ইশতিয়াক হাসান
১৯২৯ সালের ১০ জানুয়ারি বেলজিয়ামের সংবাদপত্র ল্য ভ্যানতিয়েম সিয়েক্লের কিশোর সাময়িকী ল্য পেতি ভ্যানতিয়েমে প্রথম প্রকাশিত হতে শুরু করে ‘টিনটিন ইন দ্য ল্যান্ড অব সোভিয়েটস’। পরে এটি বই আকারে প্রকাশিত হয়। সে হিসেবে বিখ্যাত এই কমিকস সিরিজ ও চরিত্রের বয়স এখন ৯৪। আর আজ টিনটিনের জন্মদিন।
ইংরেজিতে ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব টিনটিন’ নামে পরিচিত সিরিজটির শুরু কিন্তু ফরাসি ভাষায়। প্রকাশের পর এটি কতটা সাড়া জাগিয়েছে তার প্রমাণ, প্রথম প্রকাশের পর এখন পর্যন্ত টিনটিনের ২৪টি বই অনূদিত হয়েছে পৃথিবীর ৭০টির মতো ভাষায়, বিক্রি হয়েছে ২৭ কোটি কপির বেশি। টিনটিন চরিত্রটির স্রষ্টা ও বইয়ের লেখক জর্জ রেমি, যিনি লিখতেন ‘হার্জ’ ছদ্মনামে। মূল চরিত্র টিনটিন একজন বেলজিয়ান সাংবাদিক। তার বয়স কত, এটা কোথাও বলা না হলেও তাকে একজন বালক বা কিশোর হিসেবেই মনে হবে পাঠকদের। টিনটিনের বইয়ের কথা বলতে গেলে সবার আগে চলে আসবে টিনটিনের কুকুর স্নোয়ি (কুট্টুস) এবং ক্যাপ্টেন হ্যাডক ও প্রোফেসর ক্যালকুলাসের কথা।
ক্র্যাব উইথ দ্য গোল্ডেন ক্লজ বইয়ের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন হ্যাডকের আত্মপ্রকাশ। বাংলায় যেটি আনন্দ পাবলিশার্স রূপান্তর করে ‘কাঁকড়া রহস্য’ নামে। জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া চরিত্রটির সিরিজের অন্যতম জনপ্রিয় হয়ে উঠতে সময় লাগেনি। খিটখিটে মেজাজ ও অফুরন্ত গালির ভান্ডার যার মুখে, সেই ক্যাপ্টেন হ্যাডক আজও মাতিয়ে রেখেছে টিনটিন ভক্তদের।
অন্যদিকে প্রফেসর ক্যালকুলাস কানে খাটো, ভুলো মনের প্রতিভাবান এক পদার্থবিদ। নানা ধরনের হাস্যরসাত্মক কাণ্ডকীর্তির জন্ম দিয়ে যিনি মন কেড়ে নিয়েছেন পাঠকদের। তাঁর আত্মপ্রকাশ ‘রেড রেকহামস ট্রেজার’ বা ‘লাল বোম্বেটের গুপ্তধন’ বইয়ের মাধ্যমে।
এবার বরং টিনটিনের সঙ্গে আমার পরিচয়টা কীভাবে তা মনে করার চেষ্টা করি। তখন থাকতাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ক্লাস সিক্সে পড়ি সম্ভবত। এক বন্ধুর কাছ থেকে পড়ার জন্য নিই টিনটিনের বাংলা রূপান্তর ‘বিপ্লবীদের দঙ্গলে’ (টিনটিন অ্যান্ড দ্য পিকারস)। এর আগে টিনটিনের ইংরেজি সংস্করণ পড়তে দেখেছিলাম খালাতো ভাইকে। তবে তখন ইংরেজি গল্পের বই পড়ার মতো জ্ঞানের কিছুটা ঘাটতি থাকায় পড়া হয়নি। সেদিন বাসায় এসে ক্লাসের পড়াটা কোনোমতে আম্মুকে দিয়েই বইটা নিয়ে বসলাম। রুদ্ধশ্বাসে শেষ করলাম দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলের পটভূমিতে টানটান উত্তেজনার সেই কমিকস-অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি। এক বইয়েই কিশোর সাংবাদিক-গোয়েন্দা টিনটিন, তার দুই পাগলাটে বন্ধু, গালির তুবড়ি ছুটানো ক্যাপ্টেন হ্যাডক, ভুলোমনা প্রফেসর ক্যালকুলাস আর ধবধবে সাদা লোমের ফক্স টেরিয়ার কুকুর স্নোয়ি বা কুট্টুসের ভক্ত বনে গেলাম।
আজ এত বছর পরেও টিনটিনের সবচেয়ে প্রিয় বই আমার কাছে বিপ্লবীদের দঙ্গলেই, আর সবচেয়ে নজরকাড়া প্রচ্ছদও আমার দৃষ্টিতে এটিই। এরপর টিনটিন পড়া শুরু করেছি যে আর থামিনি। আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত টিনটিনের গোটা বাংলা সংগ্রহটাই নিজের কাছে নিয়েছি। অবশ্য সংগ্রহের বেশির ভাগ এসেছে নীলক্ষেত থেকে। ওই বইগুলোর বেশ কিছু কিনি ঢাকা সিটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময়। সব বইই এখনো সযতনে আমার সংগ্রহে আছে। দুঃখিত, একটা বাদে! অদ্ভুত ব্যাপার, এই আধবুড়ো বয়সেও টিনটিনের বইগুলো আমার আগের মতোই প্রিয়। কেন? লেখা আর আঁকা মিলিয়ে রোমাঞ্চ-অ্যাডভেঞ্চার আর কৌতুকের এমন চমৎকার ও সার্থক মিলমিশ আমি আর কোথাও পাইনি।
বিপ্লবীদের দঙ্গলের প্রতি টানটা বেশি থাকলেও তিব্বতে টিনটিন (টিনটিন ইন টিবেট), আমেরিকায় টিনটিন (টিনটিন ইন আমেরিকা), কঙ্গোয় টিনটিন (টিনটিন ইন দ্য কঙ্গো), ফারাওয়ের চুরুট (সিগারস অব দ্য ফারাও) রহস্য-রোমাঞ্চে কোনটা যে কোনটাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলা মুশকিল! টিনটিনের কোনো কোনো কাহিনি পাঁচ-ছয় বার পড়া হলেও দুই-তিনটা বই এখনো আমি পড়িনি, বহু বছর সংগ্রহে থাকার পরও। টিনটিন তো আর নতুন করে লেখার সুযোগ নেই তাই ওগুলো জমিয়ে রাখা! অবশ্য অনেক সিরিজের ক্ষেত্রেই আমার এটা করার অভ্যাস আছে।
এবার বরং এই অমর কমিক চরিত্র ও বই সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য দেওয়া যাক। নীল আর্মস্ট্রংদের ১৫ বছর আগে ১৯৫৪ সালে চাঁদে যায় টিনটিন। মজার ব্যাপার, টিনটিনকে পৃথিবীর নানা প্রান্তে অবলীলায় অ্যাডভেঞ্চারে পাঠিয়ে দিলেও ওসব জায়গার বেশির ভাগেই হার্জ নিজে পা রাখেননি মোটেই। টিনটিনের বই বলছে, টিনটিনের আবাস ছিল বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের ল্যাব্রাডর স্ট্রিটের এক অ্যাপার্টমেন্টে। ঠিক এই ঠিকানাটার কোনো অস্তিত্ব না থাকলেও রাজধানী শহরের ট্যারে-ন্যুভে স্ট্রিট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এর জন্ম বলে ধারণা করা হয়। টিনটিনের কুকুর স্নোয়ি বা কুট্টুসের নাম হার্জ মূল ফ্রেঞ্চ ভাষায় রেখেছিলেন মেলো, নিজের প্রথম বান্ধবীকে আদর করে এই নামে ডাকতেন হার্জ।
১৯৮৩ সালে হার্জ মারা যাওয়ার আগে আমাদের উপহার দিয়ে যান টিনটিনের ২৩টি জমজমাট অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি। হার্জের রেখে যাওয়া আরেকটি অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি প্রকাশিত হয় তাঁর মৃত্যুর পরে, ১৯৮৬ সালে। এভাবে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ২৪। টিনটিন নিয়ে তাঁর অনেক অপ্রকাশিত ক্যারিকেচার, লেখা পাওয়া যায়। তিনি মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই লেখাগুলোর আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়! যা হোক, ১৯২৯ সালের ১০ জানুয়ারি জন্মদিন ধরলে, এখন তার বয়স ৯৪। তবে আমাদের পাঠকদের কাছে সে ওই টগবগে কিশোরই।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া, টিনটিন ডটকম
১৯২৯ সালের ১০ জানুয়ারি বেলজিয়ামের সংবাদপত্র ল্য ভ্যানতিয়েম সিয়েক্লের কিশোর সাময়িকী ল্য পেতি ভ্যানতিয়েমে প্রথম প্রকাশিত হতে শুরু করে ‘টিনটিন ইন দ্য ল্যান্ড অব সোভিয়েটস’। পরে এটি বই আকারে প্রকাশিত হয়। সে হিসেবে বিখ্যাত এই কমিকস সিরিজ ও চরিত্রের বয়স এখন ৯৪। আর আজ টিনটিনের জন্মদিন।
ইংরেজিতে ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব টিনটিন’ নামে পরিচিত সিরিজটির শুরু কিন্তু ফরাসি ভাষায়। প্রকাশের পর এটি কতটা সাড়া জাগিয়েছে তার প্রমাণ, প্রথম প্রকাশের পর এখন পর্যন্ত টিনটিনের ২৪টি বই অনূদিত হয়েছে পৃথিবীর ৭০টির মতো ভাষায়, বিক্রি হয়েছে ২৭ কোটি কপির বেশি। টিনটিন চরিত্রটির স্রষ্টা ও বইয়ের লেখক জর্জ রেমি, যিনি লিখতেন ‘হার্জ’ ছদ্মনামে। মূল চরিত্র টিনটিন একজন বেলজিয়ান সাংবাদিক। তার বয়স কত, এটা কোথাও বলা না হলেও তাকে একজন বালক বা কিশোর হিসেবেই মনে হবে পাঠকদের। টিনটিনের বইয়ের কথা বলতে গেলে সবার আগে চলে আসবে টিনটিনের কুকুর স্নোয়ি (কুট্টুস) এবং ক্যাপ্টেন হ্যাডক ও প্রোফেসর ক্যালকুলাসের কথা।
ক্র্যাব উইথ দ্য গোল্ডেন ক্লজ বইয়ের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন হ্যাডকের আত্মপ্রকাশ। বাংলায় যেটি আনন্দ পাবলিশার্স রূপান্তর করে ‘কাঁকড়া রহস্য’ নামে। জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া চরিত্রটির সিরিজের অন্যতম জনপ্রিয় হয়ে উঠতে সময় লাগেনি। খিটখিটে মেজাজ ও অফুরন্ত গালির ভান্ডার যার মুখে, সেই ক্যাপ্টেন হ্যাডক আজও মাতিয়ে রেখেছে টিনটিন ভক্তদের।
অন্যদিকে প্রফেসর ক্যালকুলাস কানে খাটো, ভুলো মনের প্রতিভাবান এক পদার্থবিদ। নানা ধরনের হাস্যরসাত্মক কাণ্ডকীর্তির জন্ম দিয়ে যিনি মন কেড়ে নিয়েছেন পাঠকদের। তাঁর আত্মপ্রকাশ ‘রেড রেকহামস ট্রেজার’ বা ‘লাল বোম্বেটের গুপ্তধন’ বইয়ের মাধ্যমে।
এবার বরং টিনটিনের সঙ্গে আমার পরিচয়টা কীভাবে তা মনে করার চেষ্টা করি। তখন থাকতাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ক্লাস সিক্সে পড়ি সম্ভবত। এক বন্ধুর কাছ থেকে পড়ার জন্য নিই টিনটিনের বাংলা রূপান্তর ‘বিপ্লবীদের দঙ্গলে’ (টিনটিন অ্যান্ড দ্য পিকারস)। এর আগে টিনটিনের ইংরেজি সংস্করণ পড়তে দেখেছিলাম খালাতো ভাইকে। তবে তখন ইংরেজি গল্পের বই পড়ার মতো জ্ঞানের কিছুটা ঘাটতি থাকায় পড়া হয়নি। সেদিন বাসায় এসে ক্লাসের পড়াটা কোনোমতে আম্মুকে দিয়েই বইটা নিয়ে বসলাম। রুদ্ধশ্বাসে শেষ করলাম দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলের পটভূমিতে টানটান উত্তেজনার সেই কমিকস-অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি। এক বইয়েই কিশোর সাংবাদিক-গোয়েন্দা টিনটিন, তার দুই পাগলাটে বন্ধু, গালির তুবড়ি ছুটানো ক্যাপ্টেন হ্যাডক, ভুলোমনা প্রফেসর ক্যালকুলাস আর ধবধবে সাদা লোমের ফক্স টেরিয়ার কুকুর স্নোয়ি বা কুট্টুসের ভক্ত বনে গেলাম।
আজ এত বছর পরেও টিনটিনের সবচেয়ে প্রিয় বই আমার কাছে বিপ্লবীদের দঙ্গলেই, আর সবচেয়ে নজরকাড়া প্রচ্ছদও আমার দৃষ্টিতে এটিই। এরপর টিনটিন পড়া শুরু করেছি যে আর থামিনি। আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত টিনটিনের গোটা বাংলা সংগ্রহটাই নিজের কাছে নিয়েছি। অবশ্য সংগ্রহের বেশির ভাগ এসেছে নীলক্ষেত থেকে। ওই বইগুলোর বেশ কিছু কিনি ঢাকা সিটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময়। সব বইই এখনো সযতনে আমার সংগ্রহে আছে। দুঃখিত, একটা বাদে! অদ্ভুত ব্যাপার, এই আধবুড়ো বয়সেও টিনটিনের বইগুলো আমার আগের মতোই প্রিয়। কেন? লেখা আর আঁকা মিলিয়ে রোমাঞ্চ-অ্যাডভেঞ্চার আর কৌতুকের এমন চমৎকার ও সার্থক মিলমিশ আমি আর কোথাও পাইনি।
বিপ্লবীদের দঙ্গলের প্রতি টানটা বেশি থাকলেও তিব্বতে টিনটিন (টিনটিন ইন টিবেট), আমেরিকায় টিনটিন (টিনটিন ইন আমেরিকা), কঙ্গোয় টিনটিন (টিনটিন ইন দ্য কঙ্গো), ফারাওয়ের চুরুট (সিগারস অব দ্য ফারাও) রহস্য-রোমাঞ্চে কোনটা যে কোনটাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলা মুশকিল! টিনটিনের কোনো কোনো কাহিনি পাঁচ-ছয় বার পড়া হলেও দুই-তিনটা বই এখনো আমি পড়িনি, বহু বছর সংগ্রহে থাকার পরও। টিনটিন তো আর নতুন করে লেখার সুযোগ নেই তাই ওগুলো জমিয়ে রাখা! অবশ্য অনেক সিরিজের ক্ষেত্রেই আমার এটা করার অভ্যাস আছে।
এবার বরং এই অমর কমিক চরিত্র ও বই সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য দেওয়া যাক। নীল আর্মস্ট্রংদের ১৫ বছর আগে ১৯৫৪ সালে চাঁদে যায় টিনটিন। মজার ব্যাপার, টিনটিনকে পৃথিবীর নানা প্রান্তে অবলীলায় অ্যাডভেঞ্চারে পাঠিয়ে দিলেও ওসব জায়গার বেশির ভাগেই হার্জ নিজে পা রাখেননি মোটেই। টিনটিনের বই বলছে, টিনটিনের আবাস ছিল বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের ল্যাব্রাডর স্ট্রিটের এক অ্যাপার্টমেন্টে। ঠিক এই ঠিকানাটার কোনো অস্তিত্ব না থাকলেও রাজধানী শহরের ট্যারে-ন্যুভে স্ট্রিট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এর জন্ম বলে ধারণা করা হয়। টিনটিনের কুকুর স্নোয়ি বা কুট্টুসের নাম হার্জ মূল ফ্রেঞ্চ ভাষায় রেখেছিলেন মেলো, নিজের প্রথম বান্ধবীকে আদর করে এই নামে ডাকতেন হার্জ।
১৯৮৩ সালে হার্জ মারা যাওয়ার আগে আমাদের উপহার দিয়ে যান টিনটিনের ২৩টি জমজমাট অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি। হার্জের রেখে যাওয়া আরেকটি অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি প্রকাশিত হয় তাঁর মৃত্যুর পরে, ১৯৮৬ সালে। এভাবে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ২৪। টিনটিন নিয়ে তাঁর অনেক অপ্রকাশিত ক্যারিকেচার, লেখা পাওয়া যায়। তিনি মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই লেখাগুলোর আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়! যা হোক, ১৯২৯ সালের ১০ জানুয়ারি জন্মদিন ধরলে, এখন তার বয়স ৯৪। তবে আমাদের পাঠকদের কাছে সে ওই টগবগে কিশোরই।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া, টিনটিন ডটকম
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৬ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৭ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৯ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১১ দিন আগে