নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের তালতলা মোল্লাপাড়া এলাকায় ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা—ছেলে-মেয়ে দুজনকেই দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টা চালান বাবা। ছেলে-মেয়ের মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে গলায় ফাঁস নেন তিনি। তবে সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যায় মেয়ে।
মৃতরা হলেন—বাবা মশিউর রহমান (৫০) ও তাঁর কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাহদাব (১৬)। এ ঘটনায় মেয়ে সিনথিয়াকে (১৩) গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাড়িটির নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা বলেন, তিন বছর ধরে মশিউর রহমান এ বাড়ির দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। ফ্ল্যাটের তিনটি রুম। দুটি রুমে তাঁরা থাকতেন এবং মাঝখানের একটি রুম দুজন তরুণীর কাছে সাবলেট দিয়েছেন।
রোববার দুপুরে মশিউর রহমানের স্ত্রী ডলি আক্তার টিউশনি করাতে বাসা থেকে বের হন। বিকেল ৪টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন। এক ঘণ্টা ডাকাডাকি করেও সারা না পাওয়ায় আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। দরজা ভেঙে দেখেন—মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে এবং ভেতরের রুমে মশিউর রহমান ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন আর ছেলের মরদেহ বিছানার ওপরে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
শেরেবাংলা নগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহাদ আলী বলেন, তালতলা মোল্লাপাড়া এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দরজা ভেঙে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় অপরজনের মরদেহ মেঝে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মেয়েটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে—ছেলেকে ফাঁস দিয়ে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন বাবা। তবে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আইনিপ্রক্রিয়া শেষে দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে মশিউর রহমানের হাতে লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নোটে তিনি বলেছেন—বাসায় যে দুই তরুণী সাবলেট থাকেন, তাঁরা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়। তাঁরা অনেক আগেই ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছেন। তাঁদের যেন হয়রানি করা না হয়।
বাসার একটি টেবিলের ওপর থেকে কালো রঙের একটি দড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা—এ কালো রঙের রশি দিয়ে ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বাবা। এরপর মেয়েকেও হত্যাচেষ্টা করেছেন। তবে মেয়ে অচেতন হয়ে থাকলে তিনি ধারণা করেন যে—মেয়ে হয়তো মারা গেছে। এরপর নিজে তাঁর বেডরুমে সাদা নাইলনের রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
নিহত মশিউর রহমানের গ্রামের বাড়ি বগুড়া। তিনি ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পাশাপাশি শেয়ার ব্যবসা করতেন। স্ত্রীর ডলি আক্তার এক সময় একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তবে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, বর্তমানে এলাকায় টিউশনি করান তিনি। প্রতিদিনের মতো আজকেও তিনি টিউশনিতে গিয়েছিলেন।
বাড়িটির ম্যানেজার আব্দুল মালিক ভূঁইয়া বলেন, মশিউর রহমান শেয়ার ব্যবসায় ক্রমাগত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন। আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে তাঁর ওপর চাপ ছিল।
ফ্ল্যাটটি থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন আলামত সংগ্রহ করেছে। এরপর শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ ফ্ল্যাটটিতে তালা দিয়ে দেয়।
ভবনটি নিচতলার ভাড়াটিয়ার সোমা আক্তার বলেন, তাঁরা তিন বছর ধরে ভাড়া থাকলেও ওই ফ্ল্যাটে তাঁদের যাতায়াত ছিল না। নিহত সাহদাব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের তালতলা মোল্লাপাড়া এলাকায় ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা—ছেলে-মেয়ে দুজনকেই দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টা চালান বাবা। ছেলে-মেয়ের মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে গলায় ফাঁস নেন তিনি। তবে সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যায় মেয়ে।
মৃতরা হলেন—বাবা মশিউর রহমান (৫০) ও তাঁর কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাহদাব (১৬)। এ ঘটনায় মেয়ে সিনথিয়াকে (১৩) গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাড়িটির নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা বলেন, তিন বছর ধরে মশিউর রহমান এ বাড়ির দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। ফ্ল্যাটের তিনটি রুম। দুটি রুমে তাঁরা থাকতেন এবং মাঝখানের একটি রুম দুজন তরুণীর কাছে সাবলেট দিয়েছেন।
রোববার দুপুরে মশিউর রহমানের স্ত্রী ডলি আক্তার টিউশনি করাতে বাসা থেকে বের হন। বিকেল ৪টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন। এক ঘণ্টা ডাকাডাকি করেও সারা না পাওয়ায় আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। দরজা ভেঙে দেখেন—মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে এবং ভেতরের রুমে মশিউর রহমান ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন আর ছেলের মরদেহ বিছানার ওপরে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
শেরেবাংলা নগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহাদ আলী বলেন, তালতলা মোল্লাপাড়া এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দরজা ভেঙে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় অপরজনের মরদেহ মেঝে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মেয়েটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে—ছেলেকে ফাঁস দিয়ে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন বাবা। তবে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আইনিপ্রক্রিয়া শেষে দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে মশিউর রহমানের হাতে লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নোটে তিনি বলেছেন—বাসায় যে দুই তরুণী সাবলেট থাকেন, তাঁরা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়। তাঁরা অনেক আগেই ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছেন। তাঁদের যেন হয়রানি করা না হয়।
বাসার একটি টেবিলের ওপর থেকে কালো রঙের একটি দড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা—এ কালো রঙের রশি দিয়ে ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বাবা। এরপর মেয়েকেও হত্যাচেষ্টা করেছেন। তবে মেয়ে অচেতন হয়ে থাকলে তিনি ধারণা করেন যে—মেয়ে হয়তো মারা গেছে। এরপর নিজে তাঁর বেডরুমে সাদা নাইলনের রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
নিহত মশিউর রহমানের গ্রামের বাড়ি বগুড়া। তিনি ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পাশাপাশি শেয়ার ব্যবসা করতেন। স্ত্রীর ডলি আক্তার এক সময় একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তবে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, বর্তমানে এলাকায় টিউশনি করান তিনি। প্রতিদিনের মতো আজকেও তিনি টিউশনিতে গিয়েছিলেন।
বাড়িটির ম্যানেজার আব্দুল মালিক ভূঁইয়া বলেন, মশিউর রহমান শেয়ার ব্যবসায় ক্রমাগত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন। আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে তাঁর ওপর চাপ ছিল।
ফ্ল্যাটটি থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন আলামত সংগ্রহ করেছে। এরপর শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ ফ্ল্যাটটিতে তালা দিয়ে দেয়।
ভবনটি নিচতলার ভাড়াটিয়ার সোমা আক্তার বলেন, তাঁরা তিন বছর ধরে ভাড়া থাকলেও ওই ফ্ল্যাটে তাঁদের যাতায়াত ছিল না। নিহত সাহদাব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল বলেও জানান তিনি।
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
৩৯ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
১ ঘণ্টা আগে