ইয়াসিন আরাফাত
পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রেই বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভাবনীয় উন্নতি অর্জন করেছে। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে অনেক দেশই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে কোমর বেঁধে নেমেছে। কিন্তু সব কি এত সহজ? মোটেই না। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী ভারত গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে। এরই মধ্যে সরকারি ক্রয়ে বাংলাদেশকে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার একটি চেষ্টা করেছে ভারত। এ চেষ্টার জন্য তাদের সাধুবাদ দেওয়া যেতেই পারে।
ঘটনা খুলে বলা যাক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানাচ্ছে, দেশটিতে ৭ লাখ রুপির অ্যাম্বুলেন্স নাকি ২১ লাখ রুপিতে কেনা হয়েছে। খুব গুরুত্ব দিয়ে খবরটি ছাপা হয়েছে। এই অ্যাম্বুলেন্স আবার ব্যবহার না হওয়ায় দেশটিতে নাকি ব্যাপক সমালোচনাও হচ্ছে। তা হবে নাই–বা কেন? খোদ পাশের দেশে সুই কিনতে যে সাহস দেখিয়েছে সংশ্লিষ্টরা, সেখানে ভারতে চার চাকাঅলা অ্যাম্বুলেন্স কেনার সময় তার সিকিভাগও দেখাতে পারেনি। বড় কাজ করতে হলে তো হৃদয় বড় হওয়া চাই, সাহস চাই। তা এই সাহসের অভাবেই বাকি দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পড়ছে।
ভারতে অ্যাম্বুলেন্স কিনতে গিয়ে আসল দামের চেয়ে মাত্র তিনগুণ বেশি খরচ করা হয়েছে। এতেই বোঝা যায় সাহসের কত অভাব। আর এই নিয়ে হইচই করে কী ছোট মনের পরিচয়ই না তারা দিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ এমন হাজারটা উদাহরণ কী অনায়াসে টুপ করে গিলে ফেলছে। কেউ কিচ্ছুটি বলছে না। সংবাদমাধ্যমগুলো নিতান্ত দায়িত্ব বলে খবরটা দিচ্ছে। জনতাও সৌজন্যবশত খবরটি পড়ছে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দু–এক বাক্য লিখছে। ব্যাস হয়ে গেল। বোঝাই যাচ্ছে বাল্যশিক্ষা থেকে এই বঙ্গীয় ব–দ্বীপের অধিবাসীরা একটুও সরে যায়নি।
ওই যে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত অনূদিত শেখ সাদীর কবিতা—উত্তম ও মধ্যম। কুকুর কামড়াবেই, তাই বলে তাকে কামড়ানো তো মানুষের শোভা পায় না। এই যে শিক্ষা এই বঙ্গ পেল, তা আর ভোলেনি। তাই আড়াই শ টাকার সুঁই শত গুণ বেশি দামে ২৫ হাজার টাকায় কিনলেও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমাদের লোকেরা বরং উপার্জনের দিকে মন দেয়। কারণ, চিকিৎসা তো করতে হবে। যদি রোগে ধরে, আর এই সুঁইয়েরই প্রয়োজন পড়ে, তবে তো ব্যয়টা করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ তো আর ভর্তুকি দেবে না। ঠিক যেমন কুকুরে কামড়ালে সবাই জলাতঙ্কের টিকা নিতে ছোটে। কী বাস্তববাদী আমরা! অথচ ভারতের জনগণ এখনো সেই মান্ধাতার আমলেই পড়ে রইল। মাত্র তিনগুণ বেশি দামে কিছু অ্যাম্বুলেন্স না হয় কিনেছে। তাই বলে এত আলোচনা! আরে আলোচনায় আসতে হলেও তো একটা পর্যায়ে যেতে হবে।
তবে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের পিঠ একটু চাপড়ে দিতেই হয়। শুধু শুধু বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে তাদের এগিয়ে যাওয়ার স্পৃহায় রাশ টানার কোনো মানে হয় না। এমনিতেই বহু সূচকে নানা হিসাবেই বড় দেশটি প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে। এগুলো নিয়েও নিশ্চয় তাদের অস্বস্তি কম নয়। এখন কেনাকাটাতেও পিছিয়ে থাকাটা নিশ্চয় তাদের হতাশ করছে। কিন্তু আমরা বলি, হতাশা শব্দটি শুধু বোকাদের অভিধানে থাকে। আমরা বরং উৎসাহ দিতে চাই। গ্রাউন্ডওয়ার্কের জন্য শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমরা কিছু পরামর্শও দিতে চাই।
কোনো কিছুতে এগিয়ে যেতে হলে প্রতিযোগীদের অর্জনগুলো সম্পর্কে আগে ধারণা নিতে হবে। ভারতের সামনে এ ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিযোগী এই মুহূর্তে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের নানা কেনাকাটার তথ্যের দিকে নজর বোলাতে পারে তারা। এ জন্য শুধু হালের সুই–কাণ্ড নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। বালিশ বা পর্দাকাণ্ডের মতো আমাদের আছে আরও বড় বড় অর্জন। এই সবগুলোর দিকে তাকাতে হবে তাকে। করতে হবে বিশ্লেষণ। আর সবচেয়ে বেশি সাহসী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। হৃদয়টাকে বড় করতে হবে। এসব ছোটখাটো বিষয়ে অহেতুক মাতামাতি করে দেশকে এগিয়ে নিতে তৎপর কর্মকর্তাদের হতোদ্যম করলে চলবে না।
এই প্রতিযোগিতা অবশ্য বাংলাদেশের সামনেও এক বড় সুযোগ নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ করেই তো এত দিন কাটল। এবার সময় এসেছে প্রশিক্ষক হওয়ার। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রয়–প্রকৌশলীদের বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষক হিসেবে পাঠিয়ে কাজটি আমরা শুরু করতে পারি। এ ক্ষেত্রে হাতের কাছেই থাকা ভারত একটি গন্তব্য হতে পারে। তবে এই গন্তব্য আমাদের মান্যবর ক্রয়–প্রকৌশলীদের পছন্দ নাও হতে পারে। তাদের জন্য একটিই কথা—ধৈর্য ধরে, ঘাপটি মেরে থাকুন। ভারত জয় করে আমরা আমাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেব। তখন উত্তর–দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপসহ সব অঞ্চলের দেশের দরজা নিশ্চয় আপনাদের সামনে খুলে যাবে।
পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রেই বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভাবনীয় উন্নতি অর্জন করেছে। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে অনেক দেশই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে কোমর বেঁধে নেমেছে। কিন্তু সব কি এত সহজ? মোটেই না। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী ভারত গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে। এরই মধ্যে সরকারি ক্রয়ে বাংলাদেশকে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার একটি চেষ্টা করেছে ভারত। এ চেষ্টার জন্য তাদের সাধুবাদ দেওয়া যেতেই পারে।
ঘটনা খুলে বলা যাক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানাচ্ছে, দেশটিতে ৭ লাখ রুপির অ্যাম্বুলেন্স নাকি ২১ লাখ রুপিতে কেনা হয়েছে। খুব গুরুত্ব দিয়ে খবরটি ছাপা হয়েছে। এই অ্যাম্বুলেন্স আবার ব্যবহার না হওয়ায় দেশটিতে নাকি ব্যাপক সমালোচনাও হচ্ছে। তা হবে নাই–বা কেন? খোদ পাশের দেশে সুই কিনতে যে সাহস দেখিয়েছে সংশ্লিষ্টরা, সেখানে ভারতে চার চাকাঅলা অ্যাম্বুলেন্স কেনার সময় তার সিকিভাগও দেখাতে পারেনি। বড় কাজ করতে হলে তো হৃদয় বড় হওয়া চাই, সাহস চাই। তা এই সাহসের অভাবেই বাকি দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পড়ছে।
ভারতে অ্যাম্বুলেন্স কিনতে গিয়ে আসল দামের চেয়ে মাত্র তিনগুণ বেশি খরচ করা হয়েছে। এতেই বোঝা যায় সাহসের কত অভাব। আর এই নিয়ে হইচই করে কী ছোট মনের পরিচয়ই না তারা দিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ এমন হাজারটা উদাহরণ কী অনায়াসে টুপ করে গিলে ফেলছে। কেউ কিচ্ছুটি বলছে না। সংবাদমাধ্যমগুলো নিতান্ত দায়িত্ব বলে খবরটা দিচ্ছে। জনতাও সৌজন্যবশত খবরটি পড়ছে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দু–এক বাক্য লিখছে। ব্যাস হয়ে গেল। বোঝাই যাচ্ছে বাল্যশিক্ষা থেকে এই বঙ্গীয় ব–দ্বীপের অধিবাসীরা একটুও সরে যায়নি।
