চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
এক কর্মীর পক্ষ ত্যাগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থেমে থেমে চলা এই সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া বিবদমান পক্ষ দুটি হলো বিজয় ও সিক্সটি নাইন। বিজয় পক্ষের কর্মীরা নিজেদের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও সিক্সটি নাইন পক্ষের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজয় পক্ষের এক কর্মীকে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা মারধর করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় ৷ পরে বেলা ১টার দিকে তা শাহজালাল ও সোহরাওয়ার্দী হলে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। এর আগে গতকাল বুধবার রাতে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘণ্টাব্যাপী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বিজয় পক্ষের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালের দিকে সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজয় পক্ষে যুক্ত হন। এ নিয়ে সিক্সটি নাইন পক্ষের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কামরুলের বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রোববার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইনের কর্মীরা। এর জেরে গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের দিকে সিক্সটি নাইন পক্ষের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে এলে কামরুলের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয়ের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরাই একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বিজয় পক্ষের এক কর্মীকে মারধরের পর আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।
দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। চারজনকে গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু তৈয়ব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত হয়ে ১৫ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের মাথা, চোখের নিচে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইটের আঘাত লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয় পক্ষের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সিক্সটি নাইন ইচ্ছা করেই ঝামেলা করছে। রাতের ঘটনা সমাধান করার চেষ্টা করা হলেও তারা আজ আবার আমাদের এক কর্মীকে মারধর করেছে।’
জানতে চাইলে সিক্সটি নাইন পক্ষের নেতা ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, ‘বিজয় গ্রুপের মধ্যে জামায়াত-শিবিরের অনুপ্রবেশকারী কেউ থাকতে পারে। কারণ বারবার তাদের পক্ষ থেকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। আমরা এখন সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় এ ধরনের সংঘর্ষ বারবার হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। আমরা দুই পক্ষকে নিজ নিজ হলে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এক কর্মীর পক্ষ ত্যাগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থেমে থেমে চলা এই সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া বিবদমান পক্ষ দুটি হলো বিজয় ও সিক্সটি নাইন। বিজয় পক্ষের কর্মীরা নিজেদের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও সিক্সটি নাইন পক্ষের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজয় পক্ষের এক কর্মীকে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা মারধর করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় ৷ পরে বেলা ১টার দিকে তা শাহজালাল ও সোহরাওয়ার্দী হলে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। এর আগে গতকাল বুধবার রাতে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘণ্টাব্যাপী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বিজয় পক্ষের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালের দিকে সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজয় পক্ষে যুক্ত হন। এ নিয়ে সিক্সটি নাইন পক্ষের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কামরুলের বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রোববার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইনের কর্মীরা। এর জেরে গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের দিকে সিক্সটি নাইন পক্ষের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে এলে কামরুলের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয়ের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরাই একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বিজয় পক্ষের এক কর্মীকে মারধরের পর আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।
দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। চারজনকে গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু তৈয়ব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত হয়ে ১৫ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের মাথা, চোখের নিচে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইটের আঘাত লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয় পক্ষের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সিক্সটি নাইন ইচ্ছা করেই ঝামেলা করছে। রাতের ঘটনা সমাধান করার চেষ্টা করা হলেও তারা আজ আবার আমাদের এক কর্মীকে মারধর করেছে।’
জানতে চাইলে সিক্সটি নাইন পক্ষের নেতা ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, ‘বিজয় গ্রুপের মধ্যে জামায়াত-শিবিরের অনুপ্রবেশকারী কেউ থাকতে পারে। কারণ বারবার তাদের পক্ষ থেকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। আমরা এখন সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় এ ধরনের সংঘর্ষ বারবার হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। আমরা দুই পক্ষকে নিজ নিজ হলে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
বরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
৫ মিনিট আগেসিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-গুলির অভিযোগে করা মামলায় সিলেট মহানগর যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ মিনিট আগেকবির বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো রাজনীতি করত না। কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে কেন এভাবে তাকে হত্যা করা হলো? সায়েম দেশের জন্য শহীদ হলেও সরকার থেকে বা অন্য কেউ কোনো খবর নিতে আসেনি।’
৩১ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে আগামী সোমবার পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
৪২ মিনিট আগে