উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরখানে বাবুর্চি বাড়ি এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নুর আলম নামের আরও এক কন্ডাক্টর অসুস্থ হয়েছেন।
বাবুর্চি বাড়ি মোড়ের চেরাগীপাড়ার তানভিরের নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে আজ রোববার সকাল ৮টার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে উত্তরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকর্মীরা এসে সকাল ১০টার দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। অপর দিকে কন্ডাক্টর নুর আলম অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার কিসমত গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. সামাদ (৫৫) এবং একই উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে মো. মধু মিয়ার (৪২)।
তাঁরা বর্তমানে উত্তরখানের মাজারের বাবুর্চি বাড়ি এলাকায় থাকতেন। নিহত সামাদের এক ছেলে, এক মেয়ে এবং মধুর তিন মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নির্মাণাধীন ভবনটির সেপটিক ট্যাংকটি গত রোজার ঈদে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিদিনের মতো আজও সেখানে কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। সকাল ৮টার দিকে শ্রমিক সামাদ ও মধুকে কাজের জন্য নামতে নির্দেশ দেন কন্ডাক্টর নুর আলম ও মিস্ত্রি আলমগীর। তাঁরা নামতে অস্বীকার করলে একপ্রকার জোরপূর্বক তাঁদের সেখানে নামানো হয়। পরে দুই শ্রমিক মারা যাওয়ার পর কন্ডাক্টর ও মিস্ত্রিরা পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির শ্রমিক মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘কাজের সময় মিস্ত্রি ও কন্ডাক্টর ছিল। দুজন নিচে নামার পর অসুস্থ হয়ে যায়। তাঁরা পানির মাঝে নেমে হাত-পা নাড়াইতেছিল। পরে কন্ডাক্টর নিচের অর্ধেক নেমে সেও বেহুঁশ হয়ে যায়। পরে লোকজন তারে টেনে ওপরে তোলে মাথায় পানি ঢালে।’
নিহত সামাদের স্ত্রী মাহমুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৫ মিনিট আগে আমি অফিসে (গার্মেন্টস) গিয়েছিলাম। পরে হেও (সে) কামে আইছে। এক ঘণ্টাও যায় নাই, খবর গেছে ট্যাংকিতে পড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘হে (সে) ভালা মানুষ, সুস্থ মানুষ। এখানে মেলা দিন ধইরা কাম করে। কালও কাম করছে।’
নিহত মধুর স্ত্রী ইয়াসমিন বলেন, ‘আমারে কিছু বলে যায় নাই। ঘুম থেকে উঠে ডিউটিতে গেছি। বাসায় আমার মা ছিল।’
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের জোন-৩-এর উপসহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে খবর পেলাম, উত্তরখান মাজার এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর দুই লোক আটকা পড়ে আছে। পরে ঘটনাস্থলে এসে আমাদের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্রিদিং অ্যাপারেটরসহ অন্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করি।’
মৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তারা সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে সাটারিং খুলতে গিয়েছিল। পরে ভেতরে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস জমা ছিল। এই গ্যাস থেকেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।’
এ বিষয়ে উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবুর্চি বাড়ি এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের কাজ করতে নেমে দুজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
রাজধানীর উত্তরখানে বাবুর্চি বাড়ি এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নুর আলম নামের আরও এক কন্ডাক্টর অসুস্থ হয়েছেন।
বাবুর্চি বাড়ি মোড়ের চেরাগীপাড়ার তানভিরের নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে আজ রোববার সকাল ৮টার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে উত্তরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকর্মীরা এসে সকাল ১০টার দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। অপর দিকে কন্ডাক্টর নুর আলম অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার কিসমত গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. সামাদ (৫৫) এবং একই উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে মো. মধু মিয়ার (৪২)।
