জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
কিছুদিন পরেই চালু হচ্ছে পর্যটনমুখী ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেস। শুধু পর্যটকদের জন্য বরাদ্দ রেখে মাত্র একটি স্টপেজ রাখা হয়েছে। এটিতে রয়েছে উন্নতমানের বগি। থাকছে অটোমেটিক ক্লোজ ডোর সিস্টেম ও বায়ো টয়লেট। এমন ট্রেনে পর্যটকদের কারা সেবা দেবেন, উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব কারা পাবেন—সেটি বড় এখন বড় আলোচনার বিষয়।
কারণ, এখন চলাচল করা সব কটি আন্তনগর ট্রেন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এমন অবস্থায় ট্রেনটিতে ভালো সেবা দেওয়া না হলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। রেলে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি ঠেকাতে তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ট্রেনে যাঁরা খাবার সরবরাহ দিতেন, এঁদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযানও পরিচালনা করেন। জরিমানাও করেছেন বেশ কয়েকবার।
আলোচিত এই কর্মকর্তা মনে করেন, বর্তমানে ট্রেনে সেবার দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো কোনোভাবেই ভালো সেবা দিতে পারবে না। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখন ট্রেনে যাঁরা সেবা দিচ্ছেন, তাঁদের মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। আমি যত দিন কাজ করেছি, এঁদের বিরুদ্ধে শুধু অভিযোগ পেয়েছি। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি হবে শুধু পর্যটকদের জন্য। তাই এখানে উন্নতমানের সেবা দেওয়া দরকার। বিশেষ করে, খাবার পরিবেশনটা যাতে উন্নতমানের হয়। কম দামে ফ্রেশ ও ভেজালমুক্ত খাবার পরিবেশন করতে না পারলে, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’
বেসরকারিভাবে রেলে যাঁরা সেবা দেন বা দায়িত্ব পান, তাঁদের অনবোর্ড বা ক্যাটারিং সার্ভিস বলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের সব কটি আন্তনগর ট্রেনে যাত্রীদের সেবা দেওয়া হয়। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, ট্রেনে যাত্রীদের বসার আসন, টেবিল ও জানালার আশপাশ ডাস্টার দিয়ে পরিষ্কার করবেন স্টুয়ার্ডরা (ট্রেনের বগিতে দায়িত্বরত কর্মচারী)। ট্রেন ছাড়ার ঠিক আগে অ্যারোসল ও এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে মশা ও পোকামাকড় মারা এবং দুর্গন্ধ দূর করার দায়িত্ব তাঁদের। কিছুক্ষণ পরপর টয়লেট পরিষ্কার করা ও যাত্রীদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থাসহ পত্রিকা সরবরাহ করার শর্তও আছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, বর্তমানে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন পরিচালনা করছে মো. শাহ আলমের মেসার্স এস এ করপোরেশন। তাঁর স্ত্রীও দুটি ট্রেন পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। স্ত্রী ইয়াসমিন আলমের সপ্নীল অ্যাসোসিয়েশন পরিচালনা করছে মহানগর গোধূলী ও তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেন। তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন পরিচালনার দায়িত্বে জান্নাতুল নাঈমের জান্নাত ট্রেডিং, মো. তোফ্ফাজল হোসেনের মেসার্স প্রগতি রেলওয়ে ক্যাটারস পরিচালনা করছে পারাবত এক্সপ্রেস, মো. শহিদুল ইসলামের শাহ আমানত এক্সপ্রেস পরিচালনা করছে মহানগর ও বিজয় এক্সপ্রেস, মো. ওবায়দুল হকের মেসার্স ওবায়দুল হক অ্যান্ড সন্স পরিচালনা করছে কালনী এক্সপ্রেস, মো. আলমগীরের মাহী কনসোর্টিয়াম পরিচালনা করছে হাওর এক্সপ্রেস, মো. মামুন হোসেনের মেসার্স হাবিব বাণিজ্য বিতান পরিচালনা করছে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন ও মো. শহিদুল ইসলামের সামির এন্টারপ্রাইজ পরিচালনা করছে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস।
চার বছরের জন্য রেলওয়ে এই ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ট্রেন পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। যাত্রীদের ১৫টি সেবাসহ ৪২টি শর্তে (উপশর্তসহ) এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে রেলওয়ে। বিনিময়ে রেলওয়ে প্রতি মাসে কোনোটিতে ৫ লাখ আর কোনোটিতে ৬ লাখ টাকাসহ ৯টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা দিচ্ছে। সে হিসাবে বছরে ৬ কোটি ও ৪ বছরে ২৪ কোটি টাকা নিয়ে নিচ্ছে এই ৯ প্রতিষ্ঠান।
অভিযোগ আছে, কোনো প্রতিষ্ঠানই শর্তপূরণ করছে না। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের প্রমাণও পাওয়া গেছে। ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে, এই ট্রেনে এখনো কাউকে অনবোর্ড বা ক্যাটারিং সার্ভিসের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সামনে দরপত্র আহ্বান করে সেবার দায়িত্ব দেবে রেলওয়ে। এমন অবস্থায় ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানকে ট্রেনের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিএম) নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু এই ট্রেনটি স্পেশাল, সে জন্য ভালো প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। পর্যটক বা যাত্রীদের কোনো অভিযোগ যাতে না আসে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।’
কিছুদিন পরেই চালু হচ্ছে পর্যটনমুখী ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেস। শুধু পর্যটকদের জন্য বরাদ্দ রেখে মাত্র একটি স্টপেজ রাখা হয়েছে। এটিতে রয়েছে উন্নতমানের বগি। থাকছে অটোমেটিক ক্লোজ ডোর সিস্টেম ও বায়ো টয়লেট। এমন ট্রেনে পর্যটকদের কারা সেবা দেবেন, উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব কারা পাবেন—সেটি বড় এখন বড় আলোচনার বিষয়।
কারণ, এখন চলাচল করা সব কটি আন্তনগর ট্রেন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এমন অবস্থায় ট্রেনটিতে ভালো সেবা দেওয়া না হলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। রেলে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি ঠেকাতে তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ট্রেনে যাঁরা খাবার সরবরাহ দিতেন, এঁদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযানও পরিচালনা করেন। জরিমানাও করেছেন বেশ কয়েকবার।
আলোচিত এই কর্মকর্তা মনে করেন, বর্তমানে ট্রেনে সেবার দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো কোনোভাবেই ভালো সেবা দিতে পারবে না। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখন ট্রেনে যাঁরা সেবা দিচ্ছেন, তাঁদের মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। আমি যত দিন কাজ করেছি, এঁদের বিরুদ্ধে শুধু অভিযোগ পেয়েছি। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি হবে শুধু পর্যটকদের জন্য। তাই এখানে উন্নতমানের সেবা দেওয়া দরকার। বিশেষ করে, খাবার পরিবেশনটা যাতে উন্নতমানের হয়। কম দামে ফ্রেশ ও ভেজালমুক্ত খাবার পরিবেশন করতে না পারলে, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’
বেসরকারিভাবে রেলে যাঁরা সেবা দেন বা দায়িত্ব পান, তাঁদের অনবোর্ড বা ক্যাটারিং সার্ভিস বলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের সব কটি আন্তনগর ট্রেনে যাত্রীদের সেবা দেওয়া হয়। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, ট্রেনে যাত্রীদের বসার আসন, টেবিল ও জানালার আশপাশ ডাস্টার দিয়ে পরিষ্কার করবেন স্টুয়ার্ডরা (ট্রেনের বগিতে দায়িত্বরত কর্মচারী)। ট্রেন ছাড়ার ঠিক আগে অ্যারোসল ও এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে মশা ও পোকামাকড় মারা এবং দুর্গন্ধ দূর করার দায়িত্ব তাঁদের। কিছুক্ষণ পরপর টয়লেট পরিষ্কার করা ও যাত্রীদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থাসহ পত্রিকা সরবরাহ করার শর্তও আছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, বর্তমানে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন পরিচালনা করছে মো. শাহ আলমের মেসার্স এস এ করপোরেশন। তাঁর স্ত্রীও দুটি ট্রেন পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। স্ত্রী ইয়াসমিন আলমের সপ্নীল অ্যাসোসিয়েশন পরিচালনা করছে মহানগর গোধূলী ও তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেন। তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন পরিচালনার দায়িত্বে জান্নাতুল নাঈমের জান্নাত ট্রেডিং, মো. তোফ্ফাজল হোসেনের মেসার্স প্রগতি রেলওয়ে ক্যাটারস পরিচালনা করছে পারাবত এক্সপ্রেস, মো. শহিদুল ইসলামের শাহ আমানত এক্সপ্রেস পরিচালনা করছে মহানগর ও বিজয় এক্সপ্রেস, মো. ওবায়দুল হকের মেসার্স ওবায়দুল হক অ্যান্ড সন্স পরিচালনা করছে কালনী এক্সপ্রেস, মো. আলমগীরের মাহী কনসোর্টিয়াম পরিচালনা করছে হাওর এক্সপ্রেস, মো. মামুন হোসেনের মেসার্স হাবিব বাণিজ্য বিতান পরিচালনা করছে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন ও মো. শহিদুল ইসলামের সামির এন্টারপ্রাইজ পরিচালনা করছে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস।
চার বছরের জন্য রেলওয়ে এই ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ট্রেন পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। যাত্রীদের ১৫টি সেবাসহ ৪২টি শর্তে (উপশর্তসহ) এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে রেলওয়ে। বিনিময়ে রেলওয়ে প্রতি মাসে কোনোটিতে ৫ লাখ আর কোনোটিতে ৬ লাখ টাকাসহ ৯টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা দিচ্ছে। সে হিসাবে বছরে ৬ কোটি ও ৪ বছরে ২৪ কোটি টাকা নিয়ে নিচ্ছে এই ৯ প্রতিষ্ঠান।
অভিযোগ আছে, কোনো প্রতিষ্ঠানই শর্তপূরণ করছে না। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের প্রমাণও পাওয়া গেছে। ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে, এই ট্রেনে এখনো কাউকে অনবোর্ড বা ক্যাটারিং সার্ভিসের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সামনে দরপত্র আহ্বান করে সেবার দায়িত্ব দেবে রেলওয়ে। এমন অবস্থায় ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানকে ট্রেনের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিএম) নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু এই ট্রেনটি স্পেশাল, সে জন্য ভালো প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। পর্যটক বা যাত্রীদের কোনো অভিযোগ যাতে না আসে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৬ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৭ ঘণ্টা আগে