গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের বদৌলতে রাজনীতির মাঠে নতুন দ্যোতনা নিয়ে হাজির হয়েছে ‘খেলা’ শব্দটি। এখন প্রতিটি জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ‘খেলা’র ডাক দেন। বিএনপিরও দু-একজন নেতা ‘খেলা হবে’ বলে স্বর চড়ান। সেই খেলায় শনিবার (২৯ জুলাই) মাঠে নেমেছিল দুই পক্ষ।
শুক্রবার মহাসমাবেশ থেকে শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ঘোষণা দেয় বিএনপি। বিএনপিকে তো ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ দিতে পারে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাই তারাও ঢাকার প্রবেশমুখে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের এমন ‘খেলায়’ বাগড়া দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তারা শুক্রবার রাতে জানায়, কোনো দল পুলিশের অনুমতি নেয়নি। তাই কাউকেই কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না। পুলিশের এমন কথায় সরে আসে আওয়ামী লীগ। তারা কর্মসূচি বাতিল করে। তবে নেতারা বলেন, মোড়ে মোড়ে থাকবে নেতা–কর্মীরা।
শনিবার সকাল থেকেই মাঠ দখলে মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল। এক পক্ষে বিএনপি, অন্য পক্ষে পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় পুলিশকে সহযোগিতার জন্য ছিল আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘কর্মসূচির নামে বিএনপির লোকজন জ্বালাও-পোড়াও করছিল। পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছিল। তাই পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্যই আওয়ামী লীগের লোকজন রাস্তায় নেমেছিল।’
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ‘খেলা’ জমে ওঠার একপর্যায়ে মাঠ নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ। পুরান ঢাকার ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচির সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। বিএনপি পুলিশের ওপর ঢিল ছুড়তে থাকে। অন্য দিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএনপির নেতা–কর্মীদের লক্ষ্য করে ছোড়ে, একসময় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের দখলে যায় মাঠ। এ সময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বেধড়ক পেটায় পুলিশ। এরপর তাঁকে তুলে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধানের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে গাবতলীতে পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করে বিএনপির নেতা–কর্মীরা। সেখানে বিএনপির মিছিলের ওপর হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। তারা বিএনপির আহত কর্মীদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশের পিটুনিতে আহত হয় ৭ / ৮ জন। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান। পরে পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নেয়।
এ ছাড়া উত্তরায় আওয়ামী লীগ–বিএনপির সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় দলের অনেকে আহত হয়। দিন শেষে মাঠ দখলে নেয় পুলিশ।
একপর্যায়ে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, সন্ধ্যা পর্যন্ত চারটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ বলছে, এটা বিএনপি করেছে। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, কারা করেছে এটা জাতির কাছে স্পষ্ট।
আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি বাসের চালক বলেছেন, ‘আমি বাসটি ঘুরিয়ে পেট্রল পাম্পের ভেতরে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এই মুহূর্তে তিনজন যুবক এসে বলে, “তাড়াতাড়ি নাম, নইলে তোর শরীরে ঢেলে দিলাম। ” যুবকদের হাতে একটি পেট্রলভর্তি বোতল ও ম্যাচ ছিল। তখন আমি ভয়ে লাফ দিয়ে নেমে পড়ি। মুহূর্তের মধ্যেই তারা পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বাইক দিয়ে উল্টো পথে যাত্রাবাড়ীর দিকে চলে যায়।’
এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, যারাই করুক না কেন তারা দুর্বৃত্ত। কোনো এক দুরভিসন্ধি নিয়ে এই কাজ করেছে। যারাই করুক এটা খুবই ন্যক্কারজনক। আন্দোলন হবে গণতান্ত্রিক পথে। সহিংসতা করে আন্দোলন সফল করা যায় না। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘গণতন্ত্র চাই বলেই এত কিছুর পরও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথেই আছি আমরা। কিন্তু সবকিছুরই একটা সীমা থাকে। আশা করি সরকার সেটা মনে রাখবে।’
তিনি বলেছেন, ‘মাতুয়াইল ও শ্যামলীতে গাড়িতে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করার অপচেষ্টা চলছে। অথচ পুলিশের সামনেই এসব ঘটনা ঘটিয়ে ভিডিও করে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চলে গেছে। কারা এটা করতে পারে, তা অনুমানের জন্য বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তারা অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে। তারা মাতুয়াইলে চারটা বাসে আগুন দেয়। পুলিশ ভ্যানে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। রাজধানীতে সাতটি বাসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।’
সহিংসতা, বাস পোড়ানো এবং মানুষকে ভোগান্তি দিয়ে দিন শেষে কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি আর যাই হোক জনগণের আস্থা অর্জনে কোনো কাজে আসে না। তবে আজকের সারা দিনের খেলা জনগণ ও বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীরা দর্শক সারিতে বসে দেখেছে।
খেলার টুইস্ট ছিল আমানউল্লাহ আমানকে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দল ফল নিয়ে দেখতে যাওয়া ও গয়েশ্বর রায়কে ডিবি কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ানো। প্রতিনিধি দলকে দিয়ে আমানকে দেখতে ফলের ঝুড়ি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সোনারগাঁও হোটেল থেকে কয়েক পদের খাবার এনে নিজ কার্যালয়ের গয়েশ্বর রায়কে আপ্যায়ন করেছেন স্বয়ং ডিবি প্রধান।
এ দুটি ঘটনার ছবি প্রকাশ হওয়ার পর একদলের সমর্থকেরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন, অন্য দল বলছে—এটা নাটক। সাধারণ দর্শকেরা অবশ্য মজা নিচ্ছে! বিএনপিসহ কেউ কেউ বলছে, আমেরিকার ভিসানীতির ভয়েই বিরোধী নেতাদের এই সমাদর। মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘ভিসানীতি থেকে রক্ষার জন্য পুলিশই এমন নাটক করেছে।’ তাঁর ভাষায়, ‘এর আগেও তো অনেক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের নির্যাতন করেছে। আমাকেও নিয়ে গেছে, আব্বাস ভাইকেও (মির্জা আব্বাস) নিয়ে গেছে কয়েক দিন আগেই। তখন তো সুস্বাদু আম তাদের খাওয়ানো হয়নি, ফুলও পাঠানো হয়নি। এখন খাওয়ানো হচ্ছে (আম) ভিসানীতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।’
এদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন।
অবশ্য অনেক নেটিজেন বলছেন, আমান ও গয়েশ্বরের সঙ্গে এমন আচরণ করে নেতা-কর্মীদের মনোবল দুর্বল করার একটি চেষ্টা হতে পারে এটি। বিএনপির আন্দোলন এতে হালকা হয়ে গেল।
তবে দিন শেষে আজকের দিনের খেলায় কে জিতল সেই বিচার হয়তো দর্শকেরাও তাৎক্ষণিক করতে পারবেন না। ফলাফল ঘোষণা করতে আরও খেলা দেখতে হবে! আরও অপেক্ষা করতে হবে। আজকেরটিকে অনেকে বলছেন ‘প্রীতি ম্যাচ’। তাই জয়-পরাজয় নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না কেউ কেউ।
লেখক: সহ সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের বদৌলতে রাজনীতির মাঠে নতুন দ্যোতনা নিয়ে হাজির হয়েছে ‘খেলা’ শব্দটি। এখন প্রতিটি জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ‘খেলা’র ডাক দেন। বিএনপিরও দু-একজন নেতা ‘খেলা হবে’ বলে স্বর চড়ান। সেই খেলায় শনিবার (২৯ জুলাই) মাঠে নেমেছিল দুই পক্ষ।
শুক্রবার মহাসমাবেশ থেকে শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ঘোষণা দেয় বিএনপি। বিএনপিকে তো ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ দিতে পারে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাই তারাও ঢাকার প্রবেশমুখে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের এমন ‘খেলায়’ বাগড়া দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তারা শুক্রবার রাতে জানায়, কোনো দল পুলিশের অনুমতি নেয়নি। তাই কাউকেই কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না। পুলিশের এমন কথায় সরে আসে আওয়ামী লীগ। তারা কর্মসূচি বাতিল করে। তবে নেতারা বলেন, মোড়ে মোড়ে থাকবে নেতা–কর্মীরা।
শনিবার সকাল থেকেই মাঠ দখলে মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল। এক পক্ষে বিএনপি, অন্য পক্ষে পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় পুলিশকে সহযোগিতার জন্য ছিল আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘কর্মসূচির নামে বিএনপির লোকজন জ্বালাও-পোড়াও করছিল। পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছিল। তাই পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্যই আওয়ামী লীগের লোকজন রাস্তায় নেমেছিল।’
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ‘খেলা’ জমে ওঠার একপর্যায়ে মাঠ নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ। পুরান ঢাকার ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচির সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। বিএনপি পুলিশের ওপর ঢিল ছুড়তে থাকে। অন্য দিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএনপির নেতা–কর্মীদের লক্ষ্য করে ছোড়ে, একসময় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের দখলে যায় মাঠ। এ সময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বেধড়ক পেটায় পুলিশ। এরপর তাঁকে তুলে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধানের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে গাবতলীতে পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করে বিএনপির নেতা–কর্মীরা। সেখানে বিএনপির মিছিলের ওপর হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। তারা বিএনপির আহত কর্মীদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশের পিটুনিতে আহত হয় ৭ / ৮ জন। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান। পরে পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নেয়।
এ ছাড়া উত্তরায় আওয়ামী লীগ–বিএনপির সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় দলের অনেকে আহত হয়। দিন শেষে মাঠ দখলে নেয় পুলিশ।
একপর্যায়ে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, সন্ধ্যা পর্যন্ত চারটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ বলছে, এটা বিএনপি করেছে। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, কারা করেছে এটা জাতির কাছে স্পষ্ট।
আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি বাসের চালক বলেছেন, ‘আমি বাসটি ঘুরিয়ে পেট্রল পাম্পের ভেতরে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এই মুহূর্তে তিনজন যুবক এসে বলে, “তাড়াতাড়ি নাম, নইলে তোর শরীরে ঢেলে দিলাম। ” যুবকদের হাতে একটি পেট্রলভর্তি বোতল ও ম্যাচ ছিল। তখন আমি ভয়ে লাফ দিয়ে নেমে পড়ি। মুহূর্তের মধ্যেই তারা পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বাইক দিয়ে উল্টো পথে যাত্রাবাড়ীর দিকে চলে যায়।’
এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, যারাই করুক না কেন তারা দুর্বৃত্ত। কোনো এক দুরভিসন্ধি নিয়ে এই কাজ করেছে। যারাই করুক এটা খুবই ন্যক্কারজনক। আন্দোলন হবে গণতান্ত্রিক পথে। সহিংসতা করে আন্দোলন সফল করা যায় না। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘গণতন্ত্র চাই বলেই এত কিছুর পরও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথেই আছি আমরা। কিন্তু সবকিছুরই একটা সীমা থাকে। আশা করি সরকার সেটা মনে রাখবে।’
তিনি বলেছেন, ‘মাতুয়াইল ও শ্যামলীতে গাড়িতে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করার অপচেষ্টা চলছে। অথচ পুলিশের সামনেই এসব ঘটনা ঘটিয়ে ভিডিও করে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চলে গেছে। কারা এটা করতে পারে, তা অনুমানের জন্য বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তারা অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে। তারা মাতুয়াইলে চারটা বাসে আগুন দেয়। পুলিশ ভ্যানে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। রাজধানীতে সাতটি বাসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।’
সহিংসতা, বাস পোড়ানো এবং মানুষকে ভোগান্তি দিয়ে দিন শেষে কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি আর যাই হোক জনগণের আস্থা অর্জনে কোনো কাজে আসে না। তবে আজকের সারা দিনের খেলা জনগণ ও বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীরা দর্শক সারিতে বসে দেখেছে।
খেলার টুইস্ট ছিল আমানউল্লাহ আমানকে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দল ফল নিয়ে দেখতে যাওয়া ও গয়েশ্বর রায়কে ডিবি কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ানো। প্রতিনিধি দলকে দিয়ে আমানকে দেখতে ফলের ঝুড়ি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সোনারগাঁও হোটেল থেকে কয়েক পদের খাবার এনে নিজ কার্যালয়ের গয়েশ্বর রায়কে আপ্যায়ন করেছেন স্বয়ং ডিবি প্রধান।
এ দুটি ঘটনার ছবি প্রকাশ হওয়ার পর একদলের সমর্থকেরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন, অন্য দল বলছে—এটা নাটক। সাধারণ দর্শকেরা অবশ্য মজা নিচ্ছে! বিএনপিসহ কেউ কেউ বলছে, আমেরিকার ভিসানীতির ভয়েই বিরোধী নেতাদের এই সমাদর। মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘ভিসানীতি থেকে রক্ষার জন্য পুলিশই এমন নাটক করেছে।’ তাঁর ভাষায়, ‘এর আগেও তো অনেক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের নির্যাতন করেছে। আমাকেও নিয়ে গেছে, আব্বাস ভাইকেও (মির্জা আব্বাস) নিয়ে গেছে কয়েক দিন আগেই। তখন তো সুস্বাদু আম তাদের খাওয়ানো হয়নি, ফুলও পাঠানো হয়নি। এখন খাওয়ানো হচ্ছে (আম) ভিসানীতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।’
এদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন।
অবশ্য অনেক নেটিজেন বলছেন, আমান ও গয়েশ্বরের সঙ্গে এমন আচরণ করে নেতা-কর্মীদের মনোবল দুর্বল করার একটি চেষ্টা হতে পারে এটি। বিএনপির আন্দোলন এতে হালকা হয়ে গেল।
তবে দিন শেষে আজকের দিনের খেলায় কে জিতল সেই বিচার হয়তো দর্শকেরাও তাৎক্ষণিক করতে পারবেন না। ফলাফল ঘোষণা করতে আরও খেলা দেখতে হবে! আরও অপেক্ষা করতে হবে। আজকেরটিকে অনেকে বলছেন ‘প্রীতি ম্যাচ’। তাই জয়-পরাজয় নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না কেউ কেউ।
লেখক: সহ সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৩ দিন আগেপরিশেষে বলা যায়, হাসিনার চীনা ধাঁচের স্বৈরশাসক শাসিত রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়াস ব্যর্থ হয় একাধিক কারণে। তাঁর বৈষম্যমূলক এবং এলিটপন্থী বাঙালি-আওয়ামী আদর্শ জনসাধারণ গ্রহণ করেনি, যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গণমুখী আদর্শের বিপরীত। ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তাঁর শাসনকে দুর্বল করে দেয়, পাশাপাশি
৭ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় মোটামুটি সারা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। বাদ যায়নি তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই জয়ের বড় প্রভাব পড়বে প্রতিবেশী দেশগুলোয়।
৯ দিন আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর বিশ্বের অনেক অঞ্চলে নতুন উদ্বেগ ও প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, ইউক্রেন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, আর ইসরায়েল অনেকটা খুশিতে উদ্বেলিত। তবে বিশেষ নজরে আছে পারস্য উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো।
১০ দিন আগে