জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম জেলার ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে চলছে ক্রিকেট লীগ। এতে চার-ছক্কায় মেতে উঠছে পুরো স্টেডিয়াম। দর্শকেরও কমতি ছিল না। এই স্টেডিয়ামের চার পাশে রয়েছে ২৫টি রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্ট ঘিরে রয়েছে খেতে আসা মানুষের জমজমাট আড্ডা। ঢাকার বেইলি রোডের মতো এখানেও কয়েক মিনিটে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কারণ রেস্টুরেন্টগুলোতে নেই ফায়ার সেফটি।
জ্বালানি হিসেবে প্রতিদিন অদলবদল হয় শতাধিক সিলিন্ডার গ্যাসও। যা প্রায়ই আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের ভেন্যুতে আগুনের বড় ঝুঁকি তৈরি করে। চট্টগ্রামের জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার তালিকাভুক্ত এই এম এ আজিজ স্টেডিয়াম নগরের কাজির দেউড়ি এলাকায়। এখানেই ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। যেটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। ২০১৩ সালের বিপিএলও এখানেই হয়েছিল।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ না হলেও জাতীয় সব লীগই এখানে হয়। আন্তর্জাতিক দলগুলোর প্র্যাকটিস সেশনও এখানে হয়। শেখ কামাল ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব কাপও এবং গত দুই মাসে ১০টি বিদেশি অংশগ্রহণকারী দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হয়েছে এখানে। এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেডিয়াম ঘিরে রেখেছে গ্যাস বোমায়। কারণ এখানকার সব রেস্টুরেন্ট আগুনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে কোনো রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটির দেখা মেলেনি। নেই আগুন নেভানোর ফায়ার এক্সটিংগুইশারও। গ্যাস সিলিন্ডারগুলোও খুব পুরোনো দেখা গেছে। স্টেডিয়াম ঘিরে রয়েছে গ্যালারি, রেড চিলি, সাব জিরো, হাঙ্গার জোন, সাকুরা কাবাব, দারুল কাবাব, রোদেলা বিকেল, রয়েল হাট, কুটুমবাড়ি ও লবস্টারের মতো ২৫টি রেস্টুরেন্ট। প্রতিটি রেস্টুরেন্টে অন্তত পাঁচটি গ্যাস সিলিন্ডারের দেখা মিলেছে। তাও আগুন নিরোধক ব্যবস্থা ছাড়াই। রয়েল হাট রেস্তোরাঁয় ছয়টি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময় রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ রাখা হলেও ঘরোয়া ম্যাচ ও বিদেশি দলের অনুশীলনের সময় এগুলো খোলা থাকে। কিন্তু অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার অভাবে গ্যাস সিলিন্ডারগুলো ব্যবহার না করলেও হুমকি থেকে যায়। এ ছাড়া কোনো ম্যাচ বা অনুশীলন সেশন না হলেও প্রতিদিন শত শত মানুষ স্টেডিয়ামের রেস্তোরাঁ ও দোকানে আসেন। সুতরাং রেস্তোরাঁয় গ্যাস সিলিন্ডার রাখা খেলোয়াড় ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি।
যেকোনো সময় এগুলোর বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে মনে করেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের উপসহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, একটি স্টেডিয়ামে দুই স্তরের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার প্রয়োজন। কিন্তু স্টেডিয়ামের রেস্তোরাঁগুলোতে আগুন নেভাতে একক স্তরের ব্যবস্থাও নেই। এ ছাড়া স্টেডিয়ামে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার জন্য খেলোয়াড় ও দর্শকদের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা সতর্কতা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক হেলাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশ ঘুরেছি, সেখানে কোনো দেশ তাদের স্টেডিয়ামে বাণিজ্যিক দোকান বা রেস্তোরাঁর অনুমতি দেয় না।’
স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা তদারক করার দায়িত্ব চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার। এই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব রেস্টুরেন্টে পর্যাপ্ত ফায়ার সেফটির বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়ভার সংশ্লিষ্ট সংস্থার। আমাদের পক্ষ থেকেও এখানকার রেস্টুরেন্টে মালিকদের ফায়ার সেফটির বিষয়টি দেখভাল করার অনুরোধ করেছি। যদি তারা এটি না করে, তাহলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নিতে পারে।’
চট্টগ্রাম জেলার ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে চলছে ক্রিকেট লীগ। এতে চার-ছক্কায় মেতে উঠছে পুরো স্টেডিয়াম। দর্শকেরও কমতি ছিল না। এই স্টেডিয়ামের চার পাশে রয়েছে ২৫টি রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্ট ঘিরে রয়েছে খেতে আসা মানুষের জমজমাট আড্ডা। ঢাকার বেইলি রোডের মতো এখানেও কয়েক মিনিটে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কারণ রেস্টুরেন্টগুলোতে নেই ফায়ার সেফটি।
জ্বালানি হিসেবে প্রতিদিন অদলবদল হয় শতাধিক সিলিন্ডার গ্যাসও। যা প্রায়ই আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের ভেন্যুতে আগুনের বড় ঝুঁকি তৈরি করে। চট্টগ্রামের জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার তালিকাভুক্ত এই এম এ আজিজ স্টেডিয়াম নগরের কাজির দেউড়ি এলাকায়। এখানেই ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। যেটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। ২০১৩ সালের বিপিএলও এখানেই হয়েছিল।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ না হলেও জাতীয় সব লীগই এখানে হয়। আন্তর্জাতিক দলগুলোর প্র্যাকটিস সেশনও এখানে হয়। শেখ কামাল ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব কাপও এবং গত দুই মাসে ১০টি বিদেশি অংশগ্রহণকারী দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হয়েছে এখানে। এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেডিয়াম ঘিরে রেখেছে গ্যাস বোমায়। কারণ এখানকার সব রেস্টুরেন্ট আগুনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে কোনো রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটির দেখা মেলেনি। নেই আগুন নেভানোর ফায়ার এক্সটিংগুইশারও। গ্যাস সিলিন্ডারগুলোও খুব পুরোনো দেখা গেছে। স্টেডিয়াম ঘিরে রয়েছে গ্যালারি, রেড চিলি, সাব জিরো, হাঙ্গার জোন, সাকুরা কাবাব, দারুল কাবাব, রোদেলা বিকেল, রয়েল হাট, কুটুমবাড়ি ও লবস্টারের মতো ২৫টি রেস্টুরেন্ট। প্রতিটি রেস্টুরেন্টে অন্তত পাঁচটি গ্যাস সিলিন্ডারের দেখা মিলেছে। তাও আগুন নিরোধক ব্যবস্থা ছাড়াই। রয়েল হাট রেস্তোরাঁয় ছয়টি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময় রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ রাখা হলেও ঘরোয়া ম্যাচ ও বিদেশি দলের অনুশীলনের সময় এগুলো খোলা থাকে। কিন্তু অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার অভাবে গ্যাস সিলিন্ডারগুলো ব্যবহার না করলেও হুমকি থেকে যায়। এ ছাড়া কোনো ম্যাচ বা অনুশীলন সেশন না হলেও প্রতিদিন শত শত মানুষ স্টেডিয়ামের রেস্তোরাঁ ও দোকানে আসেন। সুতরাং রেস্তোরাঁয় গ্যাস সিলিন্ডার রাখা খেলোয়াড় ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি।
যেকোনো সময় এগুলোর বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে মনে করেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের উপসহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, একটি স্টেডিয়ামে দুই স্তরের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার প্রয়োজন। কিন্তু স্টেডিয়ামের রেস্তোরাঁগুলোতে আগুন নেভাতে একক স্তরের ব্যবস্থাও নেই। এ ছাড়া স্টেডিয়ামে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার জন্য খেলোয়াড় ও দর্শকদের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা সতর্কতা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক হেলাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশ ঘুরেছি, সেখানে কোনো দেশ তাদের স্টেডিয়ামে বাণিজ্যিক দোকান বা রেস্তোরাঁর অনুমতি দেয় না।’
স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা তদারক করার দায়িত্ব চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার। এই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব রেস্টুরেন্টে পর্যাপ্ত ফায়ার সেফটির বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়ভার সংশ্লিষ্ট সংস্থার। আমাদের পক্ষ থেকেও এখানকার রেস্টুরেন্টে মালিকদের ফায়ার সেফটির বিষয়টি দেখভাল করার অনুরোধ করেছি। যদি তারা এটি না করে, তাহলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নিতে পারে।’
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
৯ মিনিট আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৫ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগে