ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার এক এজেন্টের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই এজেন্টের নাম আক্তারুজ্জামান হাসু (৫৫)। তিনি বোয়ালমারী পৌর সদর বাজারের বাসিন্দা। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ভাটদী বাজারে ইসলামী ব্যাংকের আউটলেট নিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।
সম্প্রতি কয়েকজন গ্রাহক এজেন্ট ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে আক্তারুজ্জামান হাসুর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ১৫ সেপ্টেম্বর ওই ব্যাংকের কার্যালয়ে গিয়ে তালাবদ্ধ পান গ্রাহকেরা। পরে শাখা ম্যানেজার ও কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
একাধিক গ্রাহক বলেন, সারা দেশে ইসলামী ব্যাংকের সুনাম থাকায় নিজ এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে এফডিআর করেছিলেন তাঁরা। গ্রাহকদের জমা টাকার রসিদের পরিবর্তে এজেন্ট জামান ট্রেডার্সের একটি হিসাবের ব্যাংক চেক দেওয়া হয় গ্রাহকদের।
ব্যাংকটির গ্রাহক হেনা পারভীন বলেন, ‘গত ২২ জুলাই আমি ১২ লাখ টাকার একটি এফডিআর করি। আমাকে জামান ট্রেডার্স নামের ইসলামী ব্যাংক বোয়ালমারী শাখার একটি হিসাবের ১২ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। এখন শুনছি, ব্যাংকের উদ্যোক্তা এ টাকা মূল শাখায় জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছে।’
মাধবপুর গ্রামের মুন্নু মাতুব্বরের মেয়ে রুখসানা নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘তিন লাখ টাকা এ ব্যাংকে এফডিআর করেছিলাম। আমাদের একটি চেকও দেয়। এখন অ্যাকাউন্টে দেখছি কোনো টাকা নেই। অনেক কষ্ট করে এই টাকাটা জমা করেছিলাম। এখন আমার টাকার কী হবে জানি না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আউটলেট শাখার সহকারী হিসাবরক্ষক ভাটদী গ্রামের মো. আশিক বলেন, ‘এজেন্ট আক্তারুজ্জামান আমাদের বলেছেন, এফডিআরের টাকা বোয়ালমারী শাখায় জামান ট্রেডার্সের মূল হিসাবে জমা হবে। গ্রাহকদের এই অ্যাকাউন্টের চেক দিলেই হবে। আমরা তাঁর কথামতো কাজ করে এসেছি। এ বিষয়ে শাখাটির হিসাবরক্ষক মো. বাদশা মিয়া ভালো বলতে পারবেন।’
আউটলেটটির প্রধান হিসাবরক্ষক মো. বাদশা মিয়া বলেন, ‘এজেন্ট আক্তারুজ্জামানের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করেছি। যখন আমি বুঝতে পারি গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। তখন মালিকের সঙ্গে কথা বলি। তিনি বলেন, তিনি না থাকলেও তাঁর ভাইবোন আছে। তারা টাকা পরিশোধ করে দেবে। আমাদের আউটলেটের প্রায় ৫০ জন গ্রাহকের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে তিনি পালিয়েছেন। তাঁর ফোন নম্বরও ৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বন্ধ রয়েছে।’
তবে এজেন্ট আক্তারুজ্জামান হাসুর মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিত শেখ বলেন, ‘জামান ট্রেডার্সের গ্রাহকেরা এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে এজেন্ট আক্তারুজ্জামান চেক দিয়ে কিছু লেনদেন করেছেন। এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। বর্তমানে তিনি পলাতক। ইসলামী ব্যাংকের একটি ব্র্যান্ড রয়েছে, আমাদের নাম করে যদি তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার এক এজেন্টের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই এজেন্টের নাম আক্তারুজ্জামান হাসু (৫৫)। তিনি বোয়ালমারী পৌর সদর বাজারের বাসিন্দা। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ভাটদী বাজারে ইসলামী ব্যাংকের আউটলেট নিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।
সম্প্রতি কয়েকজন গ্রাহক এজেন্ট ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে আক্তারুজ্জামান হাসুর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ১৫ সেপ্টেম্বর ওই ব্যাংকের কার্যালয়ে গিয়ে তালাবদ্ধ পান গ্রাহকেরা। পরে শাখা ম্যানেজার ও কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
একাধিক গ্রাহক বলেন, সারা দেশে ইসলামী ব্যাংকের সুনাম থাকায় নিজ এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে এফডিআর করেছিলেন তাঁরা। গ্রাহকদের জমা টাকার রসিদের পরিবর্তে এজেন্ট জামান ট্রেডার্সের একটি হিসাবের ব্যাংক চেক দেওয়া হয় গ্রাহকদের।
ব্যাংকটির গ্রাহক হেনা পারভীন বলেন, ‘গত ২২ জুলাই আমি ১২ লাখ টাকার একটি এফডিআর করি। আমাকে জামান ট্রেডার্স নামের ইসলামী ব্যাংক বোয়ালমারী শাখার একটি হিসাবের ১২ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। এখন শুনছি, ব্যাংকের উদ্যোক্তা এ টাকা মূল শাখায় জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছে।’
মাধবপুর গ্রামের মুন্নু মাতুব্বরের মেয়ে রুখসানা নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘তিন লাখ টাকা এ ব্যাংকে এফডিআর করেছিলাম। আমাদের একটি চেকও দেয়। এখন অ্যাকাউন্টে দেখছি কোনো টাকা নেই। অনেক কষ্ট করে এই টাকাটা জমা করেছিলাম। এখন আমার টাকার কী হবে জানি না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আউটলেট শাখার সহকারী হিসাবরক্ষক ভাটদী গ্রামের মো. আশিক বলেন, ‘এজেন্ট আক্তারুজ্জামান আমাদের বলেছেন, এফডিআরের টাকা বোয়ালমারী শাখায় জামান ট্রেডার্সের মূল হিসাবে জমা হবে। গ্রাহকদের এই অ্যাকাউন্টের চেক দিলেই হবে। আমরা তাঁর কথামতো কাজ করে এসেছি। এ বিষয়ে শাখাটির হিসাবরক্ষক মো. বাদশা মিয়া ভালো বলতে পারবেন।’
আউটলেটটির প্রধান হিসাবরক্ষক মো. বাদশা মিয়া বলেন, ‘এজেন্ট আক্তারুজ্জামানের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করেছি। যখন আমি বুঝতে পারি গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। তখন মালিকের সঙ্গে কথা বলি। তিনি বলেন, তিনি না থাকলেও তাঁর ভাইবোন আছে। তারা টাকা পরিশোধ করে দেবে। আমাদের আউটলেটের প্রায় ৫০ জন গ্রাহকের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে তিনি পালিয়েছেন। তাঁর ফোন নম্বরও ৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বন্ধ রয়েছে।’
তবে এজেন্ট আক্তারুজ্জামান হাসুর মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিত শেখ বলেন, ‘জামান ট্রেডার্সের গ্রাহকেরা এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে এজেন্ট আক্তারুজ্জামান চেক দিয়ে কিছু লেনদেন করেছেন। এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। বর্তমানে তিনি পলাতক। ইসলামী ব্যাংকের একটি ব্র্যান্ড রয়েছে, আমাদের নাম করে যদি তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১০ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১০ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
১০ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে