নোয়াখালী প্রতিনিধি
চলমান বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে নোয়াখালীর ৮টি উপজেলা ও ৭টি পৌরসভায়। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে ২২ লাখেরও বেশি মানুষ। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ৮টি উপজেলার প্রায় ৯৫ ভাগ এলাকা। জীবন বাঁচাতে জেলার প্রায় ১ হাজার ৩৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। বেশির ভাগ মানুষ নিজের বসত বিটার আশায় নিজগৃহে থেকে গেছেন।
বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের তিন বেলা খাবার নিশ্চিত করতে স্থানীয়রা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে রান্নার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু যারা নিজ বস-বিটের আশায় নিজ গৃহে রয়ে গেছেন তারা পড়েছেন বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে।
বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের গয়েছপুর গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, তাদের বাড়িতে ১০টি পরিবার, পাশের দুটি বাড়ির অন্তত ২২ টি পরিবার রয়েছে। ২১ আগস্ট থেকে তাদের এলাকায় বাড়তে থাকে বন্যার পানি। এসময় আশপাশের কিছু নিম্ন শ্রেণির পরিবারের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও ২৫ পরিবারের সদস্যরা ঘরে পানি ঢোকার পরও বাড়ি ছেড়ে যাননি। ঘরে থাকা শুকনো খাবার ও যে চাল, ডাল আলু ছিল একদিনের খাবারকে দুই-তিন খেয়ে দিন পার হচ্ছিল তাদের।
দুইটি উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট ছিল। ২৯ তারিখ পর্যন্ত তাদের কাছে কোনো সংস্থা বা সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি। ৩০ তারিখ দুপুরের পর ঢাকা থেকে আসা আইএফএসডি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের লোকজন তাদের এলাকায় আসে।
ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে আশপাশের কয়েকটি বাড়ির লোকজনকে চাল, ডাল, আলু, তেল, শিশু খাদ্য, ওষুধ ও কিছু কাপড়-চোপড় দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতি আশপাশের কয়েকটি গ্রামেরও। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন, কারণ তারা কারও কাছ থেকে লজ্জায় চাইতেও পারছে না। বন্যায় কবলিত আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকার অবস্থা একই।
এদিকে সরেজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন সড়কে ত্রাণের গাড়ি দেখলে ছুটে আসছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন। হাত বাড়িয়ে ত্রাণ চাওয়ার পাশাপাশি অনেক নারী-পুরুষকে দেখা গেছে ত্রাণের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যেতেও।
জেলা প্রশাসক দেওয়ার মাহবুবুর রহমান জানান, স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো হচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য মজুত আছে ৩০লাখ, চাল ৮১ মেট্রিকটন। তবে শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের কোনো মজুত নেই।
চলমান বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে নোয়াখালীর ৮টি উপজেলা ও ৭টি পৌরসভায়। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে ২২ লাখেরও বেশি মানুষ। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ৮টি উপজেলার প্রায় ৯৫ ভাগ এলাকা। জীবন বাঁচাতে জেলার প্রায় ১ হাজার ৩৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। বেশির ভাগ মানুষ নিজের বসত বিটার আশায় নিজগৃহে থেকে গেছেন।
বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের তিন বেলা খাবার নিশ্চিত করতে স্থানীয়রা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে রান্নার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু যারা নিজ বস-বিটের আশায় নিজ গৃহে রয়ে গেছেন তারা পড়েছেন বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে।
বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের গয়েছপুর গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, তাদের বাড়িতে ১০টি পরিবার, পাশের দুটি বাড়ির অন্তত ২২ টি পরিবার রয়েছে। ২১ আগস্ট থেকে তাদের এলাকায় বাড়তে থাকে বন্যার পানি। এসময় আশপাশের কিছু নিম্ন শ্রেণির পরিবারের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও ২৫ পরিবারের সদস্যরা ঘরে পানি ঢোকার পরও বাড়ি ছেড়ে যাননি। ঘরে থাকা শুকনো খাবার ও যে চাল, ডাল আলু ছিল একদিনের খাবারকে দুই-তিন খেয়ে দিন পার হচ্ছিল তাদের।
দুইটি উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট ছিল। ২৯ তারিখ পর্যন্ত তাদের কাছে কোনো সংস্থা বা সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি। ৩০ তারিখ দুপুরের পর ঢাকা থেকে আসা আইএফএসডি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের লোকজন তাদের এলাকায় আসে।
ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে আশপাশের কয়েকটি বাড়ির লোকজনকে চাল, ডাল, আলু, তেল, শিশু খাদ্য, ওষুধ ও কিছু কাপড়-চোপড় দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতি আশপাশের কয়েকটি গ্রামেরও। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন, কারণ তারা কারও কাছ থেকে লজ্জায় চাইতেও পারছে না। বন্যায় কবলিত আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকার অবস্থা একই।
এদিকে সরেজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন সড়কে ত্রাণের গাড়ি দেখলে ছুটে আসছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন। হাত বাড়িয়ে ত্রাণ চাওয়ার পাশাপাশি অনেক নারী-পুরুষকে দেখা গেছে ত্রাণের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যেতেও।
জেলা প্রশাসক দেওয়ার মাহবুবুর রহমান জানান, স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো হচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য মজুত আছে ৩০লাখ, চাল ৮১ মেট্রিকটন। তবে শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের কোনো মজুত নেই।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেযশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে