রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগতির উপকূলীয় মেঘনা নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে। আর এ কারণে এই এলাকায় ইলিশের উপস্থিতি কমে গেছে। মেঘনাপাড়ের বাসিন্দা, জেলে, স্থানীয় বাসিন্দাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
রামগতি বাজার সংলগ্ন দুটি, আলেকজান্ডার বাজারের দক্ষিণে তিনটিসহ লক্ষ্মীপুর জেলার ৭৬ কিলোমিটার মেঘনা এলাকায় গত পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে ১০টি চর দৃশ্যমান হয়েছে। এসব চরের বেশির ভাগই এখন চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত। অন্যদিকে রামগতি থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া পর্যন্ত অনেকগুলো চর রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা পরিতোষ চক্রবর্তী বলেন, গত পাঁচ-সাত বছরে চাঁদপুর সীমানা থেকে একেবারে নোয়াখালীর হাতিয়া পর্যন্ত মেঘনা নদীর বিশাল এলাকায় অসংখ্য চর দৃশ্যমান হয়েছে। আরও অজস্র ডুবোচর তৈরি হয়েছে। নদীতে চরের কারণে নৌকা চলাচলে বিপত্তিসহ নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
জমির মাঝি বলেন, দৃশ্যমান এ চরগুলো ছাড়াও রামগতির টাংকি বাজার পর্যন্ত আরও অন্তত ছয়টি বড় ডুবোচর রয়েছে। যেগুলো বর্ষায় দেখা না গেলেও শীত মৌসুমে ভাটার সময় দেখা যায়। পুরো মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুর সীমানায় এখন অসংখ্য চর রয়েছে।
শেখ রাসেল ব্রিজ ঘাটের মাছের আড়তদার মো. হাসান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে মেঘনা নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। ইলিশের জন্য জেলেদের ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে সাগরে যেতে হচ্ছে। সাগর থেকে ইলিশ এনে জেলেরা নদীর ঘাটে বিক্রি করছে। বর্ষায় এখন আর নদীতে প্রচুর ইলিশ আসে না। চলতি বছরের শুরুতে শীত মৌসুমে মেঘনায় ইলিশের দেখা পায়নি জেলেরা। দু-চারটি করে ইলিশ পেলেও তাতে নৌকার জ্বালানি খরচও ওঠে না।
মাছ ব্যবসায়ী ছারওয়ার বলেন, গত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশ কমে গেছে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ। তবে এ সময় বিগত বছরগুলোর তুলনায় মেঘনার এ সীমানায় পোয়া ও রিঠা মাছ বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ।
আবদুর রব মাঝি বলেন, মৌসুমে ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলে, আড়তদার, পাইকার, দাদন ব্যবসায়ী, মৎস্য শ্রমিক ও জেলে পরিবারগুলোতে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া।
উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৪২ হাজার। এর মধ্যে রামগতিতে নিবন্ধিত রয়েছেন ২০ হাজার জেলে। জেলার অধিকাংশ জেলের বসবাস রামগতির উপকূলে। কিন্তু গত দুই বছর ধরে নদীতে আশানুরূপ ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলেদের জীবিকা নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে। ইলিশ গভীর জলের মাছ। তাই নদীতে গভীরতা না থাকলে ইলিশও গতিবিধি পরিবর্তন করে। ফলে আশানুরূপ ইলিশ আসতে পারছে না।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে সৃষ্ট বহু চর ও নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার কারণে সমুদ্র থেকে ইলিশ মিঠাপানিতে আসতে বাধা পেয়ে গতিপথ পরিবর্তন করছে। সামনে এ অবস্থা চলতে থাকলে মেঘনায় ইলিশ আরও কমে যাবে। নদীতে চর পড়ে গেছে এবং পানি কমে গেছে। তাই ইলিশ মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। পানি বাড়লে ইলিশের পরিমাণও বাড়বে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতির উপকূলীয় মেঘনা নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে। আর এ কারণে এই এলাকায় ইলিশের উপস্থিতি কমে গেছে। মেঘনাপাড়ের বাসিন্দা, জেলে, স্থানীয় বাসিন্দাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
রামগতি বাজার সংলগ্ন দুটি, আলেকজান্ডার বাজারের দক্ষিণে তিনটিসহ লক্ষ্মীপুর জেলার ৭৬ কিলোমিটার মেঘনা এলাকায় গত পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে ১০টি চর দৃশ্যমান হয়েছে। এসব চরের বেশির ভাগই এখন চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত। অন্যদিকে রামগতি থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া পর্যন্ত অনেকগুলো চর রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা পরিতোষ চক্রবর্তী বলেন, গত পাঁচ-সাত বছরে চাঁদপুর সীমানা থেকে একেবারে নোয়াখালীর হাতিয়া পর্যন্ত মেঘনা নদীর বিশাল এলাকায় অসংখ্য চর দৃশ্যমান হয়েছে। আরও অজস্র ডুবোচর তৈরি হয়েছে। নদীতে চরের কারণে নৌকা চলাচলে বিপত্তিসহ নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
জমির মাঝি বলেন, দৃশ্যমান এ চরগুলো ছাড়াও রামগতির টাংকি বাজার পর্যন্ত আরও অন্তত ছয়টি বড় ডুবোচর রয়েছে। যেগুলো বর্ষায় দেখা না গেলেও শীত মৌসুমে ভাটার সময় দেখা যায়। পুরো মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুর সীমানায় এখন অসংখ্য চর রয়েছে।
শেখ রাসেল ব্রিজ ঘাটের মাছের আড়তদার মো. হাসান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে মেঘনা নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। ইলিশের জন্য জেলেদের ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে সাগরে যেতে হচ্ছে। সাগর থেকে ইলিশ এনে জেলেরা নদীর ঘাটে বিক্রি করছে। বর্ষায় এখন আর নদীতে প্রচুর ইলিশ আসে না। চলতি বছরের শুরুতে শীত মৌসুমে মেঘনায় ইলিশের দেখা পায়নি জেলেরা। দু-চারটি করে ইলিশ পেলেও তাতে নৌকার জ্বালানি খরচও ওঠে না।
মাছ ব্যবসায়ী ছারওয়ার বলেন, গত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশ কমে গেছে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ। তবে এ সময় বিগত বছরগুলোর তুলনায় মেঘনার এ সীমানায় পোয়া ও রিঠা মাছ বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ।
আবদুর রব মাঝি বলেন, মৌসুমে ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলে, আড়তদার, পাইকার, দাদন ব্যবসায়ী, মৎস্য শ্রমিক ও জেলে পরিবারগুলোতে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া।
উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৪২ হাজার। এর মধ্যে রামগতিতে নিবন্ধিত রয়েছেন ২০ হাজার জেলে। জেলার অধিকাংশ জেলের বসবাস রামগতির উপকূলে। কিন্তু গত দুই বছর ধরে নদীতে আশানুরূপ ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলেদের জীবিকা নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে। ইলিশ গভীর জলের মাছ। তাই নদীতে গভীরতা না থাকলে ইলিশও গতিবিধি পরিবর্তন করে। ফলে আশানুরূপ ইলিশ আসতে পারছে না।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে সৃষ্ট বহু চর ও নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার কারণে সমুদ্র থেকে ইলিশ মিঠাপানিতে আসতে বাধা পেয়ে গতিপথ পরিবর্তন করছে। সামনে এ অবস্থা চলতে থাকলে মেঘনায় ইলিশ আরও কমে যাবে। নদীতে চর পড়ে গেছে এবং পানি কমে গেছে। তাই ইলিশ মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। পানি বাড়লে ইলিশের পরিমাণও বাড়বে।
বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
৯ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
৪৪ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
৪৪ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
৪৪ মিনিট আগে