লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
হামলা, ভাঙচুর ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীরসহ ৩৫ জনের নামে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু। বৃহস্পতিবার সকালে সাহাবুদ্দিন সাবু আদালতে হাজির হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মো. নোমান এই আবেদন আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিকী, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক এডিজি মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মিজানুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাউদ্দিন টিপু, সাবেক মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া প্রমুখ।
মামলার বাদী ও আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ভোরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কর্নেল তারেক সাইদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুর শহরের বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে সাহাবুদ্দিন সাবু আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে আটক করে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে পায়ে গুলি করা হয়।
এ খবর শুনে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েলসহ নেতা-কর্মীরা চকবাজার এলাকায় মিছিল বের করলে র্যাব ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় সাইফুল ইসলাম জুয়েল, মাহাবুবু হোসেন ও শিহাবসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে র্যাব সদস্যরা চকবাজার এলাকা থেকে জুয়েলকে তুলে নিয়ে গেলে আজও তাঁর হদিস মেলেনি।
ওই দিন শহরে রণক্ষেত্র তৈরি করেন র্যাব, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে র্যাব সদস্যরা পুলিশ লাইনে প্রবেশ করলে সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও থানা বা আদালতে মামলা করা সম্ভব হয়নি। প্রায় এক যুগ পর এ ঘটনায় মামলা করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ডাকে সারা দেশে সরকারপতনের আন্দোলন চলছিল। ১২ ডিসেম্বর ভোরে শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর গুলি ছোড়ে। চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে দেওয়া হয়নি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন তিনি।
মামলার আইনজীবী আহাম্মদ ফেরদৌস মানিক বলেন, ‘আদালত আবেদন আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে মামলা হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ন্যায়বিচার চাই। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
হামলা, ভাঙচুর ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীরসহ ৩৫ জনের নামে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু। বৃহস্পতিবার সকালে সাহাবুদ্দিন সাবু আদালতে হাজির হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মো. নোমান এই আবেদন আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিকী, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক এডিজি মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মিজানুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাউদ্দিন টিপু, সাবেক মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া প্রমুখ।
মামলার বাদী ও আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ভোরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কর্নেল তারেক সাইদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুর শহরের বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে সাহাবুদ্দিন সাবু আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে আটক করে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে পায়ে গুলি করা হয়।
এ খবর শুনে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েলসহ নেতা-কর্মীরা চকবাজার এলাকায় মিছিল বের করলে র্যাব ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় সাইফুল ইসলাম জুয়েল, মাহাবুবু হোসেন ও শিহাবসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে র্যাব সদস্যরা চকবাজার এলাকা থেকে জুয়েলকে তুলে নিয়ে গেলে আজও তাঁর হদিস মেলেনি।
ওই দিন শহরে রণক্ষেত্র তৈরি করেন র্যাব, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে র্যাব সদস্যরা পুলিশ লাইনে প্রবেশ করলে সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও থানা বা আদালতে মামলা করা সম্ভব হয়নি। প্রায় এক যুগ পর এ ঘটনায় মামলা করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ডাকে সারা দেশে সরকারপতনের আন্দোলন চলছিল। ১২ ডিসেম্বর ভোরে শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর গুলি ছোড়ে। চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে দেওয়া হয়নি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন তিনি।
মামলার আইনজীবী আহাম্মদ ফেরদৌস মানিক বলেন, ‘আদালত আবেদন আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে মামলা হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ন্যায়বিচার চাই। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেনড়াইলের কালিয়া উপজেলার ধানখেত থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের ধানখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের পুকুর থেকে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তার এক সহপাঠীকে আটক করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় দুই শিশুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাপল বুধবার রাতে তাঁদের পৃথক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৯ ঘণ্টা আগে