অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের টেমস নদীর ওপর দাঁড়িয়ে আছে বিখ্যাত লন্ডন ব্রিজ। এটা আমাদের মোটামুটি সবারই জানা। কিন্তু অনেকের হয়তো জানা নেই, লন্ডন ব্রিজ আছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যেও। এমনকি ওটা কোনো রেপ্লিকাও নয়। এটি কীভাবে সম্ভব?
বিশ শতকের গোড়ার দিকে প্রকৌশলীরা আবিষ্কার করেন, লন্ডন ব্রিজের অবস্থা ভালো নয়। এটি নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। তখন লন্ডন ব্রিজের বয়স এক শ পেরোয়নি। লন্ডন শহরের ব্যস্ততম জায়গাও এটি। প্রতি ঘণ্টায় ৮ হাজার পথচারী ও ৯০০ যানবাহন এটি অতিক্রম করে।
জরিপকারীরা দেখেন, সেতুটি ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে; যা বছরে ১ সেন্টিমিটারের এক-তৃতীয়াংশ। ১৯২৪ সালে যখন পরিমাপ করা হয়, তখন তাঁরা দেখতে পান, সেতুর পূর্ব দিকটি পশ্চিম দিক থেকে প্রায় ৯ সেন্টিমিটার নিচু হয়ে গেছে। তবে সিটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পৌঁছাতে কেটে গেল আরও চার দশক।
কাউন্সিলের সদস্য ইভান লাকিনের মাথায় এ সময় দারুণ একটা বুদ্ধি এল। সেটি হলো, সেতুটি ধ্বংস না করে বিক্রির চেষ্টা করা। গোড়ার দিকে তাঁর প্রস্তাবে খুব একটা আগ্রহ দেখালেন না কেউ। তবে একপর্যায়ে সদস্যরা ভেবে দেখলেন, কাজটা করা গেলে বেশ ভালো অর্থও মিলবে। আলোচনার পর কাউন্সিল সেতুটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল, সেটা ১৯৬৭ সাল।
পরবর্তী মাসগুলোতে সেতুটি সম্পর্কে জানতে কাউন্সিলের সঙ্গে অনেক ক্রেতা যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেই অর্থে ভালো কোনো প্রস্তাব আসেনি। তবে এত সহজে দমানো গেল না লাকিনকে। ১৯৬৮ সালের মার্চে এটি বিক্রির একটি চেষ্টা করতে স্বপ্রণোদিত হয়ে আমেরিকায় গেলেন তিনি।
নিউইয়র্কের ব্রিটিশ-আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সে এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক জানতে চাইলেন, সেতুটির মধ্যে বিশেষ কী আছে? কারণ, তা খুব পুরোনো নয় (১৮৩১ সালে উদ্বোধন হয়), তেমনি এর মধ্যে কোনো ঘরও নেই। তাহলে কি নার্সারির ছড়ায় উপস্থিতিই কারণ? (যদিও ‘লন্ডন ব্রিজ ইজ ফলিং ডাউন’ নামের ছড়াটির জন্ম এই লন্ডন সেতুর আগের)।
লাকিন জবাব দিলেন, ‘লন্ডন ব্রিজ শুধু একটি সেতু নয়, এটি ২০০০ বছরের ইতিহাসের উত্তরাধিকারী, যা খ্রিষ্টীয় প্রথম শতাব্দীতে, রোমান লন্ডনের সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায় আমাদের।’
এর পরপরই ম্যাককালক অয়েলের মালিক ও মিজৌরির ব্যবসায়ী রবার্ট ম্যাককালক ২৪ লাখ ৬০ হাজার ডলারে লন্ডন ব্রিজ কেনার চুক্তিতে সই করেন।
এর বছর কয়েক আগেই ম্যাককালক সরকারের কাছ থেকে অ্যারিজোনার লেক হাভাসুর কাছে কয়েক হাজার একর জমি পেয়েছিলেন, শর্ত ছিল, জায়গাটির উন্নয়ন করতে হবে। কলোরাডো নদীতে দেওয়া বাঁধের ফলে সৃষ্টি হওয়া বিশাল এক জলাধার এই লেক হাভাসু।
ম্যাককালক সেখানে লেক হাভাসু সিটি প্রতিষ্ঠা করলেও জমির ক্রেতা খুঁজতে বেগ পেতে হচ্ছিল। তারপরই তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী সি ভি উড তাঁকে লন্ডন ব্রিজ বিক্রির বিষয়টি জানান। দুজনে উপসংহারে পৌঁছেছিলেন যে লেক হাভাসু সিটিকে একটি আকর্ষণীয় রিসোর্ট শহর এবং পর্যটন গন্তব্যে পূর্ণতা পেতে এ ধরনের একটা কিছু খুঁজছিলেন তাঁরা।
৯৫০ ফুট লম্বা এবং ৩৩ হাজার টন ওজনের কাঠামোটি সাবধানে টুকরো টুকরো খণ্ডে বিভক্ত করা হলো। তারপর অনেকগুলো কাঠের বাক্সে পুরে জাহাজে করে পানামা খালের মধ্য দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচে পাঠানো হয়। লং বিচ থেকে গ্রানাইট ব্লকগুলোকে ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হয় ৩০০ মাইল দূরের নির্ধারিত গন্তব্যে। ব্লকগুলো পাঠানোর জন্য ম্যাককালকের খরচ হয় ৭০ লাখ ডলার।
তারপর শুরু হয় কাঠামোটি পুনরায় জোড়া লাগানোর জটিল প্রক্রিয়া। সৌভাগ্যবশত নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করে সবকিছু করা হয়। ভেঙে ফেলার আগে, শ্রমিকেরা সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি পাথরের শনাক্তকরণ নম্বর বা সংখ্যা দিয়েছিল। তাই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয় বড় কোনো ঝামেলা ছাড়া। যদিও এটি ছিল ধীর এবং শ্রমসাধ্য একটি কাজ। শেষ হতে সময় লাগে তিন বছর। স্বাভাবিকভাবে কিছু পাথর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। স্থানীয় গ্রানাইট পাথর দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হয়েছিল এগুলো। নতুন পাথরগুলোকে শতাব্দী-পুরোনো চেহারা দেওয়ার জন্য কেরোসিনের চুল্লি থেকে বের হওয়া কালির গুঁড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
সেতুটি আধুনিক যানবাহনের চাপ সামলানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য, ইস্পাত ও কংক্রিটের একটি কাঠামো তৈরি তৈরি করে এর ওপরে পুরোনো গ্রানাইট ব্লকগুলো স্থাপন করা হয়। যেহেতু লেক হাভাসু সিটিতে কোনো নদী ছিল না, সেতুটি বানানো হয়েছিল শুকনো জায়গার ওপরে। কিন্তু প্রকল্পটি সমাপ্তির কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গেলে সেতুর নিচে একটি খাল কেটে হাভাসু হ্রদের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে হ্রদের থেকে আসা জলে ভর্তি হয়ে যায় খাল।
১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর ধুমধামের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয় ক্যালিফোর্নিয়ার লন্ডন ব্রিজ। আতশবাজি, কুচকাওয়াজ, নাটকীয়ভাবে শত শত বেলুন এবং সাদা ঘুঘু উড়িয়ে দেওয়া, রঙিন হট এয়ার বেলুন অবতরণ ছিল আয়োজনের মধ্যে। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন লন্ডনের লর্ড মেয়রও। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, লন্ডনে টেমস নদীর ওপর নতুন ও আধুনিক লন্ডন ব্রিজ উদ্বোধন হয় ১৯৭৩ সালে। সেটি এখনো আছে।
ম্যাককালক লন্ডন ব্রিজ কিনে এক অর্থে একটা জুয়াই খেলেছিলেন। আর এতে জিতেছিলেন তিনি। কারণ, লেক হাভাসু সিটিতে জমির দাম এর পরপরই আকাশ ছোঁয়। ১৯৬০-র দশকে যেখানে শহরটির জনসংখ্যা মাত্র কয়েক শ ছিল, সেখানে ১৯৭৪ সালের মধ্যে এটি ১০ হাজারে গিয়ে পৌঁছায়। ১৯৭৪ সালে সেতুটি নতুন শহরে প্রায় ২০ লাখ পর্যটক টানে।
বর্তমানে লেক হাভাসু সিটির জনসংখ্যা ৫৮ হাজারের বেশি। তাদের কাছে সেতুটি কেবল স্বাভাবিক জীবনযাত্রার অংশ। তবে ইতিহাসের কথা যদি বিবেচনা করা হয়, এর মূল্য নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। লন্ডন ব্রিজ মার্কিন মুলুকের এক শহরে থাকা তো চাট্টিখানি কথা নয়!
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, হিস্টরি চ্যানেল, উইকিপিডিয়া
যুক্তরাজ্যের টেমস নদীর ওপর দাঁড়িয়ে আছে বিখ্যাত লন্ডন ব্রিজ। এটা আমাদের মোটামুটি সবারই জানা। কিন্তু অনেকের হয়তো জানা নেই, লন্ডন ব্রিজ আছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যেও। এমনকি ওটা কোনো রেপ্লিকাও নয়। এটি কীভাবে সম্ভব?
বিশ শতকের গোড়ার দিকে প্রকৌশলীরা আবিষ্কার করেন, লন্ডন ব্রিজের অবস্থা ভালো নয়। এটি নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। তখন লন্ডন ব্রিজের বয়স এক শ পেরোয়নি। লন্ডন শহরের ব্যস্ততম জায়গাও এটি। প্রতি ঘণ্টায় ৮ হাজার পথচারী ও ৯০০ যানবাহন এটি অতিক্রম করে।
জরিপকারীরা দেখেন, সেতুটি ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে; যা বছরে ১ সেন্টিমিটারের এক-তৃতীয়াংশ। ১৯২৪ সালে যখন পরিমাপ করা হয়, তখন তাঁরা দেখতে পান, সেতুর পূর্ব দিকটি পশ্চিম দিক থেকে প্রায় ৯ সেন্টিমিটার নিচু হয়ে গেছে। তবে সিটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পৌঁছাতে কেটে গেল আরও চার দশক।
কাউন্সিলের সদস্য ইভান লাকিনের মাথায় এ সময় দারুণ একটা বুদ্ধি এল। সেটি হলো, সেতুটি ধ্বংস না করে বিক্রির চেষ্টা করা। গোড়ার দিকে তাঁর প্রস্তাবে খুব একটা আগ্রহ দেখালেন না কেউ। তবে একপর্যায়ে সদস্যরা ভেবে দেখলেন, কাজটা করা গেলে বেশ ভালো অর্থও মিলবে। আলোচনার পর কাউন্সিল সেতুটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল, সেটা ১৯৬৭ সাল।
পরবর্তী মাসগুলোতে সেতুটি সম্পর্কে জানতে কাউন্সিলের সঙ্গে অনেক ক্রেতা যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেই অর্থে ভালো কোনো প্রস্তাব আসেনি। তবে এত সহজে দমানো গেল না লাকিনকে। ১৯৬৮ সালের মার্চে এটি বিক্রির একটি চেষ্টা করতে স্বপ্রণোদিত হয়ে আমেরিকায় গেলেন তিনি।
নিউইয়র্কের ব্রিটিশ-আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সে এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক জানতে চাইলেন, সেতুটির মধ্যে বিশেষ কী আছে? কারণ, তা খুব পুরোনো নয় (১৮৩১ সালে উদ্বোধন হয়), তেমনি এর মধ্যে কোনো ঘরও নেই। তাহলে কি নার্সারির ছড়ায় উপস্থিতিই কারণ? (যদিও ‘লন্ডন ব্রিজ ইজ ফলিং ডাউন’ নামের ছড়াটির জন্ম এই লন্ডন সেতুর আগের)।
লাকিন জবাব দিলেন, ‘লন্ডন ব্রিজ শুধু একটি সেতু নয়, এটি ২০০০ বছরের ইতিহাসের উত্তরাধিকারী, যা খ্রিষ্টীয় প্রথম শতাব্দীতে, রোমান লন্ডনের সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায় আমাদের।’
এর পরপরই ম্যাককালক অয়েলের মালিক ও মিজৌরির ব্যবসায়ী রবার্ট ম্যাককালক ২৪ লাখ ৬০ হাজার ডলারে লন্ডন ব্রিজ কেনার চুক্তিতে সই করেন।
এর বছর কয়েক আগেই ম্যাককালক সরকারের কাছ থেকে অ্যারিজোনার লেক হাভাসুর কাছে কয়েক হাজার একর জমি পেয়েছিলেন, শর্ত ছিল, জায়গাটির উন্নয়ন করতে হবে। কলোরাডো নদীতে দেওয়া বাঁধের ফলে সৃষ্টি হওয়া বিশাল এক জলাধার এই লেক হাভাসু।
ম্যাককালক সেখানে লেক হাভাসু সিটি প্রতিষ্ঠা করলেও জমির ক্রেতা খুঁজতে বেগ পেতে হচ্ছিল। তারপরই তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী সি ভি উড তাঁকে লন্ডন ব্রিজ বিক্রির বিষয়টি জানান। দুজনে উপসংহারে পৌঁছেছিলেন যে লেক হাভাসু সিটিকে একটি আকর্ষণীয় রিসোর্ট শহর এবং পর্যটন গন্তব্যে পূর্ণতা পেতে এ ধরনের একটা কিছু খুঁজছিলেন তাঁরা।
৯৫০ ফুট লম্বা এবং ৩৩ হাজার টন ওজনের কাঠামোটি সাবধানে টুকরো টুকরো খণ্ডে বিভক্ত করা হলো। তারপর অনেকগুলো কাঠের বাক্সে পুরে জাহাজে করে পানামা খালের মধ্য দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচে পাঠানো হয়। লং বিচ থেকে গ্রানাইট ব্লকগুলোকে ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হয় ৩০০ মাইল দূরের নির্ধারিত গন্তব্যে। ব্লকগুলো পাঠানোর জন্য ম্যাককালকের খরচ হয় ৭০ লাখ ডলার।
তারপর শুরু হয় কাঠামোটি পুনরায় জোড়া লাগানোর জটিল প্রক্রিয়া। সৌভাগ্যবশত নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করে সবকিছু করা হয়। ভেঙে ফেলার আগে, শ্রমিকেরা সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি পাথরের শনাক্তকরণ নম্বর বা সংখ্যা দিয়েছিল। তাই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয় বড় কোনো ঝামেলা ছাড়া। যদিও এটি ছিল ধীর এবং শ্রমসাধ্য একটি কাজ। শেষ হতে সময় লাগে তিন বছর। স্বাভাবিকভাবে কিছু পাথর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। স্থানীয় গ্রানাইট পাথর দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হয়েছিল এগুলো। নতুন পাথরগুলোকে শতাব্দী-পুরোনো চেহারা দেওয়ার জন্য কেরোসিনের চুল্লি থেকে বের হওয়া কালির গুঁড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
সেতুটি আধুনিক যানবাহনের চাপ সামলানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য, ইস্পাত ও কংক্রিটের একটি কাঠামো তৈরি তৈরি করে এর ওপরে পুরোনো গ্রানাইট ব্লকগুলো স্থাপন করা হয়। যেহেতু লেক হাভাসু সিটিতে কোনো নদী ছিল না, সেতুটি বানানো হয়েছিল শুকনো জায়গার ওপরে। কিন্তু প্রকল্পটি সমাপ্তির কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গেলে সেতুর নিচে একটি খাল কেটে হাভাসু হ্রদের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে হ্রদের থেকে আসা জলে ভর্তি হয়ে যায় খাল।
১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর ধুমধামের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয় ক্যালিফোর্নিয়ার লন্ডন ব্রিজ। আতশবাজি, কুচকাওয়াজ, নাটকীয়ভাবে শত শত বেলুন এবং সাদা ঘুঘু উড়িয়ে দেওয়া, রঙিন হট এয়ার বেলুন অবতরণ ছিল আয়োজনের মধ্যে। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন লন্ডনের লর্ড মেয়রও। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, লন্ডনে টেমস নদীর ওপর নতুন ও আধুনিক লন্ডন ব্রিজ উদ্বোধন হয় ১৯৭৩ সালে। সেটি এখনো আছে।
ম্যাককালক লন্ডন ব্রিজ কিনে এক অর্থে একটা জুয়াই খেলেছিলেন। আর এতে জিতেছিলেন তিনি। কারণ, লেক হাভাসু সিটিতে জমির দাম এর পরপরই আকাশ ছোঁয়। ১৯৬০-র দশকে যেখানে শহরটির জনসংখ্যা মাত্র কয়েক শ ছিল, সেখানে ১৯৭৪ সালের মধ্যে এটি ১০ হাজারে গিয়ে পৌঁছায়। ১৯৭৪ সালে সেতুটি নতুন শহরে প্রায় ২০ লাখ পর্যটক টানে।
বর্তমানে লেক হাভাসু সিটির জনসংখ্যা ৫৮ হাজারের বেশি। তাদের কাছে সেতুটি কেবল স্বাভাবিক জীবনযাত্রার অংশ। তবে ইতিহাসের কথা যদি বিবেচনা করা হয়, এর মূল্য নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। লন্ডন ব্রিজ মার্কিন মুলুকের এক শহরে থাকা তো চাট্টিখানি কথা নয়!
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, হিস্টরি চ্যানেল, উইকিপিডিয়া
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৫ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১০ দিন আগে