হঠাৎ জিয়ার নামে সাইনবোর্ড, মৎস্যকেন্দ্রের নাম পরিবর্তন নিয়ে বিএনপিতে বিভক্তি

খান রফিক, বরিশাল
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯: ৪২

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে বরিশালে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র করা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে। নগরের পোর্ট রোডের এই মোকাম দখল করতে জিয়াউর রহমানের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর নেপথ্যে বিএনপির শীর্ষপর্যায় থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও জড়িত রয়েছেন। 

জানা গেছে, ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ বেচাকেনাকে ঘিরে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য হয় এ মোকামে। এ নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে জেলা ও মহানগর বিএনপিতে। দলটির জেলা (দক্ষিণ) বিএনপি সম্প্রতি এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, যাঁরা স্বৈরাচারের দোসর, তাঁরাই এভাবে মৎস্য বাজারের সঙ্গে জিয়ার নাম জুড়ে দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম করছেন। কিন্তু দখলের দুই মাস পরও নগর বিএনপি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছে। 

এর আগে গত ৫ আগস্টের পর বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে একটি ব্যানারে ‘শহীদ জিয়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র’ লিখে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে ৯ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় ‘মৎস্য আড়ত দখল, নাম বদল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে হইচই পড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে। সম্প্রতি পাকাপোক্তভাবে আগের ব্যানার সরিয়ে লোহার সাইনবোর্ডে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নাম জিয়ার নামে করা হয়। 

এর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও বরিশাল সদর থানা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহির সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ও মৎস্যজীবী দলনেতা কামাল সিকদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান মিলন। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ দুই নেতাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এ প্রসঙ্গে বরিশাল সদর থানা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জহির সিকদার বলেন, ১৯৯৫ সালে জিয়াউর রহমানের নামে পোর্ট রোড মৎস্য মোকামের জমি কেনা হয়। ওই সময়ও জিয়ার নেমেই এ ঘাট ছিল। জহির সিকদার অভিযোগ করে বলেন, ‘নগর বিএনপির এক শীর্ষ নেতার শেল্টারে আওয়ামী লীগের দোসর খান হাবিবের ভাই খান কামাল এখনো ইজারা বাবদ খাজনা নেন। আমরা দোসর হলে তো জিয়ার নামে সাইনবোর্ড দিতাম না। আমাদের ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা ইজারাদারের কাছে জিম্মি হতে পারে না।’ 

জানতে চাইলে জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান বলেন, ‘যারা জিয়াউর রহমানের নামে সাইনবোর্ড টানিয়েছেন, তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের দোসর।’ 

অন্যদিকে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘জেলা বিএনপি মাছবাজার নিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা সাংঘর্ষিক। আমরা তদন্ত করে দেখব।’ তিনি দাবি করে বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে ওই জমি জিয়াউর রহমানের নামে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশ ‘মবের মুল্লুক’: সামিনা লুৎফা

বাংলাদেশের বন্দরে পাকিস্তানের কার্গো জাহাজ, ‘ঐতিহাসিক’ বলা হচ্ছে যে কারণে

পরশুরামে ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সংলাপ শুরু কাল, চলবে পুরো নভেম্বর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত