কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলামের নামে আবারও মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক মাহাথীর মুহাম্মদ সামী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে প্রায় ৯ কোটি টাকার সরকারি অর্থের হিসাবে গরমিল এবং ৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালে ১৭ জানুয়ারি ভূমি অধিগ্রহণের পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সেতাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার ও মামলা করেছিল দুদক। অভিযোগপত্র জমা শেষে মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
আজকের মামলায় বাকি ১১ জনের মধ্যে কয়েকজন আসামি হলেন জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের সাবেক অডিটর মো. সাইদুজ্জামান এবং বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামলা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০১৩-১৪ সালে ভৈরবের বিসিক শিল্পনগরী প্রকল্প, ২০১৪-১৫ সালে বাজিতপুর উপজেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, ২০১৪-১৫ সালে অষ্টগ্রামের চৌদন্ত সড়ক প্রকল্প এবং ২০১৪-১৫ সালে উজানচর-বাজিতপুর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের মূল্য বাবদ চারটি এলএ কেসের বিপরীতে পৃথক ১২টি চেকের মাধ্যমে মোট তিন কোটি ৭৯ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এই ১২টি চেক গ্রহণ করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, কে এ আল মামুন, মো. কামরুজ্জামান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আনিছুর রহমান, মোহাম্মদ মাহমুদ হোসেন শিমুল, রায়হান উদ্দিন, জিলন খাঁন, আবুল কালাম ও আবদুল হামিদ নামের ১০ ব্যক্তি। কিন্তু তাঁরা কেউই এসব প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি নন।
এজাহারে আরও বলা হয়, ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির আবেদন গ্রহণ, মালিকানা স্বত্বের প্রামাণিক দলিল ছাড়া ও সংশ্লিষ্ট রোয়েদাদ বইতে লিপিবদ্ধ না করে এবং স্বত্ব মালিকানা অনুযায়ী বিতরণ না করে নিজ উদ্যোগে অধিকাংশ এলএ চেকের মুড়ির অংশ ও প্রাপকের অংশে ভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করেন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলাম। এভাবে ১২টি চেক বিতরণের মাধ্যমে মোট তিন কোটি ৭৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন সেতাফুল ইসলাম।
এ ছাড়া তিনি এসব চেকসহ অন্যান্য এলএ চেক নগদায়নের জন্য ভুয়া অ্যাডভাইস তৈরি ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে পাঠানোর পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখাকে বাইপাস করে বিভিন্ন এলএ চেক বিভিন্ন ব্যক্তিকে দেন তিনি।
এতে চারটি প্রকল্পের লেজার বইসমূহের সঙ্গে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রারসমূহের মোট ৮ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬ টাকার গরমিল ধরা পড়েছে। এসব চেকসহ অন্যান্য এলএ চেক নগদায়নের জন্য ভুয়া অ্যাডভাইস তৈরি ও ভুয়া অ্যাডভাইস বিধিবহির্ভূতভাবে গ্রহণ এবং ব্যবহার করেন জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের সাবেক অডিটর মো. সাইদুজ্জামান। এ ছাড়া এসব চেক তিনি নগদায়ন করেন। ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সরকারি অর্থ গরমিল ও আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে দুদক জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা। অনুসন্ধানকালে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় ১২ জনকে আসামি করে মামলাটি রুজু করা হয়। মামলার তথ্য বিবরণী বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এখন এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি আরও অধিকতর তদন্ত করবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কিশোরগঞ্জ জেলায় ‘হাওর এলাকার বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন প্রকল্প’ এর জন্য মোট ১৪০ দশমিক ৩৯৯ একর ভূমি অধিগ্রহণের মূল্য বাবদ অগ্রিম হিসেবে তিনটি এলএ কেসের বিপরীতে পৃথক তিনটি চেকের মাধ্যমে মোট পাঁচ কোটি ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় দুদক ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ বাদী হয়ে মো. সেতাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলামের নামে আবারও মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক মাহাথীর মুহাম্মদ সামী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে প্রায় ৯ কোটি টাকার সরকারি অর্থের হিসাবে গরমিল এবং ৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালে ১৭ জানুয়ারি ভূমি অধিগ্রহণের পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সেতাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার ও মামলা করেছিল দুদক। অভিযোগপত্র জমা শেষে মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
আজকের মামলায় বাকি ১১ জনের মধ্যে কয়েকজন আসামি হলেন জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের সাবেক অডিটর মো. সাইদুজ্জামান এবং বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামলা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০১৩-১৪ সালে ভৈরবের বিসিক শিল্পনগরী প্রকল্প, ২০১৪-১৫ সালে বাজিতপুর উপজেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, ২০১৪-১৫ সালে অষ্টগ্রামের চৌদন্ত সড়ক প্রকল্প এবং ২০১৪-১৫ সালে উজানচর-বাজিতপুর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের মূল্য বাবদ চারটি এলএ কেসের বিপরীতে পৃথক ১২টি চেকের মাধ্যমে মোট তিন কোটি ৭৯ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এই ১২টি চেক গ্রহণ করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, কে এ আল মামুন, মো. কামরুজ্জামান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আনিছুর রহমান, মোহাম্মদ মাহমুদ হোসেন শিমুল, রায়হান উদ্দিন, জিলন খাঁন, আবুল কালাম ও আবদুল হামিদ নামের ১০ ব্যক্তি। কিন্তু তাঁরা কেউই এসব প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি নন।
এজাহারে আরও বলা হয়, ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির আবেদন গ্রহণ, মালিকানা স্বত্বের প্রামাণিক দলিল ছাড়া ও সংশ্লিষ্ট রোয়েদাদ বইতে লিপিবদ্ধ না করে এবং স্বত্ব মালিকানা অনুযায়ী বিতরণ না করে নিজ উদ্যোগে অধিকাংশ এলএ চেকের মুড়ির অংশ ও প্রাপকের অংশে ভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করেন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলাম। এভাবে ১২টি চেক বিতরণের মাধ্যমে মোট তিন কোটি ৭৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন সেতাফুল ইসলাম।
এ ছাড়া তিনি এসব চেকসহ অন্যান্য এলএ চেক নগদায়নের জন্য ভুয়া অ্যাডভাইস তৈরি ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে পাঠানোর পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখাকে বাইপাস করে বিভিন্ন এলএ চেক বিভিন্ন ব্যক্তিকে দেন তিনি।
এতে চারটি প্রকল্পের লেজার বইসমূহের সঙ্গে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রারসমূহের মোট ৮ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬ টাকার গরমিল ধরা পড়েছে। এসব চেকসহ অন্যান্য এলএ চেক নগদায়নের জন্য ভুয়া অ্যাডভাইস তৈরি ও ভুয়া অ্যাডভাইস বিধিবহির্ভূতভাবে গ্রহণ এবং ব্যবহার করেন জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের সাবেক অডিটর মো. সাইদুজ্জামান। এ ছাড়া এসব চেক তিনি নগদায়ন করেন। ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সরকারি অর্থ গরমিল ও আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে দুদক জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা। অনুসন্ধানকালে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় ১২ জনকে আসামি করে মামলাটি রুজু করা হয়। মামলার তথ্য বিবরণী বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এখন এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি আরও অধিকতর তদন্ত করবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কিশোরগঞ্জ জেলায় ‘হাওর এলাকার বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন প্রকল্প’ এর জন্য মোট ১৪০ দশমিক ৩৯৯ একর ভূমি অধিগ্রহণের মূল্য বাবদ অগ্রিম হিসেবে তিনটি এলএ কেসের বিপরীতে পৃথক তিনটি চেকের মাধ্যমে মোট পাঁচ কোটি ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় দুদক ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ বাদী হয়ে মো. সেতাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
৩৩ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৩৭ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
৩৯ মিনিট আগে