শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
আড্ডা
অলৌকিক স্পন্দন
চিলি নিবাসী পাবলো নেরুদা, যিনি আমাদের সময়ের এক অনন্য কবি, এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর শব্দমায়ায় শ্রোতাদের প্রণোদিত করে গেছেন ১১ বছর আগে। সেই থেকে ইউরোপের মানুষ আরও বেশি করে শিহরিত হচ্ছে লাতিন আমেরিকার অলৌকিক স্পন্দনে।...একবার এক অসমসাহসী প্রেসিডেন্ট জ্বলন্ত প্রাসাদে আটকে পড়েও একা বিপক্ষ সেনাবাহিনীর সঙ্গে
ভেবেছিলাম শেষের দিন হাজির
সামনের পথ আছন্ন ছিল সবুজ এবং শ্বেত নির্জনতায়। যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত মাটির বিবিধ স্তরবিন্যাস বৃক্ষের ঋজুতা, আধভাঙা ডালপালার অবরোধ, অখণ্ড নির্জনতা—সব মিলিয়ে যতই এগোনো গেছে, ততই কঠিন হয়েছে চলা। প্রকৃতির চোখধাঁধানো এবং গোপন এক বিশ্বের পেটের ভেতরে আমরা ছিলাম, যা কিনা একই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা, তুষারে ঘেরা, নির
খণ্ডিত সংস্কৃতিতে বাস
উত্তর লন্ডনের একটি নামকরা বালক বিদ্যালয়ে আমি বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলাম। সুন্দর বাগানঘেরা বড় একটি স্কুল ভবন। এই স্কুলের ছাত্ররা প্রতি সপ্তাহেই তাদের স্কুলে খ্যাতনামা ব্যক্তিদের দেখা পায়। এমনকি এখানকার ছাত্রদের বাবা-মা, আত্মীয়রাই একেকজন খ্যাতিমান ব্যক্তি। ফলে খ্যাতনামা কেউ আসা না-আসা তাদের জন্য বিশেষ অর্
একজন কবি ও লেখকের দায়িত্ব
যতক্ষণ না এই ভালোবাসা, ত্যাগ, সম্মান, গর্ব ও সহমর্মিতার বিষয়গুলোয় অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারছেন একজন লেখক, ততক্ষণ তাঁকে হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে মানুষের শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। আমি মানবের মৃত্যুকে মেনে নিতে চাই না। সব বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে
যৌবনের উপহার
একজন সম্মানীয় বক্তা আমার লেখার একটা নিজস্ব ধরনের কথা বলেছেন। আমি নিজেও বোধ হয় এটুকুই দাবি করতে পারি, তার অধিক কিছু নয়। যদিও সবার কাছ থেকেই কিছু কিছু আমি শিখেছি আর এমনকি কেউ আছেন যাঁরা কিছু না কিছু অন্যের থেকে শেখেননি?
বেড়া টপকানোর উপায় কবিতা
ভাষা যদি বেড়া তৈরি করে, তাহলে সেই বেড়া টপকানোর পন্থাও আমাদের দেয় কবিতা। অন্য ভাষার কবিতার স্বাদ নেওয়ার অর্থ, সেই ভাষাভাষী মানুষের বোধবুদ্ধিরও সুবাস নেওয়া, যা আর অন্য কোনোভাবে পাওয়া সম্ভব নয়। ইউরোপের কবিতার ইতিহাসে যদি চোখ রাখি, দেখা যায় এক ভাষার কবিতা অন্য ভাষায় কী প্রবল প্রভাব ফেলেছে।
চীনা বিদ্বানদের নিয়ে হাস্যরস
চীনে সব সময়ই শিল্প আর উপন্যাস দুটি আলাদা বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সেখানে শিল্প হিসেবে সাহিত্যচর্চার ব্যাপারটি ছিল ক্ষমতাবান বিদ্বানদের একচ্ছত্র দখলে। তাঁরা একে অপরের জন্য শিল্প সৃষ্টি করতেন নিজস্ব নিয়মে এবং উপন্যাসের কোনো জায়গা সেখানে ছিল না। কিছু সনাতন স্বেচ্ছাচারী আইন দিয়ে তাঁরা দখল করে রেখেছিলে
অন্ধ হলেও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন
অনেক অনেক বছর আগে এক বুড়ি ছিলেন, অন্ধ কিন্তু জ্ঞানী। তিনি কি শুধুই বুড়ি ছিলেন? সম্ভবত একজন গুরু, কিংবা এক অশান্ত শিশু। আমি এই গল্পটি শুনেছিলাম বা অনেকটা এ রকম কিছু একটা অনেক লোকগাথাতেই উল্লেখ ছিল। অনেকটা এ রকম, ‘একদা এক ছিল বুড়ি। অন্ধ কিন্তু জ্ঞানী।’
বিশ্বজনীন ও যুক্তিশীল মতাদর্শ
