থাকা অর্থকড়ি। পাঁচ থেকে সাতজনের সংঘবদ্ধ চক্রটি আগে থেকেই কাউকে টার্গেট করে ধাক্কা দেয়, এরপর সৃষ্টি করে ঝগড়ার পরিস্থিতি, একপর্যায়ে তাঁকে ঘিরে ধরে ঘটায় ডাকাতি।
ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তাঁদের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ জোনের সদস্যরা। পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকার এই চক্রটি সক্রিয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
গ্রেপ্তারকৃত সদস্যরা হলেন মূল পরিকল্পনাকারী খোকন দাস ওরফে বাইল্যা খোকন, মূল অপারেশনাল সংগঠক রেজাউল করিম এবং নির্ধারিত ব্যক্তির গতিবিধি পর্যবেক্ষণকারী দলের কামাল হোসেন।
গ্রেপ্তারের প্রায় এক মাস আগে মা বুলিয়ান অ্যান্ড সিলভার জুয়েলার্সের কর্মচারী মহিউদ্দিনের কাছ থেকে এই চক্রটি তাঁতিবাজার এলাকা থেকে ৭০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় একই কাদায়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে নেমে ডাকাত দলের এই তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিবি লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে ইসলামপুরের নবনারায়ণ লেনের প্রবেশমুখে পৌঁছামাত্র একজন টাকা বহনকারী মহিউদ্দিনকে ধাক্কা দিয়ে, উল্টো তাঁর বিরুদ্ধেই ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ করে। এ সময় টাকা বহনকারী মহিউদ্দিন “সরি” বলে ক্ষমা চেয়ে চলে যেতে চায়। তাৎক্ষণিক আশপাশে ওত পেতে থাকা আরও সাত থেকে আটজনজন মহিউদ্দিনকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তুলে কিল–ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তাঁর চোখে আঙুল দিয়ে গুল লাগিয়ে দেয় এবং টাকাভর্তি ব্যাগটি টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অভিযোগ ও মামলার প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা দল তদন্তে নেমে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছে থেকে উদ্ধার করে ডাকাতির ৯ লাখ টাকা। চতুর এই ডাকাত দল গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় ছাড়া কোনো ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না।’
তিনি বলেন, ‘এই ডাকাতির ঘটনায় মূল মাস্টারমাইন্ড বাইল্যা খোকন। খোকন পুরান ঢাকায় বসবাস করে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় থেকে কোন ব্যবসায়ী কীভাবে টাকা লেনদেন করেন, এই সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেয়। অপারেশনাল কমান্ডার রেজাউল করিম একসময় পুরান ঢাকাতেই ব্যবসা করত। খুলনা, বরিশাল, চাঁদপুর, মিরপুর ও ময়মনসিংহ থেকে সমমনা ডাকাতদের ঢাকায় এনে এই ডাকাতি করে তারা। ডাকাতির কাজে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য তারা কম দামের বাটন মোবাইল ফোনে নিবন্ধনহীন সিম লাগিয়ে যোগাযোগ রাখে। ঘটনার পরে মোবাইল এবং সিম ভেঙে নদীতে ফেলে দেয়। এরপর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পালিয়ে থাকে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মশিউর রহমান বলেন, ‘এই চক্রটিতে বেশ কিছু সদস্য জড়িত। তারা সাধারণ শুক্রবার বা শনিবার ডাকাতি করে। এই সময়ে মানুষ কম থাকে। ডাকাত দলটি লোকজন ভাড়া করে নিয়ে আসে। তারা রেকিসহ কয়েকটি ধাপে কাজ করে। প্রত্যেক গ্রুপে অন্তত পাঁচজন করে সদস্য থাকে। ডাকাতির পরে সবাই টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। ফলে একজনকে গ্রেপ্তার করলেও সব টাকা পাওয়া যায়নি। ডাকাত দলের সবাই বহুগামী ও জুয়াড়ি। ফলে তারা এই টাকা খরচ করে ফেলেছে। গ্রেপ্তার ডাকাতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি এবং ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা আছে।’
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
২৪ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
২৪ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
২৪ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে