ইশতিয়াক হাসান
এখন আমাদের এটিএম বুথ ছাড়া চলেই না। সামান্য কিছু টাকা তুলতে হলেও শরণাপন্ন হই এর। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না বরফে ঢাকা অনেক উঁচু পর্বতের ওপরও এটিএম বুথ পেয়ে যাবেন। কিন্তু পাকিস্তান-চীন সীমান্তের খুনজেরাব পাসে আপনি এটিএম বুথ পাবেন ৪৬৯৩ মিটার বা ১৫৩৯৭ ফুট উচ্চতায়। গিনেস বুকের হিসাবেও এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু জায়গায় অবস্থিত এটিএম বা অটোমেটেড টেলার মেশিন।
পাকিস্তানের উত্তর গিলগিট-বালতিস্তান প্রদেশের খুনজেরাব পাসে অবস্থিত এই এটিএম বুথ বসিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (এনবিপি)। ২০১৬ সালে সৌর ও বায়ুচালিত এই ক্যাশ মেশিনটি স্থাপন করা হয়। এদিকে মেশিনটি যে খুনজেরাব পাসে, একে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের সর্বোচ্চ পাকা আন্তর্জাতিক সীমান্ত ক্রসিং হিসেবে। কারাকোরাম মহাসড়কেরও সর্বোচ্চ বিন্দু জায়গাটি। পাসজুড়ে সড়কপথ ১৯৮২ সালে সম্পন্ন হয়।
তবে পৃথিবীর উচ্চতম এটিএম মেশিনটি বসানো মোটেই সহজ কাজ ছিল না। ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের এই কাজ সম্পন্ন করতে লাগে চার মাস। এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং এতে নিয়মিত অর্থের (পাকিস্তানি রুপি) জোগান দেওয়াটাও কষ্টসাধ্য এক কাজ। কারণ ব্যাংকের সবচেয়ে কাছের শাখাটির দূরত্ব ৮২ কিলোমিটার। এটিএম মেশিনটির সবচেয়ে কাছের শাখা মানে সোস্ত এনবিপির ম্যানেজারকে নিয়মিতই গাড়ি নিয়ে হাজির হতে হয় এখানে, এটিএমটি ঠিকভাবে কাজ করছে এটা নিশ্চিত করতে। এ জন্য তাঁকে কনকনে হাওয়া, ঝড়, ভূমিধস, বিপজ্জনক সব পার্বত্য পাসকে থোড়াই কেয়ার করতে হয়।
স্বাভাবিকভাবেই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৬৯৩ মিটার উচ্চতার একটি এটিএম বুথ খুব ব্যস্ত থাকবে কিংবা এখানে খুব বেশি অর্থের লেনদেন হবে এটা আশা করা বোকামি। এটি মূলত ব্যবহার করেন সীমান্তরক্ষীরা তাঁদের মাসিক বেতন তুলতে, আশপাশের দুর্গম এলাকায় বাস করা স্থানীয় বাসিন্দা আর সীমান্ত পেরোনো মানুষ। গত বছর, মানে ২০২২ সালের তথ্য অনুসারে প্রতি পনেরো দিনে মেশিনটি থেকে মোটামুটি ৪০-৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি তোলা হয়। জায়গাটির দুর্গমতা বিবেচনায় আনলে অঙ্কটা একেবারে কম নয়, কি বলেন!
তবে দুর্গমের এই মেশিনে কখনো কখনো সমস্যাও দেখা দেয়। বৈরী আবহাওয়া এর একটি বড় কারণ। ২০২১ সালেই যেমন ঝোড়ো বাতাসের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এটিএম।
ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, পৃথিবীর উচ্চতম এই এটিএমের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হলে একজনের মোটামুটি দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে সেখানে পৌঁছাতে। অবশ্য বরফরাজ্যের এত উঁচুতে অবস্থানের কথা চিন্তা করলে সময়টিকে খুব বেশি বলা যাবে না মোটেই।
‘তাঁদের সংখ্যাটা হয়তো খুব বেশি নয়। তবে এসব মানুষকে প্রায়ই জায়গাটিতে থাকতে হয়। পরিবার ও প্রিয়জনদের কাছে টাকা পাঠানোর আর কোনো পথ নেই তাঁদের।’ মন্তব্য করেছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের সোস্ত শাখার ম্যানেজার জাহিদ হোসাইন।
এখন দুর্গম এলাকার এমন একটি এটিএম কেমন, কাজ করে কি না—নিশ্চয় কৌতূহল তৈরি করছে আপনার মনে। নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী এই মেশিন সাধারণ মেশিনের মতোই কাজ করে। অর্থ তোলার পাশাপাশি, বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ এমনকি ওই ব্যাংকের অভ্যন্তরের অর্থ স্থানান্তরও করতে সক্ষম এটি।
৪৬৯৩ মিটার উচ্চতায় একটি এটিএম বুথ আসলেই বেশ অস্বাভাবিক ব্যাপার। এখানে পৌঁছাটাও মোটেও সহজ নয়। তবে সেখানে একবার পৌঁছে গেলে এটিএম বুথটা তো দেখবেনই, সেই সঙ্গে দেখতে পাবেন তুষারঢাকা কারাকোরাম পর্বতের চূড়াগুলো। এখানকার খুনজেরাব জাতীয় উদ্যানে বাস তুষার চিতা ও পাকিস্তানের জাতীয় প্রাণী মারখোরের (একধরনের বুনো ছাগল)। সৌভাগ্যবান হলে এদের কোনোটির সাক্ষাৎও মিলতে পারে। তবে এই দুর্গমতাকে পাশ কাটিয়ে জায়গাটি পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে খুনজেরাব পাসে পৌঁছার পর পর্যটকদের মূল আগ্রহ কিন্তু থাকে ওই এটিএম বুথটির সঙ্গে একটি ছবি তোলা।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, বিবিসি, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
এখন আমাদের এটিএম বুথ ছাড়া চলেই না। সামান্য কিছু টাকা তুলতে হলেও শরণাপন্ন হই এর। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না বরফে ঢাকা অনেক উঁচু পর্বতের ওপরও এটিএম বুথ পেয়ে যাবেন। কিন্তু পাকিস্তান-চীন সীমান্তের খুনজেরাব পাসে আপনি এটিএম বুথ পাবেন ৪৬৯৩ মিটার বা ১৫৩৯৭ ফুট উচ্চতায়। গিনেস বুকের হিসাবেও এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু জায়গায় অবস্থিত এটিএম বা অটোমেটেড টেলার মেশিন।
পাকিস্তানের উত্তর গিলগিট-বালতিস্তান প্রদেশের খুনজেরাব পাসে অবস্থিত এই এটিএম বুথ বসিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (এনবিপি)। ২০১৬ সালে সৌর ও বায়ুচালিত এই ক্যাশ মেশিনটি স্থাপন করা হয়। এদিকে মেশিনটি যে খুনজেরাব পাসে, একে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের সর্বোচ্চ পাকা আন্তর্জাতিক সীমান্ত ক্রসিং হিসেবে। কারাকোরাম মহাসড়কেরও সর্বোচ্চ বিন্দু জায়গাটি। পাসজুড়ে সড়কপথ ১৯৮২ সালে সম্পন্ন হয়।
তবে পৃথিবীর উচ্চতম এটিএম মেশিনটি বসানো মোটেই সহজ কাজ ছিল না। ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের এই কাজ সম্পন্ন করতে লাগে চার মাস। এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং এতে নিয়মিত অর্থের (পাকিস্তানি রুপি) জোগান দেওয়াটাও কষ্টসাধ্য এক কাজ। কারণ ব্যাংকের সবচেয়ে কাছের শাখাটির দূরত্ব ৮২ কিলোমিটার। এটিএম মেশিনটির সবচেয়ে কাছের শাখা মানে সোস্ত এনবিপির ম্যানেজারকে নিয়মিতই গাড়ি নিয়ে হাজির হতে হয় এখানে, এটিএমটি ঠিকভাবে কাজ করছে এটা নিশ্চিত করতে। এ জন্য তাঁকে কনকনে হাওয়া, ঝড়, ভূমিধস, বিপজ্জনক সব পার্বত্য পাসকে থোড়াই কেয়ার করতে হয়।
স্বাভাবিকভাবেই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৬৯৩ মিটার উচ্চতার একটি এটিএম বুথ খুব ব্যস্ত থাকবে কিংবা এখানে খুব বেশি অর্থের লেনদেন হবে এটা আশা করা বোকামি। এটি মূলত ব্যবহার করেন সীমান্তরক্ষীরা তাঁদের মাসিক বেতন তুলতে, আশপাশের দুর্গম এলাকায় বাস করা স্থানীয় বাসিন্দা আর সীমান্ত পেরোনো মানুষ। গত বছর, মানে ২০২২ সালের তথ্য অনুসারে প্রতি পনেরো দিনে মেশিনটি থেকে মোটামুটি ৪০-৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি তোলা হয়। জায়গাটির দুর্গমতা বিবেচনায় আনলে অঙ্কটা একেবারে কম নয়, কি বলেন!
তবে দুর্গমের এই মেশিনে কখনো কখনো সমস্যাও দেখা দেয়। বৈরী আবহাওয়া এর একটি বড় কারণ। ২০২১ সালেই যেমন ঝোড়ো বাতাসের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এটিএম।
ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, পৃথিবীর উচ্চতম এই এটিএমের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হলে একজনের মোটামুটি দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে সেখানে পৌঁছাতে। অবশ্য বরফরাজ্যের এত উঁচুতে অবস্থানের কথা চিন্তা করলে সময়টিকে খুব বেশি বলা যাবে না মোটেই।
‘তাঁদের সংখ্যাটা হয়তো খুব বেশি নয়। তবে এসব মানুষকে প্রায়ই জায়গাটিতে থাকতে হয়। পরিবার ও প্রিয়জনদের কাছে টাকা পাঠানোর আর কোনো পথ নেই তাঁদের।’ মন্তব্য করেছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের সোস্ত শাখার ম্যানেজার জাহিদ হোসাইন।
এখন দুর্গম এলাকার এমন একটি এটিএম কেমন, কাজ করে কি না—নিশ্চয় কৌতূহল তৈরি করছে আপনার মনে। নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী এই মেশিন সাধারণ মেশিনের মতোই কাজ করে। অর্থ তোলার পাশাপাশি, বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ এমনকি ওই ব্যাংকের অভ্যন্তরের অর্থ স্থানান্তরও করতে সক্ষম এটি।
৪৬৯৩ মিটার উচ্চতায় একটি এটিএম বুথ আসলেই বেশ অস্বাভাবিক ব্যাপার। এখানে পৌঁছাটাও মোটেও সহজ নয়। তবে সেখানে একবার পৌঁছে গেলে এটিএম বুথটা তো দেখবেনই, সেই সঙ্গে দেখতে পাবেন তুষারঢাকা কারাকোরাম পর্বতের চূড়াগুলো। এখানকার খুনজেরাব জাতীয় উদ্যানে বাস তুষার চিতা ও পাকিস্তানের জাতীয় প্রাণী মারখোরের (একধরনের বুনো ছাগল)। সৌভাগ্যবান হলে এদের কোনোটির সাক্ষাৎও মিলতে পারে। তবে এই দুর্গমতাকে পাশ কাটিয়ে জায়গাটি পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে খুনজেরাব পাসে পৌঁছার পর পর্যটকদের মূল আগ্রহ কিন্তু থাকে ওই এটিএম বুথটির সঙ্গে একটি ছবি তোলা।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, বিবিসি, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৫ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১০ দিন আগে