অর্ণব সান্যাল
কক্সবাজারে এক ‘অস্বাভাবিক’ ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সম্প্রতি উড়োজাহাজের ধাক্কায় দুই গরুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পর এখন প্রশ্ন উঠছে দোষ ও দায় নিয়ে। আসলে ভুল জায়গায় কে ছিল? গরু নাকি উড়োজাহাজ?
সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, গত ৩০ নভেম্বর কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে থাকা দুটি গরুর সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের ডান পাশের পাখার ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই গরু দুটির মৃত্যু হয়। অল্পের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওই ফ্লাইটে থাকা ৯৪ জন যাত্রী।
এই খবর দেখা বা শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই মনে হবে, যেখানে উড়োজাহাজের চলার কথা, সেখানে গরু চরছে কেন? মানে গরু চরার জায়গায় কি উড়োজাহাজ নাক গলাচ্ছে? নাকি উড়োজাহাজে ওঠার ইচ্ছে জেগেছিল গরুগুলোর?
একবারে তিন প্রশ্ন করা হলো। এবার চলুন, উত্তর খোঁজা যাক। যেহেতু জায়গাটির নাম বিমানবন্দর ও সেখানে রানওয়ে আছে, সেহেতু সংজ্ঞাগত দিক থেকে তাতে উড়োজাহাজেরই চলার কথা। কিন্তু গরু সেখানে ছিল, নইলে তো আর ধাক্কা লাগার কথা না। গরু ছিল, তার মানে ওই স্থানে গরুরা নিশ্চয়ই প্রায়ই চলাফেরা করে। হুট করে গরু এক জায়গায় অভিযাত্রিকের মতো ঘুরতে চলে যাবে, সেটি একটু অস্বাভাবিক। কারণ, বাধা থাকলে তা অতিক্রম করে ঘুরতে যাওয়া একটু কঠিন। তবে কি রানওয়ের চারপাশে গরুর অবাধ বিচরণের ব্যবস্থা আছে? তা-ই যদি থেকে থাকে, তাহলে গরুকেই বা দোষ দেওয়া যায় কীভাবে? গরুর কাছে রানওয়ে নিশ্চয়ই পার্কের মতো কোনো জায়গা, যেখানে তার দৃষ্টিতে পাখাওয়ালা কিছু বস্তু (মানুষের চোখে উড়োজাহাজ) সময়ে সময়ে ওঠা-নামা করে। এখন এই ওঠা-নামার ফাঁকে ফাঁকে গরুরা যদি জায়গাটিকে প্রমোদভ্রমণের স্থান হিসেবে বেছে নেয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা বেছে নিতে দেয়, তবে আর গরুর কী দোষ!
তবে কি উড়োজাহাজটির রানওয়েতে থাকাটা ঠিক হয়নি? এ ক্ষেত্রে রানওয়েতে উড়োজাহাজ ও গরুর বিচরণের তুলনামূলক সময়ের একটি হিসাব বের করা প্রয়োজন। যদি এমন হয় যে, গরু সেখানে বেশিক্ষণ থাকে, তবে জমির দখল হিসাবে নিলে, তা গরুরই প্রাপ্য। উড়োজাহাজ বরং সেখানে দুর্বল প্রতিপক্ষ। এমন অবস্থা হয়ে থাকলে উড়োজাহাজকেই বরং গরু-গাধা দেখেশুনে পথ চলতে হতে পারে! আরে, সহজাত অধিকার বলেও তো একটি বিষয় আছে, নাকি? আপনি যে বাড়িতে থাকবেন, তার দখল তো আপনার হাতেই থাকা উচিত!
কথা হলো, এ অবস্থায় উড়োজাহাজের নিরাপত্তা ইস্যুতে বাড়তি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা! কারণ, গরুরা এভাবে রানওয়েতে ঘুরতে ঘুরতে এক বিকেলে দেখা গেল, সিঁড়ি বেয়ে উঠে এল। তখন কি মানুষ যাত্রী সরিয়ে তাদের জায়গা করে দেওয়া যাবে? আবার গরুরা কীভাবে টিকিট কাটবে, সেটাও একটা বিষয়। অর্থাৎ, অনেক নিয়মকানুন নির্ধারণের প্রয়োজন আছে। গরু টিকিটের বিনিময়ে টাকা দেবে, নাকি দুধ, বা দুধ দিয়ে আদৌ মূল্য পরিশোধ করা সম্ভব হবে কিনা, সেটিও নীতিনির্ধারকদের ভেবে দেখতে হবে। তা নিয়ে বৈঠকও করতে হতে পারে। আবার এ প্রক্রিয়ায় বলদদের কী হবে, তাও চিন্তার বিষয়। বলদরা কি অন্য সব ক্ষেত্রের মতো এখানেও বঞ্চিত হবে?
