অলকানন্দা বিত্তান্ত
সিদ্ধার্থ অভিজিৎ
হলুদ পাঞ্জাবির দিকে তাকালে
অলকানন্দার অভিশাপ
উজ্জ্বলতর হয়ে ফোটে।
ধরুন তখন আপনি হাঁটছেন—
পিছু পিছু সাইলেন্ট বৃষ্টি।
আপনি পিছনে তাকালেন না,
আপনি হাঁটছেন—
কার্যত কদমের কুঁড়ি নাচছে এবং
যখন আপনি ভাবলেন থামবেন
ততক্ষণে আপনার ব্রেক
ফেল করে গেছে।
বৃষ্টি শুকাচ্ছে,
কষ্ট আত্তি করে যদিও দাঁড়ালেন
দেখবেন খাঁ খাঁ রৌদ্র।
উপায়ান্তর গাছের ছায়ায় হয়তো বসবেন!
দেখলেন, ঘামেরা অপদান কারকের
উপকরণ। আপনার ভাবনারা ততক্ষণে
কই মাছের মতন
খলখল করতে শুরু করবে।
আচানক মাথার ওপর
ঝরে পড়ল গাছের বেদনা।
অপসৃয়মান ছায়ায় আপনি হয়তো নিজেই
অলকানন্দা গাছের গেজেটেড রিপ্রেজেন্টেটিভ!
দুটি কবিতা
সরদার ফারুক
১.
ঘুমিয়ে পড়ার একশ উপায় আছে
কাল্পনিক ভেড়া গুনে ঘুমানোর কথা
ভাবলেই হাসি পায়
ওষুধ খাওয়ার মানে অবেদন বীজ বুনে দেওয়া
চারাগুলো বড় হয়ে ঢেকে দেবে
দৃশ্যাবলি, আলোর কুহক
এখন তোমাকে ভেবে জেগে থাকা ভালো
একটানা বৃষ্টি আর হাওয়ার দাপটে
জানালার র্পদাগুলো আরও কিছুক্ষণ
ইচ্ছেমতো কোমর দোলাক!
২.
সামনে যদি উদোম সাদা খাতা
আঁকতে পারো পাতাবিহীন গাছ
শুকনো ফলে বোঁটার নাভিমূলে
ঘুমিয়ে থাকে হারিয়ে-যাওয়া নাচ
আসতে পারে ঝোড়ো হাওয়ার দিন
কেমন হবে মেঘের কালো মুখ?
তেরছা করে এঁকাে জলের ফোঁটা
ঝরেই যাবে, একটু পেল সুখ!
কবিতায় ডুবে যেতে থাকি
আতাউর রহমান
হলুদ আলোর রাত, বৃষ্টির মতোই চাঁদ ঝরছে
এ শহরে, হৃদয়ের বারান্দায় ঘাপটি মেরে বসে
তুমিও এ দৃশ্য দেখে গলে ছড়িয়ে পড়ছ সমস্ত
শরীরে রক্তের মতো; মননে ও চোখে অন্য চাঁদ
আমার, অন্য আকাশ; কবিতায় ডুবে যেতে থাকি,
অক্ষরে অক্ষর ঘষে মেতে উঠি আদিম উৎসবে...
তোমাদের শহরেও হলুদ রাত আসে এভাবে?
আমিও কি এভাবেই গলে ঝরি তোমার ভেতর?
বৃষ্টির রূপকথা
শাহাবুদ্দীন নাগরী
একধরনের হাহাকার চেপে রেখে তুমি বললে,
বৃষ্টি কোনো নারী নয় যে চিবুকে দুহাত রেখে
জানালা দিয়ে তাকিয়ে মগ্নতায় ডুবে ডুবে
তুমি ওকে দেখবে, বৃৃষ্টিকে দেখার কী আছে?
তোমার কণ্ঠটা ভীষণ শুকনো ঠেকল কানে।
বৃষ্টির ঠোঁট নেই, চোখ নেই, মনকাড়া ছিরি নেই,
ভারী স্তনও অনেক সময় চোখ আটকে রাখে,
বৃষ্টির তাও নেই, কোমর নেই, মেদহীন তলপেট
বা ঢেউতোলা নদীর মতো সুশ্রী নিতম্ব নেই,
স্পর্শ করার মতো ঝক্ঝকে সফেদ ত্বক নেই,
নেই নাচঘর মাতিয়ে রাখা নূপুর পরানো পা,
সটান হাত বাড়িয়ে কী অমন ছুঁয়ে দেখো তুমি?
তোমার চোখ থেকে ঝরে পড়ল ঈর্ষার জলকণা।
একধরনের হা-হুতাশ চকিতে লুকিয়ে নিয়ে বললে,
বৃষ্টি কি তোমাকে মালহার রাগে গান শোনায়?
নাকি সারা রাত বিছানায় নাগিনীর মতো জড়িয়ে
ধরে চুমু খায়? ভঙ্গিমা আমার চেয়ে ভালো জানে?
তোমার ঠোঁট থেকে উপচে পড়ল শত লিটার উদ্বেগ।
আমি হাসলাম, বৃষ্টি দেখলেই এমন করে হাসা যায়,
[তোমার মনে হলো আমি ধূর্ত চিতার মতো হাসছি]
বৃষ্টি রমণী নয়, রমণ জানে না, ভিজলাম বৃষ্টিতে নেমে,
তবু বৃষ্টি সত্যিকার নারী, জড়তাহীন অন্তহীন প্রেমে।
অলকানন্দা বিত্তান্ত
সিদ্ধার্থ অভিজিৎ
হলুদ পাঞ্জাবির দিকে তাকালে
অলকানন্দার অভিশাপ
উজ্জ্বলতর হয়ে ফোটে।
ধরুন তখন আপনি হাঁটছেন—
পিছু পিছু সাইলেন্ট বৃষ্টি।
আপনি পিছনে তাকালেন না,
আপনি হাঁটছেন—
কার্যত কদমের কুঁড়ি নাচছে এবং
যখন আপনি ভাবলেন থামবেন
ততক্ষণে আপনার ব্রেক
ফেল করে গেছে।
বৃষ্টি শুকাচ্ছে,
কষ্ট আত্তি করে যদিও দাঁড়ালেন
দেখবেন খাঁ খাঁ রৌদ্র।
উপায়ান্তর গাছের ছায়ায় হয়তো বসবেন!
দেখলেন, ঘামেরা অপদান কারকের
উপকরণ। আপনার ভাবনারা ততক্ষণে
কই মাছের মতন
খলখল করতে শুরু করবে।
আচানক মাথার ওপর
ঝরে পড়ল গাছের বেদনা।
অপসৃয়মান ছায়ায় আপনি হয়তো নিজেই
অলকানন্দা গাছের গেজেটেড রিপ্রেজেন্টেটিভ!
দুটি কবিতা
সরদার ফারুক
১.
ঘুমিয়ে পড়ার একশ উপায় আছে
কাল্পনিক ভেড়া গুনে ঘুমানোর কথা
ভাবলেই হাসি পায়
ওষুধ খাওয়ার মানে অবেদন বীজ বুনে দেওয়া
চারাগুলো বড় হয়ে ঢেকে দেবে
দৃশ্যাবলি, আলোর কুহক
এখন তোমাকে ভেবে জেগে থাকা ভালো
একটানা বৃষ্টি আর হাওয়ার দাপটে
জানালার র্পদাগুলো আরও কিছুক্ষণ
ইচ্ছেমতো কোমর দোলাক!
২.
