ইশতিয়াক হাসান
ভাবতে পারেন এমন একটি হোটেলের কথা, যেখানে কোনো দেয়াল নেই, নেই ছাদ। থাকতে হয় একেবারে খোলা আকাশের নিচে। তার পরও সেখানে একটা রাত কাটানোর জন্য আগ্রহী মানুষের অভাব নেই।
ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডের আশ্চর্য প্রকৃতি মুগ্ধ করে পর্যটকদের। সেখানেই এই আশ্চর্য হোটেলের অবস্থান, নাম নাল স্টার্ন। এর অর্থ হলো জিরো স্টার, অর্থাৎ শূন্য তারা। বলা চলে ‘ঘুমহীন’ একটি রাত কাটানোর জন্য পকেট থেকে খসে যাবে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু পাঁচ তারা, সাত তারা হোটেল, রিসোর্টের ভাবনার বাইরে গিয়ে স্থাপন করা হোটেলটিতে থাকতে পর্যটকদের উৎসাহের কমতি নেই।
‘একটুও ঘুম হয়নি’ কিংবা ‘আমার কামরাটায় অনেক শব্দ শোনা গেছে’ সাধারণত অতিথিদের থেকে এমন অভিযোগ শুনতে হয় হোটেল কর্তৃপক্ষকে নিয়মিতই। তবে রিকলিন ভাইদের কাছে এই পিলে চমকানো হোটেল কামরার পরিকল্পনার মূল ভিত্তিই ছিল এটি। অর্থাৎ, এখানে মানুষ রাত কাটাবেন নানা ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করতে। অবশ্য সেই সঙ্গে প্রকৃতির যে অসাধারণ রূপ দেখতে পাবেন, তারও কোনো তুলনা নেই।
সুইজারল্যান্ডের এই দুই শিল্পী ভাই ফ্রাংক রুকলিন ও প্যাট্রিক রুকলিন ২০০৯ সালে সম্পূর্ণ নতুন চিন্তাভাবনা থেকেই শুরু করেন তাঁদের জিরো স্টার হোটেলটি। যেখানে অতিথিরা একটি প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চে একটি ডাবল বেডে থাকার সুযোগ পাবেন।
দুই শিল্পী ভাইয়ের এই প্রজেক্টে সহায়তা করছেন হোটেল ব্যবসায়ী ডেনিয়েল শারবোনি। অবশ্য একসঙ্গে সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি জায়গাতেই সাধারণত শয্যা বসানোর ব্যবস্থা থাকে। যেমন গত বছরের এই হোটেল বেডগুলোর কোনোটি ছিল আল্পস পর্বতের মাঝে, কোনোটি আবার পাহাড়ি নদীর ধারে।
সুইজারল্যান্ডের সেইলন গ্রামের একটি শয্যা পাতা হয়েছিল পেট্রল স্টেশনের কাছে রাস্তার পাশে। সেখান থেকেও কিন্তু সুইজারল্যান্ডের পাহাড়রাজ্যের অসাধারণ রূপ উপভোগের সুযোগ ছিল।
এমন এক জায়গায় হোটেল তৈরির একটি বড় কারণ অতিথিদের পৃথিবীর নানা ধরনের সমস্যার ব্যাপারে চিন্তা করতে সেখানো বলে জানান এই হোটেলের কারিগররা। ‘এখানে ঘুমানোটা বড় ব্যাপার নয়’ পেট্রোল পাম্পের পাশে হোটেলটি স্থাপনের পর ফ্রাংক রুকলিন গত বছর বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরাই আসল উদ্দেশ্য। সমাজের দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেওয়ার একটি বার্তা দেয় এখানে থাকা।’
তবে খোলা আকাশের নিচে এই হোটেলে কোনো সুবিধা পাবেন না যে তা নয়। বিছানাটি যথেষ্ট আরামদায়কই হবে। একজন বাটলার বা খানসামা আপনার দেখভালের কাজে থাকবেন। সকালের নাশতা থাকছে রুম ভাড়ার সঙ্গেই। এই হোটেলে এক রাতের জন্য গুনতে হয় ৩২২ ইউরো বা প্রায় ৩৮ হাজার টাকা।
কী, থাকতে চান এমন একটি হোটেলে? যেখানে একই সঙ্গে প্রকৃতির রূপ উপভোগের পাশাপাশি খোলা আকাশে রাত কাটানোর নানা সমস্যাও অনুভব করতে পারবেন। তবে তার আগে জেনে রাখুন সাধারণত জুলাইয়ের গোড়া থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত খোলা থাকে হোটেল।
নাল স্টার্নের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সিজনে বিভিন্ন এলাকায় বেড বসানোর জন্য জায়গার আগ্রহী মালিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আর আপনি যদি সেখানে একটি রাত কাটাতে চান, সেক্ষেত্রে info@nullsternhotel. ch. এই ঠিকানায় ই-মেইল করতে বলা হয়েছে। কাজটা দ্রুত সেরে ফেলুন। কারণ মনে রাখবেন, চাইলেই এই জিরো স্টার বা শূন্য স্টার হোটেলে থাকা এত সহজ নয়। সাধারণত কয়েক হাজার মানুষ অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকেন। গত বছরের মতো চারটি শাখা খোলা হবে ধরে নিলেও সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেখানে থাকার সুযোগ মিলবে কি না, সন্দেহ আছে!
সূত্র: রয়টার্স, ইউরো নিউজ, ডেইলি মেইল
ভাবতে পারেন এমন একটি হোটেলের কথা, যেখানে কোনো দেয়াল নেই, নেই ছাদ। থাকতে হয় একেবারে খোলা আকাশের নিচে। তার পরও সেখানে একটা রাত কাটানোর জন্য আগ্রহী মানুষের অভাব নেই।
ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডের আশ্চর্য প্রকৃতি মুগ্ধ করে পর্যটকদের। সেখানেই এই আশ্চর্য হোটেলের অবস্থান, নাম নাল স্টার্ন। এর অর্থ হলো জিরো স্টার, অর্থাৎ শূন্য তারা। বলা চলে ‘ঘুমহীন’ একটি রাত কাটানোর জন্য পকেট থেকে খসে যাবে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু পাঁচ তারা, সাত তারা হোটেল, রিসোর্টের ভাবনার বাইরে গিয়ে স্থাপন করা হোটেলটিতে থাকতে পর্যটকদের উৎসাহের কমতি নেই।
‘একটুও ঘুম হয়নি’ কিংবা ‘আমার কামরাটায় অনেক শব্দ শোনা গেছে’ সাধারণত অতিথিদের থেকে এমন অভিযোগ শুনতে হয় হোটেল কর্তৃপক্ষকে নিয়মিতই। তবে রিকলিন ভাইদের কাছে এই পিলে চমকানো হোটেল কামরার পরিকল্পনার মূল ভিত্তিই ছিল এটি। অর্থাৎ, এখানে মানুষ রাত কাটাবেন নানা ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করতে। অবশ্য সেই সঙ্গে প্রকৃতির যে অসাধারণ রূপ দেখতে পাবেন, তারও কোনো তুলনা নেই।
সুইজারল্যান্ডের এই দুই শিল্পী ভাই ফ্রাংক রুকলিন ও প্যাট্রিক রুকলিন ২০০৯ সালে সম্পূর্ণ নতুন চিন্তাভাবনা থেকেই শুরু করেন তাঁদের জিরো স্টার হোটেলটি। যেখানে অতিথিরা একটি প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চে একটি ডাবল বেডে থাকার সুযোগ পাবেন।
দুই শিল্পী ভাইয়ের এই প্রজেক্টে সহায়তা করছেন হোটেল ব্যবসায়ী ডেনিয়েল শারবোনি। অবশ্য একসঙ্গে সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি জায়গাতেই সাধারণত শয্যা বসানোর ব্যবস্থা থাকে। যেমন গত বছরের এই হোটেল বেডগুলোর কোনোটি ছিল আল্পস পর্বতের মাঝে, কোনোটি আবার পাহাড়ি নদীর ধারে।
সুইজারল্যান্ডের সেইলন গ্রামের একটি শয্যা পাতা হয়েছিল পেট্রল স্টেশনের কাছে রাস্তার পাশে। সেখান থেকেও কিন্তু সুইজারল্যান্ডের পাহাড়রাজ্যের অসাধারণ রূপ উপভোগের সুযোগ ছিল।
এমন এক জায়গায় হোটেল তৈরির একটি বড় কারণ অতিথিদের পৃথিবীর নানা ধরনের সমস্যার ব্যাপারে চিন্তা করতে সেখানো বলে জানান এই হোটেলের কারিগররা। ‘এখানে ঘুমানোটা বড় ব্যাপার নয়’ পেট্রোল পাম্পের পাশে হোটেলটি স্থাপনের পর ফ্রাংক রুকলিন গত বছর বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরাই আসল উদ্দেশ্য। সমাজের দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেওয়ার একটি বার্তা দেয় এখানে থাকা।’
তবে খোলা আকাশের নিচে এই হোটেলে কোনো সুবিধা পাবেন না যে তা নয়। বিছানাটি যথেষ্ট আরামদায়কই হবে। একজন বাটলার বা খানসামা আপনার দেখভালের কাজে থাকবেন। সকালের নাশতা থাকছে রুম ভাড়ার সঙ্গেই। এই হোটেলে এক রাতের জন্য গুনতে হয় ৩২২ ইউরো বা প্রায় ৩৮ হাজার টাকা।
কী, থাকতে চান এমন একটি হোটেলে? যেখানে একই সঙ্গে প্রকৃতির রূপ উপভোগের পাশাপাশি খোলা আকাশে রাত কাটানোর নানা সমস্যাও অনুভব করতে পারবেন। তবে তার আগে জেনে রাখুন সাধারণত জুলাইয়ের গোড়া থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত খোলা থাকে হোটেল।
নাল স্টার্নের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সিজনে বিভিন্ন এলাকায় বেড বসানোর জন্য জায়গার আগ্রহী মালিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আর আপনি যদি সেখানে একটি রাত কাটাতে চান, সেক্ষেত্রে info@nullsternhotel. ch. এই ঠিকানায় ই-মেইল করতে বলা হয়েছে। কাজটা দ্রুত সেরে ফেলুন। কারণ মনে রাখবেন, চাইলেই এই জিরো স্টার বা শূন্য স্টার হোটেলে থাকা এত সহজ নয়। সাধারণত কয়েক হাজার মানুষ অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকেন। গত বছরের মতো চারটি শাখা খোলা হবে ধরে নিলেও সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেখানে থাকার সুযোগ মিলবে কি না, সন্দেহ আছে!
সূত্র: রয়টার্স, ইউরো নিউজ, ডেইলি মেইল
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৬ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৭ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৯ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১১ দিন আগে