মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের রাজৈরে হালিমা বেগম (৪২) নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন। স্বজনদের অভিযোগ, কিস্তির টাকা পরিশোধে চাপ দেওয়ায় লোকলজ্জার ভয়ে বিষপানে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
হালিমা বেগম উপজেলার নরারকান্দি গ্রামের জব্বার মোড়লের স্ত্রী। সংসারে তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
হালিমার মেয়ে সুখী আক্তার বলেন, ‘আম্মু ৬০ হাজার টাকা ঋণ আনছে। প্রতি সপ্তাহে ১৫ শ টাকা কিস্তি দেয়। বেশির ভাগই কিস্তি শেষ হয়েছে। আমাদের সঞ্চয়ের অনেক টাকা জমাও আছে। গত বুধবার কিস্তির টাকার জন্য সাইফুলসহ কয়েকজন আমাদের বাড়িতে আসেন। আম্মু বলছেন, এই সপ্তাহে টাকা দিতে পারবেন না। পরের সপ্তাহে একসঙ্গে দুটি কিস্তি দেবে। কিন্তু কেউ আম্মুর কথা শোনেনি। অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে গোয়ালঘর থেকে গরু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজ এনজিওর লোকজন। যাওয়ার সময় আম্মুকে বিষ কিনে মরে যেতে বলেন তারা। আম্মু অপমান সইতে না পেরে বিষ খায়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’
হালিমার মেয়ে আরও বলেন, ‘৬০ হাজার টাকা সুদসহ ৬৭ হাজার ৬২০ টাকা পরিশোধের শেষ তারিখ ছিল ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি। এখন পর্যন্ত ২৭ কিস্তিতে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তবু তারা আম্মুর সঙ্গে এমন বাজে আচরণ করল।’
স্থানীয় বাসিন্দা জগলুল শেখ বলেন, ‘প্রথমে মিষ্টি কথা বলে ঋণ দেয়। পরে কিস্তির টাকার জন্য চাপ দেয় কর্মকর্তারা। ঘটনার দিন হালিমাকে ওই এনজিওর মাঠকর্মী অনেক বাজে ভাষায় গালাগাল করেছে। এমন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। তা না হলে এজিও কর্মীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।’
তবে বিজের মাঠকর্মী সাইফুল ইসলাম ঋণ পরিশোধের জন্য হালিমাকে চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করেন। মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, হয়তো অতিরিক্ত দেনার কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন হালিমা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। হালিমার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মাদারীপুরের রাজৈরে হালিমা বেগম (৪২) নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন। স্বজনদের অভিযোগ, কিস্তির টাকা পরিশোধে চাপ দেওয়ায় লোকলজ্জার ভয়ে বিষপানে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
হালিমা বেগম উপজেলার নরারকান্দি গ্রামের জব্বার মোড়লের স্ত্রী। সংসারে তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
হালিমার মেয়ে সুখী আক্তার বলেন, ‘আম্মু ৬০ হাজার টাকা ঋণ আনছে। প্রতি সপ্তাহে ১৫ শ টাকা কিস্তি দেয়। বেশির ভাগই কিস্তি শেষ হয়েছে। আমাদের সঞ্চয়ের অনেক টাকা জমাও আছে। গত বুধবার কিস্তির টাকার জন্য সাইফুলসহ কয়েকজন আমাদের বাড়িতে আসেন। আম্মু বলছেন, এই সপ্তাহে টাকা দিতে পারবেন না। পরের সপ্তাহে একসঙ্গে দুটি কিস্তি দেবে। কিন্তু কেউ আম্মুর কথা শোনেনি। অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে গোয়ালঘর থেকে গরু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজ এনজিওর লোকজন। যাওয়ার সময় আম্মুকে বিষ কিনে মরে যেতে বলেন তারা। আম্মু অপমান সইতে না পেরে বিষ খায়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’
হালিমার মেয়ে আরও বলেন, ‘৬০ হাজার টাকা সুদসহ ৬৭ হাজার ৬২০ টাকা পরিশোধের শেষ তারিখ ছিল ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি। এখন পর্যন্ত ২৭ কিস্তিতে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তবু তারা আম্মুর সঙ্গে এমন বাজে আচরণ করল।’
স্থানীয় বাসিন্দা জগলুল শেখ বলেন, ‘প্রথমে মিষ্টি কথা বলে ঋণ দেয়। পরে কিস্তির টাকার জন্য চাপ দেয় কর্মকর্তারা। ঘটনার দিন হালিমাকে ওই এনজিওর মাঠকর্মী অনেক বাজে ভাষায় গালাগাল করেছে। এমন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। তা না হলে এজিও কর্মীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।’
তবে বিজের মাঠকর্মী সাইফুল ইসলাম ঋণ পরিশোধের জন্য হালিমাকে চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করেন। মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, হয়তো অতিরিক্ত দেনার কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন হালিমা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। হালিমার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
১১ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
১ ঘণ্টা আগে