নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি করা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা শামসুজ্জামানের ওই বাণিজ্যের গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষেরা। যেসব প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাঁদের নামের দীর্ঘ তালিকা পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (গোয়েন্দা) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘১৫ বছর আগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যোগ দেন এ কে এম শামসুজ্জামান। চাকরিতে যোগদানের পর থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার সনদ বিক্রি করেছেন এই কর্মকর্তা। সনদ-বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তাঁর কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষেরা। যেসব প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাঁদের নামের দীর্ঘ তালিকা পেয়েছে ডিবি।’
এ ছাড়া সনদ-বাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তাই। গোয়েন্দাদের কাছে রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে এসব স্বীকার করেছেন শামসুজ্জামান। তাঁর দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে নাম পাওয়া শিক্ষক ও বোর্ড কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
সব পক্ষকে সন্তুষ্ট রেখেই শামসুজ্জামান এই সনদ-বাণিজ্য চালাতেন উল্লেখ করে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সবাইকে ম্যানেজ করে, অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ডের সবার সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করত এই কর্মকর্তা। এমনকি তাঁর এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকও জানতেন। সবাই তাঁর কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন। তাঁর অবৈধ সনদ-বাণিজ্যের বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। ফলে সেটাও ধামাচাপা পড়ে যায়। নিজেরা না বোঝার দোহাই দিয়ে, অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। তারাও চুপ হয়ে যায়।’
জিজ্ঞাসাবাদে যেসব শিক্ষক ও বোর্ড কর্মকর্তাদের নাম এসেছে, তাঁদের সংশ্লিষ্টতা যাচাই করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত সোমবার ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান ও তাঁর সহযোগী হিসেবে ফয়সাল হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া বিপুল পরিমাণ ফাঁকা নম্বরপত্র ও সনদ নিয়ে রাজধানীর পীরেরবাগ এলাকায় নিজের বাসা ও পার্শ্ববর্তী এক বাসায় গড়ে তুলেছিলেন সনদ দেওয়ার আরেক কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। নম্বরপত্র, সনদ ও এসব তৈরির সরঞ্জামসহ ডিবি পুলিশের অভিযানে ধরা পড়েন শামসুজ্জামান ও তাঁর সহযোগী ফয়সাল হোসেন। ধরা পড়ার পরদিন শামসুজ্জামানকে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। বর্তমানে শামসুজ্জামান ও ফয়সাল রিমান্ডে রয়েছেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে দুজনের কাছে থেকে চমকে ওঠার মতো তথ্য পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শামসুজ্জামান শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাত। রেজাল্ট অনুযায়ী সে টাকা নিত, তবে ৩৫ হাজারের কমে সে কাজ করত না। এরপর সার্টিফিকেট বানানোর পরে সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিত। এই সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছে, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, আবার অনেকে চাকরি করছে। দেশে-বিদেশে চাকরিরত অনেকের সনদে গরমিল পাওয়ায় চাকরিচ্যুতও করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো দিনই জানতাম না—এগুলো আমাদের বোর্ডের লোকজন করে। আমরা জানতাম, এসব সার্টিফিকেট নীলক্ষেত থেকে বানানো হয়। এখন যেটা জানলাম, সেটা তো মেনে নেওয়া যায় না। যে এই কাজে লিপ্ত, তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আরও যারা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি করা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা শামসুজ্জামানের ওই বাণিজ্যের গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষেরা। যেসব প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাঁদের নামের দীর্ঘ তালিকা পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (গোয়েন্দা) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘১৫ বছর আগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যোগ দেন এ কে এম শামসুজ্জামান। চাকরিতে যোগদানের পর থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার সনদ বিক্রি করেছেন এই কর্মকর্তা। সনদ-বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তাঁর কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষেরা। যেসব প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাঁদের নামের দীর্ঘ তালিকা পেয়েছে ডিবি।’
এ ছাড়া সনদ-বাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তাই। গোয়েন্দাদের কাছে রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে এসব স্বীকার করেছেন শামসুজ্জামান। তাঁর দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে নাম পাওয়া শিক্ষক ও বোর্ড কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
সব পক্ষকে সন্তুষ্ট রেখেই শামসুজ্জামান এই সনদ-বাণিজ্য চালাতেন উল্লেখ করে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সবাইকে ম্যানেজ করে, অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ডের সবার সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করত এই কর্মকর্তা। এমনকি তাঁর এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকও জানতেন। সবাই তাঁর কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন। তাঁর অবৈধ সনদ-বাণিজ্যের বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। ফলে সেটাও ধামাচাপা পড়ে যায়। নিজেরা না বোঝার দোহাই দিয়ে, অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। তারাও চুপ হয়ে যায়।’
জিজ্ঞাসাবাদে যেসব শিক্ষক ও বোর্ড কর্মকর্তাদের নাম এসেছে, তাঁদের সংশ্লিষ্টতা যাচাই করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত সোমবার ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান ও তাঁর সহযোগী হিসেবে ফয়সাল হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া বিপুল পরিমাণ ফাঁকা নম্বরপত্র ও সনদ নিয়ে রাজধানীর পীরেরবাগ এলাকায় নিজের বাসা ও পার্শ্ববর্তী এক বাসায় গড়ে তুলেছিলেন সনদ দেওয়ার আরেক কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। নম্বরপত্র, সনদ ও এসব তৈরির সরঞ্জামসহ ডিবি পুলিশের অভিযানে ধরা পড়েন শামসুজ্জামান ও তাঁর সহযোগী ফয়সাল হোসেন। ধরা পড়ার পরদিন শামসুজ্জামানকে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। বর্তমানে শামসুজ্জামান ও ফয়সাল রিমান্ডে রয়েছেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে দুজনের কাছে থেকে চমকে ওঠার মতো তথ্য পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শামসুজ্জামান শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাত। রেজাল্ট অনুযায়ী সে টাকা নিত, তবে ৩৫ হাজারের কমে সে কাজ করত না। এরপর সার্টিফিকেট বানানোর পরে সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিত। এই সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছে, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, আবার অনেকে চাকরি করছে। দেশে-বিদেশে চাকরিরত অনেকের সনদে গরমিল পাওয়ায় চাকরিচ্যুতও করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো দিনই জানতাম না—এগুলো আমাদের বোর্ডের লোকজন করে। আমরা জানতাম, এসব সার্টিফিকেট নীলক্ষেত থেকে বানানো হয়। এখন যেটা জানলাম, সেটা তো মেনে নেওয়া যায় না। যে এই কাজে লিপ্ত, তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আরও যারা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১১ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১১ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
১১ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে