মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধের জেরে কুন্দরিয়া গ্রামে একটি পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় আট মাস ধরে ভুক্তভোগী আহসান উদ্দিনের পরিবারকে একঘরে করে রাখায় তাঁরা মসজিদে নামাজ পড়তে পারছেন না। এমনকি ওই পরিবারের কেউ মারা গেলে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তাটি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মধু এবং তাঁর অনুসারীদের অভিযোগ, ওই পরিবারের সদস্যরা সমাজের কাউকে সম্মান করে কথা না বলায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘ বছর ধরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেওয়ায় আহসান উদ্দিনসহ এলাকার বেশ কিছু পরিবার ওই রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারছে না। কি কারণে হঠাৎ করে দীর্ঘ বছরের চলাচলের রাস্তাটি আটকে দেওয়া হলো সেটাও বলতে পারছেন না এলাকার অনেক মানুষ।
আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে জানা যায়, ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের কুন্দরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আহসান উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশি চাচা শফিউদ্দিনের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিস দরবার হয়। কিন্তু বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় গত আট মাস আগে চেয়ারম্যান এবং তার অনুসারীদের নির্দেশে আহসান উদ্দিনের পরিবারকে এক ঘরে করে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
ভুক্তভোগী আহসান উদ্দিন জানান, তাঁর বাড়ির পশ্চিম পাশে প্রতিবেশী চাচা শফিউদ্দিনের বাড়ি, সামনে চাচাতো ভাই তাঁরা মিয়ার বাড়ি ও বামপাশে প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি রয়েছে। আহসান উদ্দিনের বাড়ি ও শফিউদ্দিনের বাড়ির সামনে দিয়ে গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার সেই রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর ছোট ছেলে শাকিল পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে একটি মেয়েকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর সমাজের লোকজনদের দাওয়াত দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব ও টাকা-পয়সা চেয়ারম্যানের অনুসারীদের না দেওয়ায় তাঁরা দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেন। পরে এ নিয়ে সালিস ডাকা হলে আহসান উদ্দিন সালিসে গ্রামের মানুষের কাছে ক্ষমা চান।
এরপর এলাকায় আহসান উদ্দিনের একটি গাছ কাটা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মধুর সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ওই দ্বন্দ্বে ২০২৩ সালে ১৯ এপ্রিল রাতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মধু মিয়া আহসান উদ্দিনকে ছাড়াই নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আরেকটি সালিস ডাকেন। ওই সালিসে আহসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেন। সেসব সিদ্ধান্ত আহসান উদ্দিনকে অবগত করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার শংকরকে নির্দেশ দেন।
পরদিন ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার শংকর চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুযায়ী আহসান উদ্দিনকে বলেন, ‘আজ থেকে আপনারা সমাজের মসজিদে নামাজ পড়তে যাবেন না, ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারবেন না, পরিবারে কারও মৃত্যু হলে গ্রামের লোকজন জানাজায় অংশ নেবেন না এবং সমাজের কবরস্থানে আহসানের পরিবারের কাউকে দাফন করা যাবে না।’
ভুক্তভোগী আহসান উদ্দিনের ছেলে সাকিব মিয়া বলেন, ‘চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে সমাজে আমাদের পরিবারকে একঘরে করে রেখেছে। গত বছর ২২ জানুয়ারি আমার সদ্যভূমিষ্ঠ কন্যা মারা যায়। নবজাতক মারা যাওয়ায় সমাজের মসজিদের ইমাম চাকরি হারানোর ভয়ে সন্তানের জানাজা পড়াতে আসেননি, এলাকার মানুষ জানাজায় আসেননি, সমাজের কবরস্থানে দাফন করতে দেয়নি। পরে আমার সন্তানের জানাজা আমি নিজে পড়িয়ে বাড়িতে সমাহিত করেছি।’
আহসান উদ্দিনের বড় ছেলে রাকিব হোসেন বলেন, ‘আমাদের কোনো দোষ না থাকার পরও চেয়ারম্যান আমাদের একঘরে করে রেখেছেন। এরপরও আমরা কোনো প্রতিবাদ করিনি। কাউকে জানাইনি। কিন্তু আজ মঙ্গলবার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান যুগে এমন আচরণ সহ্য করা যায় না। আমরা আমাদের ওপর এমন অত্যাচারের বিচার চাই।’
