জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু দিয়ে ট্রেনের তিনটি ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ২২০০, ২৯০০ ও ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিনগুলো কালুরঘাট সেতু দিয়ে শহর থেকে বোয়ালখালী অংশে যাতায়াত করে। প্রথমে নতুন দুই ইঞ্জিন ২৯০০ ও ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিন কালুরঘাট সেতু পার হয়। পরে ২২০০ সিরিজের ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের সঙ্গে চট্টগ্রামকে ট্রেনে যুক্ত করতে পুরাতন কালুরঘাট সেতুই একমাত্র ভরসা। তাই জরাজীর্ণ সেতুটির সংস্কার করা হয়েছে। এই সেতু দিয়ে ট্রেন চলতে এখন আর বাধা নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই লক্ষ্যে যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর এই পথে ট্রেন চলবে।
রেলের যান্ত্রিক বিভাগ জানায়, নতুন ইঞ্জিনগুলো বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভারী মিটারগেজ ডিজেল লোকো। ক্ষমতার দিক দিয়েও এরা সবচেয়ে শক্তিশালী মিটারগেজ।
কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রায়াল রানে কোনো সমস্যা আমরা পাইনি। সফলভাবে ট্রায়াল রান শেষ হয়েছে। কক্সবাজার রুটে এখন সব ধরনের ট্রেন চলতে পারবে। বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী কালুরঘাট সেতুটি সংস্কার করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নকশা অনুযায়ী ১১ এক্সেল লোডের রুটটিকে ১৫ এক্সেল লোড ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন করা হয়েছে। নতুন তিন ইঞ্জিন ট্রায়াল রান দিয়ে দেখা হয়েছে।
২০২১ সালের অক্টোবরে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের পর্যবেক্ষক দল সেতু পরিদর্শন করে কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য একটি নকশা দেয়। এই জন্য রেলওয়ে তাদেরকে ৭ কোটি টাকা দেয়।
তবে বুয়েটের প্রতিবেদন বলছে, সংস্কার করা এই সেতু টিকবে ১০ বছর। সংস্কারে ব্যয় ধরা হয় ৬০ কোটি টাকা।
কক্সবাজার রেল প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন জানান, কালুরঘাট সেতুটির আগের এক্সেল লোড ছিল ১১। কিন্তু নতুন ইঞ্জিনের এক্সেল লোড ১৫। বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী, সেতুতে এক্সেল লোড বাড়ানো হয়।
রেলওয়ের প্রকৌশল দপ্তর জানায়, দেশে প্রায় ৩ হাজার ১৮ কিলোমিটার রেললাইন আছে। পূর্বাঞ্চলে ১ হাজার ৩৩৩ এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১ হাজার ৬৮৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে দুই অঞ্চল মিলে এক হাজার কিলোমিটার রেললাইন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু কিছু রেললাইন আছে ৩০ বছরও সংস্কার হয়নি। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-আখাউড়া-সিলেট রুট অনেক পুরোনো। এসব লাইন সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত রেল বহরে যুক্ত হওয়া নতুন ৩০ ইঞ্জিন চালানো যাবে না। তবে বর্তমানে যেসব নতুন রুট তৈরি হচ্ছে সেসব রুটের এক্সেল লোড বাড়ানো হয়েছে। কক্সবাজার রুটেরও এক্সেল লোড বাড়ানো হলো।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের পরিচালক সুবক্তগীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কক্সবাজার ট্রেন উদ্বোধন করা হবে ১১ নভেম্বর। ৭ নভেম্বর এই রুটে ট্রায়াল রান হবে।
এদিকে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে প্রথম ট্রেন যাচ্ছে আগামীকাল রোববার। রেলওয়ের পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদ আটটি বগির সমন্বয়ে এই ট্রেন নিয়ে কক্সবাজারে যাবেন। ট্রেনটি গেলে এটি হবে দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ভ্রমণ করা প্রথম কোনো ট্রেন।
রুহুল কাদের আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাত্রাপথে রেলরুটের যাবতীয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে। রেল রুটের সব কটি স্টেশন ঠিকঠাক আছে কি না, কোনো ত্রুটি দেখা দিচ্ছে কি না, এসব মূলত তিনি দেখবেন।
১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।
শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকায়। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতাভুক্ত।
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু দিয়ে ট্রেনের তিনটি ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ২২০০, ২৯০০ ও ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিনগুলো কালুরঘাট সেতু দিয়ে শহর থেকে বোয়ালখালী অংশে যাতায়াত করে। প্রথমে নতুন দুই ইঞ্জিন ২৯০০ ও ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিন কালুরঘাট সেতু পার হয়। পরে ২২০০ সিরিজের ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের সঙ্গে চট্টগ্রামকে ট্রেনে যুক্ত করতে পুরাতন কালুরঘাট সেতুই একমাত্র ভরসা। তাই জরাজীর্ণ সেতুটির সংস্কার করা হয়েছে। এই সেতু দিয়ে ট্রেন চলতে এখন আর বাধা নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই লক্ষ্যে যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর এই পথে ট্রেন চলবে।
রেলের যান্ত্রিক বিভাগ জানায়, নতুন ইঞ্জিনগুলো বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভারী মিটারগেজ ডিজেল লোকো। ক্ষমতার দিক দিয়েও এরা সবচেয়ে শক্তিশালী মিটারগেজ।
কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রায়াল রানে কোনো সমস্যা আমরা পাইনি। সফলভাবে ট্রায়াল রান শেষ হয়েছে। কক্সবাজার রুটে এখন সব ধরনের ট্রেন চলতে পারবে। বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী কালুরঘাট সেতুটি সংস্কার করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নকশা অনুযায়ী ১১ এক্সেল লোডের রুটটিকে ১৫ এক্সেল লোড ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন করা হয়েছে। নতুন তিন ইঞ্জিন ট্রায়াল রান দিয়ে দেখা হয়েছে।
২০২১ সালের অক্টোবরে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের পর্যবেক্ষক দল সেতু পরিদর্শন করে কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য একটি নকশা দেয়। এই জন্য রেলওয়ে তাদেরকে ৭ কোটি টাকা দেয়।
তবে বুয়েটের প্রতিবেদন বলছে, সংস্কার করা এই সেতু টিকবে ১০ বছর। সংস্কারে ব্যয় ধরা হয় ৬০ কোটি টাকা।
কক্সবাজার রেল প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন জানান, কালুরঘাট সেতুটির আগের এক্সেল লোড ছিল ১১। কিন্তু নতুন ইঞ্জিনের এক্সেল লোড ১৫। বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী, সেতুতে এক্সেল লোড বাড়ানো হয়।
রেলওয়ের প্রকৌশল দপ্তর জানায়, দেশে প্রায় ৩ হাজার ১৮ কিলোমিটার রেললাইন আছে। পূর্বাঞ্চলে ১ হাজার ৩৩৩ এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১ হাজার ৬৮৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে দুই অঞ্চল মিলে এক হাজার কিলোমিটার রেললাইন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু কিছু রেললাইন আছে ৩০ বছরও সংস্কার হয়নি। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-আখাউড়া-সিলেট রুট অনেক পুরোনো। এসব লাইন সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত রেল বহরে যুক্ত হওয়া নতুন ৩০ ইঞ্জিন চালানো যাবে না। তবে বর্তমানে যেসব নতুন রুট তৈরি হচ্ছে সেসব রুটের এক্সেল লোড বাড়ানো হয়েছে। কক্সবাজার রুটেরও এক্সেল লোড বাড়ানো হলো।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের পরিচালক সুবক্তগীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কক্সবাজার ট্রেন উদ্বোধন করা হবে ১১ নভেম্বর। ৭ নভেম্বর এই রুটে ট্রায়াল রান হবে।
এদিকে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে প্রথম ট্রেন যাচ্ছে আগামীকাল রোববার। রেলওয়ের পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদ আটটি বগির সমন্বয়ে এই ট্রেন নিয়ে কক্সবাজারে যাবেন। ট্রেনটি গেলে এটি হবে দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ভ্রমণ করা প্রথম কোনো ট্রেন।
রুহুল কাদের আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাত্রাপথে রেলরুটের যাবতীয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে। রেল রুটের সব কটি স্টেশন ঠিকঠাক আছে কি না, কোনো ত্রুটি দেখা দিচ্ছে কি না, এসব মূলত তিনি দেখবেন।
১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।
শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকায়। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতাভুক্ত।
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপককে ববির গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করায় এই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
৩১ মিনিট আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের বৈরাটি গ্রাম। উপজেলা শহর থেকে এ গ্রামের দূরত্ব অন্তত ১০ কিলোমিটার। কয়েক বছর আগেও পড়ন্ত বেলায় গ্রামটিতে শোনা যেতে শিশু-কিশোরদের হইহুল্লোড়
১ ঘণ্টা আগেনিজেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ছাত্রী পরিচয় দিয়ে ভর্তি এক রোগীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণীকে
১ ঘণ্টা আগেআরামদায়ক ও যানজটমুক্ত ভ্রমণের জন্য এখনো অনেকের কাছে পছন্দ ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথ। তবে চাঁদপুর টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য নেই তেমন সুযোগ-সুবিধা। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে