ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধপথে ইতালি যাত্রা বেড়েছে। তবে ভাগ্য সহায় না হলে জীবন ও তাঁর পরিবারে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। কেউ মাফিয়া চক্রের হাতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়, কেউ বা উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান। কেউ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মাফিয়াদের হাত থেকে বেঁচে ফেরেন।
লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের টিটুল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৪)। ওই চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। দেশে ফিরে জানিয়েছেন সেই নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা।
শাকিল মিয়া বলেন, একই এলাকার মুকবুল ঠাকুর ওরফে মুকুল ঠাকুর ও জেলা সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের নুরু উদ্দিনের ফাঁদে পড়ে গত জানুয়ারিতে ইতালির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাত্রাপথে লিবিয়ায় কুমিল্লার বাসিন্দা শরিফ হোসেনের হাতে বন্দী হয়ে দুই মাস ১৭ দিন ধরে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
তাঁর ভাষ্যমতে, ওই চক্রের মূল হোতা কুমিল্লার শরিফুল হোসেন। যিনি মাফিয়া শরিফ নামে পরিচিত। লিবিয়ার ত্রিপোলির জোয়াইন নামক এলাকায় তাঁর রয়েছে বিশাল ‘গেম ঘর’। যেখানে বন্দী রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। শরিফের দলে রয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইমন (২৮), মাদারীপুরের রাজৈরের বিজয় তালুকদার (যিনি খান নামে পরিচিত), সিলেটের সোহাগ, ভৈরবের ইমন মোল্লা ও মুন্সি মো. কুদরতল্লাহ। এর মধ্যে বিজয় তালুকদার মুক্তিপণের টাকা ওঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন।
শাকিল মিয়া আরও বলেন, যাত্রাপথে তাঁকে দুবাই নিয়ে ২৫ দিন রাখা হয়। সেখান থেকে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে দুই দিনের যাত্রা শেষে নেওয়া হয় ত্রিপোলি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছোট্ট একটি রুমে প্রায় অর্ধশত লোককে রাখা হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর মুকুল ঠাকুরকে ফোনে বিষয়গুলো জানান। তিনি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন পরিবারের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে নেয় চক্রটি। এরপর সেখানে প্রায় এক মাস পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।
নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া হতো এবং রাতে খিচুড়ির মতো কিছু খাবার দেওয়া হতো। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেগুলো খাইতাম।’
তিনি বলেন, ‘আবারও এক ব্যক্তি এসে আমাদের প্রস্তুত হতে বলে। প্রায় ৪০ দিন পর আমাদের সাগরপারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫২ জনকে একটি নৌকায় ওঠানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিউনিসিয়ায় সাগরপারে গিয়ে বলে এটা ইতালি এবং নামতে বলা হয়। তখন দালালকে ফোন দিলে আমাদের ওপরে উঠতে বলে। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিউনিসিয়ার পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে। সেখানে এক দিন আটকে রেখে পরদিন লিবিয়া পুলিশের (মিলিশিয়া) হাতে তুলে দেয়। সেখানে পাঁচ দিন একটি রুমে আটকে রাখা হয়। ঠিকমতো খাবার দিত না, নোংরা পানি খেতে দিত। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কান্না করতাম।’
দালাল চক্র ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে আটজনকে: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘সেখান থেকে চার-পাঁচজনকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ দিন পর আমিসহ আটজনকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয়। রাত ১টার দিকে একটি ক্যাম্পে পৌঁছে দেয় পুলিশ। তখন এক মাফিয়া এসে জানতে চায় আমরা কার লোক। তখন আমি বলি নুরু ও মুকুলের লোক। তখন মাফিয়া জানায়, সবাইকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে নুরু ও মুকুল।’
নিয়ম করে দুই বেলা নির্যাতন করা হতো: শাকিল বলেন, ‘মাফিয়ারা আমাদের বাড়িতে ফোন দিতে বলে। তখন বাড়িতে জানাই, দালালেরা আমারে বিক্রি করে দিছে। দুই দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা না দিলে আমাকে মাইরা ফেলবে। ওই মুহূর্তে আমার বাবার ফোন কেটে গেলে তারা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। একজন চেয়ারে বসে থাকে এবং আটজন দাঁড়িয়ে থেকে বাড়িতে ফোনে কথা বলতে বলে। তাদের শেখানো কথা না বললে লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। এভাবে অন্ধকার একটি রুমে প্রতিদিন দুই বেলা করে ১৭ দিন নির্যাতন করে আমাকে। এরপর আমার বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে ওই অন্ধকার রুম থেকে আমাকে বের করে। তখন আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকাতে পারতাম না।’
টাকা না দিলে কিডনি কেটে বিক্রি করা হতো: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘ওই গেম ঘরে তিন-চার শ জনকে আটকে রাখা হয়। আমার কক্ষে ২৫ জনকে আটকে নির্যাতন করা হয়। কারও বাড়ি থেকে টাকা না দিলে খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হতো। এরপর তাদের কিডনি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো। এসব কিডনি স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করে মাফিয়ারা। তাতে অনেকে মারা যান।’
মুক্তিপণের টাকা নেওয়া হয় মাদারীপুর থেকে: শাকিলের মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় মাদারীপুরের রাজৈর থানার কলাগাছিয়া নামক এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে। টাকা আদায়ের সময় শাকিলের পাশে বসে তাঁর বাবাকে ভিডিও কল দিয়ে নির্দেশনা দেন বিজয় তালুকদার। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জমিজমা বিক্রি করে, ধারদেনা করে একাই একটি ব্যাগে ভরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাই। প্রথমে আমাকে ভাঙ্গার গোলচত্বরে যেতে বলে। সেখান থেকে ফোনে মাদারীপুরের দিকে যেতে বলে। এরপর কলাগাছিয়া কলেজের পাশ দিয়ে ফাঁকা মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে বলে। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি এক লোক মাঠের মধ্যে খেত কোপাচ্ছে। তার কিছু দূরে বোরকা পরা এক নারীকে দেখা যায়। এ সময় একটি তালগাছের নিচে টাকার ব্যাগ রাখতে বলে এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে টাকা রেখে চলে আসি।’
ফরিদপুরে দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধপথে ইতালি যাত্রা বেড়েছে। তবে ভাগ্য সহায় না হলে জীবন ও তাঁর পরিবারে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। কেউ মাফিয়া চক্রের হাতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়, কেউ বা উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান। কেউ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মাফিয়াদের হাত থেকে বেঁচে ফেরেন।
লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের টিটুল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৪)। ওই চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। দেশে ফিরে জানিয়েছেন সেই নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা।
শাকিল মিয়া বলেন, একই এলাকার মুকবুল ঠাকুর ওরফে মুকুল ঠাকুর ও জেলা সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের নুরু উদ্দিনের ফাঁদে পড়ে গত জানুয়ারিতে ইতালির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাত্রাপথে লিবিয়ায় কুমিল্লার বাসিন্দা শরিফ হোসেনের হাতে বন্দী হয়ে দুই মাস ১৭ দিন ধরে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
তাঁর ভাষ্যমতে, ওই চক্রের মূল হোতা কুমিল্লার শরিফুল হোসেন। যিনি মাফিয়া শরিফ নামে পরিচিত। লিবিয়ার ত্রিপোলির জোয়াইন নামক এলাকায় তাঁর রয়েছে বিশাল ‘গেম ঘর’। যেখানে বন্দী রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। শরিফের দলে রয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইমন (২৮), মাদারীপুরের রাজৈরের বিজয় তালুকদার (যিনি খান নামে পরিচিত), সিলেটের সোহাগ, ভৈরবের ইমন মোল্লা ও মুন্সি মো. কুদরতল্লাহ। এর মধ্যে বিজয় তালুকদার মুক্তিপণের টাকা ওঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন।
শাকিল মিয়া আরও বলেন, যাত্রাপথে তাঁকে দুবাই নিয়ে ২৫ দিন রাখা হয়। সেখান থেকে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে দুই দিনের যাত্রা শেষে নেওয়া হয় ত্রিপোলি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছোট্ট একটি রুমে প্রায় অর্ধশত লোককে রাখা হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর মুকুল ঠাকুরকে ফোনে বিষয়গুলো জানান। তিনি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন পরিবারের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে নেয় চক্রটি। এরপর সেখানে প্রায় এক মাস পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।
নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া হতো এবং রাতে খিচুড়ির মতো কিছু খাবার দেওয়া হতো। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেগুলো খাইতাম।’
তিনি বলেন, ‘আবারও এক ব্যক্তি এসে আমাদের প্রস্তুত হতে বলে। প্রায় ৪০ দিন পর আমাদের সাগরপারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫২ জনকে একটি নৌকায় ওঠানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিউনিসিয়ায় সাগরপারে গিয়ে বলে এটা ইতালি এবং নামতে বলা হয়। তখন দালালকে ফোন দিলে আমাদের ওপরে উঠতে বলে। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিউনিসিয়ার পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে। সেখানে এক দিন আটকে রেখে পরদিন লিবিয়া পুলিশের (মিলিশিয়া) হাতে তুলে দেয়। সেখানে পাঁচ দিন একটি রুমে আটকে রাখা হয়। ঠিকমতো খাবার দিত না, নোংরা পানি খেতে দিত। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কান্না করতাম।’
দালাল চক্র ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে আটজনকে: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘সেখান থেকে চার-পাঁচজনকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ দিন পর আমিসহ আটজনকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয়। রাত ১টার দিকে একটি ক্যাম্পে পৌঁছে দেয় পুলিশ। তখন এক মাফিয়া এসে জানতে চায় আমরা কার লোক। তখন আমি বলি নুরু ও মুকুলের লোক। তখন মাফিয়া জানায়, সবাইকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে নুরু ও মুকুল।’
নিয়ম করে দুই বেলা নির্যাতন করা হতো: শাকিল বলেন, ‘মাফিয়ারা আমাদের বাড়িতে ফোন দিতে বলে। তখন বাড়িতে জানাই, দালালেরা আমারে বিক্রি করে দিছে। দুই দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা না দিলে আমাকে মাইরা ফেলবে। ওই মুহূর্তে আমার বাবার ফোন কেটে গেলে তারা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। একজন চেয়ারে বসে থাকে এবং আটজন দাঁড়িয়ে থেকে বাড়িতে ফোনে কথা বলতে বলে। তাদের শেখানো কথা না বললে লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। এভাবে অন্ধকার একটি রুমে প্রতিদিন দুই বেলা করে ১৭ দিন নির্যাতন করে আমাকে। এরপর আমার বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে ওই অন্ধকার রুম থেকে আমাকে বের করে। তখন আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকাতে পারতাম না।’
টাকা না দিলে কিডনি কেটে বিক্রি করা হতো: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘ওই গেম ঘরে তিন-চার শ জনকে আটকে রাখা হয়। আমার কক্ষে ২৫ জনকে আটকে নির্যাতন করা হয়। কারও বাড়ি থেকে টাকা না দিলে খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হতো। এরপর তাদের কিডনি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো। এসব কিডনি স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করে মাফিয়ারা। তাতে অনেকে মারা যান।’
মুক্তিপণের টাকা নেওয়া হয় মাদারীপুর থেকে: শাকিলের মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় মাদারীপুরের রাজৈর থানার কলাগাছিয়া নামক এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে। টাকা আদায়ের সময় শাকিলের পাশে বসে তাঁর বাবাকে ভিডিও কল দিয়ে নির্দেশনা দেন বিজয় তালুকদার। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জমিজমা বিক্রি করে, ধারদেনা করে একাই একটি ব্যাগে ভরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাই। প্রথমে আমাকে ভাঙ্গার গোলচত্বরে যেতে বলে। সেখান থেকে ফোনে মাদারীপুরের দিকে যেতে বলে। এরপর কলাগাছিয়া কলেজের পাশ দিয়ে ফাঁকা মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে বলে। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি এক লোক মাঠের মধ্যে খেত কোপাচ্ছে। তার কিছু দূরে বোরকা পরা এক নারীকে দেখা যায়। এ সময় একটি তালগাছের নিচে টাকার ব্যাগ রাখতে বলে এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে টাকা রেখে চলে আসি।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেনড়াইলের কালিয়া উপজেলার ধানখেত থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের ধানখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের পুকুর থেকে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তার এক সহপাঠীকে আটক করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় দুই শিশুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাপল বুধবার রাতে তাঁদের পৃথক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৯ ঘণ্টা আগে