মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেশ কিছু এলাকার কৃষকেরা। চলতি মৌসুমে শীতকালীন সবজি, ভুট্টা ও বোরো আবাদের ক্ষেত্রে ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের সংকটে রয়েছেন তাঁরা। সার যা মেলে, তা-ও সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে বস্তায় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বেশি রাখছেন ডিলাররা।
কৃষকদের অভিযোগ, অনেক ডিলারের কাছে ডিএপি সার পাওয়া যাচ্ছে না। যাঁদের কাছে আছে, তাঁরা ১ হাজার ৫০ টাকার ডিএপি সারের বস্তা ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা রাখছেন। তবে ডিএপি সারের বাড়তি দাম রাখার বিষয়ে জানা নেই বলে দাবি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।
কৃষি বিভাগ ও কৃষক সূত্রে জানা যায়, রবিশস্যের বীজ বপনের সময়কাল ১৬ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে মূলত নন-ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয়। চারা গজানোর পর ব্যবহার করা হয় ইউরিয়া সার। নন-ইউরিয়া সারগুলোর একটি হচ্ছে ডিএপি।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সার ডিলাররা বলছেন, চলতি মাসে ডিএপি সার বরাদ্দ পাননি তাঁরা। এ জন্য কৃষকদের চাহিদামতো সার দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ সারের বিকল্পও নেই। ডিএপি সার না পেয়ে অনেক কৃষক ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
বিএডিসি বলছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বিএডিসির ৩৩ জন ডিলার রয়েছেন। তাঁরা নভেম্বর মাসের বিএডিসির ডিএপি সার বরাদ্দ পাননি।
তবে কৃষক ও কৃষি বিভাগের একাধিক সূত্র বলছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিএডিসির ডিলারদের না দিয়ে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ডিলারদের সার দিয়েছেন। সেই সুযোগে বিসিআইসির ডিলাররা সিন্ডিকেট করে বাড়িয়েছেন ডিএপি সারের দাম। কৃষি কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিসিআইসির ডিলারদের সার বরাদ্দ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাচোল উপজেলার একজন ডিলার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিসিআইসির ডিলাররা ডিএপি সার বরাদ্দ পেয়েছেন, কিন্তু বিএডিসির ডিলাররা পাননি। কৃষকদের জিম্মি করে বেশি দামে বিক্রি করতেই বিএডিসির ডিলারদের বঞ্চিত করে বিসিআইসির ডিলারদের সার দেওয়া হয়েছে। বিসিআইসির অনেক ডিলার যশোরের নোয়াপাড়ায় বিপণনকেন্দ্রে ডিএপি সার বিক্রি করে দিয়েছেন। এ জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিএপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
নাচোল উপজেলার নেজামপুর গ্রামের কৃষক আবু আকরাম বলেন, শীতকালীন সবজির খেতে দেওয়ার জন্য তাঁর কীটনাশকের প্রয়োজন হলে স্থানীয় দোকানগুলোতে গিয়ে পাননি। পরে সদর উপজেলার একটি দোকান থেকে ১ হাজার ৫০ টাকার ডিএপি সারের বস্তা কিনতে হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়।
এ ছাড়া সদর উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এখন গম ও ভুট্টার জমি প্রস্তুত করছি। এ সময় সারের প্রয়োজন। কিন্তু অনেক দোকানে টাকা দিয়েও সার পাওয়া যাচ্ছে না। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আবার দ্বিগুণ দাম।’
সার সিন্ডিকেটে আকবর-পলাশ বহাল
ভুক্তভোগী কৃষক ও বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে, বিসিআইসির ডিলারদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আকবর হোসেন সারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন। আর এই সিন্ডিকেটে যোগসাজশ রয়েছে খোদ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকারের। বিভিন্ন নামে বিসিআইসির ১১টি লাইসেন্সের মালিক আকবর হোসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, পলাশ সরকার নিজেকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বন্ধু পরিচয়ে দিয়ে নানা অনিয়ম করেছেন। প্রণোদনায় মানহীন বীজ দিয়ে কৃষকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সার সিন্ডিকেট করে অনৈতিক সুবিধা আর ডিলারদের কাছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজিও করেছেন তিনি। আকবর হোসেন ও পলাশ সরকারের সিন্ডিকেট বহাল থাকায় এখনো ডিলার ও কৃষকেরা তাঁদের কাছে জিম্মি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন, এ সময়ে সংকট হলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে, কমবে উৎপাদনও। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
পলাশ সরকার বলেন, ‘ডিএপি সারের দাম বাড়ার অভিযোগ জানা নেই। ডিএপি সারের জন্য কৃষকদের বিসিআইসি ডিলারদের কাছে যেতে হবে।’
বিএডিসি ডিলাররা নোয়াপাড়ায় সার বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ বিষয়ে পলাশ সরকার বলেন, ‘সার বিক্রি করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই অভিযোগ সঠিক নয়। সারের দাম বেশি নেওয়ার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিএডিসি ডিলাররা ডিএপি সার বরাদ্দ না পাওয়ার বিষয়ে এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, বিএডিসি গোডাউন থেকে বরাদ্দ হলে বিএডিসি ডিলাররা পান। আমদানিকারকদের কাছ থেকে হলে পুরোটাই বিসিআইসি ডিলাররা পাবেন। এটাই নিয়ম।
বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেশ কিছু এলাকার কৃষকেরা। চলতি মৌসুমে শীতকালীন সবজি, ভুট্টা ও বোরো আবাদের ক্ষেত্রে ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের সংকটে রয়েছেন তাঁরা। সার যা মেলে, তা-ও সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে বস্তায় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বেশি রাখছেন ডিলাররা।
কৃষকদের অভিযোগ, অনেক ডিলারের কাছে ডিএপি সার পাওয়া যাচ্ছে না। যাঁদের কাছে আছে, তাঁরা ১ হাজার ৫০ টাকার ডিএপি সারের বস্তা ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা রাখছেন। তবে ডিএপি সারের বাড়তি দাম রাখার বিষয়ে জানা নেই বলে দাবি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।
কৃষি বিভাগ ও কৃষক সূত্রে জানা যায়, রবিশস্যের বীজ বপনের সময়কাল ১৬ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে মূলত নন-ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয়। চারা গজানোর পর ব্যবহার করা হয় ইউরিয়া সার। নন-ইউরিয়া সারগুলোর একটি হচ্ছে ডিএপি।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সার ডিলাররা বলছেন, চলতি মাসে ডিএপি সার বরাদ্দ পাননি তাঁরা। এ জন্য কৃষকদের চাহিদামতো সার দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ সারের বিকল্পও নেই। ডিএপি সার না পেয়ে অনেক কৃষক ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
বিএডিসি বলছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বিএডিসির ৩৩ জন ডিলার রয়েছেন। তাঁরা নভেম্বর মাসের বিএডিসির ডিএপি সার বরাদ্দ পাননি।
তবে কৃষক ও কৃষি বিভাগের একাধিক সূত্র বলছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিএডিসির ডিলারদের না দিয়ে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ডিলারদের সার দিয়েছেন। সেই সুযোগে বিসিআইসির ডিলাররা সিন্ডিকেট করে বাড়িয়েছেন ডিএপি সারের দাম। কৃষি কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিসিআইসির ডিলারদের সার বরাদ্দ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাচোল উপজেলার একজন ডিলার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিসিআইসির ডিলাররা ডিএপি সার বরাদ্দ পেয়েছেন, কিন্তু বিএডিসির ডিলাররা পাননি। কৃষকদের জিম্মি করে বেশি দামে বিক্রি করতেই বিএডিসির ডিলারদের বঞ্চিত করে বিসিআইসির ডিলারদের সার দেওয়া হয়েছে। বিসিআইসির অনেক ডিলার যশোরের নোয়াপাড়ায় বিপণনকেন্দ্রে ডিএপি সার বিক্রি করে দিয়েছেন। এ জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিএপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
