ইশতিয়াক হাসান
ভেনেটিয়ান বা ভেনিস ল্যাগুনে (লবণাক্ত পানির হ্রদ বা উপহ্রদ) অবস্থিত জেলেদের এক দ্বীপ বুরানো। ভেনিসের অন্যান্য অংশের মতো এর ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে বেশ কিছু খাল-নালা। তবে দ্বীপটির আরও একটি বিশেষত্ব আছে, বলা চলে এ কারণেই এটি বেশি পরিচিত, তা হলো উজ্জ্বল সব রঙে রাঙানো এখানকার ঘর-বাড়ি।
বুরানো আসলে একক কোনো দ্বীপ নয়, বরং চারটি দ্বীপ মিলে এটি। দ্বীপগুলোকে জোড়া লাগিয়েছে বেশ কিছু সেতু। তবে প্রতিটি দ্বীপের ঘরবাড়িগুলোতেই পাবেন নানা রঙের ছোঁয়া। আর এগুলো এত উজ্জ্বল, দেখলেই মন ভালো হয়ে যাবে আপনার।
এখানকার বাড়িগুলো এভাবে নানা ধরনের রঙে বর্ণিল করে তোলা নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। বলা হয়, বহু আগ থেকেই দ্বীপে জেলেদের বাস। যখন গোটা উপহ্রদ বা ল্যাগুন কুয়াশায় ঢেকে যেত, তখন পথ চিনে বাড়ি ফেরা মুশকিল হয়ে পড়ত তাদের। তাই ঘর-বাড়িতে বিভিন্ন রং করতে শুরু করেন জেলেরা, যেন কুয়াশার মধ্যেও উজ্জ্বল এসব ঘরবাড়ি দেখে পথ চিনতে পারেন।
তবে মাঝখানে নতুন করে রং না করায় দ্বীপের বর্ণিল বাড়িগুলোর চেহারা মলিন হতে শুরু করে। এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়তো দ্বীপটি এতটা পরিচিতিই পেত না। তবে সৌভাগ্যক্রমে একপর্যায়ে আবার রং করা শুরু হয় ঘরগুলো। তারপর থেকেই রং ফিরতে শুরু করে এখানকার দালানকোঠার। এখন তো দুই বছর পরপরই রং করা হয়। এতে এখন গোটা দ্বীপটিই যেন ঝলমল করছে বলে মনে হয়।
লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি, সবুজ নানা ধরনের রং শোভা পায় বাড়িগুলোতে। পাশাপাশি দুটি বাড়ির রং কখনো এক হয় না। মজার ব্যাপার, এখন চাইলেই নিজের ইচ্ছামতো রং করতে পারেন না দ্বীপবাসী। নিজের বাড়ি নতুন রং করতে চাইলে স্থানীয় কমিউনিটি গভর্নমেন্টের অনুমতি নিতে হয়। আরেকটু পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি, আপনার বাড়ির রং এখন সবুজ, আপনি চাইছেন এটাকে সবুজে-নীল কিংবা ফিরোজা রঙে রাঙিয়ে দেবেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুমোদনের জন্য কমিউনিটি গভর্নমেন্টের বরাবর দরখাস্ত করতে হবে।
দ্বীপটিতে এখন প্রায় ৩ হাজর মানুষের বাস। প্রচুর পর্যটক আসেন খাল-নালার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা রং-বেরঙের ঘর-বাড়িময় দ্বীপটি দেখতে। তাই পুরোনো পেশা মাছ ধরার বদলে দ্বীপবাসীর কেউ কেউ ঝুঁকছেন পর্যটনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেশার দিকে।
বুরানো অবশ্য শত শত বছর ধরে আরেকটি জিনিসের জন্য পরিচিত, সেটি এখানকার লেইস বা ফিতা। ধারণা করা হয়, পনেরো শতকে এখানে ফিতা বানানোর চল শুরু হয়। এখানকার বাহারি সব লেইস দেখে মুগ্ধ হবেন আপনি। বুরানোর লেইস তৈরির ইতিহাস ও লেইস সম্পর্কে আরও জানতে একটবার ঢুঁ মারতে পারেন লেইস মিউজিয়ামে।
বুরানোর হেলানো বেল টাওয়ার বা ঘণ্টা স্তম্ভও পর্যটকদের টানে। সতেরো শতকে নির্মিত সান মার্টিনো গির্জার অংশ এই টাওয়ার। তৈরির সময় ওজনের হিসাবে তারতম্যের কারণে এটি একটু হেলে পড়ে। তারপর এভাবেই রেখে দেওয়া হয়। পিসার হেলানো টাওয়ারের মতো বিখ্যাত না হলেও দ্বীপে গেলে একে একনজর দেখার সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।
সরু খাল, চমৎকার সব সেতু আর নানান রঙেরে ঘর-বাড়ি মিলিয়ে বুরানো আলোকচিত্রীদের জন্য যেন এক স্বর্গরাজ্য। গোটা একটা দিন ছবি তুলেই কাটিয়ে দেওয়া যায়। জায়গাটি সি ফুডের জন্যও পরিচিত। এখানকার পিৎজাও বিখ্যাত।
দ্বীপটিতে পৌঁছাতে চাইলে ভেনিসের ফনডামেন্ট নোভা থেকে ১২ নম্বর লাইনের ওয়াটার বাসে চেপে বসতে হবে। মোটামুটি ৪০ মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যায় দ্বীপে। পথে অবশ্য মুরানো নামে একটি দ্বীপে যাত্রাবিরতি দেয় ওয়াটার বাস। নানা ধরনের কাচ তৈরির জন্য বিখ্যাত জায়গাটি। বংশানুক্রমে কাচ তৈরির শিক্ষা পেয়ে আসছে এখানকার মানুষ। আছে কাচ তৈরির জাদুঘর ও কারখানা। এখানে কিছুটা সময় ঘুরেফিরে আরেকটি ওয়াটার বাসে চেপে বুরানোতে পৌঁছাতে পারেন।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, আনটোলড মোরসেলস ডট কম
ভেনেটিয়ান বা ভেনিস ল্যাগুনে (লবণাক্ত পানির হ্রদ বা উপহ্রদ) অবস্থিত জেলেদের এক দ্বীপ বুরানো। ভেনিসের অন্যান্য অংশের মতো এর ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে বেশ কিছু খাল-নালা। তবে দ্বীপটির আরও একটি বিশেষত্ব আছে, বলা চলে এ কারণেই এটি বেশি পরিচিত, তা হলো উজ্জ্বল সব রঙে রাঙানো এখানকার ঘর-বাড়ি।
বুরানো আসলে একক কোনো দ্বীপ নয়, বরং চারটি দ্বীপ মিলে এটি। দ্বীপগুলোকে জোড়া লাগিয়েছে বেশ কিছু সেতু। তবে প্রতিটি দ্বীপের ঘরবাড়িগুলোতেই পাবেন নানা রঙের ছোঁয়া। আর এগুলো এত উজ্জ্বল, দেখলেই মন ভালো হয়ে যাবে আপনার।
এখানকার বাড়িগুলো এভাবে নানা ধরনের রঙে বর্ণিল করে তোলা নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। বলা হয়, বহু আগ থেকেই দ্বীপে জেলেদের বাস। যখন গোটা উপহ্রদ বা ল্যাগুন কুয়াশায় ঢেকে যেত, তখন পথ চিনে বাড়ি ফেরা মুশকিল হয়ে পড়ত তাদের। তাই ঘর-বাড়িতে বিভিন্ন রং করতে শুরু করেন জেলেরা, যেন কুয়াশার মধ্যেও উজ্জ্বল এসব ঘরবাড়ি দেখে পথ চিনতে পারেন।
তবে মাঝখানে নতুন করে রং না করায় দ্বীপের বর্ণিল বাড়িগুলোর চেহারা মলিন হতে শুরু করে। এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়তো দ্বীপটি এতটা পরিচিতিই পেত না। তবে সৌভাগ্যক্রমে একপর্যায়ে আবার রং করা শুরু হয় ঘরগুলো। তারপর থেকেই রং ফিরতে শুরু করে এখানকার দালানকোঠার। এখন তো দুই বছর পরপরই রং করা হয়। এতে এখন গোটা দ্বীপটিই যেন ঝলমল করছে বলে মনে হয়।
লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি, সবুজ নানা ধরনের রং শোভা পায় বাড়িগুলোতে। পাশাপাশি দুটি বাড়ির রং কখনো এক হয় না। মজার ব্যাপার, এখন চাইলেই নিজের ইচ্ছামতো রং করতে পারেন না দ্বীপবাসী। নিজের বাড়ি নতুন রং করতে চাইলে স্থানীয় কমিউনিটি গভর্নমেন্টের অনুমতি নিতে হয়। আরেকটু পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি, আপনার বাড়ির রং এখন সবুজ, আপনি চাইছেন এটাকে সবুজে-নীল কিংবা ফিরোজা রঙে রাঙিয়ে দেবেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুমোদনের জন্য কমিউনিটি গভর্নমেন্টের বরাবর দরখাস্ত করতে হবে।
দ্বীপটিতে এখন প্রায় ৩ হাজর মানুষের বাস। প্রচুর পর্যটক আসেন খাল-নালার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা রং-বেরঙের ঘর-বাড়িময় দ্বীপটি দেখতে। তাই পুরোনো পেশা মাছ ধরার বদলে দ্বীপবাসীর কেউ কেউ ঝুঁকছেন পর্যটনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেশার দিকে।
বুরানো অবশ্য শত শত বছর ধরে আরেকটি জিনিসের জন্য পরিচিত, সেটি এখানকার লেইস বা ফিতা। ধারণা করা হয়, পনেরো শতকে এখানে ফিতা বানানোর চল শুরু হয়। এখানকার বাহারি সব লেইস দেখে মুগ্ধ হবেন আপনি। বুরানোর লেইস তৈরির ইতিহাস ও লেইস সম্পর্কে আরও জানতে একটবার ঢুঁ মারতে পারেন লেইস মিউজিয়ামে।
বুরানোর হেলানো বেল টাওয়ার বা ঘণ্টা স্তম্ভও পর্যটকদের টানে। সতেরো শতকে নির্মিত সান মার্টিনো গির্জার অংশ এই টাওয়ার। তৈরির সময় ওজনের হিসাবে তারতম্যের কারণে এটি একটু হেলে পড়ে। তারপর এভাবেই রেখে দেওয়া হয়। পিসার হেলানো টাওয়ারের মতো বিখ্যাত না হলেও দ্বীপে গেলে একে একনজর দেখার সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।
সরু খাল, চমৎকার সব সেতু আর নানান রঙেরে ঘর-বাড়ি মিলিয়ে বুরানো আলোকচিত্রীদের জন্য যেন এক স্বর্গরাজ্য। গোটা একটা দিন ছবি তুলেই কাটিয়ে দেওয়া যায়। জায়গাটি সি ফুডের জন্যও পরিচিত। এখানকার পিৎজাও বিখ্যাত।
দ্বীপটিতে পৌঁছাতে চাইলে ভেনিসের ফনডামেন্ট নোভা থেকে ১২ নম্বর লাইনের ওয়াটার বাসে চেপে বসতে হবে। মোটামুটি ৪০ মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যায় দ্বীপে। পথে অবশ্য মুরানো নামে একটি দ্বীপে যাত্রাবিরতি দেয় ওয়াটার বাস। নানা ধরনের কাচ তৈরির জন্য বিখ্যাত জায়গাটি। বংশানুক্রমে কাচ তৈরির শিক্ষা পেয়ে আসছে এখানকার মানুষ। আছে কাচ তৈরির জাদুঘর ও কারখানা। এখানে কিছুটা সময় ঘুরেফিরে আরেকটি ওয়াটার বাসে চেপে বুরানোতে পৌঁছাতে পারেন।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, আনটোলড মোরসেলস ডট কম
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৫ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১০ দিন আগে