মানে, সব মিলিয়ে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ চালাতে হবে। সেটি সম্পন্ন করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। এর চেয়ে বরং গরুদের এক পাশে সরিয়ে রাখাই ভালো। তার জন্য হয় রানওয়ের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে, আর না হলে সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সেখানে গরু, ছাগল, মহিষ—সবার জন্য আলাদা আলাদা রঙে প্রতীকী ছবি ও শব্দসহ সংকেত দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এই যেমন ধরুন, উড়োজাহাজ চলার ঠিক আগ দিয়ে দেখা গেল রানওয়েতে গরু। তখন বড় বিলবোর্ডে গরুর ছবি দেখিয়ে ‘হাম্বা’ ডাক রেডিও যোগাযোগে শুনিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে গরুকে কোন ডাক দিয়ে মানুষ যে অপেক্ষা করছে, তা বোঝানো হবে, সেটি সুদূরপ্রসারী গবেষণার বিষয়! গরুর সঙ্গে আসলে গরুর ভাষাতে যোগাযোগ করাই শ্রেয়। আমাদের মধ্যে এমন জাতিভুক্ত অনেককে নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। এ আর এমনকি!
সে যাক গে। এখন আসুন লেখা শেষ করি। শিরোনামের প্রশ্নের উত্তর এতক্ষণে নিশ্চয়ই পেয়েছেন। না পেলে আরেকটু ভাবুন, পেয়ে যাবেন। আর এসব ফাউ প্যাঁচাল এতক্ষণ চালানোও যায় না। এত কিছুর পর এখন আমার মুখ দিয়ে ‘হাম্বা’ ডাক বের হয় কিনা, কে জানে! কথায় তো আছেই, ‘সঙ্গদোষে লোহা ভাসে।’
কক্সবাজারে এক ‘অস্বাভাবিক’ ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সম্প্রতি উড়োজাহাজের ধাক্কায় দুই গরুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পর এখন প্রশ্ন উঠছে দোষ ও দায় নিয়ে। আসলে ভুল জায়গায় কে ছিল? গরু নাকি উড়োজাহাজ?
সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, গত ৩০ নভেম্বর কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে থাকা দুটি গরুর সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের ডান পাশের পাখার ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই গরু দুটির মৃত্যু হয়। অল্পের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওই ফ্লাইটে থাকা ৯৪ জন যাত্রী।
এই খবর দেখা বা শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই মনে হবে, যেখানে উড়োজাহাজের চলার কথা, সেখানে গরু চরছে কেন? মানে গরু চরার জায়গায় কি উড়োজাহাজ নাক গলাচ্ছে? নাকি উড়োজাহাজে ওঠার ইচ্ছে জেগেছিল গরুগুলোর?
একবারে তিন প্রশ্ন করা হলো। এবার চলুন, উত্তর খোঁজা যাক। যেহেতু জায়গাটির নাম বিমানবন্দর ও সেখানে রানওয়ে আছে, সেহেতু সংজ্ঞাগত দিক থেকে তাতে উড়োজাহাজেরই চলার কথা। কিন্তু গরু সেখানে ছিল, নইলে তো আর ধাক্কা লাগার কথা না। গরু ছিল, তার মানে ওই স্থানে গরুরা নিশ্চয়ই প্রায়ই চলাফেরা করে। হুট করে গরু এক জায়গায় অভিযাত্রিকের মতো ঘুরতে চলে যাবে, সেটি একটু অস্বাভাবিক। কারণ, বাধা থাকলে তা অতিক্রম করে ঘুরতে যাওয়া একটু কঠিন। তবে কি রানওয়ের চারপাশে গরুর অবাধ বিচরণের ব্যবস্থা আছে? তা-ই যদি থেকে থাকে, তাহলে গরুকেই বা দোষ দেওয়া যায় কীভাবে? গরুর কাছে রানওয়ে নিশ্চয়ই পার্কের মতো কোনো জায়গা, যেখানে তার দৃষ্টিতে পাখাওয়ালা কিছু বস্তু (মানুষের চোখে উড়োজাহাজ) সময়ে সময়ে ওঠা-নামা করে। এখন এই ওঠা-নামার ফাঁকে ফাঁকে গরুরা যদি জায়গাটিকে প্রমোদভ্রমণের স্থান হিসেবে বেছে নেয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা বেছে নিতে দেয়, তবে আর গরুর কী দোষ!
তবে কি উড়োজাহাজটির রানওয়েতে থাকাটা ঠিক হয়নি? এ ক্ষেত্রে রানওয়েতে উড়োজাহাজ ও গরুর বিচরণের তুলনামূলক সময়ের একটি হিসাব বের করা প্রয়োজন। যদি এমন হয় যে, গরু সেখানে বেশিক্ষণ থাকে, তবে জমির দখল হিসাবে নিলে, তা গরুরই প্রাপ্য। উড়োজাহাজ বরং সেখানে দুর্বল প্রতিপক্ষ। এমন অবস্থা হয়ে থাকলে উড়োজাহাজকেই বরং গরু-গাধা দেখেশুনে পথ চলতে হতে পারে! আরে, সহজাত অধিকার বলেও তো একটি বিষয় আছে, নাকি? আপনি যে বাড়িতে থাকবেন, তার দখল তো আপনার হাতেই থাকা উচিত!
কথা হলো, এ অবস্থায় উড়োজাহাজের নিরাপত্তা ইস্যুতে বাড়তি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা! কারণ, গরুরা এভাবে রানওয়েতে ঘুরতে ঘুরতে এক বিকেলে দেখা গেল, সিঁড়ি বেয়ে উঠে এল। তখন কি মানুষ যাত্রী সরিয়ে তাদের জায়গা করে দেওয়া যাবে? আবার গরুরা কীভাবে টিকিট কাটবে, সেটাও একটা বিষয়। অর্থাৎ, অনেক নিয়মকানুন নির্ধারণের প্রয়োজন আছে। গরু টিকিটের বিনিময়ে টাকা দেবে, নাকি দুধ, বা দুধ দিয়ে আদৌ মূল্য পরিশোধ করা সম্ভব হবে কিনা, সেটিও নীতিনির্ধারকদের ভেবে দেখতে হবে। তা নিয়ে বৈঠকও করতে হতে পারে। আবার এ প্রক্রিয়ায় বলদদের কী হবে, তাও চিন্তার বিষয়। বলদরা কি অন্য সব ক্ষেত্রের মতো এখানেও বঞ্চিত হবে?
মানে, সব মিলিয়ে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ চালাতে হবে। সেটি সম্পন্ন করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। এর চেয়ে বরং গরুদের এক পাশে সরিয়ে রাখাই ভালো। তার জন্য হয় রানওয়ের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে, আর না হলে সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সেখানে গরু, ছাগল, মহিষ—সবার জন্য আলাদা আলাদা রঙে প্রতীকী ছবি ও শব্দসহ সংকেত দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এই যেমন ধরুন, উড়োজাহাজ চলার ঠিক আগ দিয়ে দেখা গেল রানওয়েতে গরু। তখন বড় বিলবোর্ডে গরুর ছবি দেখিয়ে ‘হাম্বা’ ডাক রেডিও যোগাযোগে শুনিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে গরুকে কোন ডাক দিয়ে মানুষ যে অপেক্ষা করছে, তা বোঝানো হবে, সেটি সুদূরপ্রসারী গবেষণার বিষয়! গরুর সঙ্গে আসলে গরুর ভাষাতে যোগাযোগ করাই শ্রেয়। আমাদের মধ্যে এমন জাতিভুক্ত অনেককে নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। এ আর এমনকি!
সে যাক গে। এখন আসুন লেখা শেষ করি। শিরোনামের প্রশ্নের উত্তর এতক্ষণে নিশ্চয়ই পেয়েছেন। না পেলে আরেকটু ভাবুন, পেয়ে যাবেন। আর এসব ফাউ প্যাঁচাল এতক্ষণ চালানোও যায় না। এত কিছুর পর এখন আমার মুখ দিয়ে ‘হাম্বা’ ডাক বের হয় কিনা, কে জানে! কথায় তো আছেই, ‘সঙ্গদোষে লোহা ভাসে।’
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৫ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১০ দিন আগে