নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার অংশের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) সংলগ্ন র্যাম্প (নামার রাস্তা) আজ বুধবার খুলে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ১৬টি র্যাম্প চালু হলো এক্সপ্রেসওয়ের। সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উদ্বোধন করেন। তবে গাড়ি চলাচল শুরু হয় দুপুর ২টার পর থেকে। শুরুতে গাড়ির চাপ তেমন না থাকলেও, বিকেলে ইফতারের আগে যানজট তীব্র আকার নেয়।
ট্রাফিক বিভাগের একটি সূত্র বলছে, র্যাম্প চালুর আগে এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষকে কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করেই র্যাম্প চালু হওয়াতে যানজট হচ্ছে। তবে ইফতারের পর যানজট কমেছে। সুপারিশগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা না হলে যানজটের ভোগান্তি থাকবেই।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, এক্সপ্রেসওয়ের মূল কাজ শেষ হয়েছে। হঠাৎ করে চালু হলে গাড়ির চাপ বাড়বে। ট্রাফিক থেকে কিছু কর্মকর্তা পরিদর্শন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষকে। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে ৷
কী ধরনের সুপারিশ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছিলেন, এক্সপ্রেসওয়ের থেকে নামার পর একটা মিড আইল্যান্ড আছে, যেটি ফ্ল্যাট করে দিতে হবে। একটা ইউটার্ন আছে, সেটিকে বড় করতে হবে। এতে করে গাড়ির চাপ এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার পর কম হবে।
তবে আজ দেখা গেছে চালু হওয়ার আগে এসব সুপারিশের ভিত্তিতে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। এতে করে সন্ধ্যার আগে যখন একসঙ্গে তিন লেনের গাড়ি একত্রে নামতে শুরু করে, তখন হাতিরঝিল মোড়ে বড় ধরনের জট তৈরি হয়। এক্সপ্রেসওয়ের গাড়ি ও কারওয়ান বাজার থেকে আসা গাড়ির চাপে হাতিরঝিল মোড়ের কিছু আগেই জট তৈরি হয়।
ট্রাফিক বিভাগ বলছে, মিড আইল্যান্ড ভেঙে ফেলতে হবে। ইউটার্ন বড় করতে হবে। হাতিরঝিল মোড়ে কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে, সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। তাহলেই কেবল গাড়ির চাপ কমবে।
বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই পোস্ট করে জানিয়েছেন, এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে থাকা অসংখ্য ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ও যাত্রী পোস্ট করে জানিয়েছেন, তাঁরা তেজগাঁও পর্যন্ত জ্যামে আটকে আছেন। এখান থেকে বের হতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট করে সময় লাগছে প্রতিটি গাড়ির।
নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, এক্সপ্রেসওয়ের এই র্যাম্প নগরীর একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নেমে গাড়িগুলো চারটি গন্তব্য—তেজগাঁও, হাতিরঝিল, মগবাজার ও কারওয়ান বাজারের দিকে যেতে পারছে। এতে করে এই অংশে গাড়ির চাপ বাড়বে।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকেলের আগে গাড়ির চাপ ছিল তবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কিছু বিষয় পরিবর্তন হলে এমন জট থাকবে না। এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁরা সমন্বয় করে কাজ করছেন। খুব দ্রুত এই অবস্থার পরিবর্তন হবে।
সকালে উদ্বোধনের সময় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই প্রকল্প চলতি বছরের মধ্যে শেষ হবে না। সামনের বছরের শুরুতে পুরোটা খুলে দিতে পারব। এরপর হাতিরঝিলের র্যাম্প খুলে দেওয়া হবে। সেইভাবেই কাজ চলছে।’
এই প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে।
এর আগে, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হওয়া বর্তমান সরকারের এই মেগা প্রকল্পের আংশিক। আর ৩ সেপ্টেম্বর থেকে যান চলাচল শুরু হয়। বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার খুলে দেওয়া হয়। এই অংশে ১৫টি র্যাম্প রয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার বলেন, তাঁদের এখন পর্যন্ত ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ অংশে কাজ চলছে। এখানে সোনারগাঁও হোটেলের পাশে একটা ওঠার র্যাম্প হবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার অংশের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) সংলগ্ন র্যাম্প (নামার রাস্তা) আজ বুধবার খুলে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ১৬টি র্যাম্প চালু হলো এক্সপ্রেসওয়ের। সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উদ্বোধন করেন। তবে গাড়ি চলাচল শুরু হয় দুপুর ২টার পর থেকে। শুরুতে গাড়ির চাপ তেমন না থাকলেও, বিকেলে ইফতারের আগে যানজট তীব্র আকার নেয়।