আহসান উদ্দিনের প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আঞ্জু আরা বেগম বলেন, তিনি বিয়ের পর থেকে ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করছেন। কিন্তু আজ মঙ্গলবার ওই রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন অন্যের বাড়ির ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সমাজের সিদ্ধান্তে ওই বেড়া নাকি দেওয়া হয়েছে। বেড়া দেওয়াতে তাঁরও সমস্যা হচ্ছে; কিন্তু সমাজের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।
প্রতিবেশী শফিউদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, তাঁদের সঙ্গে ভুক্তভোগী আহসান উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ থাকলেও কোনো ঝগড়া নেই। চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তে অনুযায়ী ওই বেড়া দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে নালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মধু মিয়া বলেন, ‘ওই পরিবারের সদস্যরা গ্রামের কাউকে সম্মান করে না। গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তের কারণে ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সমাজের ৯০ ঘরের কেউ কথা বলে না। আহসানের পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে; এটা সঠিক নয়। তাঁরা ইচ্ছে করেই মসজিদে যান না। ওই পরিবারে কারও মৃত্যুর খবর আমার জানা নেই।’
আব্দুল কুদ্দুস মধু আরও বলেন, ‘আহসান উদ্দিন গ্রামবাসীর সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রতিবেশী শফিউদ্দিনের বাড়ির সীমানার বাইরে এসে টিনের বেড়া দিয়েছেন। তাই সমাজের সিদ্ধান্তে শফিউদ্দিন নিজের জায়গায় বাঁশের বেড়া দিয়েছেন। তবে আহসান সমাজের কাছে আবেদন করলে, যদি সমাজ মনে করে; তাহলে বাঁশের বেড়া উঠিয়ে দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান যুগে এক ঘরে করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। এই ধরনের ঘটনা সত্যি খুব ন্যক্কারজনক। আমাদের প্রশাসনের উচিত দ্রুত ভুক্তভোগীকে আইনি সাহায্য দেওয়া এবং এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িতদের আইনের আওতায় আনা।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ধরনের কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধের জেরে কুন্দরিয়া গ্রামে একটি পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় আট মাস ধরে ভুক্তভোগী আহসান উদ্দিনের পরিবারকে একঘরে করে রাখায় তাঁরা মসজিদে নামাজ পড়তে পারছেন না। এমনকি ওই পরিবারের কেউ মারা গেলে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তাটি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মধু এবং তাঁর অনুসারীদের অভিযোগ, ওই পরিবারের সদস্যরা সমাজের কাউকে সম্মান করে কথা না বলায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘ বছর ধরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেওয়ায় আহসান উদ্দিনসহ এলাকার বেশ কিছু পরিবার ওই রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারছে না। কি কারণে হঠাৎ করে দীর্ঘ বছরের চলাচলের রাস্তাটি আটকে দেওয়া হলো সেটাও বলতে পারছেন না এলাকার অনেক মানুষ।
আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে জানা যায়, ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের কুন্দরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আহসান উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশি চাচা শফিউদ্দিনের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিস দরবার হয়। কিন্তু বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় গত আট মাস আগে চেয়ারম্যান এবং তার অনুসারীদের নির্দেশে আহসান উদ্দিনের পরিবারকে এক ঘরে করে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
ভুক্তভোগী আহসান উদ্দিন জানান, তাঁর বাড়ির পশ্চিম পাশে প্রতিবেশী চাচা শফিউদ্দিনের বাড়ি, সামনে চাচাতো ভাই তাঁরা মিয়ার বাড়ি ও বামপাশে প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি রয়েছে। আহসান উদ্দিনের বাড়ি ও শফিউদ্দিনের বাড়ির সামনে দিয়ে গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার সেই রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর ছোট ছেলে শাকিল পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে একটি মেয়েকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর সমাজের লোকজনদের দাওয়াত দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব ও টাকা-পয়সা চেয়ারম্যানের অনুসারীদের না দেওয়ায় তাঁরা দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেন। পরে এ নিয়ে সালিস ডাকা হলে আহসান উদ্দিন সালিসে গ্রামের মানুষের কাছে ক্ষমা চান।
এরপর এলাকায় আহসান উদ্দিনের একটি গাছ কাটা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মধুর সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ওই দ্বন্দ্বে ২০২৩ সালে ১৯ এপ্রিল রাতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মধু মিয়া আহসান উদ্দিনকে ছাড়াই নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আরেকটি সালিস ডাকেন। ওই সালিসে আহসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেন। সেসব সিদ্ধান্ত আহসান উদ্দিনকে অবগত করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার শংকরকে নির্দেশ দেন।
পরদিন ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার শংকর চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুযায়ী আহসান উদ্দিনকে বলেন, ‘আজ থেকে আপনারা সমাজের মসজিদে নামাজ পড়তে যাবেন না, ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারবেন না, পরিবারে কারও মৃত্যু হলে গ্রামের লোকজন জানাজায় অংশ নেবেন না এবং সমাজের কবরস্থানে আহসানের পরিবারের কাউকে দাফন করা যাবে না।’
ভুক্তভোগী আহসান উদ্দিনের ছেলে সাকিব মিয়া বলেন, ‘চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে সমাজে আমাদের পরিবারকে একঘরে করে রেখেছে। গত বছর ২২ জানুয়ারি আমার সদ্যভূমিষ্ঠ কন্যা মারা যায়। নবজাতক মারা যাওয়ায় সমাজের মসজিদের ইমাম চাকরি হারানোর ভয়ে সন্তানের জানাজা পড়াতে আসেননি, এলাকার মানুষ জানাজায় আসেননি, সমাজের কবরস্থানে দাফন করতে দেয়নি। পরে আমার সন্তানের জানাজা আমি নিজে পড়িয়ে বাড়িতে সমাহিত করেছি।’
আহসান উদ্দিনের বড় ছেলে রাকিব হোসেন বলেন, ‘আমাদের কোনো দোষ না থাকার পরও চেয়ারম্যান আমাদের একঘরে করে রেখেছেন। এরপরও আমরা কোনো প্রতিবাদ করিনি। কাউকে জানাইনি। কিন্তু আজ মঙ্গলবার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান যুগে এমন আচরণ সহ্য করা যায় না। আমরা আমাদের ওপর এমন অত্যাচারের বিচার চাই।’
আহসান উদ্দিনের প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আঞ্জু আরা বেগম বলেন, তিনি বিয়ের পর থেকে ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করছেন। কিন্তু আজ মঙ্গলবার ওই রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন অন্যের বাড়ির ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সমাজের সিদ্ধান্তে ওই বেড়া নাকি দেওয়া হয়েছে। বেড়া দেওয়াতে তাঁরও সমস্যা হচ্ছে; কিন্তু সমাজের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।
প্রতিবেশী শফিউদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, তাঁদের সঙ্গে ভুক্তভোগী আহসান উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ থাকলেও কোনো ঝগড়া নেই। চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তে অনুযায়ী ওই বেড়া দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে নালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মধু মিয়া বলেন, ‘ওই পরিবারের সদস্যরা গ্রামের কাউকে সম্মান করে না। গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তের কারণে ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সমাজের ৯০ ঘরের কেউ কথা বলে না। আহসানের পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে; এটা সঠিক নয়। তাঁরা ইচ্ছে করেই মসজিদে যান না। ওই পরিবারে কারও মৃত্যুর খবর আমার জানা নেই।’
আব্দুল কুদ্দুস মধু আরও বলেন, ‘আহসান উদ্দিন গ্রামবাসীর সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রতিবেশী শফিউদ্দিনের বাড়ির সীমানার বাইরে এসে টিনের বেড়া দিয়েছেন। তাই সমাজের সিদ্ধান্তে শফিউদ্দিন নিজের জায়গায় বাঁশের বেড়া দিয়েছেন। তবে আহসান সমাজের কাছে আবেদন করলে, যদি সমাজ মনে করে; তাহলে বাঁশের বেড়া উঠিয়ে দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান যুগে এক ঘরে করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। এই ধরনের ঘটনা সত্যি খুব ন্যক্কারজনক। আমাদের প্রশাসনের উচিত দ্রুত ভুক্তভোগীকে আইনি সাহায্য দেওয়া এবং এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িতদের আইনের আওতায় আনা।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ধরনের কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
ফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
৪ মিনিট আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৭ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় দিনদুপুরে ডাকাতিসহ বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে...
২২ মিনিট আগেবরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
৩০ মিনিট আগে