খান রফিক, বরিশাল
সেশনজটের দুশ্চিন্তা নিয়ে ৩৫ দিন পর ক্যাম্পাসে ফিরেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার থেকে ক্লাস শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় এখন সরব। কিন্তু শিক্ষাজীবনে পিছিয়ে পড়ার চিন্তা কাটছে না। একদিকে চাকরির চিন্তা, অন্যদিকে পরিবারের চাপে অস্থির হয়ে পড়েছেন স্নাতক শেষ করতে না পারা অনেক শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা জটিল নিয়মে দেড় থেকে দুই বছর পিছিয়ে গেছে ২৪টি বিভাগের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী। সে তুলনায় পদক্ষেপ কতটা নেওয়া হয়েছে, এ প্রশ্ন দেখা দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, কয়েকটি বিভাগে সেশনজট থাকলেও ভবিষ্যতে এই জট থাকবে না। ববিতে প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় ও শিক্ষা অনুষদের একটি বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তাঁদের ৮টি সেমিস্টার ৪ বছরে, অর্থাৎ ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ২০২২ সালে শেষ করেছেন ৭টি সেমিস্টার। আগামী জুনে অষ্টম সেমিস্টার সম্পন্ন হলে স্নাতক শেষ করতে পারবেন। কিন্তু ইতিমধ্যে তাঁরা ববি এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একই সেশনের শিক্ষার্থীদের তুলনায় দেড় বছর
পিছিয়ে পড়েছেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ববির ২০১৬-১৭ সেশনের লোকপ্রশাসন, মার্কেটিং ও দর্শন বিভাগের অনার্স শেষ হয়েছে এ বছরের শুরুতে। মাস্টার্স শুরু করা এসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা ২৭ মে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন বিসিএস পরীক্ষায়ও।
এভাবে পিছিয়ে পড়ার কারণ সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, করোনায় এক বছর পিছিয়েছেন। আর ছয় মাস পিছিয়েছেন ছাত্র আন্দোলন, ভিসি না থাকা, দীর্ঘমেয়াদি ছুটি, পরীক্ষা সময়মতো না হওয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু জটিল নিয়মের কারণে। উদাহরণ হিসেবে কোনো কোনো বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিয়মের কারণে জোড় সেমিস্টারে পরীক্ষার ফলাফল হওয়া পর্যন্ত বসে থাকার কথা উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালে, আর মাস্টার্স ২০১৯
সালে। কিন্তু ২০২২ সালেও মাস্টার্স শেষ হয়নি তাঁদের।
লোকপ্রশাসন বিভাগের সদ্য সাবেক বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক রিফাত মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের স্নাতক গত ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়েছে। তাঁরা প্রতিটি সেমিস্টার ছয় মাস মাসই শেষ করেছেন। তিনি স্বীকার করেন, তাঁর শিক্ষার্থীরা ২৭ মে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলেও যেসব বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনার্স শেষ হয়নি, তাঁদের এমন পিছিয়ে পড়ার ঘটনা দুঃখজনক।
তবে ববির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, তাঁর বিভাগের সেশনজট অনেকটাই কমে গেছে।
এখন হয়তো ছয় মাসের ব্যবধান থাকতে পারে। তা কাটিয়ে উঠতে মনিটরিং চলছে।
অবশ্য মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহ্বায়ক সুজয় সুভ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেশনজট বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে না, এটা চটকদার কথা। সবাই কম-বেশি জটে পড়েছেন।’ সুজয় বলেন, এত পিছিয়ে পড়ার পরও ৩৫ দিনের ছুটি দেওয়া উচিত হয়নি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই ছুটি ছিল সীমিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, করোনার কারণে পরীক্ষা নিতে না পারায় কিছুটা ব্যত্যয় ঘটেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হয়। এতে ফলাফল পেতে বিলম্ব হয়। তিনি টানা ৩৫ দিন ছুটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘দীর্ঘ ছুটির বিষয়ে ছাত্রদের কথাও ঠিক আছে। তবে শিক্ষকেরা শীতকালীন ছুটি নেননি। যে কারণে এবার গ্রীষ্মকালীন ছুটি ছিল। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ীই এ ছুটি নির্ধারণ হয়।’ ড. খোরশেদ জানান, তাঁর পদার্থবিজ্ঞানের অনার্সের ফলাফলও এখন পর্যন্ত দেওয়া যায়নি। ছাত্রদের পিছিয়ে পড়ার দুশ্চিন্তা একেবার অমূলক নয়। সব বিভাগেই এই প্রভাব কম বেশি রয়েছে।