সামনে যদি উদোম সাদা খাতা
আঁকতে পারো পাতাবিহীন গাছ
শুকনো ফলে বোঁটার নাভিমূলে
ঘুমিয়ে থাকে হারিয়ে-যাওয়া নাচ
আসতে পারে ঝোড়ো হাওয়ার দিন
কেমন হবে মেঘের কালো মুখ?
তেরছা করে এঁকাে জলের ফোঁটা
ঝরেই যাবে, একটু পেল সুখ!
কবিতায় ডুবে যেতে থাকি
আতাউর রহমান
হলুদ আলোর রাত, বৃষ্টির মতোই চাঁদ ঝরছে
এ শহরে, হৃদয়ের বারান্দায় ঘাপটি মেরে বসে
তুমিও এ দৃশ্য দেখে গলে ছড়িয়ে পড়ছ সমস্ত
শরীরে রক্তের মতো; মননে ও চোখে অন্য চাঁদ
আমার, অন্য আকাশ; কবিতায় ডুবে যেতে থাকি,
অক্ষরে অক্ষর ঘষে মেতে উঠি আদিম উৎসবে...
তোমাদের শহরেও হলুদ রাত আসে এভাবে?
আমিও কি এভাবেই গলে ঝরি তোমার ভেতর?
বৃষ্টির রূপকথা
শাহাবুদ্দীন নাগরী
একধরনের হাহাকার চেপে রেখে তুমি বললে,
বৃষ্টি কোনো নারী নয় যে চিবুকে দুহাত রেখে
জানালা দিয়ে তাকিয়ে মগ্নতায় ডুবে ডুবে
তুমি ওকে দেখবে, বৃৃষ্টিকে দেখার কী আছে?
তোমার কণ্ঠটা ভীষণ শুকনো ঠেকল কানে।
বৃষ্টির ঠোঁট নেই, চোখ নেই, মনকাড়া ছিরি নেই,
ভারী স্তনও অনেক সময় চোখ আটকে রাখে,
বৃষ্টির তাও নেই, কোমর নেই, মেদহীন তলপেট
বা ঢেউতোলা নদীর মতো সুশ্রী নিতম্ব নেই,
স্পর্শ করার মতো ঝক্ঝকে সফেদ ত্বক নেই,
নেই নাচঘর মাতিয়ে রাখা নূপুর পরানো পা,
সটান হাত বাড়িয়ে কী অমন ছুঁয়ে দেখো তুমি?
তোমার চোখ থেকে ঝরে পড়ল ঈর্ষার জলকণা।
একধরনের হা-হুতাশ চকিতে লুকিয়ে নিয়ে বললে,
বৃষ্টি কি তোমাকে মালহার রাগে গান শোনায়?
নাকি সারা রাত বিছানায় নাগিনীর মতো জড়িয়ে
ধরে চুমু খায়? ভঙ্গিমা আমার চেয়ে ভালো জানে?
তোমার ঠোঁট থেকে উপচে পড়ল শত লিটার উদ্বেগ।
আমি হাসলাম, বৃষ্টি দেখলেই এমন করে হাসা যায়,
[তোমার মনে হলো আমি ধূর্ত চিতার মতো হাসছি]
বৃষ্টি রমণী নয়, রমণ জানে না, ভিজলাম বৃষ্টিতে নেমে,
তবু বৃষ্টি সত্যিকার নারী, জড়তাহীন অন্তহীন প্রেমে।
চারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
৬ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
১৩ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
১৩ দিন আগেদ্য ভেজিটেরিয়ানের পর হান কাঙের পরের উপন্যাস ছিল ‘দ্য উইন্ড ব্লোজ, গো’। এই উপন্যাস লেখার সময়ই ঘটে বিপত্তি! হান অনুভব করেন তিনি আর লিখতে পারছেন না। গত বছর নিজের পঞ্চম উপন্যাস ‘গ্রিক লেসন’ ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হলে স্পেনের এল-পাইস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছিলেন তিনি।
১০ অক্টোবর ২০২৪