শাহেদ কায়েস
শূন্যতা
নির্বাক কবরস্থানে জোনাক-জ্বলা সন্ধ্যায়—
ফেলে এসেছি আমার শৈশব; পাশেই শীর্ণ
ব্রহ্মপুত্র নদ—শুনি জলের অধরা বিস্মৃতি
আমাকে জানে ওই শতবর্ষী বট, যে দুঃখ না
পাওয়ার দুঃখে ঝুঁকে থাকে ব্রহ্মপুত্রের জলে
কুমারীপথ, শৈল্পিক বাঁক, ট্রেনের হুইসেল
গেল কি বিশ্রামে—বটগাছটির আড়ালে?
দল বেঁধে শূন্যতা ঝাঁপ দেয় নবীন কবরে
সারা রাত গোরখোদকদের আলাপ শুনি
সেই জোনাকিদের কোথাও দেখি না আর।
ফেরা
লতাগুল্মে ঢেকেছে ব্যক্তিগত ডাকবাক্স
সংগোপনে থেকে যাক পাতাঝরার মুহূর্ত
মুখর হয়ে ওঠে মৃদঙ্গ ও মন্দিরা;—
এল কী পিঙ্গলা?
শূন্য কাঞ্চনমঞ্চ—কোথায় অতিরথ?
দূরে উড়ে যেতে-যেতে, যে বাঁশির সুরে—
শরৎ মেঘের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে
তার তো থাকে না কোনো প্রতিঠিকানা
কী সুর ছিল কলাবতী চোখের দৃষ্টিতে!
ঝরে পড়ল সংসারবিমুখ একটি পাতা
স্বাক্ষর করেছি নীবারা নদীর জলপত্রে
ফিরে যাও, সারথি—এসেছ যে পথে।
অসম্পূর্ণ কথা
বিচিত্র দৈর্ঘ্যের অসম্পূর্ণ কথার পালক
এল হাওয়ার সাইকেলে ভ্রমণ সেরে
তখনো আলো ফোটেনি ভালো, নামতা
পাঠে মশগুল ভোরের নভেরা বাতাস!
পাশে কারুশিল্পের পুকুরে স্নান সারে—
হিজলের লাজুক ছায়া; ঝুঁকে আছে কে!
অজানাই থেকে যায়, কোন কেন্দ্রাতিক
বলে বাওকুড়ানি বাতাসে কেন যে ঘোরে
নিমগ্ন হয়ে অসম্পূর্ণ কথার ইলেকট্রন!
নুলিয়া মেয়েটি
স্পর্শেরা সব কোথায় যায়! স্পর্শের কি আছে
স্মৃতি?—ভেজাতে পারে অসময়ের বৃষ্টি হয়ে!
গভীর সমুদ্রে ছুটে চলা জাহাজের পিছু নেয়—
যেসব সি-গাল, তারা কি জানে নোনা হাওয়ায়
কেন এই অস্থিরতা? কেন অহেতুক ছুটে চলা!
শঙ্খের গভীরে দুঃখ লুকিয়ে বাতাস কুড়াত
যে মেয়েটি—তাকে আর কোথাও দেখি না।
বাতাসের উত্তাল ঢেউয়ে আন্দোলিত হাত
সমুদ্র ফসফরাসে মিশে যাচ্ছে হাতের সংকেত
হারিয়ে গেল কি সে জীবিকার নোনাজলে?
জীবিকারা ঘুমায় নিভৃতে গার্মেন্টস গলিতে।
শূন্যতা
নির্বাক কবরস্থানে জোনাক-জ্বলা সন্ধ্যায়—
ফেলে এসেছি আমার শৈশব; পাশেই শীর্ণ
ব্রহ্মপুত্র নদ—শুনি জলের অধরা বিস্মৃতি
আমাকে জানে ওই শতবর্ষী বট, যে দুঃখ না
পাওয়ার দুঃখে ঝুঁকে থাকে ব্রহ্মপুত্রের জলে
কুমারীপথ, শৈল্পিক বাঁক, ট্রেনের হুইসেল
গেল কি বিশ্রামে—বটগাছটির আড়ালে?
দল বেঁধে শূন্যতা ঝাঁপ দেয় নবীন কবরে
সারা রাত গোরখোদকদের আলাপ শুনি
সেই জোনাকিদের কোথাও দেখি না আর।
ফেরা
লতাগুল্মে ঢেকেছে ব্যক্তিগত ডাকবাক্স
সংগোপনে থেকে যাক পাতাঝরার মুহূর্ত
মুখর হয়ে ওঠে মৃদঙ্গ ও মন্দিরা;—
এল কী পিঙ্গলা?
শূন্য কাঞ্চনমঞ্চ—কোথায় অতিরথ?
দূরে উড়ে যেতে-যেতে, যে বাঁশির সুরে—
শরৎ মেঘের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে
তার তো থাকে না কোনো প্রতিঠিকানা
কী সুর ছিল কলাবতী চোখের দৃষ্টিতে!
ঝরে পড়ল সংসারবিমুখ একটি পাতা
স্বাক্ষর করেছি নীবারা নদীর জলপত্রে
ফিরে যাও, সারথি—এসেছ যে পথে।
অসম্পূর্ণ কথা
বিচিত্র দৈর্ঘ্যের অসম্পূর্ণ কথার পালক
এল হাওয়ার সাইকেলে ভ্রমণ সেরে
তখনো আলো ফোটেনি ভালো, নামতা
পাঠে মশগুল ভোরের নভেরা বাতাস!
পাশে কারুশিল্পের পুকুরে স্নান সারে—
হিজলের লাজুক ছায়া; ঝুঁকে আছে কে!
অজানাই থেকে যায়, কোন কেন্দ্রাতিক
বলে বাওকুড়ানি বাতাসে কেন যে ঘোরে
নিমগ্ন হয়ে অসম্পূর্ণ কথার ইলেকট্রন!
নুলিয়া মেয়েটি
স্পর্শেরা সব কোথায় যায়! স্পর্শের কি আছে
স্মৃতি?—ভেজাতে পারে অসময়ের বৃষ্টি হয়ে!
গভীর সমুদ্রে ছুটে চলা জাহাজের পিছু নেয়—
যেসব সি-গাল, তারা কি জানে নোনা হাওয়ায়
কেন এই অস্থিরতা? কেন অহেতুক ছুটে চলা!
শঙ্খের গভীরে দুঃখ লুকিয়ে বাতাস কুড়াত
যে মেয়েটি—তাকে আর কোথাও দেখি না।
বাতাসের উত্তাল ঢেউয়ে আন্দোলিত হাত
সমুদ্র ফসফরাসে মিশে যাচ্ছে হাতের সংকেত
হারিয়ে গেল কি সে জীবিকার নোনাজলে?
জীবিকারা ঘুমায় নিভৃতে গার্মেন্টস গলিতে।
চারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
৬ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
১৩ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
১৩ দিন আগেদ্য ভেজিটেরিয়ানের পর হান কাঙের পরের উপন্যাস ছিল ‘দ্য উইন্ড ব্লোজ, গো’। এই উপন্যাস লেখার সময়ই ঘটে বিপত্তি! হান অনুভব করেন তিনি আর লিখতে পারছেন না। গত বছর নিজের পঞ্চম উপন্যাস ‘গ্রিক লেসন’ ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হলে স্পেনের এল-পাইস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছিলেন তিনি।
১০ অক্টোবর ২০২৪