সম্পাদকীয়
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের প্রধান পরিচয় চলচ্চিত্র পরিচালক হলেও তিনি ষাটের দশকের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবিও ছিলেন। তিনি ঋত্বিক ঘটক, সত্যজিৎ রায় ও মৃণাল সেন-উত্তর যুগে বাংলা সিনেমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বের সামনে।
বুদ্ধদেবের জন্ম ১৯৪৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ার আনাড়া গ্রামে। ১২ বছর বয়সে কলকাতায় চলে এসে তিনি হাওড়ার দীনবন্ধু স্কুলে ভর্তি হন। এরপর অর্থনীতি বিষয় নিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক এবং একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ শ্যামসুন্দর কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে তাঁর পেশাজীবন শুরু হয়। তবে শিক্ষকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের প্রতি অনুরাগ ছিল। স্বপ্ন দেখতেন ছবি বানাবেন। এই তাগিদেই একসময় কলকাতা ফিল্ম সোসাইটির সদস্য হন। ১৯৬৮ সালে ১০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র দিয়ে তাঁর চলচ্চিত্র পরিচালনায় হাতেখড়ি হয়।
১৯৭৮ সালে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি ‘দূরত্ব’ পরিচালনা করে জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। তাঁর ‘বাঘ বাহাদুর’, ‘চরাচর’, ‘লাল দরজা’, ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’, ‘কালপুরুষ’ সিনেমাগুলো সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। বুদ্ধদেবের ‘দোরাতওয়া’, ‘ফেরা’, ‘তাহাদের কথা’ জাতীয় পুরস্কার পায় বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ সিনেমা হিসেবে। সেরা নির্দেশকের জাতীয় পুরস্কারও আসে তাঁর ঘরে, ‘উত্তরা’ ও ‘স্বপ্নের দিন’ সিনেমার জন্য। অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পুরস্কারও আছে তাঁর ঝুলিতে।
চলচ্চিত্র সমালোচকদের মতে, তিনি সিনেমার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন। নির্দিষ্ট ধরাবাঁধা ছকে এগিয়ে যাননি। বরং ছক ভেঙে এগিয়ে যাওয়াই ছিল তাঁর চলচ্চিত্র নির্মাণের আদর্শ। তাঁর সিনেমায় বারবার প্রতিফলিত হয়েছে বাংলার আর্থসামাজিক পরিস্থিতি। সমাজে যে অবক্ষয়ী মনোভাব চলমান, তার প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি তাঁর চলচ্চিত্রগুলোতে।
বুদ্ধদেবের কলমে উঠে এসেছে একাধিক কবিতা, যা নিয়ে আজও চর্চা হয়। তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘রোবটের গান’, ‘ছাতাকাহিনি’, ‘গভীর আড়ালে’ ইত্যাদি।
এই বরেণ্য কবি ও চলচ্চিত্র পরিচালক ৭৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ২০২১ সালের ১০ জুন।
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের প্রধান পরিচয় চলচ্চিত্র পরিচালক হলেও তিনি ষাটের দশকের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবিও ছিলেন। তিনি ঋত্বিক ঘটক, সত্যজিৎ রায় ও মৃণাল সেন-উত্তর যুগে বাংলা সিনেমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বের সামনে।
বুদ্ধদেবের জন্ম ১৯৪৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ার আনাড়া গ্রামে। ১২ বছর বয়সে কলকাতায় চলে এসে তিনি হাওড়ার দীনবন্ধু স্কুলে ভর্তি হন। এরপর অর্থনীতি বিষয় নিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক এবং একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ শ্যামসুন্দর কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে তাঁর পেশাজীবন শুরু হয়। তবে শিক্ষকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের প্রতি অনুরাগ ছিল। স্বপ্ন দেখতেন ছবি বানাবেন। এই তাগিদেই একসময় কলকাতা ফিল্ম সোসাইটির সদস্য হন। ১৯৬৮ সালে ১০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র দিয়ে তাঁর চলচ্চিত্র পরিচালনায় হাতেখড়ি হয়।
১৯৭৮ সালে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি ‘দূরত্ব’ পরিচালনা করে জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। তাঁর ‘বাঘ বাহাদুর’, ‘চরাচর’, ‘লাল দরজা’, ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’, ‘কালপুরুষ’ সিনেমাগুলো সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। বুদ্ধদেবের ‘দোরাতওয়া’, ‘ফেরা’, ‘তাহাদের কথা’ জাতীয় পুরস্কার পায় বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ সিনেমা হিসেবে। সেরা নির্দেশকের জাতীয় পুরস্কারও আসে তাঁর ঘরে, ‘উত্তরা’ ও ‘স্বপ্নের দিন’ সিনেমার জন্য। অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পুরস্কারও আছে তাঁর ঝুলিতে।
চলচ্চিত্র সমালোচকদের মতে, তিনি সিনেমার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন। নির্দিষ্ট ধরাবাঁধা ছকে এগিয়ে যাননি। বরং ছক ভেঙে এগিয়ে যাওয়াই ছিল তাঁর চলচ্চিত্র নির্মাণের আদর্শ। তাঁর সিনেমায় বারবার প্রতিফলিত হয়েছে বাংলার আর্থসামাজিক পরিস্থিতি। সমাজে যে অবক্ষয়ী মনোভাব চলমান, তার প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি তাঁর চলচ্চিত্রগুলোতে।
বুদ্ধদেবের কলমে উঠে এসেছে একাধিক কবিতা, যা নিয়ে আজও চর্চা হয়। তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘রোবটের গান’, ‘ছাতাকাহিনি’, ‘গভীর আড়ালে’ ইত্যাদি।
এই বরেণ্য কবি ও চলচ্চিত্র পরিচালক ৭৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ২০২১ সালের ১০ জুন।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১১ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৩ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৪ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫ দিন আগে