ইশতিয়াক হাসান
ডেনমার্কের ফারো দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় হ্রদ সোভাসনভ্যান। ৩.৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের হ্রদটির সবচেয়ে মজার বিষয় হলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে সাগরের ওপর ঝুলে আছে এটি। নিশ্চয় ভাবছেন একটি হ্রদ কীভাবে সাগরের ওপরে ঝুলে থাকা সম্ভব? ঝুলন্ত হ্রদের বিষয়টি খোলাসা করছি এখন।
হ্রদটি সাগরের ওপরে থাকলেও একেবারে ঝুলে আছে বলে মনে হওয়ার পেছনে কিছুটা দৃষ্টিবিভ্রমও কাজ করছে। মূল বিষয় হলো, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর থেকে মোটামুটি ১০০ মিটার খাঁড়া উঠে গেছে একটি পাহাড় বা ক্লিফ। হ্রদটির অবস্থান পাহাড়ের চূড়া থেকে ৭০ মিটার নিচে, আরও পরিষ্কারভাবে বললে সাগর থেকে ৩০ মিটার উচ্চতায় এটি। হ্রদটির আকার ও আলোর খেলায় নির্দিষ্ট কোণ থেকে মনে হয় পাহাড়ের ও লেকের উচ্চতা সমান, আর মোটামুটি শ খানিক মিটার উচ্চতা থেকেই এটি উত্তর আটলান্টিকের ওপর ঝুলে আছে।
হ্রদটির চারপাশের পাহাড়ের কারণে এর সব জল সাগরে গিয়ে পড়ারও কোনো সুযোগ নেই। তবে একটি জায়গা দিয়ে জলপ্রপাত হয়ে হ্রদের কিছু পানি সাগরে গিয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। এটির নাম বসদালফসার। শীতের মাসগুলোতে হ্রদের জল জমে বরফ হয়ে যায়। তখন আইস ফিশিংয়ের জন্য এর চেয় চমৎকার জায়গা পাবেন কমই।
ফারো দ্বীপপুঞ্জের ভ্যাগার দ্বীপে দেখা পাবেন হ্রদটির। মজার ঘটনা, দ্বীপপুঞ্জের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক ফজালাভাতানের অবস্থানও একই দ্বীপে। হ্রদটির নাম নিয়ে আশপাশের দুটি বসতির মানুষদের মধ্যে কিছুটা বিতর্ক আছে। সোভাগারের বাসিন্দারা এর সোভাসনভ্যান নাম নিয়ে বেশ গর্ব অনুভব করেন। অন্যদিকে মিয়োভগারের বাসিন্দারা হ্রদটিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন লেইতসভাতান নামে। কারণ হ্রদের তাদের দিকে একটি জায়গা আছে লেইতি নামে।
তবে হ্রদটির নাম সোভাসনভ্যান হয়ে যাওয়াটা এক হিসেবে একটু অদ্ভুত ব্যাপারই। কারণ মিয়োভগার গ্রামটি সোভাগারের তুলনায় হ্রদের বেশি কাছে। একটা কারণ হতে পারে, সোভাগার মিয়োভগারের তুলনায় অনেক পুরোনো গ্রাম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনারা লেকের পশ্চিমে একটি এয়ারফিল্ড তৈরি করে, যেটি পরে ভ্যাগার বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হয়। এ সময় সি প্লেনগুলো অবতরণে সুবিধার জন্য একটি স্টেশনও স্থাপন করা হয়। হ্রদে অবতরণ করা প্রথম সি প্লেন ছিল রাফ কোস্টাল কমান্ডের একটি ক্যাটালিনা।
সারা পৃথিবীর পর্যটকদের টানে হ্রদটি। বিশেষ করে সাগরের ওপর ঝুলে থাকা ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা বিশ্বেই এর জনপ্রিয়তা বাড়ে। তবে ঘটনা হলো, ফারো দ্বীপপুঞ্জে দেখার মতো আরও অনেক প্রাকৃতিক বিস্ময় আছে। একবার কষ্ট করে সেখানে গেলে গোটা ফারো দ্বীপপুঞ্জই ঘুরেফিরে দেখতে পারবেন।
এবার কীভাবে হ্রদটিতে পৌঁছাবেন জেনে নেওয়া যাক। ফারো দ্বীপপুঞ্জের ন্যাশনাল এয়ারলাইন হলো আটলান্টিক এয়ারওয়েজ। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলগুলোসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট আছে। ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড থেকে ফেরিও আছে। উড়োজাহাজে গেলে আপনি পৌঁছাবেন ভ্যাগার বিমানবন্দরে। সেখান থেকে হ্রদটির দূরত্ব মোটে তিন মাইল। একটি গাড়ি ভাড়া করে লেকসহ ঘুরতে পারবেন ফারো দ্বীপপুঞ্জের সুন্দর সব জায়গায় ।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, মাই বেস্ট প্লেস, মেটাডোর নেটওয়ার্ক, উইকিপিডিয়া
ডেনমার্কের ফারো দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় হ্রদ সোভাসনভ্যান। ৩.৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের হ্রদটির সবচেয়ে মজার বিষয় হলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে সাগরের ওপর ঝুলে আছে এটি। নিশ্চয় ভাবছেন একটি হ্রদ কীভাবে সাগরের ওপরে ঝুলে থাকা সম্ভব? ঝুলন্ত হ্রদের বিষয়টি খোলাসা করছি এখন।
হ্রদটি সাগরের ওপরে থাকলেও একেবারে ঝুলে আছে বলে মনে হওয়ার পেছনে কিছুটা দৃষ্টিবিভ্রমও কাজ করছে। মূল বিষয় হলো, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর থেকে মোটামুটি ১০০ মিটার খাঁড়া উঠে গেছে একটি পাহাড় বা ক্লিফ। হ্রদটির অবস্থান পাহাড়ের চূড়া থেকে ৭০ মিটার নিচে, আরও পরিষ্কারভাবে বললে সাগর থেকে ৩০ মিটার উচ্চতায় এটি। হ্রদটির আকার ও আলোর খেলায় নির্দিষ্ট কোণ থেকে মনে হয় পাহাড়ের ও লেকের উচ্চতা সমান, আর মোটামুটি শ খানিক মিটার উচ্চতা থেকেই এটি উত্তর আটলান্টিকের ওপর ঝুলে আছে।
হ্রদটির চারপাশের পাহাড়ের কারণে এর সব জল সাগরে গিয়ে পড়ারও কোনো সুযোগ নেই। তবে একটি জায়গা দিয়ে জলপ্রপাত হয়ে হ্রদের কিছু পানি সাগরে গিয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। এটির নাম বসদালফসার। শীতের মাসগুলোতে হ্রদের জল জমে বরফ হয়ে যায়। তখন আইস ফিশিংয়ের জন্য এর চেয় চমৎকার জায়গা পাবেন কমই।
ফারো দ্বীপপুঞ্জের ভ্যাগার দ্বীপে দেখা পাবেন হ্রদটির। মজার ঘটনা, দ্বীপপুঞ্জের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক ফজালাভাতানের অবস্থানও একই দ্বীপে। হ্রদটির নাম নিয়ে আশপাশের দুটি বসতির মানুষদের মধ্যে কিছুটা বিতর্ক আছে। সোভাগারের বাসিন্দারা এর সোভাসনভ্যান নাম নিয়ে বেশ গর্ব অনুভব করেন। অন্যদিকে মিয়োভগারের বাসিন্দারা হ্রদটিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন লেইতসভাতান নামে। কারণ হ্রদের তাদের দিকে একটি জায়গা আছে লেইতি নামে।
তবে হ্রদটির নাম সোভাসনভ্যান হয়ে যাওয়াটা এক হিসেবে একটু অদ্ভুত ব্যাপারই। কারণ মিয়োভগার গ্রামটি সোভাগারের তুলনায় হ্রদের বেশি কাছে। একটা কারণ হতে পারে, সোভাগার মিয়োভগারের তুলনায় অনেক পুরোনো গ্রাম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনারা লেকের পশ্চিমে একটি এয়ারফিল্ড তৈরি করে, যেটি পরে ভ্যাগার বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হয়। এ সময় সি প্লেনগুলো অবতরণে সুবিধার জন্য একটি স্টেশনও স্থাপন করা হয়। হ্রদে অবতরণ করা প্রথম সি প্লেন ছিল রাফ কোস্টাল কমান্ডের একটি ক্যাটালিনা।
সারা পৃথিবীর পর্যটকদের টানে হ্রদটি। বিশেষ করে সাগরের ওপর ঝুলে থাকা ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা বিশ্বেই এর জনপ্রিয়তা বাড়ে। তবে ঘটনা হলো, ফারো দ্বীপপুঞ্জে দেখার মতো আরও অনেক প্রাকৃতিক বিস্ময় আছে। একবার কষ্ট করে সেখানে গেলে গোটা ফারো দ্বীপপুঞ্জই ঘুরেফিরে দেখতে পারবেন।
এবার কীভাবে হ্রদটিতে পৌঁছাবেন জেনে নেওয়া যাক। ফারো দ্বীপপুঞ্জের ন্যাশনাল এয়ারলাইন হলো আটলান্টিক এয়ারওয়েজ। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলগুলোসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট আছে। ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড থেকে ফেরিও আছে। উড়োজাহাজে গেলে আপনি পৌঁছাবেন ভ্যাগার বিমানবন্দরে। সেখান থেকে হ্রদটির দূরত্ব মোটে তিন মাইল। একটি গাড়ি ভাড়া করে লেকসহ ঘুরতে পারবেন ফারো দ্বীপপুঞ্জের সুন্দর সব জায়গায় ।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, মাই বেস্ট প্লেস, মেটাডোর নেটওয়ার্ক, উইকিপিডিয়া
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৫ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১০ দিন আগে