নাচোল উপজেলার নেজামপুর গ্রামের কৃষক আবু আকরাম বলেন, শীতকালীন সবজির খেতে দেওয়ার জন্য তাঁর কীটনাশকের প্রয়োজন হলে স্থানীয় দোকানগুলোতে গিয়ে পাননি। পরে সদর উপজেলার একটি দোকান থেকে ১ হাজার ৫০ টাকার ডিএপি সারের বস্তা কিনতে হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়।
এ ছাড়া সদর উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এখন গম ও ভুট্টার জমি প্রস্তুত করছি। এ সময় সারের প্রয়োজন। কিন্তু অনেক দোকানে টাকা দিয়েও সার পাওয়া যাচ্ছে না। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আবার দ্বিগুণ দাম।’
সার সিন্ডিকেটে আকবর-পলাশ বহাল
ভুক্তভোগী কৃষক ও বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে, বিসিআইসির ডিলারদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আকবর হোসেন সারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন। আর এই সিন্ডিকেটে যোগসাজশ রয়েছে খোদ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকারের। বিভিন্ন নামে বিসিআইসির ১১টি লাইসেন্সের মালিক আকবর হোসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, পলাশ সরকার নিজেকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বন্ধু পরিচয়ে দিয়ে নানা অনিয়ম করেছেন। প্রণোদনায় মানহীন বীজ দিয়ে কৃষকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সার সিন্ডিকেট করে অনৈতিক সুবিধা আর ডিলারদের কাছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজিও করেছেন তিনি। আকবর হোসেন ও পলাশ সরকারের সিন্ডিকেট বহাল থাকায় এখনো ডিলার ও কৃষকেরা তাঁদের কাছে জিম্মি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন, এ সময়ে সংকট হলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে, কমবে উৎপাদনও। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
পলাশ সরকার বলেন, ‘ডিএপি সারের দাম বাড়ার অভিযোগ জানা নেই। ডিএপি সারের জন্য কৃষকদের বিসিআইসি ডিলারদের কাছে যেতে হবে।’
বিএডিসি ডিলাররা নোয়াপাড়ায় সার বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ বিষয়ে পলাশ সরকার বলেন, ‘সার বিক্রি করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই অভিযোগ সঠিক নয়। সারের দাম বেশি নেওয়ার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিএডিসি ডিলাররা ডিএপি সার বরাদ্দ না পাওয়ার বিষয়ে এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, বিএডিসি গোডাউন থেকে বরাদ্দ হলে বিএডিসি ডিলাররা পান। আমদানিকারকদের কাছ থেকে হলে পুরোটাই বিসিআইসি ডিলাররা পাবেন। এটাই নিয়ম।
সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আফজাল কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরের কলাতলী এলাকার হোটেল দি কক্সটুডের একটি কক্ষ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৭ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে আজ মঙ্গলবার পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ করছে। একই মহাসড়কের অন্য অংশ অবরোধ করেছে ডরিন গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকেরা। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্
১২ মিনিট আগে১৩১ বছর আগে ১৭ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। এখন এর সদস্যসংখ্যা ৮ হাজারের মতো। বেসরকারি ব্যাংকে রাখা সমিতির ফিক্সড ডিপোজিটের (এফডিআর) টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সদস্যরা।
১৬ মিনিট আগেসকাল ১০টার দিকে হাউজিং এলাকা থেকে বাইসাইকেল যোগে জাহিদুল ইসলাম পিটিআই রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় শহরের জেলখানার মোড় এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বহনকারী একটি দ্রুতগামী দোতলা বাস জাহিদুল ইসলামকে চাপা দেয়।
২৯ মিনিট আগে