আজ থেকে দুই সহস্রাব্দ আগে কবি হোরেস বলেছিলেন, ‘যথাসময়ে মূর্খামি প্রদর্শন বেশ জরুরি কাজ।’ কবির কথা শিরোধার্য করে এই ‘যথাসময়ে’ আমি ‘মূর্খামি’র সপক্ষে কিছু বলতে চাই।
অবজ্ঞার মাত্রাই বেশি থাকে
আদিম মানুষের মতো দ্বিধান্বিত কেউ একজন সেটাকে তুলে নিয়েছে—সেটা কি ভেসে আসা এক অদ্ভুত সামুদ্রিক প্রাণী?—সেটা কি এক অদ্ভুত কিছু, যা হয়তো বালুর মধ্যে লুকিয়ে ছিল?—অথবা এমন কিছু যা হঠাৎ করেই আকাশ থেকে পড়েছে?—বেশ অদম্য আর বক্র, আবার বোধহীনের মতো চকচকে, ভেতর থেকে উজ্জ্বল প্রভা বেরিয়ে
জানা ও অজানার মধ্যে মধ্যস্থতা
শব্দ ছিল ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, শব্দটি ছিল সৃষ্টি। কিন্তু মানব সংস্কৃতির শতাব্দীর পর শতাব্দী যেতে ধ্বনি অর্থে রূপ পায়, পার্থিব কিংবা ধর্মীয় সব অর্থে। শব্দ বিশ্বজুড়ে ধ্বনিত হয়, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে হাতে ধরা দেয়। কিন্তু আমার জন্য, আমার ধরনের জন্য একটি বিশেষ রূপান্তরও ঘটে।
ত্রাস-শ্রদ্ধা-বিহ্বলতার অপার মিশ্রণ
সভ্যতার আদি থেকেই মানুষ যা বারবার বলে এসেছে, সে কথাই আজ শুরুতে বলি। ধন্যবাদ আপনাদের! প্রতিটি ভাষাতেই কৃতজ্ঞতার প্রকাশ রয়েছে, নিজের মতো করে। প্রকাশভঙ্গি পৃথক, অর্থের পরিধিও তার বিভিন্ন। রোমান ভাষায় কৃতজ্ঞতাসূচক বাক্য শরীর এবং আত্মাকে ছুঁয়ে থাকে। কখনো তা স্বর্গীয় সৌরভে ভরপুর, আবার কখনো-বা তা মানুষকে ম
এই পুরস্কার গৌরবের
আমার কাজকে শীর্ষতম সম্মানে ভূষিত করার জন্য সুইডিশ একাডেমিকে ধন্যবাদ। এটা ঠিকই যে, অন্য কৃতী লেখকদের টপকে আমাকে এই সম্মান দেওয়া নিয়ে আমার নিজের মনেই এখনো সংশয় রয়েছে। সেই সব লেখককে টপকে, যাঁদের আমি অত্যন্ত সম্মান ও সম্ভ্রম করি। কিন্তু এটাও তো বলতেই হবে, এই পুরস্কার আমার কাছেও গৌরবের এবং আনন্দের।
স্বেদ-যন্ত্রণা সুসাহিত্যের জন্ম দেয়
আমি মনে করি, ব্যক্তি আমিকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না, দেওয়া হচ্ছে আমার কাজকে। গোটা জীবন ধরে করা কাজ, মানবাত্মার স্বেদ ও যন্ত্রণার মধ্য থেকে উঠে আসা কাজ, যার উদ্দেশ্য কোনো লাভ বা গৌরব অর্জন নয়। যার লক্ষ্য মানবাত্মার টুকরো-টাকরো কুড়িয়ে এমন কিছু সৃষ্টি করা, যা আগে ছিল না। ফলে এই পুরস্কার সম্পর্কে আমার
‘তুমি এখন কী কর’ প্রশ্নে বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয় পাস বেকারেরা
‘খুব বাড়ি যেতে ইচ্ছা করলেও যাই না। বাড়ি গেলে এলাকার লোকজন, আত্মীয়-স্বজনেরা জিজ্ঞেস করে, কী করি এখন? উত্তর দিতে পারি না। এলাকার দু-একজনের চাকরি হলে, সেটা আবার বাড়ির লোকজনই শোনায়। পরিবারটাকে অপরিচিত লাগে তখন, হতাশ লাগে!’
উদ্বুদ্ধ করার মতো উদাহরণ
আজ সুইডেন সুদূর লাতিন আমেরিকার দিকে ফিরেছে, দেশটির সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্বকারী একজনকে সম্মান দেখানোর উদ্দেশ্যে। চিলির গণতন্ত্রে লালিত একজন হিসেবে আমার সামনে সুইডিশ গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধি দেখতে পাই, যার মৌলিকতা সমাজের অত্যন্ত মূল্যবান সৃষ্টি কাঠামোর মধ্যে বিরতিহীনভাবে নিজেকে নবায়ন করে চলেছে।
উপন্যাসের কোনো জায়গা নেই
উপন্যাস কখনোই চীনে একটি শিল্প হিসেবে বিবেচিত হয়নি। চীনা ঔপন্যাসিকেরাও কখনো নিজেদের শিল্পী হিসেবে দেখেননি। চীনা উপন্যাস ইতিহাস, পরিধি আর মানুষের হৃদয়ে এর অবস্থান—সবকিছুকেই বিবেচনা করতে হবে এই সত্য মাথায় রেখে।