ক্ষুদ্র ঋণ এবং বিল খেলাপিদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনে ঋণ খেলাপিদের বিষয়ে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন। 

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সকাল ১১টায় ব্যাংক সেবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে এ মত বিনিময় শুরু হয়। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে বিল খেলাপিদের জন্য ‘অভিন্ন সুবিধা’ দিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতামত নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। 

এ লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ, ওয়াসাসহ, আইন বিভাগের অধ্যাপকরা উপস্থিত রয়েছেন। এ বৈঠকে ১৪ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সবাই উপস্থিত হয়েছেন। 

গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার দায়িত্বভার পাওয়ার পর কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন প্রথমবারের মতো আইন সংস্কার বিষয় নিয়ে মতামত নিতে যাচ্ছেন। সভায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। 

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রার্থী হতে ঋণখেলাপি ও বিল নিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে একটু অস্পষ্টতা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বড় ঋণ খেলাপি পুনতফসিল করে ভোটে অংশ নিতে পারেন। কিন্তু কারও অজান্তে কয়েকশ’ টাকার বিলের জন্যও প্রার্থী হতে পারেন না কেউ কেউ। এমন পরিস্থিতিতে খেলাপি হলে তাঁর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান মামলা করারও বিধান রয়েছে। মামলা না হওয়ার আগেই কাউকে মনোনয়ন বঞ্চিত না করে সবার জন্য সমান সুযোগ দিতেই আর্থিক ও সেবা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। 
 
সব দিক বিবেচনা করে কেউ যেন অধিকার বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে আরপিও সংস্কারের মতো উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান কমিশনের কর্মকর্তারা। 

এদিক কৃষি ও অন্যান্য ক্ষুদ্র ঋণ এবং ব্যক্তিগত বিল (টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা সেবা সংস্থার বিল) এখন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অন্তত সাত দিন আগে পরিশোধের নিয়ম রয়েছে। আরপিও সংশোধনের প্রস্তাবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন পর্যন্ত পরিশোধ করার সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে।

সভায় উপস্থিত আছেন, হাফিজুর রহমান, প্রফেসর আইন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নূর হোসাইন আল কাদেরী, কন্ট্রি হেড, ষ্ট্র্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক। মীর ইকবাল হোসেন, স্পেশাল এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (ডিভিশনাল হেড), মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক। আজিজুল হক পান্না, তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী ঢাকা ওয়াসা। আব্দুল কুদ্দুস, জেনারেল ম্যানেজার, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। অপর্না ইসলাম, পরিচালক (অর্থ), তিতাস গ্যাস লিমিটেড। ফারুকুজ্জামান, উপ-সচিব (বিজেট), অর্থ মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়। মাজহারুল ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার (ফিন্যান্স এন্ড বাজেট) বিটিসিএল। দেওয়ান রুহুল হাসান, জেনারেল ম্যানেজার, পূবালী ব্যাংক। মাকসুদা বেগম, পরিচালক (বিআরপিডি) বাংলাদেশ ব্যাংক। রশিদুর রহমান, চীফ ইঞ্জিনিয়ার, ডেসকো। ড. সীমা জামান, ভারপ্রাপ্ত ডীন, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। হাফিজ আহমেদ চৌধুরি, অতিরিক্ত সচিব (ড্রাফটিং) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। শেখ গোলাম মাহবুব, জেলা জজ (উপ সচিব প্রসাশন) আইন ও বিচার বিভাগ।