খান রফিক, বরিশাল
ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলছে বরিশালে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) বিভাগে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চারজনই পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী। আজ বুধবার পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৬৫ জনের মধ্যে ৩৮ জনই নারী।
উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য দুরারোগ্য ব্যাধি থাকায় এসব নারী মারা যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সঙ্গে নারীদের মধ্যে তুলনামূলক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কথাও বলছেন চিকিৎসকরা। তবে বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগ প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের আনোয়ারা বেগম (৭০), নগরীর সাগরদীর বাসন্তী (৫৫), বানারীপাড়ার রুশিয়া (৫৭), মেহেন্দীগঞ্জের মনোয়ারা (৫৫), নগরের কাউনিয়া এলাকার কাঞ্চন আলী (৬০), বরগুনার আমতলীর নুরল আমীন (৫৫), পটুয়াখালীর গলাচিপার বারেক হাওলাদার (৮০)। তাঁরা প্রত্যেকে বরিশালের শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিম) মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ৪১৯ জন ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ভর্তির সংখ্যা ১ হাজার ১৬০ জন। বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে এ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত নারী ৩৮ জন এবং পুরুষ ২৭ জন।
শেবাচিম হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। আজ বুধবার পর্যন্ত এ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ২৭৪ জন।
হাসপাতালের একাধিক রোগীর স্বজন জানিয়েছেন, প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। এখানে পর্যাপ্ত স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের অভ্যন্তরে দালালের ছড়াছড়ি। হাসপাতালটিতে সেবার চেয়ে ব্যবসায়িক ধান্দাই বেশি।
জানতে চাইলে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে শেবাচিম হাসপাতালে ৪১ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২২ জন বরিশাল জেলার। আজ বুধবার পর্যন্ত এ হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৭৪ জন। এই মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যায় বেশি রয়েছেন নারীরা।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারী, যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য দুরারোগ্য ব্যাধি আছে, তাঁরাই মারা যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগকে বলা হয়েছে, কেন এত ডেঙ্গু রোগী মারা যাচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা কেন বেশি তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। কারণ তাঁরা সকাল থেকে কাজ করেন, খাওয়ার দিকে মনোযোগী হন না। চিকিৎসার ক্ষেত্রেও নারীরা সেবা নিতে যেমন অবহেলা করেন, তেমনি পরিবারের পক্ষ থেকেও ঘরের মহিলাদের চিকিৎসায় অসচেতনতা লক্ষ করা যায়।’
৫০-এর ঊর্ধ্বের নারীই বেশি ডেঙ্গুতে মৃত্যু হচ্ছে জানিয়ে পরিচালক শ্যামল এ ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি বাড়তি নার্সিংয়ের ওপর জোর দিয়েছেন।
এদিকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়লেও নগরে এডিস মশা নিধনে জোরালো উদ্যোগ নেই বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি)। স্বাস্থ্য সেবামূলক সংগঠন মৈত্রী ভলান্টিয়ার্সের সমন্বয়কারী কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘কেবল ওষুধ ছিটানোই নয়, সিটি করপোরেশনের যেভাবে ডোবা-নালা, ড্রেন পরিষ্কার করার দরকার ছিল সেটি হয়নি। খালগুলো খনন থাকলে এডিস মশা ডিম পাড়ত না। এসব কর্মকাণ্ডে আগাম সতর্কতা না থাকায় নগরে ডেঙ্গু আতঙ্ক বাড়ছে।’
এ ব্যাপারে বিসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল ইমাম শুভ্র বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাদের কোনো নির্দেশনা দেয়নি। এডিসের লার্ভা শনাক্তেও কোনো টিম আসেনি। যে কারণে নগরে লার্ভা আছে কি না তা তাদের জানা নেই। তবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পাঁচটি টিম মশার ওষুধ ছিটিয়ে যাচ্ছে।
ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলছে বরিশালে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) বিভাগে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চারজনই পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী। আজ বুধবার পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৬৫ জনের মধ্যে ৩৮ জনই নারী।
উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য দুরারোগ্য ব্যাধি থাকায় এসব নারী মারা যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সঙ্গে নারীদের মধ্যে তুলনামূলক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কথাও বলছেন চিকিৎসকরা। তবে বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগ প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের আনোয়ারা বেগম (৭০), নগরীর সাগরদীর বাসন্তী (৫৫), বানারীপাড়ার রুশিয়া (৫৭), মেহেন্দীগঞ্জের মনোয়ারা (৫৫), নগরের কাউনিয়া এলাকার কাঞ্চন আলী (৬০), বরগুনার আমতলীর নুরল আমীন (৫৫), পটুয়াখালীর গলাচিপার বারেক হাওলাদার (৮০)। তাঁরা প্রত্যেকে বরিশালের শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিম) মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ৪১৯ জন ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ভর্তির সংখ্যা ১ হাজার ১৬০ জন। বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে এ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত নারী ৩৮ জন এবং পুরুষ ২৭ জন।
শেবাচিম হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। আজ বুধবার পর্যন্ত এ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ২৭৪ জন।
হাসপাতালের একাধিক রোগীর স্বজন জানিয়েছেন, প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। এখানে পর্যাপ্ত স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের অভ্যন্তরে দালালের ছড়াছড়ি। হাসপাতালটিতে সেবার চেয়ে ব্যবসায়িক ধান্দাই বেশি।
জানতে চাইলে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে শেবাচিম হাসপাতালে ৪১ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২২ জন বরিশাল জেলার। আজ বুধবার পর্যন্ত এ হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৭৪ জন। এই মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যায় বেশি রয়েছেন নারীরা।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারী, যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য দুরারোগ্য ব্যাধি আছে, তাঁরাই মারা যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগকে বলা হয়েছে, কেন এত ডেঙ্গু রোগী মারা যাচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা কেন বেশি তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। কারণ তাঁরা সকাল থেকে কাজ করেন, খাওয়ার দিকে মনোযোগী হন না। চিকিৎসার ক্ষেত্রেও নারীরা সেবা নিতে যেমন অবহেলা করেন, তেমনি পরিবারের পক্ষ থেকেও ঘরের মহিলাদের চিকিৎসায় অসচেতনতা লক্ষ করা যায়।’
৫০-এর ঊর্ধ্বের নারীই বেশি ডেঙ্গুতে মৃত্যু হচ্ছে জানিয়ে পরিচালক শ্যামল এ ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি বাড়তি নার্সিংয়ের ওপর জোর দিয়েছেন।
এদিকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়লেও নগরে এডিস মশা নিধনে জোরালো উদ্যোগ নেই বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি)। স্বাস্থ্য সেবামূলক সংগঠন মৈত্রী ভলান্টিয়ার্সের সমন্বয়কারী কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘কেবল ওষুধ ছিটানোই নয়, সিটি করপোরেশনের যেভাবে ডোবা-নালা, ড্রেন পরিষ্কার করার দরকার ছিল সেটি হয়নি। খালগুলো খনন থাকলে এডিস মশা ডিম পাড়ত না। এসব কর্মকাণ্ডে আগাম সতর্কতা না থাকায় নগরে ডেঙ্গু আতঙ্ক বাড়ছে।’
এ ব্যাপারে বিসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল ইমাম শুভ্র বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাদের কোনো নির্দেশনা দেয়নি। এডিসের লার্ভা শনাক্তেও কোনো টিম আসেনি। যে কারণে নগরে লার্ভা আছে কি না তা তাদের জানা নেই। তবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পাঁচটি টিম মশার ওষুধ ছিটিয়ে যাচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
৫ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
৫ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
৬ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে