সম্পাদকীয়
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ২০১৭ সালে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা খরচ করে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ফটক ও বিশ্রামকক্ষ নির্মাণ করেছিল। ভুল শোনেননি, ফটক আর বিশ্রামকক্ষের জন্য কোটি টাকার ওপরেই খরচ হয়েছিল। পরে এই অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তদন্ত করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বেবিচক আলাদাভাবে তদন্ত করে। পাওয়া যায় অনিয়ম-দুর্নীতি এবং সরকারি অর্থ অপচয়ের প্রমাণ। বিভাগীয় মামলা করা হয় বেবিচকের পাঁচ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।
এই পাঁচ ব্যক্তির দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। তাঁরা শাস্তিও পেয়েছেন। তবে শাস্তিটা তাঁদের জন্য একপ্রকার স্বস্তি বলা চলে! তাঁদের অপরাধ যত গুরুই হোক না কেন, শাস্তিটা তাঁরা লঘুই পেয়েছেন।
আজকাল একটা কথা প্রচলিত হচ্ছে, ‘হালকার ওপর ঝাপসা’, অর্থাৎ খুব অল্পের ওপর দিয়ে যাওয়া। তাঁদের শাস্তিটাও মনে হচ্ছে এমন হালকার ওপর ঝাপসা করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত প্রকৌশলীদের একজনের বেতনকাঠামো নিম্নস্তরে নামানো হয়েছে। আর অন্যদের তিরস্কার-সতর্ক করা হয়েছে। এই লঘুদণ্ডের মাধ্যমে মামলাটির নিষ্পত্তি করে বেবিচক।
বলে রাখা ভালো, এই শাস্তি কিন্তু বিধানমতোই হয়েছে। বেবিচকের চাকরি প্রবিধানমালা ২০২১ অনুযায়ী, দুর্নীতিপরায়ণতা ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ এনে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছিল এবং শাস্তিও সে অনুযায়ী হয়েছে। তবে দণ্ডটি লঘু। গুরুদণ্ড দিলে তাঁদের চাকরি থেকে অপসারণ করা যেত, বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া যেত কিংবা বরখাস্তও করা যেত। এমনকি কর্তৃপক্ষের আর্থিক ক্ষতির অংশবিশেষ বা সম্পূর্ণ অভিযুক্তদের বেতন কিংবা অন্য কোনো খাতের পাওনা থেকে কেটে রাখা যেত। এই শাস্তির কোনোটিই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পাননি।
এই যে তাঁদের সতর্কবার্তা দেওয়া হলো কিংবা তিরস্কার করা হলো, আরেকজনকে বেতনকাঠামোর নিচের স্তরে নামানো হলো, তাতে কি তাঁরা আদৌ সাবধান হবেন? নাকি এ যাত্রা বেঁচে গিয়ে আরও সতর্কতার সঙ্গে দুর্নীতি করবেন?
এর আগে এটা ভাবা উচিত যে কেন তাঁরা চুরি বা দুর্নীতি করেন। কর্মজীবীদের জন্য কি ভালো কাজের এমন কোনো পুরস্কারের ব্যবস্থা করা যায় না যে তাঁরা আর চুরির কথা না ভাবেন? সরকারি চাকরি শুরুর আগে তাঁদের পোক্ত প্রশিক্ষণ দিলে হয়তো দুর্নীতির দুয়ারে তাঁরা পা মাড়াবেন না।
একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর কাজের স্বীকৃতি বা প্রশংসা খুব জরুরি। হয়তো কেউ কেউ সেটা পেয়েও থাকেন। কিন্তু তা হয়তো এতই নগণ্য যে তাঁরা অর্থ লোপাটের কথাই ভাবেন। দণ্ড লঘু হলে, তখন তাঁরা ভাবতেই পারেন—এক-আধটু তিরস্কার করলে আর বেতন কমালে বা পদের অবনতি করলে তেমন কিছু তো যাবে-আসবে না; সরকারি অর্থ থেকে খসানো যায় এর চেয়ে বড় অঙ্ক।
বেবিচক কিংবা অন্যান্য সরকারি দপ্তর কি একটু বিবেচনা করতে পারে চাকরির বিধানগুলোকে নতুন করে গোছাতে? নইলে দুর্নীতিবাজেরা লঘুদণ্ডের ফাঁকফোকর গলিয়ে বের হয়ে যাবে খুব সহজেই, এ ঘটনায় যেমনটা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ২০১৭ সালে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা খরচ করে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ফটক ও বিশ্রামকক্ষ নির্মাণ করেছিল। ভুল শোনেননি, ফটক আর বিশ্রামকক্ষের জন্য কোটি টাকার ওপরেই খরচ হয়েছিল। পরে এই অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তদন্ত করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বেবিচক আলাদাভাবে তদন্ত করে। পাওয়া যায় অনিয়ম-দুর্নীতি এবং সরকারি অর্থ অপচয়ের প্রমাণ। বিভাগীয় মামলা করা হয় বেবিচকের পাঁচ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।
এই পাঁচ ব্যক্তির দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। তাঁরা শাস্তিও পেয়েছেন। তবে শাস্তিটা তাঁদের জন্য একপ্রকার স্বস্তি বলা চলে! তাঁদের অপরাধ যত গুরুই হোক না কেন, শাস্তিটা তাঁরা লঘুই পেয়েছেন।
আজকাল একটা কথা প্রচলিত হচ্ছে, ‘হালকার ওপর ঝাপসা’, অর্থাৎ খুব অল্পের ওপর দিয়ে যাওয়া। তাঁদের শাস্তিটাও মনে হচ্ছে এমন হালকার ওপর ঝাপসা করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত প্রকৌশলীদের একজনের বেতনকাঠামো নিম্নস্তরে নামানো হয়েছে। আর অন্যদের তিরস্কার-সতর্ক করা হয়েছে। এই লঘুদণ্ডের মাধ্যমে মামলাটির নিষ্পত্তি করে বেবিচক।
বলে রাখা ভালো, এই শাস্তি কিন্তু বিধানমতোই হয়েছে। বেবিচকের চাকরি প্রবিধানমালা ২০২১ অনুযায়ী, দুর্নীতিপরায়ণতা ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ এনে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছিল এবং শাস্তিও সে অনুযায়ী হয়েছে। তবে দণ্ডটি লঘু। গুরুদণ্ড দিলে তাঁদের চাকরি থেকে অপসারণ করা যেত, বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া যেত কিংবা বরখাস্তও করা যেত। এমনকি কর্তৃপক্ষের আর্থিক ক্ষতির অংশবিশেষ বা সম্পূর্ণ অভিযুক্তদের বেতন কিংবা অন্য কোনো খাতের পাওনা থেকে কেটে রাখা যেত। এই শাস্তির কোনোটিই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পাননি।
এই যে তাঁদের সতর্কবার্তা দেওয়া হলো কিংবা তিরস্কার করা হলো, আরেকজনকে বেতনকাঠামোর নিচের স্তরে নামানো হলো, তাতে কি তাঁরা আদৌ সাবধান হবেন? নাকি এ যাত্রা বেঁচে গিয়ে আরও সতর্কতার সঙ্গে দুর্নীতি করবেন?
এর আগে এটা ভাবা উচিত যে কেন তাঁরা চুরি বা দুর্নীতি করেন। কর্মজীবীদের জন্য কি ভালো কাজের এমন কোনো পুরস্কারের ব্যবস্থা করা যায় না যে তাঁরা আর চুরির কথা না ভাবেন? সরকারি চাকরি শুরুর আগে তাঁদের পোক্ত প্রশিক্ষণ দিলে হয়তো দুর্নীতির দুয়ারে তাঁরা পা মাড়াবেন না।
একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর কাজের স্বীকৃতি বা প্রশংসা খুব জরুরি। হয়তো কেউ কেউ সেটা পেয়েও থাকেন। কিন্তু তা হয়তো এতই নগণ্য যে তাঁরা অর্থ লোপাটের কথাই ভাবেন। দণ্ড লঘু হলে, তখন তাঁরা ভাবতেই পারেন—এক-আধটু তিরস্কার করলে আর বেতন কমালে বা পদের অবনতি করলে তেমন কিছু তো যাবে-আসবে না; সরকারি অর্থ থেকে খসানো যায় এর চেয়ে বড় অঙ্ক।
বেবিচক কিংবা অন্যান্য সরকারি দপ্তর কি একটু বিবেচনা করতে পারে চাকরির বিধানগুলোকে নতুন করে গোছাতে? নইলে দুর্নীতিবাজেরা লঘুদণ্ডের ফাঁকফোকর গলিয়ে বের হয়ে যাবে খুব সহজেই, এ ঘটনায় যেমনটা হয়েছে।
মাতৃভাষা খোদার বিশেষ দান; অফুরান এক নিয়ামত, যার শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না। ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ বিভিন্ন জাতির কাছে প্রেরিত হয়েছেন। তাঁরা সবাই ছিলেন নিজ নিজ জাতির মাতৃভাষায় পারদর্শী। আর সেই ভাষায় আল্লাহ তাআলা আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