সেশনজটের দুশ্চিন্তা নিয়ে ৩৫ দিন পর ক্যাম্পাসে ফিরেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার থেকে ক্লাস শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় এখন সরব। কিন্তু শিক্ষাজীবনে পিছিয়ে পড়ার চিন্তা কাটছে না। একদিকে চাকরির চিন্তা, অন্যদিকে পরিবারের চাপে অস্থির হয়ে পড়েছেন স্নাতক শেষ করতে না পারা অনেক শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা জটিল নিয়মে দেড় থেকে দুই বছর পিছিয়ে গেছে ২৪টি বিভাগের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী। সে তুলনায় পদক্ষেপ কতটা নেওয়া হয়েছে, এ প্রশ্ন দেখা দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, কয়েকটি বিভাগে সেশনজট থাকলেও ভবিষ্যতে এই জট থাকবে না। ববিতে প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় ও শিক্ষা অনুষদের একটি বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তাঁদের ৮টি সেমিস্টার ৪ বছরে, অর্থাৎ ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ২০২২ সালে শেষ করেছেন ৭টি সেমিস্টার। আগামী জুনে অষ্টম সেমিস্টার সম্পন্ন হলে স্নাতক শেষ করতে পারবেন। কিন্তু ইতিমধ্যে তাঁরা ববি এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একই সেশনের শিক্ষার্থীদের তুলনায় দেড় বছর
পিছিয়ে পড়েছেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ববির ২০১৬-১৭ সেশনের লোকপ্রশাসন, মার্কেটিং ও দর্শন বিভাগের অনার্স শেষ হয়েছে এ বছরের শুরুতে। মাস্টার্স শুরু করা এসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা ২৭ মে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন বিসিএস পরীক্ষায়ও।
এভাবে পিছিয়ে পড়ার কারণ সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, করোনায় এক বছর পিছিয়েছেন। আর ছয় মাস পিছিয়েছেন ছাত্র আন্দোলন, ভিসি না থাকা, দীর্ঘমেয়াদি ছুটি, পরীক্ষা সময়মতো না হওয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু জটিল নিয়মের কারণে। উদাহরণ হিসেবে কোনো কোনো বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিয়মের কারণে জোড় সেমিস্টারে পরীক্ষার ফলাফল হওয়া পর্যন্ত বসে থাকার কথা উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালে, আর মাস্টার্স ২০১৯
সালে। কিন্তু ২০২২ সালেও মাস্টার্স শেষ হয়নি তাঁদের।
লোকপ্রশাসন বিভাগের সদ্য সাবেক বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক রিফাত মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের স্নাতক গত ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়েছে। তাঁরা প্রতিটি সেমিস্টার ছয় মাস মাসই শেষ করেছেন। তিনি স্বীকার করেন, তাঁর শিক্ষার্থীরা ২৭ মে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলেও যেসব বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনার্স শেষ হয়নি, তাঁদের এমন পিছিয়ে পড়ার ঘটনা দুঃখজনক।
তবে ববির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, তাঁর বিভাগের সেশনজট অনেকটাই কমে গেছে।
এখন হয়তো ছয় মাসের ব্যবধান থাকতে পারে। তা কাটিয়ে উঠতে মনিটরিং চলছে।
অবশ্য মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহ্বায়ক সুজয় সুভ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেশনজট বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে না, এটা চটকদার কথা। সবাই কম-বেশি জটে পড়েছেন।’ সুজয় বলেন, এত পিছিয়ে পড়ার পরও ৩৫ দিনের ছুটি দেওয়া উচিত হয়নি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই ছুটি ছিল সীমিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, করোনার কারণে পরীক্ষা নিতে না পারায় কিছুটা ব্যত্যয় ঘটেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হয়। এতে ফলাফল পেতে বিলম্ব হয়। তিনি টানা ৩৫ দিন ছুটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘দীর্ঘ ছুটির বিষয়ে ছাত্রদের কথাও ঠিক আছে। তবে শিক্ষকেরা শীতকালীন ছুটি নেননি। যে কারণে এবার গ্রীষ্মকালীন ছুটি ছিল। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ীই এ ছুটি নির্ধারণ হয়।’ ড. খোরশেদ জানান, তাঁর পদার্থবিজ্ঞানের অনার্সের ফলাফলও এখন পর্যন্ত দেওয়া যায়নি। ছাত্রদের পিছিয়ে পড়ার দুশ্চিন্তা একেবার অমূলক নয়। সব বিভাগেই এই প্রভাব কম বেশি রয়েছে।
বিএনপিসমর্থিত কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বজলুর রশিদকে জেলা দায়রা ও জজ আদালতের নতুন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
৩ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের নয়মাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মেসার্স মণ্ডল ট্রেডার্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে দুই দিন ধরে চলা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের দাবির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করবে, এমন আশ্বাসে চলমান কর্মসূচি স্থগিত করেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এতে বাধা দিতে গেলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশনস), ছাত্রসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলায় এক ছাত্র আহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন
৪ ঘণ্টা আগে