খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে গণপিটুনিতে ইউপিডিএফ কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে আজ সোমবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা একটি অটোরিকশা ভাঙচুরসহ চালককে মারধর করেন। মিছিল শেষে আগামী ৫ এপ্রিল সকাল-সন্ধ্যা পাঁচ উপজেলা ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছেন ইউপিডিএফের উপজেলা পোস্ট পরিচালক অংশি মারমা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, সোমবার দুপুর ১টায় উপজেলার জামতল এলাকায় ইউপিডিএফ সমর্থিত পিসিপি, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ৬০-৭০ জন নেতা-কর্মী আচমকা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে এবং চালক ভিডিপি সদস্য মো. শাহাবুল ইসলামকে (৪৫) মারধর করেন। বিক্ষোভ শেষে মানিকছড়ি উপজেলা ইউপিডিএফ (মূল) দলের পোস্ট পরিচালক অংশি মারমা, বাঙালি কর্তৃক ইউপিডিএফ (মূল) দলের কালেক্টর হ্লাচিংমং মারমাকে (উষা) হত্যার বিচার ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সেই সঙ্গে এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ৫ এপ্রিল বুধবার আধাবেলা রামগড়, গুইমারা, মাটিরাংগা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধের ডাক দেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বিক্ষোভকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে।

ইউপিডিএফের মানিকছড়ি উপজেলা পোস্ট পরিচালক অংশি মারমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কর্মী হ্লাচিংমং মারমা ওরফে উষা গতকাল রোববার বিকেলে সাংগঠনিক কাজে কালাপানি স্কুলপাড়ায় যাওয়ার পর বাঙালিরা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে আগামী ৫ এপ্রিল জেলার পাঁচ উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালিত হবে।’

• গণপিটুনিতে ইউপিডিএফের কর্মী নিহত

মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনচারুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘চাঁদাবাজ আটক ও মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ আহত হ্লাচিংমং মারমাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাঁকে সেখানে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এর আগে বালু শ্রমিক মো. আবুল হোসেন সন্ত্রাসী হ্লাচিংমং মারমাকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ৩-৪জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।’

ওসি আরও বলেন, ‘জেলা সদর হাসপাতালে সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সতর্ক রয়েছে।’