বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এসএকে একরামুজ্জামান সুখন। দলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে তাঁর এমন সিদ্ধান্ত দলের জন্য বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় নেতারা। 

আজ সোমবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ নাসিরনগর আসনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন এস এ কে একরামুজ্জামান। এর আগে ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘কুলা’ মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন একরামুজ্জামান। কিন্তু একবারও সংসদে যেতে পারেননি তিনি। 

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে এস এ কে একরামুজ্জামান সুখন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিস্ফোরক মামলার আজকে আমার জামিনের তারিখ ছিল, আল্লাহর রহমতে জামিন পেয়েছি। আমার পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে, এটি একটি প্রাথমিক কাজ। নির্বাচনের ব্যাপারে আরেকটু চিন্তা করে কাল পরশুর মধ্যে জানাব।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কিছু সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগতভাবে নিতে হয়। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় সরকারকে একা খেলতে দেওয়া উচিত হবে না। আমি যে আদর্শ লালন করি সেই চিন্তা থেকে মনে করি, ২০ বছর যাবৎ যেখানে কাজ করছি সেখানকার মানুষের জন্যই আমার নির্বাচনে যাওয়া উচিত।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নেত্রী জেলে, আমরা আন্দোলনরত আছি। এ অবস্থায় তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত। তিনি যদি নির্বাচন করেন, তাহলে তার ব্যাপারে দল সিদ্ধান্ত নিবে। আমরা দলের সিদ্ধান্তে আছি।’ 

নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি লোকমুখে তাঁর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ব্যাপারটি শুনেছি। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। তবে তিনি যদি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তা দলের জন্য বিব্রতকর। চলমান আন্দোলনে যদি কেউ দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাহলে দল অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং আমরা দলের পক্ষেই থাকব।’