শাহজাহান সাজু, কিশোরগঞ্জ
হাওরের এক প্রান্ত থেকে হাতছানি দিয়ে ডাকে হাজার হাজার গাছ। কাছে গেলে দেখা পাওয়া যায় অদ্ভুত আকারের হিজলগাছের। দেখে ক্ষণিকের জন্য হলেও রহস্য তৈরি হয়। বিশাল এ খোলা জায়গায় রয়েছে আখড়া। আখড়ার ভেতরে সাধকদের সমাধি। দুই দিকে পুকুর। রয়েছে ধর্মশালা, নাটমন্দির, অতিথিশালা, পাকশালা ও বৈষ্ণবদের থাকার ঘর।
গাছ-গাছালি আর জলের অদ্ভুত এই মেলবন্ধন দেখা যাবে ‘দিল্লির আখড়া’ নামক স্থানে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার শেষ প্রান্ত কাটখালে ৩৭২ একরে এ আখড়ার অবস্থান। এটি ভারতের দিল্লির কোনো অংশ নয়, তবে রয়েছে যোগসূত্র। এখানে বেড়াতে এসেছিলেন দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীর।
সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় সাধক নারায়ণ গোস্বামী এই আখড়া প্রতিষ্ঠা করেন। আখড়ার সেবায়েত বৈষ্ণবদের মতে, এর বয়স প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর। দিল্লির আখড়া ও এর হিজলগাছগুলো কেন্দ্র করে প্রচলিত আছে গা ছমছম করা জনশ্রুতি। একসময় এলাকাটি জঙ্গল ছিল। চারদিকে নদী থাকায় মনে হতো দ্বীপ। তবে এ নদীপথে নৌকা চলাচল করতে পারত না। রহস্যজনক কারণে ডুবে যেত। একদিন এ নদীপথে দিল্লির সম্রাট প্রেরিত একটি কোষা নৌকা মালামালসহ ডুবে যায়।
বিতলঙ্গের সাধক রামকৃষ্ণ এ খবর পেয়ে শিষ্য নারায়ণ গোস্বামীকে এখানে আসার নির্দেশ দেন। সাধক নারায়ণ গোস্বামী এখানে এসে নদীর তীরে বসে তপস্যা শুরু করেন। হঠাৎ অলৌকিক ক্ষমতাবলে কে যেন তাঁকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। পরে তিনি তীরে উঠে আসেন। সাত দিন একই ঘটনা ঘটে। এক দিন দৈববাণী আসে, ‘আপনি এখানে থাকতে পারবেন না। চলে যান।’ উত্তরে সাধক বলেন, ‘তোমরা কারা?’ উত্তর আসে, ‘আমরা এখানকার বাসিন্দা। পূর্বপুরুষ ধরে এখানে আছি। আপনার কারণে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।’ সাধক বলেন, ‘তোমরা স্পষ্ট হও, রূপ ধারণ করো।’ সঙ্গে সঙ্গে তারা একেকটা বিকট দানবমূর্তি ধারণ করে।
নারায়ণ গোস্বামী দেখলেন তাঁর চারপাশে হাজার হাজার বিশালাকার দানবমূর্তি। তাদের সঙ্গে তাঁর অনেক কথাবার্তা হয়। সিদ্ধান্ত হয় তিনিও থাকবেন। তবে তারা কারও ক্ষতি করতে পারবে না, নারায়ণ গোস্বামীর নির্দেশ পালন করবে। সাধক তাদের আদেশ করেন, ‘তোমরা আমার চতুর্দিকে সবাই হিজলগাছের রূপ ধারণ করো।’
তখন দানবদের প্রধান সাধুকে অনুরোধ জানিয়ে বলে, ‘সে যে হিজলগাছের মূর্তি ধারণ করবে, সেই গাছের নিচে বসে যেন তিনি তপস্যা করেন।’
অনুরোধ মেনে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি দানব একেকটি হিজলগাছের মূর্তি ধারণ করে। সেই থেকে নারায়ণ গোস্বামী প্রধান দানবের হিজলরূপী গাছের নিচে বসে সাধনভজন করতেন। ফলে এর নাম দেওয়া হয় ‘সাধনবৃক্ষ’। দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছে এ খবর পৌঁছানোর পর তিনি এখানে এসে সাধক নারায়ণ গোস্বামীর নামে বিশাল এলাকা লাখেরাজ দিয়ে একটি আখড়া প্রতিষ্ঠা করে দেন। সেই থেকে আখড়াটি ‘দিল্লির আখড়া’ নামে পরিচিত।
হাওরের এক প্রান্ত থেকে হাতছানি দিয়ে ডাকে হাজার হাজার গাছ। কাছে গেলে দেখা পাওয়া যায় অদ্ভুত আকারের হিজলগাছের। দেখে ক্ষণিকের জন্য হলেও রহস্য তৈরি হয়। বিশাল এ খোলা জায়গায় রয়েছে আখড়া। আখড়ার ভেতরে সাধকদের সমাধি। দুই দিকে পুকুর। রয়েছে ধর্মশালা, নাটমন্দির, অতিথিশালা, পাকশালা ও বৈষ্ণবদের থাকার ঘর।
গাছ-গাছালি আর জলের অদ্ভুত এই মেলবন্ধন দেখা যাবে ‘দিল্লির আখড়া’ নামক স্থানে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার শেষ প্রান্ত কাটখালে ৩৭২ একরে এ আখড়ার অবস্থান। এটি ভারতের দিল্লির কোনো অংশ নয়, তবে রয়েছে যোগসূত্র। এখানে বেড়াতে এসেছিলেন দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীর।
সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় সাধক নারায়ণ গোস্বামী এই আখড়া প্রতিষ্ঠা করেন। আখড়ার সেবায়েত বৈষ্ণবদের মতে, এর বয়স প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর। দিল্লির আখড়া ও এর হিজলগাছগুলো কেন্দ্র করে প্রচলিত আছে গা ছমছম করা জনশ্রুতি। একসময় এলাকাটি জঙ্গল ছিল। চারদিকে নদী থাকায় মনে হতো দ্বীপ। তবে এ নদীপথে নৌকা চলাচল করতে পারত না। রহস্যজনক কারণে ডুবে যেত। একদিন এ নদীপথে দিল্লির সম্রাট প্রেরিত একটি কোষা নৌকা মালামালসহ ডুবে যায়।
বিতলঙ্গের সাধক রামকৃষ্ণ এ খবর পেয়ে শিষ্য নারায়ণ গোস্বামীকে এখানে আসার নির্দেশ দেন। সাধক নারায়ণ গোস্বামী এখানে এসে নদীর তীরে বসে তপস্যা শুরু করেন। হঠাৎ অলৌকিক ক্ষমতাবলে কে যেন তাঁকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। পরে তিনি তীরে উঠে আসেন। সাত দিন একই ঘটনা ঘটে। এক দিন দৈববাণী আসে, ‘আপনি এখানে থাকতে পারবেন না। চলে যান।’ উত্তরে সাধক বলেন, ‘তোমরা কারা?’ উত্তর আসে, ‘আমরা এখানকার বাসিন্দা। পূর্বপুরুষ ধরে এখানে আছি। আপনার কারণে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।’ সাধক বলেন, ‘তোমরা স্পষ্ট হও, রূপ ধারণ করো।’ সঙ্গে সঙ্গে তারা একেকটা বিকট দানবমূর্তি ধারণ করে।
নারায়ণ গোস্বামী দেখলেন তাঁর চারপাশে হাজার হাজার বিশালাকার দানবমূর্তি। তাদের সঙ্গে তাঁর অনেক কথাবার্তা হয়। সিদ্ধান্ত হয় তিনিও থাকবেন। তবে তারা কারও ক্ষতি করতে পারবে না, নারায়ণ গোস্বামীর নির্দেশ পালন করবে। সাধক তাদের আদেশ করেন, ‘তোমরা আমার চতুর্দিকে সবাই হিজলগাছের রূপ ধারণ করো।’
তখন দানবদের প্রধান সাধুকে অনুরোধ জানিয়ে বলে, ‘সে যে হিজলগাছের মূর্তি ধারণ করবে, সেই গাছের নিচে বসে যেন তিনি তপস্যা করেন।’
অনুরোধ মেনে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি দানব একেকটি হিজলগাছের মূর্তি ধারণ করে। সেই থেকে নারায়ণ গোস্বামী প্রধান দানবের হিজলরূপী গাছের নিচে বসে সাধনভজন করতেন। ফলে এর নাম দেওয়া হয় ‘সাধনবৃক্ষ’। দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছে এ খবর পৌঁছানোর পর তিনি এখানে এসে সাধক নারায়ণ গোস্বামীর নামে বিশাল এলাকা লাখেরাজ দিয়ে একটি আখড়া প্রতিষ্ঠা করে দেন। সেই থেকে আখড়াটি ‘দিল্লির আখড়া’ নামে পরিচিত।
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
১ ঘণ্টা আগে