তাঁরা বর্তমানে উত্তরখানের মাজারের বাবুর্চি বাড়ি এলাকায় থাকতেন। নিহত সামাদের এক ছেলে, এক মেয়ে এবং মধুর তিন মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নির্মাণাধীন ভবনটির সেপটিক ট্যাংকটি গত রোজার ঈদে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিদিনের মতো আজও সেখানে কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। সকাল ৮টার দিকে শ্রমিক সামাদ ও মধুকে কাজের জন্য নামতে নির্দেশ দেন কন্ডাক্টর নুর আলম ও মিস্ত্রি আলমগীর। তাঁরা নামতে অস্বীকার করলে একপ্রকার জোরপূর্বক তাঁদের সেখানে নামানো হয়। পরে দুই শ্রমিক মারা যাওয়ার পর কন্ডাক্টর ও মিস্ত্রিরা পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির শ্রমিক মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘কাজের সময় মিস্ত্রি ও কন্ডাক্টর ছিল। দুজন নিচে নামার পর অসুস্থ হয়ে যায়। তাঁরা পানির মাঝে নেমে হাত-পা নাড়াইতেছিল। পরে কন্ডাক্টর নিচের অর্ধেক নেমে সেও বেহুঁশ হয়ে যায়। পরে লোকজন তারে টেনে ওপরে তোলে মাথায় পানি ঢালে।’
নিহত সামাদের স্ত্রী মাহমুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৫ মিনিট আগে আমি অফিসে (গার্মেন্টস) গিয়েছিলাম। পরে হেও (সে) কামে আইছে। এক ঘণ্টাও যায় নাই, খবর গেছে ট্যাংকিতে পড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘হে (সে) ভালা মানুষ, সুস্থ মানুষ। এখানে মেলা দিন ধইরা কাম করে। কালও কাম করছে।’
নিহত মধুর স্ত্রী ইয়াসমিন বলেন, ‘আমারে কিছু বলে যায় নাই। ঘুম থেকে উঠে ডিউটিতে গেছি। বাসায় আমার মা ছিল।’
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের জোন-৩-এর উপসহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে খবর পেলাম, উত্তরখান মাজার এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর দুই লোক আটকা পড়ে আছে। পরে ঘটনাস্থলে এসে আমাদের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্রিদিং অ্যাপারেটরসহ অন্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করি।’
মৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তারা সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে সাটারিং খুলতে গিয়েছিল। পরে ভেতরে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস জমা ছিল। এই গ্যাস থেকেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।’
এ বিষয়ে উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবুর্চি বাড়ি এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের কাজ করতে নেমে দুজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
দখল করা জায়গায় ভবন নির্মাণ করেছে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের প্রতিষ্ঠান এনা প্রপার্টিজ। এখন ওই ভবন জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয় করতে ‘ভাড়া’ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই ভবনে বিএনপির পক্ষ থেকে সাইনবোর্ডও টাঙানো হয়েছে। এখন পুরোদমে শুরু হয়েছে সাজসজ্জার কাজ।
২ মিনিট আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পূর্বতন চাকরিকাল গণনাসংক্রান্ত কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ড. কলিমুল্লাহর নেতৃত্বাধীন কমিটি বিলুপ্ত করে পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগেঘেরের পর এবার আবাসন ব্যবসায়ের আগ্রাসনে উজাড় হচ্ছে যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের হরিণার বিলের তিন ফসলি জমি। প্রাকৃতিক এই জলাধার ভরাট করে প্লট আকারে জমি বিক্রি করছে আবাসন ব্যবসায়ীরা। আইন ভেঙে অবাধে চলছে জমির শ্রেণি পরিবর্তন। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি নিষ্কাশন। বছরজুড়ে জলাবদ্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ফসল
৯ মিনিট আগেবন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেশ কিছু এলাকার কৃষকেরা। চলতি মৌসুমে শীতকালীন সবজি, ভুট্টা ও বোরো আবাদের ক্ষেত্রে ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের সংকটে রয়েছেন তাঁরা। সার যা মেলে, তা-ও সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে বস্তায় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বেশি রাখছেন ডিলাররা।
১৫ মিনিট আগে