মেখলা সরকার
প্রশ্ন: আমি বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা। আমার বয়স ৩০ বছর। প্রথম সমস্যা, আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত। বেশ কিছুদিন ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভ করে রেখে বা লগ আউট করে এবং আরও অনেকভাবে চেষ্টা করেছি সেখান থেকে দূরে থাকার। কিন্তু কিছুতেই কোনো লাভ হচ্ছে না। এতে আমার প্রচুর সময় নষ্ট করছে। মাঝেমধ্যে প্রচণ্ড পরিমাণে বিরক্ত বোধ করি। নিজের সন্তানের লেখাপড়ার দিকে ঠিকঠাক মনোযোগ দিতে পারছি না।
ইদানীং খুবই বিরক্তিকর লাগে নিজেকে। আমি নিজেকে কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখতে পারি, এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে একটু সাহায্য করবেন।
শাফিয়া, খুলনা
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, আপনি সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে একধরনের আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছেন। কোনো কিছুতে আসক্ত হয়ে পড়লে যত সময় যাবে, ততই আসক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। মানে হলো, আগে আপনি যদি এক ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করতেন, সেখানে দিনকে দিন আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময় বাড়তে থাকবে। আসক্তি বলা হয় তখনই, যখন আমাদের মস্তিষ্কের একধরনের জৈব রাসায়নিক এবং জৈব কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন হয়। সে কারণে আমাদের ইচ্ছাকৃত যে ব্যবহার, সেটা রূপান্তরিত হয় বাধ্যগত ব্যবহারে। এতে আপনি বেশি সময় ব্যবহার না করলে আপনার মধ্যে একধরনের প্রত্যাহারজনিত অস্থিরতা কাজ করবে। এ অবস্থার কারণে আপনি বিরক্ত বা খিটখিটে অনুভব করছেন।
আপনি ধাপে ধাপে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। শুরুতে আপনি ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভ করুন। এতে কাজ না দিলে অ্যাপসগুলো আনস্টল করুন। এতেও কাজ না হলে বিভিন্ন ডিভাইস যেমন- মোবাইল, ল্যাপটপ কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখুন। এই সময়টাতে আপনি আপনার পছন্দের কাজ (গান শোনা, বই পড়া, বাগান করা) করতে পারেন। এ ছাড়া আপনার দরকার একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। আপনি যেকোনো সরকারি হাসপাতাল থেকে এই চিকিৎসা পেতে পারেন।
প্রশ্ন: আমার বয়স ২৫ বছর। বিয়ে হয়েছে ৫ বছর আগে।
এখনো সন্তান নিইনি। আমি একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। কিছুদিন আগে জানতে পারি আমার স্বামী পরকীয়া করে। এটা শুনে আমি মানসিকভাবে অনেক খারাপ অবস্থায় আছি। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে বলে, আমার কারণে সে এমনটা করছে।
আমার রাগ আর জেদ বেশি। এটা হলো আমার দোষ। আমি যদি কোনো কিছু নিয়ে রিঅ্যাক্ট করি, সঙ্গে সঙ্গে সে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। কিন্তু আমি যে তার সবকিছু সহ্য করছি, এটা নিয়ে তার কোনো কিছু বলার নেই। তার একটাই কথা—আমি কোনো কিছু নিয়ে কোনো রিঅ্যাক্ট করতে পারব না। আমি কোনো সেপারেশনে যেতে চাই না। তাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমি
এখন কী করব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মিরপুর
পরকীয়া নিয়ে আপনার স্বামীর মধ্যে তেমন কোনো অপরাধবোধ কাজ করছে না; বরং এ ক্ষেত্রে তিনি আপনার জেদ বা রাগকে দোষারোপ করছেন। আপনার কথায় মনে হচ্ছে, আপনার স্বামী এ বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াস নন। আপনাদের সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য স্বামীর সঙ্গে বাসার বাইরে নিরিবিলিতে কথা বলতে পারেন। সেখানে আপনি গুরুত্বসহকারে আপনার মনের ভেতরকার কষ্টের কথাগুলো বলুন।
এ সময় আপনারা মুখোমুখি বসে কথা বলবেন। কথা বলার সময় তাঁকে সরাসরি অভিযোগ না করে আপনি যে বিষয়টি নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন, সেটা জানান। আর মনোযোগ দিয়ে আপনার স্বামীর কথা শুনুন। এ সময় আপনি কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। এতে কাজ না হলে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন
মেখলা সরকার
সহযোগী অধ্যাপক ও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
প্রশ্ন: আমি বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা। আমার বয়স ৩০ বছর। প্রথম সমস্যা, আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত। বেশ কিছুদিন ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভ করে রেখে বা লগ আউট করে এবং আরও অনেকভাবে চেষ্টা করেছি সেখান থেকে দূরে থাকার। কিন্তু কিছুতেই কোনো লাভ হচ্ছে না। এতে আমার প্রচুর সময় নষ্ট করছে। মাঝেমধ্যে প্রচণ্ড পরিমাণে বিরক্ত বোধ করি। নিজের সন্তানের লেখাপড়ার দিকে ঠিকঠাক মনোযোগ দিতে পারছি না।
ইদানীং খুবই বিরক্তিকর লাগে নিজেকে। আমি নিজেকে কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখতে পারি, এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে একটু সাহায্য করবেন।
শাফিয়া, খুলনা
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, আপনি সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে একধরনের আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছেন। কোনো কিছুতে আসক্ত হয়ে পড়লে যত সময় যাবে, ততই আসক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। মানে হলো, আগে আপনি যদি এক ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করতেন, সেখানে দিনকে দিন আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময় বাড়তে থাকবে। আসক্তি বলা হয় তখনই, যখন আমাদের মস্তিষ্কের একধরনের জৈব রাসায়নিক এবং জৈব কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন হয়। সে কারণে আমাদের ইচ্ছাকৃত যে ব্যবহার, সেটা রূপান্তরিত হয় বাধ্যগত ব্যবহারে। এতে আপনি বেশি সময় ব্যবহার না করলে আপনার মধ্যে একধরনের প্রত্যাহারজনিত অস্থিরতা কাজ করবে। এ অবস্থার কারণে আপনি বিরক্ত বা খিটখিটে অনুভব করছেন।
আপনি ধাপে ধাপে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। শুরুতে আপনি ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভ করুন। এতে কাজ না দিলে অ্যাপসগুলো আনস্টল করুন। এতেও কাজ না হলে বিভিন্ন ডিভাইস যেমন- মোবাইল, ল্যাপটপ কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখুন। এই সময়টাতে আপনি আপনার পছন্দের কাজ (গান শোনা, বই পড়া, বাগান করা) করতে পারেন। এ ছাড়া আপনার দরকার একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। আপনি যেকোনো সরকারি হাসপাতাল থেকে এই চিকিৎসা পেতে পারেন।
প্রশ্ন: আমার বয়স ২৫ বছর। বিয়ে হয়েছে ৫ বছর আগে।
এখনো সন্তান নিইনি। আমি একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। কিছুদিন আগে জানতে পারি আমার স্বামী পরকীয়া করে। এটা শুনে আমি মানসিকভাবে অনেক খারাপ অবস্থায় আছি। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে বলে, আমার কারণে সে এমনটা করছে।
আমার রাগ আর জেদ বেশি। এটা হলো আমার দোষ। আমি যদি কোনো কিছু নিয়ে রিঅ্যাক্ট করি, সঙ্গে সঙ্গে সে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। কিন্তু আমি যে তার সবকিছু সহ্য করছি, এটা নিয়ে তার কোনো কিছু বলার নেই। তার একটাই কথা—আমি কোনো কিছু নিয়ে কোনো রিঅ্যাক্ট করতে পারব না। আমি কোনো সেপারেশনে যেতে চাই না। তাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমি
এখন কী করব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মিরপুর
পরকীয়া নিয়ে আপনার স্বামীর মধ্যে তেমন কোনো অপরাধবোধ কাজ করছে না; বরং এ ক্ষেত্রে তিনি আপনার জেদ বা রাগকে দোষারোপ করছেন। আপনার কথায় মনে হচ্ছে, আপনার স্বামী এ বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াস নন। আপনাদের সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য স্বামীর সঙ্গে বাসার বাইরে নিরিবিলিতে কথা বলতে পারেন। সেখানে আপনি গুরুত্বসহকারে আপনার মনের ভেতরকার কষ্টের কথাগুলো বলুন।
এ সময় আপনারা মুখোমুখি বসে কথা বলবেন। কথা বলার সময় তাঁকে সরাসরি অভিযোগ না করে আপনি যে বিষয়টি নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন, সেটা জানান। আর মনোযোগ দিয়ে আপনার স্বামীর কথা শুনুন। এ সময় আপনি কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। এতে কাজ না হলে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন
মেখলা সরকার
সহযোগী অধ্যাপক ও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
প্রবাদ আছে, দুঃসাহসে দুঃখ হয়। কিন্তু বাগেরহাটের প্রজাপতি স্কোয়াড দুঃসাহসে ভর করে আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া এখনো যে কতটা কঠিন কাজ, তা কারও অজানা নয়। সেই কঠিন কাজই করে চলেছে বাগেরহাটের কিশোরীরা। প্রজাপতি স্কোয়াড নামে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে তার
৬ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বা ওএইচসিএইচআর এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের
৬ দিন আগেআপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগীয়
৬ দিন আগেশওকত আরা খন্দকার ওরফে ঝর্ণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঘর-সংসার সামলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
৬ দিন আগে