ইশতিয়াক হাসান
একটি পর্বতের খাড়া গায়ে ঝুলতে থাকা স্বচ্ছ একটি ক্যাপসুল বা ছোট কেবিনে রাত কাটাতে কেমন লাগবে? পেরুর কুজকো অঞ্চলের দুর্গম পর্বতে অবস্থিত স্কাইলজ অ্যাডভেঞ্চার স্যুইটস আপনাকে এমন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা উপভোগেরই সুযোগ করে দেবে।
বুঝতেই পারছেন, আশ্চর্য এই কেবিনে থাকার জন্য দুঃসাহসী হওয়াটা প্রথম শর্ত। সেখানে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে পর্বতের ৪০০ মিটার (১ হাজার ৩০০ ফুট) ওপরে উঠতে হবে। সে জন্য হয় দড়িদড়া ব্যবহার করে খাড়া পথে উঠে যেতে হবে, নতুবা দুর্গম ট্রেইলে হেঁটে যেতে হবে। অবশ্য একটি জিপ লাইন ধরেও পৌঁছে যেতে পারবেন লজটিতে। আর একবার সেখানে পৌঁছে গেলে নিচের উপত্যকার ও চারপাশের পাহাড়ি রাজ্যের যে অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন, এর তুলনা নেই। আর রাতের বড় আকর্ষণ ওপরের নক্ষত্রখচিত আকাশ।
পর্বতের গায়ে এই খুপরি বা ক্যাপসুলগুলোর পেছনে আছে অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানি ন্যাচার ভাইভ। অতিথিদের ভেতরের রোমাঞ্চপ্রেমী মনটিকে জাগিয়ে তোলার পরিকল্পনা থেকেই তারা এমন উদ্ভট একটি কাজ করে বলে জানা গেছে। কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানায়, আশ্চর্য এই কাঠামোগুলো তৈরিতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সরঞ্জাম ওপরে তোলা এবং নকশাটা এমনভাবে করা যেন প্রবল বাতাসের ঝাপটায়ও এগুলোর কোনো ক্ষতি না হয়।
তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, অ্যালুমিনিয়াম এবং বৈরী আবহাওয়ায় টিকে থাকতে সক্ষম পলি কার্বোনেট থেকে তৈরি করা হয়েছে খুদে এই আবাসগুলো। ন্যাচার ভাইভও এই আবাস টেকসই এবং পর্যটকেরা সেখানে নিরাপদে থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছে।
অবাক করা ব্যাপার হলো, এত ওপরের এই কেবিনগুলো যথেষ্ট আরামদায়কও। একটি ডাবল বেডের পাশাপাশি আছে টয়লেট, বেসিন এবং পানির ব্যবস্থা। দুজনের চমৎকার একটি ডিনার, সকালের নাশতাসহ এক রাতের জন্য আপনাকে খরচ গুনতে হবে এক লাখ টাকার মতো।
২০১৩ সালে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর থেকে এই হোটেল কিংবা লজ পর্যটকদের বড় আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। এখানকার আরেকটি বড় সুবিধা, এই লজ থেকে প্রাচীন ইনকা নগরী মাচুপিচুর দূরত্ব মোটে ১২ কিলোমিটার।
সূর্যাস্ত উপভোগের জন্যও এর জুড়ি মেলা ভার। এখান থেকে অস্তায়মান সূর্যের আলোয় উরুবাম্বা উপত্যকা বা সেক্রেড ভ্যালি আপনার সামনে হাজির হবে মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য নিয়ে।
সকালে আরামদায়ক একটি কম্বল বা লেপ গায়ে জড়িয়ে উপভোগ করবেন পাহাড়ি এলাকার অবিশ্বাস্য সুন্দর সূর্যোদয়। আপনি যদি বন্য প্রাণিপ্রেমী হন; পাহাড়ি শকুন কনডরসহ আন্দিজ পর্বতমালার বিভিন্ন ধরনের পাখির দেখা পেয়েও খুশি হয়ে উঠবেন। নাশতা সেরে যখন একটি জিপ লাইনে চেপে নেমে আসবেন, তখন হয়তো মনটা ভার হয়ে থাকবে এমন একটি জায়গা ছেড়ে এত তাড়াতাড়ি চলে যেতে হওয়ায়।
পূর্ববর্তী অতিথিরা ন্যাচার ভাইভ স্কাইলজে তাদের অবস্থানকে রোমাঞ্চকর ও দুঃসাহসিক এক অভিজ্ঞতা বলেই উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে রাতের আকাশের নিচে ঘুমানোটাকে এই লজ সম্পূর্ণ নতুন এক স্তরে নিয়ে যায় বলে মনে করেন তাঁরা। চাঁদ ও তারাকেও স্বচ্ছ ক্যাপসুল থেকে অবিশ্বাস্যভাবে কাছাকাছি মনে হয়েছে তাঁদের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা থেকে আসা লরেন ক্রেগেল যেমন বলেছেন যে এখানকার পুরো অভিজ্ঞতাটি ছিল দারুণ উপভোগ্য।
‘ওপরে ওঠাটা ছিল আনন্দদায়ক। আমি উচ্চতাকে ভয় পাই না। কিন্তু এমন কিছু মুহূর্ত ছিল যখন নিজে নিজেই বলে উঠেছি “ওয়াও! আমি অনেক উঁচুতে!” খাবারটাও ছিল অবিশ্বাস্য। একটি টয়লেট, সিঙ্কসহ ক্যাপসুলটি খুব আরামদায়ক এবং আধুনিক ছিল। পর্দা সরিয়ে দিয়েছিলাম, যাতে তারার খুব কাছে ঘুমিয়ে পড়ার একটি অনুভূতি হয়।’
আশ্চর্য এই হোটেলে লরেন একাই ছিলেন। কিন্তু এতে অসাধারণ একটি অভিজ্ঞতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হননি। ‘অন্য অতিথিরা জোড় বেঁধে এসেছিলেন, তবে এটি অবশ্যই এমন একটি অভিজ্ঞতা, যেটি একা উপভোগ করলেও সমস্যা নেই।’ বলেন লরেন।
ন্যাচার ভাইভের ডাইনিং ক্যাপসুলে পেরুর নিজস্ব ঘরানার খাবারের স্বাদ পাওয়ার পাশাপাশি চারপাশের অসাধারণ ও ব্যতিক্রমী দৃশ্য উপভোগের সুযোগ মিলবে আপনার। শুনে খুশি হবেন, আপনার রোমাঞ্চকর এই অভিজ্ঞতা ক্যামেরায় বন্দী করার জন্য লজ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব আলোকচিত্রীও আছে।
আপনার যদি উচ্চতাভীতি না থাকে এবং রোমাঞ্চপ্রিয় একটি মন থাকে, তবে রাতের সেরা ঘুম হতে পারে এখানে। কিংবা কে জানে, হয়তো ঘুমালেনই না, সারা রাত প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর রূপ দেখতে দেখতেই কাটিয়ে দিলেন!
সূত্র: কালচার ট্রিপ, সিএনএন, ইউরো নিউজ
একটি পর্বতের খাড়া গায়ে ঝুলতে থাকা স্বচ্ছ একটি ক্যাপসুল বা ছোট কেবিনে রাত কাটাতে কেমন লাগবে? পেরুর কুজকো অঞ্চলের দুর্গম পর্বতে অবস্থিত স্কাইলজ অ্যাডভেঞ্চার স্যুইটস আপনাকে এমন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা উপভোগেরই সুযোগ করে দেবে।
বুঝতেই পারছেন, আশ্চর্য এই কেবিনে থাকার জন্য দুঃসাহসী হওয়াটা প্রথম শর্ত। সেখানে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে পর্বতের ৪০০ মিটার (১ হাজার ৩০০ ফুট) ওপরে উঠতে হবে। সে জন্য হয় দড়িদড়া ব্যবহার করে খাড়া পথে উঠে যেতে হবে, নতুবা দুর্গম ট্রেইলে হেঁটে যেতে হবে। অবশ্য একটি জিপ লাইন ধরেও পৌঁছে যেতে পারবেন লজটিতে। আর একবার সেখানে পৌঁছে গেলে নিচের উপত্যকার ও চারপাশের পাহাড়ি রাজ্যের যে অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন, এর তুলনা নেই। আর রাতের বড় আকর্ষণ ওপরের নক্ষত্রখচিত আকাশ।
পর্বতের গায়ে এই খুপরি বা ক্যাপসুলগুলোর পেছনে আছে অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানি ন্যাচার ভাইভ। অতিথিদের ভেতরের রোমাঞ্চপ্রেমী মনটিকে জাগিয়ে তোলার পরিকল্পনা থেকেই তারা এমন উদ্ভট একটি কাজ করে বলে জানা গেছে। কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানায়, আশ্চর্য এই কাঠামোগুলো তৈরিতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সরঞ্জাম ওপরে তোলা এবং নকশাটা এমনভাবে করা যেন প্রবল বাতাসের ঝাপটায়ও এগুলোর কোনো ক্ষতি না হয়।
তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, অ্যালুমিনিয়াম এবং বৈরী আবহাওয়ায় টিকে থাকতে সক্ষম পলি কার্বোনেট থেকে তৈরি করা হয়েছে খুদে এই আবাসগুলো। ন্যাচার ভাইভও এই আবাস টেকসই এবং পর্যটকেরা সেখানে নিরাপদে থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছে।
অবাক করা ব্যাপার হলো, এত ওপরের এই কেবিনগুলো যথেষ্ট আরামদায়কও। একটি ডাবল বেডের পাশাপাশি আছে টয়লেট, বেসিন এবং পানির ব্যবস্থা। দুজনের চমৎকার একটি ডিনার, সকালের নাশতাসহ এক রাতের জন্য আপনাকে খরচ গুনতে হবে এক লাখ টাকার মতো।
২০১৩ সালে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর থেকে এই হোটেল কিংবা লজ পর্যটকদের বড় আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। এখানকার আরেকটি বড় সুবিধা, এই লজ থেকে প্রাচীন ইনকা নগরী মাচুপিচুর দূরত্ব মোটে ১২ কিলোমিটার।
সূর্যাস্ত উপভোগের জন্যও এর জুড়ি মেলা ভার। এখান থেকে অস্তায়মান সূর্যের আলোয় উরুবাম্বা উপত্যকা বা সেক্রেড ভ্যালি আপনার সামনে হাজির হবে মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য নিয়ে।
সকালে আরামদায়ক একটি কম্বল বা লেপ গায়ে জড়িয়ে উপভোগ করবেন পাহাড়ি এলাকার অবিশ্বাস্য সুন্দর সূর্যোদয়। আপনি যদি বন্য প্রাণিপ্রেমী হন; পাহাড়ি শকুন কনডরসহ আন্দিজ পর্বতমালার বিভিন্ন ধরনের পাখির দেখা পেয়েও খুশি হয়ে উঠবেন। নাশতা সেরে যখন একটি জিপ লাইনে চেপে নেমে আসবেন, তখন হয়তো মনটা ভার হয়ে থাকবে এমন একটি জায়গা ছেড়ে এত তাড়াতাড়ি চলে যেতে হওয়ায়।
পূর্ববর্তী অতিথিরা ন্যাচার ভাইভ স্কাইলজে তাদের অবস্থানকে রোমাঞ্চকর ও দুঃসাহসিক এক অভিজ্ঞতা বলেই উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে রাতের আকাশের নিচে ঘুমানোটাকে এই লজ সম্পূর্ণ নতুন এক স্তরে নিয়ে যায় বলে মনে করেন তাঁরা। চাঁদ ও তারাকেও স্বচ্ছ ক্যাপসুল থেকে অবিশ্বাস্যভাবে কাছাকাছি মনে হয়েছে তাঁদের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা থেকে আসা লরেন ক্রেগেল যেমন বলেছেন যে এখানকার পুরো অভিজ্ঞতাটি ছিল দারুণ উপভোগ্য।
‘ওপরে ওঠাটা ছিল আনন্দদায়ক। আমি উচ্চতাকে ভয় পাই না। কিন্তু এমন কিছু মুহূর্ত ছিল যখন নিজে নিজেই বলে উঠেছি “ওয়াও! আমি অনেক উঁচুতে!” খাবারটাও ছিল অবিশ্বাস্য। একটি টয়লেট, সিঙ্কসহ ক্যাপসুলটি খুব আরামদায়ক এবং আধুনিক ছিল। পর্দা সরিয়ে দিয়েছিলাম, যাতে তারার খুব কাছে ঘুমিয়ে পড়ার একটি অনুভূতি হয়।’
আশ্চর্য এই হোটেলে লরেন একাই ছিলেন। কিন্তু এতে অসাধারণ একটি অভিজ্ঞতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হননি। ‘অন্য অতিথিরা জোড় বেঁধে এসেছিলেন, তবে এটি অবশ্যই এমন একটি অভিজ্ঞতা, যেটি একা উপভোগ করলেও সমস্যা নেই।’ বলেন লরেন।
ন্যাচার ভাইভের ডাইনিং ক্যাপসুলে পেরুর নিজস্ব ঘরানার খাবারের স্বাদ পাওয়ার পাশাপাশি চারপাশের অসাধারণ ও ব্যতিক্রমী দৃশ্য উপভোগের সুযোগ মিলবে আপনার। শুনে খুশি হবেন, আপনার রোমাঞ্চকর এই অভিজ্ঞতা ক্যামেরায় বন্দী করার জন্য লজ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব আলোকচিত্রীও আছে।
আপনার যদি উচ্চতাভীতি না থাকে এবং রোমাঞ্চপ্রিয় একটি মন থাকে, তবে রাতের সেরা ঘুম হতে পারে এখানে। কিংবা কে জানে, হয়তো ঘুমালেনই না, সারা রাত প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর রূপ দেখতে দেখতেই কাটিয়ে দিলেন!
সূত্র: কালচার ট্রিপ, সিএনএন, ইউরো নিউজ
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৫ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১০ দিন আগে