ট্রাফিক বিভাগের একটি সূত্র বলছে, র্যাম্প চালুর আগে এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষকে কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করেই র্যাম্প চালু হওয়াতে যানজট হচ্ছে। তবে ইফতারের পর যানজট কমেছে। সুপারিশগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা না হলে যানজটের ভোগান্তি থাকবেই।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, এক্সপ্রেসওয়ের মূল কাজ শেষ হয়েছে। হঠাৎ করে চালু হলে গাড়ির চাপ বাড়বে। ট্রাফিক থেকে কিছু কর্মকর্তা পরিদর্শন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষকে। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে ৷
কী ধরনের সুপারিশ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছিলেন, এক্সপ্রেসওয়ের থেকে নামার পর একটা মিড আইল্যান্ড আছে, যেটি ফ্ল্যাট করে দিতে হবে। একটা ইউটার্ন আছে, সেটিকে বড় করতে হবে। এতে করে গাড়ির চাপ এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার পর কম হবে।
তবে আজ দেখা গেছে চালু হওয়ার আগে এসব সুপারিশের ভিত্তিতে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। এতে করে সন্ধ্যার আগে যখন একসঙ্গে তিন লেনের গাড়ি একত্রে নামতে শুরু করে, তখন হাতিরঝিল মোড়ে বড় ধরনের জট তৈরি হয়। এক্সপ্রেসওয়ের গাড়ি ও কারওয়ান বাজার থেকে আসা গাড়ির চাপে হাতিরঝিল মোড়ের কিছু আগেই জট তৈরি হয়।
ট্রাফিক বিভাগ বলছে, মিড আইল্যান্ড ভেঙে ফেলতে হবে। ইউটার্ন বড় করতে হবে। হাতিরঝিল মোড়ে কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে, সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। তাহলেই কেবল গাড়ির চাপ কমবে।
বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই পোস্ট করে জানিয়েছেন, এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে থাকা অসংখ্য ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ও যাত্রী পোস্ট করে জানিয়েছেন, তাঁরা তেজগাঁও পর্যন্ত জ্যামে আটকে আছেন। এখান থেকে বের হতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট করে সময় লাগছে প্রতিটি গাড়ির।
নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, এক্সপ্রেসওয়ের এই র্যাম্প নগরীর একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নেমে গাড়িগুলো চারটি গন্তব্য—তেজগাঁও, হাতিরঝিল, মগবাজার ও কারওয়ান বাজারের দিকে যেতে পারছে। এতে করে এই অংশে গাড়ির চাপ বাড়বে।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকেলের আগে গাড়ির চাপ ছিল তবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কিছু বিষয় পরিবর্তন হলে এমন জট থাকবে না। এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁরা সমন্বয় করে কাজ করছেন। খুব দ্রুত এই অবস্থার পরিবর্তন হবে।
সকালে উদ্বোধনের সময় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই প্রকল্প চলতি বছরের মধ্যে শেষ হবে না। সামনের বছরের শুরুতে পুরোটা খুলে দিতে পারব। এরপর হাতিরঝিলের র্যাম্প খুলে দেওয়া হবে। সেইভাবেই কাজ চলছে।’
এই প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে।
এর আগে, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হওয়া বর্তমান সরকারের এই মেগা প্রকল্পের আংশিক। আর ৩ সেপ্টেম্বর থেকে যান চলাচল শুরু হয়। বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার খুলে দেওয়া হয়। এই অংশে ১৫টি র্যাম্প রয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার বলেন, তাঁদের এখন পর্যন্ত ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ অংশে কাজ চলছে। এখানে সোনারগাঁও হোটেলের পাশে একটা ওঠার র্যাম্প হবে।
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
৩৫ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
৩৫ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
৩৫ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে