ধর্ষণ মামলায় খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সদ্য বিদায়ী ও ফটিকছড়ি উপজেলার সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরকে (৪৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় নির্বাচন অফিস তাঁকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়। একই মামলায় ফটিকছড়ি উপজেলার আনসার কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইদুল ইসলামকেও (৫০) জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শারমিন জাহান তাঁদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

ফটিকছড়ি উপজেলার আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ও উপজেলা বিদায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী গৃহকর্মী (৪৭) মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় আরও দুজনকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়। তাঁরা হলেন, ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ইয়াকুব আলী (৬০) ও আরেক গৃহকর্মী শিখা শীল (৪৫)। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ভবনে ভাড়া থাকতেন উপজেলা আনসার কমান্ডার সাইদুল ইসলাম ও নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। ওই বাসায় রান্নার কাজ করতেন অভিযোগকারী নারী। গত ২৭ মার্চ সাইদুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবির তাঁকে ধর্ষণ করেছেন বলে গত ২২ মে ফটিকছড়ি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। 

ঘটনার সময় নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। গত ২৮ এপ্রিল তাঁকে ফটিকছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় বদলি করা হয়। এরই মধ্যে হুমায়ূন কবিরকে রামগড় থেকে খাগড়াছড়ি নির্বাচন অফিসের থানা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন অফিস তাঁকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়। 

খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান শাস্তিমূলক বদলি ও চাকরি থেকে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত হুমায়ুন করিবকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর পর নির্বাচন কমিশন থেকে তাঁকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।