ওই যে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত অনূদিত শেখ সাদীর কবিতা—উত্তম ও মধ্যম। কুকুর কামড়াবেই, তাই বলে তাকে কামড়ানো তো মানুষের শোভা পায় না। এই যে শিক্ষা এই বঙ্গ পেল, তা আর ভোলেনি। তাই আড়াই শ টাকার সুঁই শত গুণ বেশি দামে ২৫ হাজার টাকায় কিনলেও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমাদের লোকেরা বরং উপার্জনের দিকে মন দেয়। কারণ, চিকিৎসা তো করতে হবে। যদি রোগে ধরে, আর এই সুঁইয়েরই প্রয়োজন পড়ে, তবে তো ব্যয়টা করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ তো আর ভর্তুকি দেবে না। ঠিক যেমন কুকুরে কামড়ালে সবাই জলাতঙ্কের টিকা নিতে ছোটে। কী বাস্তববাদী আমরা! অথচ ভারতের জনগণ এখনো সেই মান্ধাতার আমলেই পড়ে রইল। মাত্র তিনগুণ বেশি দামে কিছু অ্যাম্বুলেন্স না হয় কিনেছে। তাই বলে এত আলোচনা! আরে আলোচনায় আসতে হলেও তো একটা পর্যায়ে যেতে হবে।
তবে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের পিঠ একটু চাপড়ে দিতেই হয়। শুধু শুধু বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে তাদের এগিয়ে যাওয়ার স্পৃহায় রাশ টানার কোনো মানে হয় না। এমনিতেই বহু সূচকে নানা হিসাবেই বড় দেশটি প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে। এগুলো নিয়েও নিশ্চয় তাদের অস্বস্তি কম নয়। এখন কেনাকাটাতেও পিছিয়ে থাকাটা নিশ্চয় তাদের হতাশ করছে। কিন্তু আমরা বলি, হতাশা শব্দটি শুধু বোকাদের অভিধানে থাকে। আমরা বরং উৎসাহ দিতে চাই। গ্রাউন্ডওয়ার্কের জন্য শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমরা কিছু পরামর্শও দিতে চাই।
কোনো কিছুতে এগিয়ে যেতে হলে প্রতিযোগীদের অর্জনগুলো সম্পর্কে আগে ধারণা নিতে হবে। ভারতের সামনে এ ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিযোগী এই মুহূর্তে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের নানা কেনাকাটার তথ্যের দিকে নজর বোলাতে পারে তারা। এ জন্য শুধু হালের সুই–কাণ্ড নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। বালিশ বা পর্দাকাণ্ডের মতো আমাদের আছে আরও বড় বড় অর্জন। এই সবগুলোর দিকে তাকাতে হবে তাকে। করতে হবে বিশ্লেষণ। আর সবচেয়ে বেশি সাহসী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। হৃদয়টাকে বড় করতে হবে। এসব ছোটখাটো বিষয়ে অহেতুক মাতামাতি করে দেশকে এগিয়ে নিতে তৎপর কর্মকর্তাদের হতোদ্যম করলে চলবে না।
এই প্রতিযোগিতা অবশ্য বাংলাদেশের সামনেও এক বড় সুযোগ নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ করেই তো এত দিন কাটল। এবার সময় এসেছে প্রশিক্ষক হওয়ার। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রয়–প্রকৌশলীদের বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষক হিসেবে পাঠিয়ে কাজটি আমরা শুরু করতে পারি। এ ক্ষেত্রে হাতের কাছেই থাকা ভারত একটি গন্তব্য হতে পারে। তবে এই গন্তব্য আমাদের মান্যবর ক্রয়–প্রকৌশলীদের পছন্দ নাও হতে পারে। তাদের জন্য একটিই কথা—ধৈর্য ধরে, ঘাপটি মেরে থাকুন। ভারত জয় করে আমরা আমাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেব। তখন উত্তর–দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপসহ সব অঞ্চলের দেশের দরজা নিশ্চয় আপনাদের সামনে খুলে যাবে।
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৫ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১০ দিন আগে